Sunday, 6 June 2021

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী নিহত হয়েছেন। শনিবার (০৫ জুন) সৌদি সময় দিনগত রাত ২টায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঐ প্রবাসীর মৃত্যু হয়। নিহত ওই প্রবাসীর নাম সাইফুল ইসলাম রিপন (২৯)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড় ভাই শাহজাহান ইসলাম শিপন। 

নিহত রিপন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের আতাউদ্দিন মাঝির বাড়ির আবু নাছেরের ছেলে।

নিহতের বড় ভাই আরও জানান, তার ছোট ভাই ৫ বছর আগে সৌদি আরবে যান। সে সেখানে নিজের গাড়িতে করে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করত। শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে দোকানের মালামাল ডেলিভারি দিয়ে আল নেওয়াজ থেকে দামাম আসার পথে আল নেওয়াজ সড়কে তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ব্রিজের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। 

গ্রাম থেকে শহর সারাদেশে মিলবে একদামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

গ্রাম থেকে শহর সারাদেশে মিলবে একদামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট


এবার গ্রাম থেকে শহর- সারাদেশে মিলবে একদামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। রাজধানী ঢাকা হোক, আর দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সিলেট হোক, অথবা কোনো ইউনিয়ন হোক- ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একই দামে সংযোগ দিতে হবে সারা দেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নির্ধারণ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নির্ধারিত দামের কম নেওয়া যাবে, বেশি নয়।

বিটিআরসি এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে ‘এক দেশ, এক রেট’। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সূত্রে জানা গেছে, ‘এক দেশ, এক রেটের’ আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ থাকবে। এই প্যাকেজগুলোর দাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বিটিআরসি।

সূত্র জানিয়েছে, প্রথম প্যাকেজের মূল্য হতে পারে মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি হবে ৫ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য হতে পারে মাসিক ৮০০ টাকার মধ্যে, এর গতি হবে ১০ এমবিপিএস এবং তৃতীয় প্যাকেজের গতি হতে পারে ২০ এমবিপিএস, দাম হবে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে।

ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছেন, এই দাম কার্যকর হলে ঢাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম প্যাকেজ প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমবে। তবে বেশি সুফল পাবেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যান্ডউইডথ সঞ্চালনের ব্যয় কম বলে ইন্টারনেট সেবার দাম কম রাখতে পারে সেবাদানকারীরা। ব্যান্ডউইডথ ইউনিয়ন পর্যন্ত নিতে ব্যয় অনেক বেশি। এ কারণে সেখানে দামও বেশি রাখা হয়।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের গ্রাম এলাকায় ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন তরুণ উদ্যোক্তা বেলাল সরকার। তিনি এখন ২৫ এমবিপিএস গতির একটি সংযোগ ব্যবহার করেন মাসে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে। আরেকটি বিকল্প সংযোগের পেছনে তাঁর মাসিক ব্যয় এক হাজার টাকা, যেখানে দুই এমবিপিএসের বেশি গতি পাওয়া যায় না বলে জানান তিনি।

বেলাল সরকার বলেন, যদি ১ হাজার ২০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস গতি পাওয়া যায়, সেটা হবে খুব ভালো খবর। এতে ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করা উদ্যোক্তাদের ব্যয় কমবে। সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, গতির কথা যেটা বলা থাকে, সেটা পাওয়া যায় না। আবার প্রতিশ্রুত গতি দেওয়া হয় ‘ক্যাশ’ সার্ভার থেকে। কিন্তু আউটসোর্সিংয়ে সব ধরনের সার্ভারে একই গতি দরকার।

বিটিআরসির হিসাবে, দেশে গত মার্চ শেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ। করোনাকালে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এক বছর আগেও সংযোগ সংখ্যা ১৮ লাখ কম ছিল। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দাবি, একটি সংযোগের বিপরীতে অন্তত চারজন ব্যবহারকারী রয়েছেন। ওদিকে মোবাইল অপারেটরদের তারহীন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার ইন্টারনেটে প্রবেশ করলেই তাঁকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ধরা হয়।

