الأحد، 29 أغسطس 2021

বিড়াল উদ্ধার করে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন ৪ বাংলাদেশি

বিড়াল উদ্ধার করে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন ৪ বাংলাদেশি



গত সপ্তাহে দুবাইয়ে ভাইরাল বিড়াল উদ্ধারের ভিডিও দেখে চারজন প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদের কাছ থেকে প্রত্যেকে ৫০ হাজার দিরহাম (প্রায় ১২ লাখ টাকা) পুরষ্কার পেয়েছেন।


দুবাইয়ের চারজন বাসিন্দা, যারা গর্ভবতী বিড়ালের দ্বিতীয়তলার বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় তার জীবন বাঁচানোর পর ভাইরাল হয়েছিল। এরপর তারা দুবাই শাসকের কাছ থেকে নগদ এ পুরস্কার অর্জন করেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম কর্তৃক অচেনা নায়ক’ হিসেবে প্রশংসিত এই চারজন ব্যক্তি তাদের দ্রুত চিন্তাভাবনার জন্য প্রত্যেককে ৫০ হাজার দিরহাম দিয়েছেন যারা বিড়ালের জীবন বাঁচিয়েছেন।


ভিডিও ফুটেজে বিড়ালটিকে বারান্দা থেকে ঝুলতে দেখা যায়। তিনজনের একটি দল দ্রুত একটি বেডশিট দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে নিচে অবস্থান নেয়। বিড়ালটি বিছানার চাদরে পড়ে, এতে তার জীবন বেঁচে যায়।

السبت، 28 أغسطس 2021

রাজমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ৯৪০, টাইলস মিস্ত্রির ১,১০৫ টাকা

রাজমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ৯৪০, টাইলস মিস্ত্রির ১,১০৫ টাকা



সারাদেশে নির্মাণ ও কাঠশিল্প শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের শ্রমিকের মজুরির পার্থক্য রাখা হয়েছে। এতে শহরে একজন রাজমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ৯৪০ টাকা এবং গ্রামাঞ্চলে মজুরি ৮৭০ টাকা। শহরে টাইলস বা মোজাইকমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ১,১০৫ টাকা ও গ্রামে ১,০২০ টাকা। আর সাধারণ শ্রমিক বা জোগালির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে ৬৮০ টাকা এবং গ্রামে ৬২০ টাকা।


আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে নির্মাণ ও কাঠশিল্প শ্রমিকদের মজুরি চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০১২ সালে নির্মাণ ও কাঠশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ছিল ৩৭৫ টাকা। এখন বেড়ে ৬৮০ টাকা হয়েছে। শহরাঞ্চলের জন্য এটি প্রযোজ্য হলেও গ্রামে মজুরি হবে ৬০ টাকা কম, অর্থাৎ ৬২০ টাকা।

নির্মাণ ও কাঠশিল্পের নতুন মজুরিকাঠামোতে ছয়টি গ্রেড রয়েছে। সব গ্রেডেই শহরাঞ্চলে বাড়িভাড়া মূল মজুরির ৪০ শতাংশ ও গ্রামাঞ্চলে ৩০ শতাংশ। তা ছাড়া শহরাঞ্চলে চিকিৎসা ভাতা ৮০০ টাকা ও যাতায়াত ভাতা ৪০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলে সেটি কিছুটা কম, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা যথাক্রমে ৬০০ ও ৩০০ টাকা। যদিও সব গ্রেডেই মূল মজুরি শহর ও গ্রামে একই।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে ৬ নম্বর গ্রেডের সাধারণ শ্রমিক বা জোগালির মাসে মজুরি ১৭ হাজার ৭২০ টাকা। তার মধ্যে মূল মজুরি ১১ হাজার ৮০০ টাকা। বাড়িভাড়া মূল মজুরির ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ৪ হাজার ৭২০ টাকা। তার বাইরে চিকিৎসা ভাতা ৮০০ ও যাতায়াত ভাতা ৪০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলে ওই শ্রমিকের মাসে মজুরি ১৬ হাজার ২৪০ টাকা হবে। এ ক্ষেত্রে মূল মজুরি ঠিক থাকলেও বাড়িভাড়া ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৩ হাজার ৫৪০ টাকা। আর চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা যথাক্রমে ৬০০ ও ৩০০ টাকা।

