السبت، 19 يونيو 2021

জনতার চাপে’ নির্বাচনে শফি চৌধুরী

জনতার চাপে’ নির্বাচনে শফি চৌধুরী


সিলেট ৩ আসনের সাবেক সাংসদ, সিলেটের সর্বজন পরিচিত এক বনেদি পরিবারের সন্তান দেশের নামকরা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী  চিকিৎসার জন্য অনেকদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনের খবর শুনে দ্রুত দেশে ফিরে আসেন তিনি। দল নির্বাচন বয়কট করলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এই সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার শফি আহমদকে নোটিশ প্রদান করে বিএনপি। নোটিশে তাকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।শুক্রবার তিন পৃষ্ঠার নোটিশের জবাব দিয়েছেন। এতে তিনি নির্বাচনী এলাকার 'মানুষের চাপে জীবনের শেষ নির্বাচন' করার কথা উল্লেখ করেছেন।

এখন দল যে সিদ্ধান্ত নিক, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে অটল রয়েছেন। শুক্রবার রাতে সিলেট-৩ আসনের সাবেক এই এমপি বলেন, বিএনপির নোটিশের জবাব দিয়েছি। তিন পৃষ্ঠার জবাবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।

শফি আহমদ বলেন, বিএনপির রাজনীতি করি বলে দলের নোটিশের জবাব দিয়েছি। এতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যৌক্তিকতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় উল্লেখ করেছি। এখন দল সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। তবে তিনি কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার মানুষের চাপে প্রার্থী হয়েছি। এখন পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। দলকে দেওয়া চিঠিতে তা উল্লেখ করেছি। এটাই আমার শেষ নির্বাচন।

গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কয়েসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন শফি আহমদ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির পর ২০০১ সালে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০০৮ সালে কয়েসের কাছে পরাজিত হন। ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম তিনি এমপি হয়েছিলেন বলে জানান শফি আহমদ। জীবনের শেষ নির্বাচনও 'স্বতন্ত্র প্রার্থী' হিসেবে লড়বেন তিনি।

গত ১৫ জুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৩ আসনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন শফি চৌধুরী রাতেই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।

৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আল্টিমেটাম

৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আল্টিমেটাম



করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ জুনের মধ্যে খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরাম’

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন বক্তারা।

এ সময় মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রা'স্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহই যথেষ্ঠ। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করব। হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সব কিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটোপাস দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।

এর আগে, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর দশ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় সরকার। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। পরে কয়েক দফা সেই বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক দফা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত আর সম্ভব হয়নি। সরকার করোনার প্রকোপ স্বাভাবিক না হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চায় না। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ৩০ জন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

শফি চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

শফি চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট-৩ আসন উপনির্বাচনে স্ব'তন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কা'র করা হয়েছে। দলীয় শৃ'ঙ্খলা ভঙ্গ ও স্বার্থবিরোধী কর্মকা'ণ্ডের অভিযোগে এনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

শনিবার (১৯ জুন) রাতে বিএনপির দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞ'প্তিতে এ তথ্য জানানো হয়ে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা এমরান সালেহ প্রি'ন্স স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞ'প্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃ'ঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বা'র্থবিরোধী কর্মকা'ণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্প'ষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক শফি আহমেদ চৌধুরীকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

দলের সিদ্ধা'ন্ত ও শৃ'ঙ্খলা অমান্য করার পরিপ্রে'ক্ষিতে গেল ১৫ জুন শফি আহমেদ চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এ নোটিশের জবাবে তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য ও সন্তোষজনক না হওয়ায় বহিষ্কা'রের এ সিদ্ধা'ন্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞ'প্তিতে জানানো হয়।

গোলাপগঞ্জে কটলীপাড়া-বসন্তপুর রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন

গোলাপগঞ্জে কটলীপাড়া-বসন্তপুর রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলা বাদেপাশা-শরীফগঞ্জ ইউনিয়নবাসীর হাজারো মানুুুষের চলাচলের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম কটলীপাড়া-বসন্তপুর সড়ক। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে এই সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।


এমন বেহাল দশা থেকে প্রতিকার পেতে মানববন্ধন করেছে কুশিয়ারাবাসী। শুক্রবার বিকেলে বাগলা উত্তর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


মানববন্ধনে স্পেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম লুৎফুরের সভাপতিত্বে ও সামজসেবী মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিরাজুল ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, রশিদ আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, মাহিন আহমদ।


মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ আহমদ, জাবেদ আহমদ, তারেকুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, আয়ান আহমদ, যুবলীগ নেতা এনু মিয়া, রুবেল আহমদ, নাহিদ আহমদ, নূর মিয়া, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুশিয়ারা পারের দুটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা হচ্ছে কটলিপাড়া-বসন্তপুর সড়ক।এছাড়াও বিয়ানীবাজার, বড়লেখা ও ফেঞ্চুগঞ্জের সাথে গোলাপগঞ্জের সংযোগও স্থাপন করেছে এই রাস্তাটি। বাদেপাশা ইউনিয়নের বাগলা গ্রাম থেকে শুরু করে শরীফগঞ্জের বসন্তপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫কিলোমিটার এই সড়কটি কাদা মাটিতে একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুশিয়ার অঞ্চলের লোকজন। এ রাস্তাটি পাকাকরণে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।


