Monday, 5 July 2021

ফুলবাড়ীতে শিশু ছেলেকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেন মাদকাসক্ত বাবা

ফুলবাড়ীতে শিশু ছেলেকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেন মাদকাসক্ত বাবা



কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিজের ৫ বছর বয়সের ছেলেকে ধারালা ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে এক মাদকাসক্ত বাবা।

গত রবিবার বিকেলে ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের আশ্রয়ন মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় শিশু ও তার মা-ভাইয়ের চিৎকার প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেও আঘাত পেয়ে শিশুটির কান ফেট যায়।

এ সময় ধারালা ছুরি কেড়ে নিতে গিয়ে শামছুল হক নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে আমজাদ হোসন (৩৩) এর স্ত্রী রেহেনা বেগম (২৫) স্বামীর নিষেধ সত্বেও ৪/৫ দিন আগে দুই ছেলে রবিউল (৯) ও রেজাউলকে (৫) নিয়ে একই ইউনিয়নের আজায়াটারী গ্রামে বাবা জয়নাল আবদীনের বাড়ীতে যান।

বাবার বাড়ী থেকে রবিবার দুপুরে স্বামীর বাড়ীতে ফিরলে উত্তজিত হয় আমজাদ ধারালা ছুরি হাতে সবাইকে জবাই করার জন্য ধাওয়া করে। বড় ছেলে রবিঊল ও স্ত্রী রেহেনা পালিয়ে বাঁচলেও ছোট ছেলে রেজাউলকে ধরে এলাপাতারী চড়- থাপ্পর দেয়ার এক পর্যায় মাটিতে ফেলে জবাই করার জন্য চেষ্টা করে মাদকাসক্ত আমজাদ।

পরে রবিউল ও রেহনার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে শিশু রেজাউলকে রক্ষা কর আমজাদকে পার্শ্ববর্তী এক বাড়ীতে আটক রাখে।

কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমজাদ মাদকাসক্ত। সে প্রায় সময় মাদক সেবন করে স্ত্রী সন্তানদের মারধার করে। আজকের ঘটনার পর স্বামীর বাড়ীতে থাকলে আবারও হামলা হতে পারে এই ভয়ে বাচ্চাসহ রেহেনাকে তার বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজিব কুমার রায় জানান, এ ধরনের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১সপ্তাহ বেড়েছে কঠোর লকডাউনঃ যা আছে প্রজ্ঞাপনে

১সপ্তাহ বেড়েছে কঠোর লকডাউনঃ যা আছে প্রজ্ঞাপনে



করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো। 

করোনা নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে সারা দেশে। লকডাউনের চুতর্থ দিন রোববার চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আর আজ লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলো সরকারের পক্ষ থেকে। 

এর আগে কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা শেষ হবে ৭ জুলাই। নতুন করে ৭ দিন সময় বাড়ানো হলে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।

গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।

লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়া দপ্তর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে শিল্প-কারখানা খোলা থাকলেও জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে।

বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে বের হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত চারদিনে শুধু ঢাকায়ই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিলেটে এবার শুনতে ও কথা বলতে পারবেন জন্মবধিররা

সিলেটে এবার শুনতে ও কথা বলতে পারবেন জন্মবধিররা



সিলেটের মূক ও বধিরদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এবার থেকে শুনতে ও কথা বলতে পারবেন জন্মবধিররা।

হাসপাতালটির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে শুনতে পাবে জন্মবধিররা। অস্ত্রোপচার করে মেশিন বসানো আর বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে তারা শোনার পাশাপাশি বলতে পারবেন কথাও। আগামী মাস থেকে ওসমানী হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেটের কৃতিসন্তান জয়নুল বারী সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাবস্থায় তার বন্ধু এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ময়নুল হক জন্মবধিরদের শ্রবণ চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালে ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রজেক্ট’ চালুর অনুরোধ জানান। তার অনুরোধে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজেক্টটির জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

