Sunday, 4 July 2021

কঠোর লকডাউন বাড়তে পারে আরও ৭ দিন

কঠোর লকডাউন বাড়তে পারে আরও ৭ দিন


দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা এক দিনের রেকর্ড আরেক দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সারাদেশে চলমান সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (০৪ জুলাই) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে প্রথম থেকেই আমাদের বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শ ছিল যে, দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেওয়া যায় কিনা? কিন্তু সরকার কোনো এক টেকনিক্যাল কারণে একসপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দিয়েছে। আমরা এখনও মনে করছি, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আরও একসপ্তাহ কঠোর লকডাউন বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। মৃত্যুর সংখ্যা এখনো একশ’র বেশি। তাই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’

কতদিন বাড়তে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ৭ দিন বাড়তে পারে।’ শিগগিরই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনায় যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে, বিধিনিষেধ বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।’

এ বিষয়ে বুধবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা যায়।

এর আগে বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে গত ২৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, সাতদিনের পর এই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনায় রয়েছে।

গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। যা ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে তা শেষ হওয়ার কথা।

কঠোরভাবে চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রেখে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করছে সরকার। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

সবশেষ রোববার (৪ জুলাই) ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে রেকর্ড। একই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৮ হাজার ৬৬১ জনের শরীরে।

বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন দিলেন স্বামী

বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন দিলেন স্বামী



বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করেছেন পাষণ্ড এক স্বামী। এ ঘটনায় ওই স্ত্রীর হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  


রোববার (০৪ জুলাই) ভোররাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ পাষণ্ড স্বামী অভিযুক্ত শিপন আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে।

জানা যায়, স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন গৃহবধূ রহিমা বেগম (২০)। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। অভিযোগ উঠেছে, বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রহিমার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন তার স্বামী। এতে রহিমার হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রোল ঢেলে রহিমাকে তার স্বামী পুড়িয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযুক্ত শিপনকে গ্রেপ্তার করেছে। রহিমার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।’

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে রহিমা বেগমকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-মুখসহ শরীরের ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ 

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে একই ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে শিপন আহমদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রহিমার সঙ্গে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের ঝগড়া হতো। এতে স্বামী ও তার স্বজনরা রহিমাকে নির্যাতন করতো। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েকবার সমাধান করে দিলেও কোনো লাভ হয়নি। এরপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো।

এদিকে স্বামী ও তার স্বজনদের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাতমাস আগে এক সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি হরিপুর গ্রামে চলে আসেন রহিমা। সন্তানকে দেখার সুযোগে প্রায় শ্বশুর বাড়িতে আসতেন রহিমার স্বামী শিপন আহমদ। গতকাল শনিবার (০৩ জুলাই) শিপন সন্তানকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। রাতে সেখানে ঘুমান তিনি। কিন্তু ভোররাত পাঁচটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রহিমা বেগমের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন শিপন। ঘটনার পরই তিনি পালিয়ে যান। রহিমার চিৎকার শুনে স্বজনরা তাকে দ্রæত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিপনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার পশ্চিম হাতলিয়া এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহেদুল ইসলাম সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রহিমা বেগমকে তার স্বামী শিপন আহমদ পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছেন। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সিলেট একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রহিমার স্বামী শিপন ও তার পরিবারের লোকজন প্রায়ই রহিমাকে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি কয়েকবার বসে আমরা সমাধান করে দিয়েছি। এরপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাত মাস আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন রহিমান। তাদের পরিবারে এক সন্তান রয়েছে। এই সুযোগে রহিমার স্বামী শিপন তাকে দেখতে আসতো। ঘটনার রাতেও শিপন শ্বশুর বাড়িতে এসে থেকেছে। ভোরবেলা সে স্ত্রী রহিমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।’

শফি চৌধুরী তৃণমূল গণমানুষের কাছে সব সময়ই জনপ্রিয়

শফি চৌধুরী তৃণমূল গণমানুষের কাছে সব সময়ই জনপ্রিয়


আসন্ন সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক সফল সাংসদ আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী শুধু সিলেট নয় সারা বাংলাদেশে একজন সফল ব্যক্তিত্বের নাম। তিনি তাঁর কর্মময় জীবন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে এই জনপদের তৃণমূল গণমানুষের কাছে আজও অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই আগামী ২৮ জুলাই তারিখের উপনির্বাচনে তাঁর জীবনের শেষ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে মোটর গাড়ি (কার) মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

গত (৩ জুলাই) শনিবার দক্ষিণ সুরমার সিলাম চরমোহাম্মদপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গণসংযোগ শেষে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত  জনতার উদ্দ্যেশে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।

শফি চৌ. ও মোটর গাড়ি (কার) মার্কার সমর্থনে সিলাম চরমোহাম্মদপুর এলাকায় একটি আভ্যন্তরীণ সমন্বয় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে স্থানীয় আব্দুল করিমের সাহেবের বাড়িতে আয়োজিত গণসংযোগ পরবর্তী এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরীর প্রধান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সিলাম ইউনিয়ন সমন্বয়ক মাস্টার আবুল হোসেন, দলিল লেখক আজিজুর রহমান মনোয়ার।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ বদরুল ইসলাম ফুল মিয়া, ফারুক মিয়া, জমির মিয়া, জামাল মিয়া, আব্দুল হান্নান, মন্টর মিয়া,বাবুল মিয়া, গিয়াস মিয়া,ইউসুফ আলী, আব্দুল করিম, ফয়ছল আহমদ,সায়েব আহমদ,চাঁন মিয়া,আহমদ আলী, মাসুম আহমদ,গুলজার খান, সাহিয়া খান,জমসেদ মিয়া, আনহার আলী,আনছার আলী,তফুর মিয়া প্রমূখ।