বক্তারা বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বাদেপাশা-শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছেন। এই রাস্তাটি হয়ে গেলে এলাকাবাসীর আর কোন দাবি থাকবেনা। এলাকাবাসী এই রাস্তাটির উন্নয়নে নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির তিনটি প্রজেক্ট সম্পন্ন

রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির তিনটি প্রজেক্ট সম্পন্ন


রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির উদ্যোগে তিনটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৭ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর বাগবাড়ীস্থ রোটারী হাউজ প্রাঙ্গনে রোটারী ডিষ্টিক্ট গভর্নর ডক্টর বেলাল উদ্দিন আহমদ এর উপস্থিতিতে এ প্রজেক্ট সমূহ বাস্তবায়ন করা হয়।

রোটারী ইন্টারন্যাশনালের আর্থিক সহযোগিতায় এ সময় মদিনা মার্কেট এলাকার পরিস্কার পরিছন্নতা বজায় রাখার লক্ষ্যে একটি ময়লা বহনকারী ভ্যান, চাদনীঘাট এলাকায় আত্ত্বকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অসহায় এক ব্যক্তিকে একটি ভ্যান এবং এক অসহায় ব্যক্তিকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রোটারী ডিষ্ট্রিক্ট 3282 এর প্রেসিডেন্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ডাঃ জাকারিয়া চৌধুরী, জোনাল কোঅর্ডিনেটর কবির উদ্দিন, রোটারী ক্লাব সিলেট সিটির প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান আমিনুল ইসলাম, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটারিয়ান নুরুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান এস এ শফি, রোটারিয়ান তাসলিমা বেগম, রোটারিয়ান আনিসুর রহমান, রোটারিয়ান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং এডভোকেট আশরাফ খান পারভেজ। 

الجمعة، 18 يونيو 2021

যে কারণে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন, জানালেন ত্ব-হা আদনান

যে কারণে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন, জানালেন ত্ব-হা আদনান



নিখোঁজের আট দিন পর অবশেষে রংপুরে বাড়িতে ফিরেছেন আলোচিত ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান। শুক্রবার দুপুরে তার শ্বশুরের বাসায় তাকে পাওয়া যায়।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে দাবি করে ব্যক্তিগত কারণে ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা আত্মগোপনে ছিলেন।  তবে ব্যক্তিগত কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ জানায় এই মুহূর্তে তারা বলতে পারবেন না। সেটা ভেরিফাই করতে হবে। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করব। আসলে সব ব্যক্তিগত কারণ তো বলা যায় না।

পরে ডিবি পুলিশ জানায়, দাম্পত্য কলহে অতিষ্ঠ হয়ে ত্ব-হা আদনান স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে উদ্ধারের পর শুক্রবার বিকালে রংপুর নগরীর ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, পারিবারিক কারণে গাইবান্ধার ত্রিমোহনীতে বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ত্ব-হা আদনান।

আলোচিত এই ধর্মীয় বক্তা ও তার সঙ্গীরা ঢাকা থেকে ফিরে তার এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন। তার বন্ধুর নাম সিয়াম। 

পুলিশ জানায়, তার বন্ধু (সিয়াম) বাসায় ছিলেন না। তার মা বাসায় ছিলেন। তারা একটি ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তারা ওই রাতেই ঢাকা থেকে ফিরেছে অন্য কোথাও অবস্থান করেনি।  

এদিকে প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, ত্ব-হা আদনান তার শ্বশুর বাড়িতে এসে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথা বলেন। সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। এলাকাবাসীর সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। এ সময় হাসিমুখেই কথা বলছিলেন এই ধর্মীয় বক্তা।

৩১ বছর বয়সী এই ইসলামি বক্তার নাম মো. আফছানুল আদনান ত্ব-হা। তবে আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান নামেই পরিচিত। বাড়ি রংপুরে। রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের আহলে হাদিস মসজিদ-সংলগ্ন গলিতে তার পৈতৃক বাসা। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শালবন এলাকার চেয়ারম্যানের গলিতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। 

আদনানের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর নাম আবিদা নুর, দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা মিরপুর আল ইদফান ইসলামী গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক। তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।