বর্তমানে প্রজেক্টটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার।

প্রজেক্টের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতোমধ্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের ল্যাবরেটরির কাজ শেষ হয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্টও পাওয়া গেছে। কেবলমাত্র অপারেশন থিয়েটারের কাজ চলমান আছে। সকল কাজ সম্পন্ন করে আগামী আগস্ট মাস থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কাজ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ঢাকার বাইরে দেশে এই প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ওসমানী হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন হাসপাতালটির নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মনিলাল আইচ লিটু ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা নাঈম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হাসনাত জোয়াদ্দারের তত্ত্বাবধানে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টে দক্ষতা অর্জন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ওসমানী হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ডা. নূরুল হুদা নাঈম জানান- যারা কানে কম শুনে বা শ্রবণ শক্তি কম- হেয়ারিং এইড দিয়ে তাদের শ্রবণশক্তি বাড়ানো যায়। কিন্তু যারা জন্মবধির, হেয়ারিং এইড তাদের কোন কাজে আসে না। এরকম জন্মবধির বা মূক ও বধিরদের শ্রবণ ফিরে পাওয়ার জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে কার্যকর উপায়। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর প্রচুর সাড়া মিলেছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে জন্মবধিরদের শ্রবণ শক্তি ফিরিয়ে দিয়ে ওসমানী হাসপাতাল মাইলফলক স্থাপন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ওসমানী হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু জানান, ঢাকার বাইরে দেশে প্রথম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্মবধিরদের কানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পর শ্রবণ শক্তি ফিরে পেতে তাদেরকে অডিও ভারভালসহ বিভিন্ন থেরাপি দেয়া হবে। এই প্রজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে ৪৮টি কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ক্রয় করা হয়েছে। ল্যাবরেটরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল অপারেশন থিয়েটারের কাজ সম্পন্ন হলে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শুরু করা যাবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’ প্রজেক্টের কার্যক্রম ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রজেক্টের আওতাধীন ৩০ জন চিকিৎসক ও নার্স নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালাও সম্পন্ন হয়েছে।

সাবেক স্ত্রী ফিরে এলেন সৎ মা হয়েঃ তুলকালাম কাণ্ড!

সাবেক স্ত্রী ফিরে এলেন সৎ মা হয়েঃ তুলকালাম কাণ্ড!

সাবেক স্ত্রী নিজের সৎ মা হয়ে ফিরে আসায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। নিজের সাবেক স্ত্রীকে সৎ মা হিসেবে পেয়ে তাজ্জব বনে গেছেন এ যুবক। দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ বাবার খোঁজে আইনের শরণাপন্ন হলে এই অবাক করা তথ্য সামনে আসে।

জি নিউজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ ঘটনার তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই যুবকের বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। বাবার খোঁজ পেতে স্থানীয় পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তথ্য অধিক আইনে আরটিআই দাখিল করেন তিনি। তদন্তে বেরিয়ে আসে এই ঘটনা।

২০১৬ সালে ওই যুবক যখন বিয়ে করেন তখন তিনি আর তার স্ত্রী, দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। ছয় মাস পরই তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ওই তরুণ বিষয়টি মিটমাট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই তরুণ মাদকাসক্ত দাবি করে মেয়েটি বিচ্ছেদ চান।

এদিকে নিজের বাবার সঙ্গে সাবেক স্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি জানার পর ওই তরুণ স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। দু’পক্ষকেই শনিবার থানায় তলব করা হয়।

সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই যুবক বাবা আর সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন। আমরা দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছি। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পুলিশ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে, সাবেক স্বামীর কাছে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মেয়েটি। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বেশ সুখেই আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঈদে বিনামূল্যে চাল পাবে এক কোটিরও বেশি দুস্থ পরিবার

ঈদে বিনামূল্যে চাল পাবে এক কোটিরও বেশি দুস্থ পরিবার



পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় এক কোটির বেশি অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি হারে চাল দেবে সরকার। 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৮টিসহ মোট এক কোটি ১৭ হাজার ৫৫১টি কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি হারে এক লাখ ১৭৬ দশমিক ৫১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন । 

বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদমশুমারি ২০১১ এর জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দুস্থ ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে।তবে সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের অগ্রাধিকার দিতে হবে ।