করোনাকালে দেশে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই বেড়েছে। পড়াশোনা, ঘরে বসে অফিসের কাজ করা এবং বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট নির্ভরতা তৈরি হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শহরে মানুষ একরকম দামে ইন্টারনেট পাবে, হাওরে-পাহাড়ে আরেক দামে পাবে, এটা হতে পারে না। তিনি বলেন, ইন্টারনেট হলো ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক। গ্রামের মানুষকে সেই মহাসড়কে যুক্ত করতে ইউনিয়নগুলোকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হচ্ছে এবং ইন্টারনেটের ‘এক দেশ, এক রেট’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) প্রায় ১ হাজার ১০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক কেব্‌ল সংযোগ স্থাপন করেছে। অন্যদিকে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের অর্থে ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক কেব্‌ল সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। দেশে ইউনিয়নের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৮৮। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের মধ্যে সব ইউনিয়ন ফাইবার অপটিক কেবলের আওতায় আসবে।

ইন্টারনেটের তুলনামূলক দামের হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপনকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট কেব্‌লডটইউকে-তে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দামের দিক দিয়ে বিশ্বে ৫৮তম। মানে হলো, ৫৭টি দেশে দাম বাংলাদেশের চেয়েও কম। এ দেশে মাসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের গড় দাম ৩১ ডলারের কিছু বেশি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৬০০ টাকা। ভারতে একই দর ১৪ ডলারের নিচে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, ব্যান্ডউইডথ সঞ্চালনের ব্যয় কমাতে পারলে তৃণমূলে কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব। যদি দেখা যায়, সঞ্চালন ব্যয় বেশি পড়ছে, তাহলে কারও পক্ষে কম দামে দেওয়া সম্ভব হবে না। নতুন দাম বেঁধে দেওয়ার পর মান ঠিক থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতি গ্রাহক বুঝে নেবেন। কেউ নির্ধারিত দামের বাড়তি বিক্রি করতে পারবে না।

বিয়ানীবাজার উপজেলা আ.লীগের কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

বিয়ানীবাজার উপজেলা আ.লীগের কমিটিতে স্থান পেলেন যারা


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় এ কমিটি অনুমোদন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামীলীগের এ কমিটিতে  বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খানকে সভাপতি ও  দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ কলা মিয়া, সহ-সভাপতি আহমদ হোসেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হেলাল চৌধুরী, আলহাজ নাজিম উদ্দিন, আলহাজ শামছ উদ্দিন খান, হাজী মোশতাক আহমদ, সালেহ আহমদ বাবুল, অধ্যাপক আব্দুল খালিক ও আশরাফুল ইসলাম।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ দিপু, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুর ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব।

সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ও মাসুদ হোসেন খান।

আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন , তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান , ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন, দফতর সম্পাদক বেলাল আহমদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মোছাব্বির মাস্টার , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুবের আহমদ , বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ময়নুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডা. তাহমিনা খাতুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির, শ্রম সম্পাদক আবুল হোসেন খসর , সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর হোসেন রুনু।

সহ-দফতর সম্পাদক জহিরুল হক রাজু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমান উদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ গৌছ উদ্দিন খান খোকা।

কমিটির সদস্যরা হলেন- ময়নুল ইসলাম (সাবেক সহ সভাপতি), শামসুজ্জামান শাহজাহান, ময়নুল ইসলাম (সাবেক কোষাধ্যক্ষ), চারখাই ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী, দুবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিন, আক্তারুজ্জামান আজব আলী, আমির উদ্দিন আলীওর, মোহাম্মদ হোসেন খসরু, সুরমান আলী, কনক কান্তি কর, নোমান আহমদ (শ্রীধরা), কামরুল হক (ঘূঙ্গাদিয়া), সাগর দাশ চৌধুরী, আরবাব হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন, বেলাল আহমদ তিলপাড়া, জয়নুল ইসলাম রফিক (ফেনগ্রাম), আব্দুল কাদির (লাল বাউরভাগ), কামাল হোসেন (কাকরদিয়া), হোসেন আহমদ এনু, সালেহ আহমদ (আলীনগর), রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রনি (চারখাই), আফজাল হোসেন পলাশ, লুৎফুর রহমান ফয়ছল, শাহিদুর রহমান জায়দুল, আব্দুল মান্নান মিন্টু, আছার উদ্দিন, ফয়সল আহমদ (চারাবই), সাদেক আহমদ আজাদ, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, পাভেল মাহমুদ, ইকবাল হোসেন তারেক, কাওছার আহমদ (ঘুঙ্গাদিয়া) ও সাইদুল ইসলাম (শালেস্বর)।


