Thursday 26 May 2022

চন্দরপুরে শিউলী মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন: যা আসলো ময়না তদন্তে!


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিলো গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। নিজ শয়ন কক্ষেই শিউলী বেগমের নিথর দেহ ঝুলছিলো ফ্যানের সাথে। এসময় তার দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছিলো। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়েছিলো।

তবে লাশ উদ্ধারের সময় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানিয়েছিলেন, লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন তিনি। তবে ময়না তদন্ত শেষেই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে বলেও জানিয়েছিলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এবার প্রায় ৩ মাসের মাথায় এসেছে শিউলী বেগমের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন। প্রতিবেদন বলছে শিউলী বেগম আত্মহত্যাই করেছেন। নিজ শয়ন কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ২ সন্তানের জননী শিউলী।

ময়না তদন্ত রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম। তিনি জানান, শিউলী বেগম আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রমাণ মিলেছে ময়না তদন্তে।

ময়না তদন্তের এ প্রতিবেদনে এলাকাবাসীর মনের উদ্রেক দূর হয়েছে। সমাধান হয়েছেন রহস্যে ঘেরা ধুম্রজালের।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে শিউলী বেগম নামের ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। সে চন্দরপুর গ্রামের আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তাদের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।

শিউলী বেগমের পিত্রালয়ও একই এলাকায়। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

দুই সন্তানের ওই জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যা? নাকি আত্মহত্যা? এমন প্রশ্ন বহুদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিল স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে।

ইকবাল হোসেনের পরিবার ঘটনাটি আত্মহত্যা দাবী করলেও বিপরীত দাবী জানিয়েছিলেন শিউলী বেগমের পরিবার। তাদের দাবী ছিলো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পর ঝুলিয়ে রাখা হয় শিউলী বেগমের নিথর দেহ।

স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়েছিলো।

এব্যাপারে ইকবাল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, ওই সময় লোক সমাগম এবং উত্তেজিত জনতার ভয়েই পালিয়েছিলেন শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ।

শেয়ার করুন