সুরমা নদী থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

সুরমা নদী থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার


সুরমা নদী থেকে আব্দুল মালেক (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ জুলাই) সকালে সিলেটের বিশ্বনাথের লামাকাজী এলাকা থেকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে।

মৃত আব্দুল মালেক বিশ্বনাথ থানাধীন লামাকাজী রাজপুর গ্রামের জয়দুল্লার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে এলাকাবাসী নদীতে লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে লামাকাজী এলাকাস্থ সুরমা নদীতে নৌকার উপর আব্দুল মালেকসহ কয়েকজন জুয়া খেলছিলেন। এ সময় গ্রামের লোকজন গরু চোর সন্দেহে চিৎকার করলে গ্রামবাসী বেরিয়ে আসলে অন্যরা নদী সাতার কেটে পালিয়ে গেলেও মালেক পানি তলিয়ে মারা যায়।

এদিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো বলেও জানান ওসি।

গোলাপগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আব্দুর রহমান'র মৃত্যুঃ জানাজা দুপুর ২টায়

গোলাপগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আব্দুর রহমান'র মৃত্যুঃ জানাজা দুপুর ২টায়



গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতাঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী ডা. আব্দুর রহমান আর নেই। তিনি শনিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড়স্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি....... ওইন্না ইলাহী রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ৮০ বৎসর হয়েছিল। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়স্বজন রেখে গিয়েছেন। 


মরহুমের নামাজের জানাজার নামাজ আজ রবিবার (৪ জুলাই) বেলা ২টায় ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।


রাজনৈতিক জীবনের তিনি দীর্ঘদিন ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পরে দীর্ঘদিন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। 


রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঢাকাদক্ষিণ বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ এবং ঢাকাদক্ষিণ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ পরিবার সহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

যেভাবে মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়লেন বিল গেটসের মেয়ে

যেভাবে মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়লেন বিল গেটসের মেয়ে

একদিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী বিল গেটসের বড় মেয়ে জেনিফার অন্যদিকে সাধারণ এক মুসলিম যুবক নায়েল নাসের, জেনিফার-নাসেরের প্রেমের গল্পটা ঠিক যেন রূপকথার মতো। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো তাদের প্রেমের শুরুটাও হয়েছিল ভীষণ সাধারণভাবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেনিফার গেটসের সঙ্গে পরিচয় হয় নায়েল নাসেরের। দুজনেরই ছিল ঘোড়দৌড়ের প্রতি ভীষণ আগ্রহ। এর এই আগ্রহের কারণেই দু’জনে আরও কাছাকাছি আসেন। একসঙ্গে বিভিন্ন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশও নেন। এভাবেই ধীরে ধীরে জেনিফারের মনে জায়গা করে নেন নাসের।

২০১৩ সালে স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন নাসের। ২০১৮ সালে জেনিফারকে হিউম্যান বায়োলজিতে সাহায্য করার জন্য ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুতে আংটি বদল করেছেন জেনিফার আর নাসের। খুব শিগগিরিই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে জন্ম হলেও নাসেরের শৈশব কেটেছে কুয়েতে। প্রায় ৬০ বছর পর ২০২০ সালের অলিম্পিকের (টোকিও) চূড়ান্ত পর্বে মিসরের জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে নাসেরের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। 

২০১৭ সালে প্রথমবার ইনস্টাগ্রামে জেনিফারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন নাসের। ফ্লোরিডাতে ভ্যালেন্টাইনস ডে উপযাপনের সেই ছবিতে একটি সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে দেখা গেছে তাদের।

শুধু ঘোড়দৌড়বিদই নন, নায়েল নাসেরের ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে একটি ব্যবসাও রয়েছে। বিয়ের পর সেখানেই সংসার শুরু করবেন জেনিফার-নাসের।

Saturday, 3 July 2021

দেশে বন্ধ হচ্ছে বিদেশি সিরিয়ালঃ তথ্যমন্ত্রী

দেশে বন্ধ হচ্ছে বিদেশি সিরিয়ালঃ তথ্যমন্ত্রী


এবার বাংলাদেশে বন্ধ হতে যাচ্ছে বিদেশি সিরিয়াল সম্প্রচার। এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান। 

বিদেশি সিরিয়াল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশি সিরিয়াল আমাদের দেশের মানুষজন দেখছেন। এটা সঠিক। এজন্য যেসব বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো একটি কমিটির মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর এ ধরনের সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন ওই কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে প্রদর্শন করতে হয়।

বাংলাদেশের টেলিভিশন পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয় কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরো ভারতবর্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর আপনি যদি, ত্রিপুরায় যান- দেখতে পারবেন সেখানের বাংলাদেশের সব চ্যানেলগুলো চলছে। আপনি যদি গুয়াহাটিতে যান সেখানে দেখতে পারবেন যে, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। কলকাতায়ও বেশ কয়েকটি চ্যানেল প্রদর্শিত হয়। এখানে দু’দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ভারত সরকারের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা উচ্চ ফি দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, আগের সিনেমা হলগুলোতে মানুষ যেতে চায় না। সিনেমা হলের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এই আধুনিকায়নের জন্য আমি সিনেমা হলের মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে বসেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন। আর সিনেমা হল যাতে বৃদ্ধি পায়, তিনি ১ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিলও গঠন করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, একথা সত্য যে, হল কমে গেছে। আকাশ সংস্কৃতির কারণে এবং আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবা, টেলিভিশন এবং একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ নানান কিছুর কারণে মানুষ আগের মতো এখন আর হলে যায় না। এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নয়, সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষাপট। বোম্বে শহর, যেটাকে চলচ্চিত্রের রাজধানী বলা হয়, গত ১০ বছরে অনেকগুলো হল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশেও কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে।