Saturday, 22 March 2025

সিলেট থেকে যাওয়া লন্ডনের ফ্লাইট ফিরে এলো ঢাকায়!

সিলেট থেকে যাওয়া লন্ডনের ফ্লাইট ফিরে এলো ঢাকায়!



সিলেট থেকে উড্ডয়ন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট যাত্রা বাতিল করেছে। ফ্লাইটটি মাঝপথ থেকে ফিরে এসে অবতরণ করে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

মূলত ফ্লাইটটি যাচ্ছিল লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরেরর উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় মাঝপথ থেকেই সেটি ঢাকায় ফিরে এসেছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

কামরুল ইসলাম জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০১ ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে সকাল ৯টা ৬ মিনিটে। এরপর যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু হিথ্রো বিমানবন্দরের পরিস্থিতির কারণে ফ্লাইটটি মাঝপথে ফিরতে বাধ্য হয়। আজ দুপুর পৌনে ২টায় এটি ঢাকায় এসে অবতরণ করেন।

তিনি আরও জানান, ফেরত আসা ওই ফ্লাইটে পাইলট ও কেবিন ক্রুসহ ২৬৭ জন আরোহী রয়েছেন। ঢাকায় অবতরণের পর যাত্রীদের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যস্ততম হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শুক্রবার সারাদিন এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি সাবস্টেশনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয় নেমে আসে। এতে শত শত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। লন্ডনের সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিট অবধি বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। 
বিভাজনের পথ বেয়েই আ.লীগ আসবে: তথ্য উপদেষ্টা

বিভাজনের পথ বেয়েই আ.লীগ আসবে: তথ্য উপদেষ্টা


বিভাজনের পথ বেয়েই আওয়ামী লীগ আসবে বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যকার বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হোন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

গুরুতর কয়েকটি বিষয়ে জানতে চেয়ে পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, এস্টাবলিশমেন্ট মাস্টারমাইন্ড বানালো। আবার নিজেরাই মাস্টারমাইন্ডের বিরুদ্ধে নেপথ্য শক্তি’র অন্ধভক্তদের লেলিয়ে দিল। ছাত্রদের মধ্যকার ক্রেডিটবাজির লড়াই কারা শুরু করিয়ে দিল? নেপথ্য শক্তির ন্যারেটিভের পেছনে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট কি করছিল? বামপন্থিদের একাংশকে কারা প্রথমেই অভ্যুত্থানের শক্তি থেকে আলাদা করে ফেলল? বামপন্থিদের মুজিববাদী অংশ কিভাবে পরিপুষ্ট হলো?

তিনি আরও লিখেন, প্রথম বিতর্ক হলো- সোনার বাংলা নিয়ে। সেখান থেকে কালচারাল ওয়ার শুরু। কখন, কাকে দিয়ে সে খেলা শুরু হলো? হিযবুত গালিটা দেওয়া হলো ছাত্রদের। অথচ ছাত্রদের হিযবুত বলে ন্যারেটিভ বানিয়ে আসল হিযবুতদের পতাকাবাজি করতে হেল্প করেছিল কারা?

এসকেএস টাওয়ারে এস্টাবলিশমেন্টের হাতে এক দশকে গজানো ‘তৌহিদী জনতা’ নামধারীদের প্রথম মিটিং হলো জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা লিখেন, পরে সারা বাংলাদেশে, জেলায় জেলায়। কারা ইন্ধন জোগাল তাদের। আর কার/কাদের বিরোধিতা করল, এখনও করে যাচ্ছে? ঢাকা শহরের স্কুল কলেজে র‌্যাডিকালাইজেশনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হলো কাদের আয়োজনে? নেপথ্য শক্তির প্রোপাগান্ডু (স) এবং মিম পেজগুলো একের পর এক আক্রমণ করল অভ্যুত্থানের নেতাদের। অভ্যুত্থানের যে নেতারা শাপলা-শাহবাগের বাইনারি ভাঙতে চাইল, নতুন বন্দোবস্ত গড়তে চাইল- তাদের বিরুদ্ধে নেপথ্য শক্তি, ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট, নেপথ্য শক্তির প্রোপাগান্ডু (স), তৌহিদী জনতা নামধারীদের একসঙ্গে লেলিয়ে দিল কারা? এর বিপরীতে ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া কিভাবে ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে বিভাজন শতগুণ বাড়িয়ে দিল?