‘মানুষ কাটিনি, মাছ কাটছি’, সিলেটে তিন খুনে হিফজুরকে ঘিরে সন্দেহ

‘মানুষ কাটিনি, মাছ কাটছি’, সিলেটে তিন খুনে হিফজুরকে ঘিরে সন্দেহ



স্ত্রী’ ও দুই সন্তানের ঘাত হিফজুর নিজেই- এমনটি ধারণা করছে পুলিশ। ৩ জনেরই ছিল গলাকাটা। শরীরে কোপানোর চিহ্ন। কিন্তু শিশুদের পিতা হিফজুরের শুধু পায়ে আঘাত ছিল। সেই আঘাতও ততটা গুরুতর নয়। ঘটনার পর থেকে হিফজুর নিজেও অজ্ঞান হওয়ার ভান করছিল। এরই মধ্যে পুলিশ তাকে হাসপাতালের বেডে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চালায়। কিন্তু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও হিফজুরের কথাবার্তা ছিল অগোছালো।

‘মানুষ কাটিনি, মাছ কাটছি’- এ ধরনের কথাবার্তা আওড়াচ্ছিলেন তিনি। সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিন্নাকান্দি গ্রামের বসতঘর থেকে গত বুধবার সকালে হিফজুরকে আ’হত অবস্থায় উ’দ্ধার করে হাসপাতা’লে পাঠিয়েছিলেন স্থানীয়রা। একই সময় তার ঘরের খাটের উপর স্ত্রী আলেয়া, ছেলে মিজান ও মেয়ে তাহসিনার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কী কারণে এই ৩ খুন- এ নিয়ে লাশ উদ্ধারের পর থেকেই তদন্তে নামে পুলিশ। সিলেটের পু’লিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ঘটনার দিনই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

হিফজুরও সন্দেহের বাইরে নয়। এর বাইরে পুলিশ মামাদের সঙ্গে বিরোধসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান করে। কিন্তু কোনো অনুসন্ধানই ঘটনার কাছাকাছি যায়নি। পারিবারিক বিরোধের বিষয়টি পু’লিশের ত’দন্তে উঠে আসে। পু’লিশ জানায়, হিফজুর ও তার স্ত্রী’র মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। এসব ঝগড়ার বিষয় আশপাশের লোকজনও জানতেন।

এ নিয়ে সালিশও হয়েছিল। শুক্রবার ছিল হিফজুরের শ্যালিকার বিয়ে। এই বিয়েতে যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে হিফজুর ও আলেয়ার মধ্যে মনোমানিল্য হয়। আর এই মনোমানিল্যের জের ধরে হিফজুর খু’ন করতে পারে স্ত্রী’ ও সন্তানদের- এমন ধারণা পুলিশের। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন রয়েছেন হিফজুর রহমান। পুলিশ পাহারায় তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দেয়নি।


হাসপাতালে থাকা হিফজুর রহমানকে গতকাল পর্যন্ত আ’ট’ক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট জে’লা পু’লিশের অ’তিরিক্ত পু’লিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, হিফজুর এখনো চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময়ে ওই ঘরে ছিলেন হিফজুর রহমান। একমাত্র তিনি বলতে পারেন কী’ ঘটেছে। আলেয়া ও দুই সন্তানের গলাকা’টা ও শরীরে আ’ঘাতের চিহ্ন থাকলেও হিফজুরের আ’ঘাত বেশি নয়। এ কারণে পু’লিশ হাসপাতা’লের বেডে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, হিফজুর স’ন্দেহ’জনক কথা বলছেন। পাগলের মতো আচরণ করছেন। এ কারণে পু’লিশের স’ন্দেহ গভীর হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে হিফজুরের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পু’লিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। সুস্থ হলে হিফজুরকে আ’ট’ক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান। ঘটনার পর বুধবার সকালে পু’লিশ হিফজুরের ঘর থেকে একটি বটি উ’দ্ধার করেছে। ওই বটি র’ক্তমাখা ছিল। এদিকে, মা ও দুই সন্তান হ’ত্যার ঘটনায় বুধবার রাতে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় মা’মলা করেছেন নি’হত আলেয়া বেগমের পিতা আইয়ুব আলী।

গোয়াইনঘাট থা’নার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, মা’মলায় অ’জ্ঞাত আ’সামি করা হয়েছে। ঘটনাটি পু’লিশ ত’দন্ত করছে। হ’ত্যাকারীদের গ্রে’প্তার করা হলে পু’লিশ ত’দন্ত রিপোর্টে আ’সামিদের নাম সংযু’ক্ত করবে। ঘটনাটিকে পু’লিশ গুরুত্ব সহকারে ত’দন্ত করছে বলে জানান তিনি। বেঁচে গেছে আফসান: মামা’র বাড়িতে থাকায় বেঁচে গেছে হিফজুর রহমানের মেজো ছে’লে আফছান। সে এখনো জানে না তার মা ও ভাইবোন জীবিত নেই। আফছানের নানা আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, আফছান বর্তমানে আমাদের বা?ড়ি?তে আছে। তাকে মা ও ভাইবোনের মৃ’ত্যুর খবর জানা?নো হয়?নি। সে এই বা?ড়ি?তে থাক?লে জীবিত থাকতো না