Saturday, 5 June 2021

গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের কমিটিতে স্থান পেলেন যারা


প্রতীক্ষার অবসান কাটিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন লাভ করেছে। শনিবার (৫ জুন) দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির খানের পরিচালনায় সভায় কমিটির জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের এ কমিটিতে এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীকে সভাপতি এবং রফিক আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।


পুর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকাঃ

সভাপতি- এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী, সহসভাপতি লুৎফুর রহমান, মুবিন আহমদ জায়গীরদার, রফিক আহমদ মাখন (ভাদেশ্বর), মস্তাব আহমদ চেয়ারম্যান, রুকন উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, আবুল ফজল চৌধুরী সাহেদ, মাহমুদ আহমদ চৌধুরী ও জহির উদ্দিন।


সাধারণ সম্পাদক- রফিক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু, দেলওয়ার হোসেন চুন্নু, আকবর আলী ফখর, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নিমার আলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন (ভাদেশ্বর), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ফরহাদ আহমদ (ঢাকাদক্ষিণ), ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন (ঢাকাদক্ষিণ), দপ্তর সম্পাদক নাজিমুল হক লস্কর (আমুড়া), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল লেইস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলিম উদ্দিন বাবলু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবলু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম এ মুমিত হীরা চেয়ারম্যান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আঙ্গুরা বেগম (ঢাকাদক্ষিণ), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক তোতা মিয়া (কমান্ডার), যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হানিফ খান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কাজল কান্তি দাস, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মান্নান কয়েস (চৌঘরি), সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজ।

সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশেদ আলম চৌধুরী রিপন (ভাদেশ্বর), সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু ও খায়রুল হক (ঢাকাদক্ষিণ)। সহ-দপ্তর সম্পাদক হোসেন আহমদ (ঢাকাদক্ষিণ), সহ-প্রচার সম্পাদক মনসুর চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ শরিফ উদ্দিন আহমদ (বাঘা)।

সদস্যরা হলেন- ময়নুল হক (ভাদেশ্বর),আতাউর রহমান (বাদেপাশা), কামাল পারভেজ (ঢাকাদক্ষিণ),মখলিছুর রহমান (ফুলবাড়ি),অজিউর রহমান ছানা, এনামুল হক রুহেল, আর্জুমন্দ আলী,মাহতাব উদ্দিন জেবুল (লক্ষ্মীপাশা), নুরুল ইসলা, তমিজ উদ্দিন,সেলিম উদ্দিন (ভাদেশ্বর), আব্দুস সামাদ (বাঘা),মহসিন মজনু (ভাদেশ্বর), হেলাল আহমদ (ফাজিলপুর), ফয়ছল আহমদ চৌধুরী (ঢাকাদক্ষিণ), আবদুল মালিক জানু, খায়রুল ইসলাম জাহাঙ্গির, এম জেড আলম, আবদুল হান্নান (ভাদেশ্বর), জাফরান জামিল (বাঘা),  জয়নাল আবেদীন (ভাদেশ্বর হাওরতলা), আবুল কাশেম সেবুল, আব্দুস সামাদ(ঢাকাদক্ষিণ), ফরিদ উদ্দিন ইরান (পৌরসভা), এম এ ওদুদ এমরুল, সেলিম উদ্দিন (বুধবারিবাজার), কামাল উদ্দিন,  সৈয়দ এহতেশামুল হক (ভাদেশ্বর),  রুহেল আহমদ রিপন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী (শরীফগঞ্জ), আজমল হোসেন (ফুলবাড়ি), অরুন কুমার দে (ফুলবাড়ি), ক্বারি তোফায়েল জিলু,  শফি আহমদ চৌধুরী, তারেক আহমদ।