৫ নম্বর গ্রেডের সহকারি রাজমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিকমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি বা পলিশমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে হবে ৭৭০ টাকা। আর মাসিক মজুরি ২০ হাজার ১০০ টাকা। তার মধ্যে মূল মজুরি সাড়ে ১৩ হাজার। গ্রামাঞ্চলে এই গ্রেডের শ্রমিকদের মাসিক মজুরি ১৮ হাজার ৪৫০ টাকা। দৈনিক মজুরি ৭১০ টাকা।

শহরাঞ্চলে ৪ নম্বর গ্রেডের সহকারী স্যানিটারিমিস্ত্রি, প্লাম্বার ও থাই অ্যালুমিনিয়ামমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি হবে ৮৩০ টাকা। আর মাসিক মজুরি ২১ হাজার ৬৪০ টাকা। তার মধ্যে মূল মজুরি ১৪ হাজার ৬০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলে এই শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৬০ টাকা। তাঁদের মাসিক মজুরি ১৯ হাজার ৮৮০ টাকা।


৩ নম্বর গ্রেডের রাজমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিকমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, সহকারী মোজাইক বা টাইলসমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে হবে ৯৪০ টাকা। গ্রামে সেটি ৮৭০ টাকা। এই শ্রমিকদের মাসিক মজুরি শহরাঞ্চলে ২৪ হাজার ৫৮০ টাকা হলেও গ্রামে ২২ হাজার ৬১০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই মূল মজুরি ১৬ হাজার ৭০০ টাকা।

মজুরিকাঠামো অনুযায়ী, ২ নম্বর গ্রেডের স্যানিটারিমিস্ত্রি, প্লাম্বার ও থাই অ্যালুমিনিয়ামমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে ১ হাজার ২০ টাকা আর গ্রামে ৯৪০ টাকা হবে। শহরাঞ্চলে এই শ্রমিকদের মাসিক মজুরি ২৬ হাজার ৬৮০ টাকা হলেও গ্রামে ২৪ হাজার ৫৬০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই মূল মজুরি ১৮ হাজার ২০০ টাকা।

অন্যদিকে ১ নম্বর গ্রেডে থাকা মোজাইক ও টাইলসমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে ১ হাজার ১০৫ টাকা ও গ্রামে ১ হাজার ২০ টাকা হবে। এ ছাড়া শহরে মাসিক মজুরি ২৮ হাজার ৭৮০ টাকা হলেও গ্রামে সেটি কিছুটা কমে হবে ২৬ হাজার ৫১০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই মূল মজুরি ১৯ হাজার ৭০০ টাকা।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একজন শ্রমিকের শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। তবে সেটি প্রয়োজনে আরও তিন মাস বাড়াতে পারবেন নিয়োগদাতা। শিক্ষানবিশকালে মজুরি হবে মাসিক ১০ হাজার টাকা। দৈনিক ভিত্তিতে সেটি দাঁড়াবে ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া নতুন মজুরিকাঠামো সমন্বয় করার পর একজন শ্রমিক এক বছর কাজ করলে পরবর্তী বছর তাঁর মূল মজুরি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। পরের বছরও একই হারে বাড়বে।
সিলেটে একই পরিবারের ৪ সদস্যের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

সিলেটে একই পরিবারের ৪ সদস্যের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ



সিলেটের ওসমানীনগরে সনাতন ধর্ম ছেড়ে একই পরিবারের ৪ জন পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ইসলাম ধর্মের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা স্বইচ্ছায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে তারা আইনি সব ব্যবস্থা করে স্থানীয় পীরে তরিকত মাওলানা কাজী রফিক আহমদের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।


ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী ৪জন হলেন- ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউপির মাটিহানী লামাপাড়া গ্রামের গণেশ চন্দ্র মালাকারের ছেলে শ্রী নিতাই চন্দ্র মালাকার (বর্তমানে মোহাম্মদ আব্দুর রহমান), নিতাই চন্দ্র মালাকারের স্ত্রী রত্না রানী মালাকার (মোছা. রহিমা বেগম), নিতাই চন্দ্র মালাকারের ছেলে শিপন মালাকার (মোহাম্মদ আবুল বাশার) ও অমিল মালাকারের মেয়ে কানন মালাকার (মোছা. খাদিজা বেগম)।

তারা মহান ইসলাম ধর্মের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে গত ২৩ আগস্ট সিলেট নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আইনি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন এবং পরে স্থানীয় তাজপুর কদতলায় মাওলানা কাজী রফিক আহমদের কাছে ইসলামী রীতি অনুযায়ী কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।


নিতাই চন্দ্র মালাকার (বর্তমান নাম মোহাম্মদ আব্দুর রহমান) বলেন, আমরা ইসলাম ধর্মের আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি। বাকি জীবন যেন ঈমান ও আমলের সঙ্গে চলতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
যুদ্ধ শুরুর বছর জন্ম মার্কিন সেনার, যুদ্ধ শেষে কাবুলেই মৃত্যু

যুদ্ধ শুরুর বছর জন্ম মার্কিন সেনার, যুদ্ধ শেষে কাবুলেই মৃত্যু



আন্তর্জাতিকঃ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইএস বোমা হামলা করে। এই হামলায় নিহতদের বিষয়ে ধীরে ধীরে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামি স্টেট (আইএস) এর খোরাসান শাখার ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জন সেনাসহ ১৭০ জনের অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তাদের সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখার একজন সদস্যও রয়েছে। 


এই হামলায় নিহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কাঠমিস্ত্রি স্টিভ নিকভির ছেলে ল্যান্স কর্পোরাল কারিম। 

শোকে বিহ্ববল এই বাবা বলেন, যা ঘটেছে আমি তা মেনে নিতে পারছি না। যুদ্ধ শুরুর বছর ( ২০০১ সালে) কারিম জন্ম গ্রহণ করেছিল, যুদ্ধ শেষেই মারা গেল!

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি বিস্টের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এখনও নিহত ১৩ সেনার নাম প্রকাশ করেনি। তবে মার্কিন বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১০ জন মেরিন সেনা, দুইজন সেনাবাহিনীর সদস্য এবং নৌবাহিনীর একজন কর্পোরাল রয়েছেন। 

নিহত মেরিন সেনা কারিমের বাবা স্টিভ বলেন, কাবুলে বোমা হামলায় যেসব মেরিন নিহত হয়েছে তাদের পরিবারের সঙ্গে আট ঘণ্টার মধ্যেই যোগাযোগ করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে কারিমের মৃত্যুর সংবাদ দিতে মেরিন সেনারা তাদের বাড়ি আসেন। 


স্টিভ নিকভি বলেন, যারা খবর দিতে এসেছিল আমার থেকেও তারা বেশি কাঁদছিল। তাদেরকে আমি শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। 

ছেলে হারানো এই বাবা বলেন, আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি। যা ঘটেছে তা আমি কিছুতেই মানতে পারছি না। কারিমের দেহাবশেষ আনতে তিনি ডেলোয়ার প্রদেশে যাবেন বলেও জানান।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে বিমান ছিনতাই করে হামলা করে। এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তৎকালীন তালেবান সরকারকে উৎখাত করে। কিন্তু গত বছর সেই তালেবানের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র আবার সমঝোতা করে। আর সেই পটভূমিতেই আফগানিস্তান থেকে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সকল বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কিন্তু বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময়ে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলা হয়।
কাবুল বিমানবন্দ‌রের মা‌র্কিন ঘাঁটি‌তে ১২ বাংলা‌দেশি ও ১৬০ আফগান ছাত্রী