বামপন্থি-ডানপন্থি বিভাজনের জন্য বিভিন্ন মঞ্চ ও আন্দোলনের পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ল কারা এমন প্রশ্ন করে মাহফুজ আলম লিখেন, সেসব মঞ্চের পেছনে নেপথ্য শক্তি কি করছিল? অর্থ ও জনবলের উৎস কারা ছিল? বামপন্থিদের একাংশ হরেদরে কেন এ সরকারের বিরোধী হয়ে উঠল এবং মুজিববাদীদের ক্রীড়ানকে পরিণত হলো? রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ছাত্রদের নিয়ে টেনশন তৈরি করল কারা? কেন এক্স (সাবেক) কমিশনের এক সদস্য নেপথ্য শক্তির ইন্ধনে সমঝোতা করল? নেপথ্য শক্তিকে কিভাবে সাপোর্ট দেয়া হলো এডমিনে এবং ব্যবসায়ে, প্রকারাস্তরে যা ‘দেশপ্রেমিক’ নেপথ্য শক্তি আর জাতীয়’ শক্তির মধ্যে বিভাজন, সন্দেহ ও দূরত্ব তৈরি করল।

ছাত্ররা এবং অন্যান্য দলের কর্মীরা বিভিন্ন অপরাধ করছে না, তা কিন্তু নয় মন্তব্য করে তথ্য উপদেষ্টা লিখেন, জাতীয় শক্তিই বা কেন বারবার এলাইন করতে থাকল এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে? কেন তারা ছাত্র-জনতার আবেগের বিরুদ্ধে যেতে চাইল? আর এ আলাইনমেন্টের সূত্রে জাতীয় শক্তি কেন ছাত্রদের ওপর আক্রমণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিল, ডিসেম্বর অনওয়ার্ড? অলিগার্কদের টাকা কিভাবে ভাগ করা হলো, এস্টাবলিশমেন্ট, ‘বড়’ নেপথ্যশক্তি আর জাতীয়’ শক্তির মধ্যে? কিভাবে টিকিয়ে রাখা হলো সামিটসহ অন্যান্য গ্রুপের বিজনেস ইন্টারেস্ট। কিভাবে ছাত্রদের একাংশকে টেনে নেয়া হলো সেসব আর্থিক লেনদেনে। যাতে পরবর্তীতে তাদের ব্লাকমেইল করা যায়? 

তিনি আরও লিখেন, লাকি কেন হঠাৎ সামনে আসল? শাহবাগ-শাপলার দ্বন্দ্ব কেন প্রকট হলো? সব বাহিনীর মোরাল কেন এখনো ভঙ্গুর? মিডিয়াগুলোর ন্যারেটিভ কেন এত এত সাজানো ও সময়োপযোগী হয়? মুজিববাদীরা কিভাবে রিওর্গানাইজড হলো মিডিয়া আর কালচারপাড়ায়?

তদুপরি, কোন কোন এডভাইজারের পক্ষ-বিপক্ষ কখন তৈরি করা হলো? কার কার পদত্যাগ চাওয়া হলো আর কাকে কাকে ইসলামবিদ্বেষী, নাস্তিক বানানো হলো? কেনই বা বানানো হলো? উত্তর হিসাবে বিশেষ কারও নাম গুরুত্বপূর্ণ না। আর, সবই অন্যরা করল, আমাদের কোনো দোষ নেই, তাও নয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র হয়েছিল এবং এখনো চলমান! তবু, চলুন বিচার ও সংস্কারের পক্ষে কাজ করি। চলুন, শহিদ আহতদের স্পৃহা ও চৈতন্যের বাংলাদেশ তৈরি করতে আগুয়ান হই। এখনো সময় শেষ হয়নি! সবার জন্য শুধরাবার মতন সময় এখনো আছে! জুলাইয়ের মতো করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও সুযোগ রয়েছে! চলুন, ছাত্ররা এক হোন/হই আবার। আমাদের বিরুদ্ধে, এ প্রজন্মের বিরুদ্ধে, ‘বাচ্চাকাচ্চা’দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এটাই সত্য! আপনারা রুখে দাঁড়ান এবং জবাবদিহি ও সুবিচারের রাষ্ট্র গঠনে আবার ঐক্যবদ্ধ হোন।

একমাত্র ছাত্র-জনতার জুলাই ঐক্যই পারবে আওয়ামী লীগের ফিরে আসাকে ঠেকিয়ে দিতে দাবি করে মাহফুজ আলম লিখেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পুরাতন বন্দোবস্তের সব কলকব্জা বিকল করেই এগোতে হবে। নাহলে কিছুই দীর্ঘমেয়াদে টিকবে না। জুলাই প্রজন্মের একাংশ এস্টাবলিশমেন্টের ফাঁদে পড়েছে, বিভিন্ন সেগমেন্টের ন্যায্য ক্ষোভকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে যাতে এস্টাবলিশমেন্ট অক্ষত থাকে। আর সেটা আছেও বটে! তাই, আমাদের প্রজন্মের সব আবেগকেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নে, বিচারের প্রশ্নে, সংস্কারের প্রশ্নে নিবদ্ধ করা এবং এস্টাবলিশমেন্টের পালটা সেটেলমেন্ট গড়ার কাজে লাগানো উচিত। জুলাই প্রজন্ম জিন্দাবাদ! ছাত্র-জনতার জুলাই ঐক্য জিন্দাবাদ। 
গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর

গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর


চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর) বলেছেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যারা দল গঠন করেছে, তারাও শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট দল হতে চায়।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

গণঅভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনীকে কেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলে সাবেক ডাকসু ভিপি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ছাত্র সমন্বয়কেরা তদবির করে আওয়ামী লীগের দোসরদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে, আর দোষ চাপাচ্ছে সেনাবাহিনী ও সরকারের ওপর।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সমাবেশ শেষে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। 
আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলবে: নাহিদ ইসলাম

আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলবে: নাহিদ ইসলাম


আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। খুনিদের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিবাদী দল। তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা সরকারের নেই–অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ডসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।

তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন সময়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।  এই মাফিয়া গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে ফেরানোর যে কোনো চেষ্টাকে প্রতিহত করতে এনসিপি অঙ্গীকারবদ্ধ।

নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করছে। বিচার অনিষ্পন্ন রেখে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার আলোচনা বা প্রস্তাব এনসিপি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। আওয়ামী মতাদর্শ বা মার্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ৩৬ জুলাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এনসিপি জাতীয় রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিতে ঘোষিত জুলাই সনদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিদ আলম, সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিন জারা প্রমুখ। 
রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে সেনাবাহিনী: হাসনাত

রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে সেনাবাহিনী: হাসনাত


বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে তা রাজনীতিবিদরাই নির্ধারণ করবেন।

তিনি বলেন, দল হিসেবে আগে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দোষ স্বীকার করতে হবে। তারপর আওয়ামী লীগ নিয়ে অন্য কোন আলোচনা হতে পারে, তার আগে নয়।

একই সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। খুনিদের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে।
 
তিনি বলেন,  আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলমান থাকবে। আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিবাদী দল। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিদ আলম, সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিন জারাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা



থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিমসটেক জোটের শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলন ঘিরে জোর আলোচনা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে। কিন্তু, সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বৈঠকটি নিয়ে। এখনও পর্যন্ত এ বৈঠক নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দিল্লি। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ভারতের রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। 

ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা আপনারা জানতে চাইছেন, সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে শেয়ার করার মতো কোনও আপডেট নেই।

এর আগে, দিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছিল, এপ্রিলের ২ থেকে ৪ তারিখ ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা যায় কিনা, ঢাকার কাছ থেকে তারা সেই প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু সেই বৈঠক হবে কিনা, ভারতের পক্ষ থেকে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, এখনই দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক করাটা ঠিক হবে কিনা–তা নিয়ে ভারত সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে স্পষ্টতই দ্বিধা-বিভক্তি বিরাজ করছে।   

গত বছরের সেপ্টেম্বরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারত তাতে সাড়া দেয়নি এবং সেই বৈঠকও হয়নি। দুই নেতার মধ্যে অবশ্য মাঝে টেলিফোনে সরাসরি কথাবার্তা হয়েছে।


গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ দুই নেতা মুখোমুখি বৈঠক না করলেও একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।  নিউইয়র্কের পর দুই দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে ওমানের রাজধানী মাস্কটেও। এছাড়া, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিও গত ডিসেম্বরে ঢাকায় এসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তার কাউন্টারপার্ট জসীমউদ্দিনের সঙ্গে। অর্থাৎ, দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চ্যানেলগুলো  ঠিকই চালু আছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজেও বিবিসির সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঠিকই আছে, সব ভালোই চলছে। কথাবার্তাও হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

বৃষ্টিপাত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা


সিলেটসহ সাত বিভাগে টানা তিনদিন বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুদিনের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমায় গরমও অনুভূত হচ্ছে কম। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার (২২ মার্চ) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রোববার (২৩ মার্চ) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, পরবর্তী তিনদিন সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আবার বাড়তে থাকবে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডুতে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় শুক্রবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১০ মিলিমিটার। রাজশাহীতে ৭, সিরাজগঞ্জে ৫, পাবনা, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গায় ২, নওগাঁ, ময়মনসিংহ ও কুষ্টিয়ায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ফেনী ও যশোরে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রাজশাহীতে দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনভর ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরবাসী। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যা থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। বেশিরভাগ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও মাঝে মাঝে তা তীব্র হচ্ছে। আগের দিন দুপুরের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।