মায়ের প্রতি ভালোবাসার অনন্য নজির, কবর খুঁড়ে অন্যত্রে নিলেন সন্তান

মায়ের প্রতি ভালোবাসার অনন্য নজির, কবর খুঁড়ে অন্যত্রে নিলেন সন্তান

মায়ের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন মঠবাড়িয়ার কৃষক মজিদ ফরাজী। মায়ের কবর খুড়ে অন্যত্র পুনঃস্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ৬২ বছর বয়সের এ কৃষক।

কৃষক মজিদ ফরাজী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালে তার মা ইন্তেকাল করলে তাদের বাড়ি সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ সমাহিত করা হয়।

কিন্তু গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক দক্ষিণ তেতুলবাড়িয়া এলাকার মিরুখালী-সাফা খালের পারে বাঁধ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করেন। এতে মজিদ ফরাজীর মায়ের কবর বাঁধের নিচে চাপা পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে প্রতীয়মান হয়।

এখবর জানার পর মজিদ ফরাজী মানসিকভাবে অস্থির হয়ে উঠেন। মজিদ ফরাজী জানান, মায়ের কবর রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন সন্তোষজনক উত্তর পাইনি।

পরে এলাকাবাসী কবরের হাড্ডিগুলো স্থানান্তরিত করে পুনরায় কবরস্থ করার জন্য বলেন। কিন্তু এতে মায়ের প্রতি অমর্যাদা হবে এবং মায়ের আত্মা কষ্ট পাবে বলে আমি ওই প্রস্তাবে সাড়া দেইনি।

এক পর্যায়ে তিনি সমূলে মায়ের কবর তুলে অন্যত্র কবরস্থ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে গত রমজান মাসে কোদাল ও খোন্তা নিয়ে কবরের চারপাশে খুড়ে পুরো কবরটিকে তিনি মূল মাটি থেকে আলাদা করেন। এরপর কবরের নিচে এক হাত খোড়ার পর একটা করে গাছের গুড়ি স্থাপন করেন। এভাবে ৬টি গাছের গুড়ির উপর কবরটি তুলে ফেলেন। আর এ অসাধ্য কাজটি করতে তিনি সময় নিয়েছেন মাত্র ২০ দিনের মতো। তাও আবার রমজান মাসে রোজা রেখে। একজন ৬২ বছরের বৃদ্ধ মানুষ রোজা রেখে কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া শুধুমাত্র কোদাল ও খোস্তা নিয়ে এই দুঃসাধ্য কাজটি করে এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দেন।

পরর্তীতে তিন হাত চওড়া, পাঁচ হাত লম্বা ও তিন হাত পুরু এই মাটির কবর সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মোটা সুতা, সুপারি গাছ ও কাঠ দিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তা মূল কবর থেকে ১২/১৫ হাত দূরে স্থানান্তর করেন।

কৃষক মজিদ ফরাজীর মায়ের প্রতি এই অকৃত্রিম ভালোবাসার খবরটি তার অজান্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। গত দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষক মজিদ ফরাজীকে স্যালুট জানাচ্ছেন হাজারও মানুষ। স্থানীয়রা জানান, কৃষক মজিদ ফরাজি এলাকায় সহজ সরল ও ধার্মিক মানুষ হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত।

তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মঠবাড়িয়া বন্দরের ব্যবসায়ী তানভীর হাফিজ জানান, মজিদ ফরাজীর মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার খবর ফেসবুকে দিতে জানেন না কবর খোড়ার সময় সেলফি তুলতেও জানেন না কিংবা মা দিবসে মাকে উইশ করতেও জানেন না কিন্তু হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা ও শক্তি উজাড় করে মাকে যে ভালোবাসতেন এটাই তার প্রমান।

কৃষক মজিদ ফরাজী জানান, আল্লাহর রহমত ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তার মায়ের কবর অন্যত্র পুনঃস্থাপন করতে পেরে তিনি আত্মতৃপ্তি পেয়েছেন।

Friday, 4 June 2021

দামে কম মানে ভালো’- জেনে নিন কে এই কাকলী

দামে কম মানে ভালো’- জেনে নিন কে এই কাকলী

হঠাৎ করেই ভাইরাল একটি নাম- কাকলী। ‘দামে কম মানে ভালো’-একটি আসবাবপত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন থেকে নামটি ছড়িয়েছে। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছে কাকলী ফার্নিচার।