কাবুল বিমানবন্দ‌রের মা‌র্কিন ঘাঁটি‌তে ১২ বাংলা‌দেশি ও ১৬০ আফগান ছাত্রী



আন্তর্জাতিকঃ আফগা‌নিস্তা‌নে আটকে পড়া ১২ বাংলা‌দে‌শি ও ১৬০ জন আফগান ছাত্রী কাবুল বিমানবন্দ‌রের মা‌র্কিন ঘাঁ‌টি‌তে পৌঁ‌ছে‌ছেন।  শিগ‌গিরই তারা ভাড়া করা বিমা‌নে বাংলা‌দে‌শে পৌঁছ‌বেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মো‌মেন শ‌নিবার রাত সা‌ড়ে নয়টায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

তা‌লেবা‌নের অনুম‌তি না পাওয়ায় চট্টগ্রা‌মে অব‌স্থিত এ‌শিয়ান ইউ‌নিভা‌র্সি‌টি ফর উই‌মে‌ন্সের আফগান ছাত্রীরা কাবুল এয়ার‌পো‌র্টের ভেতরে ঢুক‌তে পার‌ছি‌লেন না।  অভাবনীয় দু‌র্ভোগ ও উৎকণ্ঠায় বিমানবন্দ‌রের বাই‌রে সময় কা‌টি‌য়ে তারা এখন বাংলা‌দে‌শে রওনা হওয়ার অ‌পেক্ষায় আছেন।  অ‌নিশ্চয়তার ম‌ধ্যে বারবার চেষ্টা ক‌রে ব্যর্থ হ‌চ্ছেন।


দেড় বছর আগে কো‌ভিড-১৯ মহামা‌রির কার‌ণে বিশ্ব‌বিদ্যালয় বন্ধ হ‌লে ১৬০ জন আফগান ছাত্রী নিজ দে‌শে যান। এখন বাংলা‌দে‌শে বিশ্ব‌বিদ্যালয়‌টি খোলার প্রস্তু‌তি শুরু হওয়ায় তারা চট্টগ্রা‌মে ফির‌তে গি‌য়ে বিপা‌কে প‌ড়ে‌ছেন। 

এ‌দি‌কে আফগা‌নিস্তা‌নে আটকে পড়া বাংলা‌দেশিদের জন্য তাদের প‌রিবা‌রে বেশ উ‌দ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দি‌য়ে‌ছে। 

আফগা‌নিস্তা‌নের সর্ববৃহৎ টে‌লিকম কোম্পা‌নি আফগান ওয়্যার‌লে‌সে কাজ কর‌তেন বাংলা‌দেশি ই‌ঞ্জি‌নিয়ার রা‌জিব বিন ইসলাম।  তি‌নি শুক্রবার কাবুল থে‌কে টে‌লি‌ফো‌নে যুগান্তর‌কে ব‌লেছি‌লেন, কাবুল বিমানবন্দ‌রের ভেত‌রে ঢুক‌তে গতকাল (শুক্রবার) আমরা ৬/৭ বার চেষ্টা চা‌লি‌য়ে‌ছি।  কিন্তু সফল হই‌নি।  মা‌র্কিন বা‌হিনী ও তা‌লেবা‌নের উভ‌য়ের অনুম‌তি ছাড়া ‌কেউ সেইফ প্যা‌সেস পা‌চ্ছেন না। আমরা সেইফ প্যা‌সে‌সের অ‌পেক্ষায় আছি।

আফগা‌নিস্তান তা‌লেবা‌নের নিয়ন্ত্র‌ণে যাওয়ার পর বি‌ভিন্ন দেশ নিজ নিজ নাগ‌রিক‌দের ফি‌রি‌য়ে নি‌চ্ছেন। বি‌শেষ ক‌রে মা‌র্কিন সৈন্য, দূতাবাস ক‌র্মী, মা‌র্কিন বা‌হিনী‌তে কর্মরত অনুবাদকসহ অপরাপর ক‌র্মী ও তা‌দের প‌রিবারকে আফগা‌নিস্তা‌নের বাই‌রে নি‌য়ে আসার জন্য কাবুল বিমানবন্দ‌রে নিরাপত্তা দি‌তে ৬ হাজার মা‌র্কিন সৈন্য, ১ হাজার ব্রি‌টিশ সৈন্য এবং ন্যা‌টো সৈন্যরা মোতা‌য়েন আছেন।