১২টি শর্ত দিয়ে এর চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ বলে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে।শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো সম্পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষু্দ্র ঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।

ইউনিয়ন/পৌরসভা ভিজিএফ কমিটির প্রকাশ্য সভায় এই তালিকা প্রণীত এবং প্রত্যায়িত হতে হবে। তালিকা এমনভাবে করতে হবে যেন একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। বরাদ্দ করা চাল শর্ত মেনে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়।

ছাতকে দফায় দফায় সংঘর্ষ : গুলিবর্ষণ, আহত ৩০

ছাতকে দফায় দফায় সংঘর্ষ : গুলিবর্ষণ, আহত ৩০



সুনামগঞ্জের ছাতকে দু'পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে রোববার (৪ জুলাই) উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১২জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৪ জুলাই) উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামে আজিজুর রহমান ও মাসুক মেম্বার এবং সাবাজ মেম্বার ও হাসনাতের পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, রোববার দুপুরে পূর্ববিরোধ ও গ্রাম্য আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আজিজুর রহমান ও মাসুক মেম্বার এবং সাবাজ মেম্বার ও হাসনাতের পক্ষদ্বয় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের উপর বন্দুক দিয়েও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে। দফায় দফায় প্রায় ঘন্টাখানেক সংঘর্ষে চলে।

খবর পেয়ে জাহিদপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ততক্ষণে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আবদুর রহিম (৬০), তালেব মিয়া (৫২), তুহেল মিয় (৩৮), তাহের আহমদ (২২), ইমন আহমদ (১৯), আবদুস সামাদ (২৬), নয়ন আহমদ (২৩), মিলন (২০), সায়মন (২৬), আবদুল্লা আল মামুন (১৭),আজিজ (৪০), জামাল (৩৫)কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সূত্রে জানা গেছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় ভাবে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপরে জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দাশের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। তবে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, বর্তমানে সেখানের পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। কোন পক্ষ এখনও লিখিত অভিযোগ দেয় নাই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ৪-৫ জন গুলিবিদ্ধ আছে।

Sunday, 4 July 2021

করোনায় মৃত হিন্দু ব্যক্তির লাশ ফেলে রাখেন স্বজনরা, শেষকৃত্য করলেন ৪ মুসলিম যুবক

করোনায় মৃত হিন্দু ব্যক্তির লাশ ফেলে রাখেন স্বজনরা, শেষকৃত্য করলেন ৪ মুসলিম যুবক



মহামারী করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হওয়া হিন্দু এক ব্যক্তির শেষকৃত্য করে মানবতার নজির গড়েছেন কুষ্টিয়ার ৪ মুসলিম যুবক।

রোববার (৪ জুলাই) মিরপুর পৌর মহা শ্মশানে তাকে সমাহিত করেন এ যুবকরা। তারা হলেন- মিরপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা রাজিব, সুমন খান, সলেমান, রুবেল।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় গত ৩ জুলাই হিন্দু ধর্মের প্রফুল্ল কর্মকার (৭০) কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জুলাই মারা যান তিনি। পরে স্বজনরা তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সুলতানপুর গ্রামের পৌর মহাশ্মশানে নিয়ে যান। কিন্তু শ্মশান কর্তৃপক্ষ মরদেহের শেষকৃত্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গেটের চাবি রেখে চলে যান।

পরে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় গাড়ি চালক মরদেহটি গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফেলে রেখে চলে যান। গভীর রাতে সবাই ফেরত গেলেও ফেরত যাননি একজন। তিনি মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির স্ত্রী।


শ্মশানের পাশে গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় স্বামীর লাশ সৎকার করতে একাই পার করেন সারারাত। মধ্যরাত থেকে সকাল অবধি অপেক্ষা করেও লাশ সৎকারে শ্মশান কমিটি বা নিজ আত্মীয়-স্বজনের সাহায্য না পেয়ে স্থানীয় ৪ মুসলিম যুবক তাকে মিরপুর পৌর মহা শ্মশানে সমাহিত করেন।