প্রায় ২০ বছর আগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার শ্রীপুর সড়কে ছোট্ট পরিসরে কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করেন মো. আবুল কাশেম। তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেন মেয়ে কাকলীর নামে। বর্তমানে ব্যবসা দেখাশোনা করছেন আবুল কাশেমের ছেলে সোহেল রানা।

এ প্রসঙ্গে রানা বলেন, ‘অল্প পুঁজি নিয়ে বাবা ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা ছোট-বড় যাই হোক, নামকরণ করা হয় সাধারণত প্রিয় বস্তু বা মানুষের নামে। আমার বাবাও আমাদের একমাত্র আদরের ছোট বোন কাকলীর নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেছিলেন।’

কথাপ্রসঙ্গে জানা যায়, কাকলীর বিয়ে হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে। তার ঘরে দুটি সন্তান। অপূর্ব (১২) ও আনমুল (৩)। বর্তমানে কাকলীর স্বামী আমান উল্লাহকে সঙ্গে নিয়েই ফার্নিচারের ব্যবসা পরিচালনা করছেন সোহেল রানা। গাজীপুর এবং ময়মনসিংহে কাকলী ফার্নিচারের ৩টি শাখা রয়েছে।

সোহেল রানা নিজেই প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করেন। বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, স্বামী স্ত্রীকে কাকলী ফার্নিচারের বিভিন্ন সুবিধার কথা বর্ণনা করছেন। অন্যদিকে, স্ত্রী ‘আর, আর’ প্রশ্ন করে একের পর এক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন। এ ছাড়া দুটি ছোট মেয়ে প্রায় রোবটের মতো ভঙ্গিতে সোফার উপর লাফাচ্ছে আর বলছে, ‘দামে কম, মানে ভালো কাকলী ফার্নিচার’।

বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর কলকাতায় প্রথমে ট্রল হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিক কাকলী ঘোষ দস্তিদার হন এর প্রথম শিকার। এরপর মিস্টার বিন, এমনকি জনপ্রিয় ধারাবাহিক সিআইডি এবং সৃজিত মুখার্জির বিভিন্ন সিনেমার দৃশ্য ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মিম। ভাইরাসের মতোই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেগুলো। অনেকেই এর নাম দেন কাকলী ভাইরাস!

ব্রিটিশ সরকারের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক তাসনিম জারা

ব্রিটিশ সরকারের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক তাসনিম জারা


বাংলাদেশি চিকিৎসক তাসনিম জারা’কে ‘ভ্যাক্সিন লুমিনারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তিনি ইংল্যান্ডে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে (এনএইচএস) কর্মরত।

জি-৭ গ্লোবাল ভ্যাক্সিন কনফিডেন্স সামিটে বুধবার এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জি-৭ প্রেসিডেন্সিতে ব্রিটিশ সরকার প্রথমবারের মতো এ ধরনের ইভেন্ট আহ্বান করে। এতে টিকার বিষয়ে আস্থা গড়ে তোলা এবং তা রক্ষায় সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্বজুড়ে যেসব বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন তাদেরকে একত্রিত করা হয়।

ডা. তাসনিম জারা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে একজন পোস্টগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী।

এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘যদিও আমাকে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, তবু আমি বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষদের বেশি সেবা দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আমাকে ভ্যাক্সিন লুমিনারি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে এই প্লাটফর্মে বিশ্বের অন্য অংশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।’

ওই সামিটে ব্রিটিশ সরকার এবং পিপলস পিকচারের অংশগ্রহণে সৃষ্ট একটি ফটো মোজাইক ‘দ্য লুমিনারিস’ শিরোনামে অবমুক্ত করা হয়।

ভিডিও এবং ছবি ব্যবহার করে সেখানে ‘ভ্যাক্সিন লুমিনারিস’কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ‘ভ্যাক্সিন লুমিনারিস’ হলেন সেসব ব্যক্তি যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে টিকার পক্ষে আস্থা তৈরিতে কাজ করেছেন।