আফগান ছাত্রী‌দের বাংলা‌দে‌শে আনার জন্য জা‌তিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচ‌সিআর এক‌টি সুপ‌রিসর এয়ারক্রাফট ভাড়া ক‌রে‌ছে।  মা‌র্কিন বা‌হিনী ও তা‌লেবা‌নের অনুম‌তি পে‌লে তা‌দের‌কে নি‌য়ে বিমান‌টি বাংলা‌দে‌শে আসবে।  বিমান‌টি‌তে কিছু আসন খা‌লি থাকায় আফগা‌নিস্তা‌নের এক‌টি টে‌লিকম কোম্পা‌নি‌তে কর্মরত বাংলা‌দেশি ই‌ঞ্জি‌নিয়ার ও ব্র্যা‌কে কর্মরত বাংলা‌দেশি যারা এখন আটকে প‌ড়ে‌ছেন, তারাও দে‌শে ফির‌বেন।

‌রা‌জিব জানান, মা‌র্কিন বা‌হিনী ও আফগান কর্তৃপক্ষ যৌথভা‌বে ‌আফগান ওয়্যার‌লেস কোম্পা‌নি‌টি চালু ক‌রে‌ছে। 

জানতে চাই‌লে রা‌জিব ব‌লেন, কাবু‌লের প‌রি‌স্থি‌তি অ‌নেকটা স্বাভা‌বিক।  গা‌ড়ি চল‌ছে।  দোকানপাট খু‌লে‌ছে।  রাস্তায় তা‌লেবা‌নের টহল আছে। ভয়ভী‌তি ধী‌রে ধী‌রে কে‌টে যা‌চ্ছে।তিনি আরও ব‌লেন, সেইফ প্যা‌সেস পাওয়া এখন বড় চ্যা‌লেঞ্জ।

গোলাপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু: সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

গোলাপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু: সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: “বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গোলাপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ শুরু হয়েছে। শনিবার মৎস্য সপ্তাহের প্রথম দিনে দিন ব্যাপী মাইকিং, ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণা ও সকাল ১০টায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উপজেলা কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মোঃ হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপ সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী,  গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আব্দুল জলিল, সাংবাদিক সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপন, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যান সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উদ্দিন, আরডিআরএস'র  উপজেলা সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান, জাকির হোসেন। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহামিনুল ইসলাম, উপ সহকারী মৎস্য কর্মকর্তাস্বপন কুমার ধর,  সাংবাদিক হারিছ আলী, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল আজিজ, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যান সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সাকিল, আরডিআরএস'র গভানেন্স কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অফিসার মোঃ সেলিম রেজা, মৎস্যজীবি আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কামিল আহমদ, ফাহিম আহমদ, অলিউর রহমান তামিম, তামিম আহমদ।

সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মোঃ হাসিবুল হাসান জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি মৎস্য সপ্তাহ বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় মৎস্য সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
বিয়ানীবাজারে বসতঘর থেকে সিএনজি চুরি: উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা

বিয়ানীবাজারে বসতঘর থেকে সিএনজি চুরি: উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিয়ানীবাজার  উপজেলার  পাতন গ্রামের মোহাম্মদ ময়নুল ইসলামের বসত বাড়ি হতে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চুরের দল আজ (শনিবার) রাতের কোন এক সময় তার বসতঘরের বারান্দায় রাখা অটোরিক্সাটি চুরি করে নিয়ে যায়। 


এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ময়নুল ইসলাম।

এছাড়াও অটোরিক্সাটি উদ্ধারের জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। কেউ অটোরিক্সাটির সন্ধান পেলে নিন্মে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন মইনুল ইসলাম। 


তাবাসসুম & তানজিম নামের অটোরিক্সাটির নাম্বার প্লেট মৌলভীবাজার ১২-২৪৬৮।

যোগাযোগ: 01782-361989/ 01778-900275