Tuesday, 6 July 2021

মাল্টার জেলে আটক ১৫৬ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ

মাল্টার জেলে আটক ১৫৬ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ


ইউরোপের দেশ মাল্টার জেলে আটক থাকা ১৫৬ বাংলাদেশির নামের তালিকা প্রকাশ করেছে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা)। আটক বাংলাদেশিদের দেশে রাখতে আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি। এর আগেও সংগঠনটির সহায়তায় ৪৪ বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, নাম প্রকাশের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় জেলে থাকা বাংলাদেশিদের মাল্টাতে কীভাবে রাখা যায়, এ নিয়ে মাল্টার বড় একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে আয়েবা।

ইতোমধ্যে অসহায় বাংলাদেশিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা হতাশা প্রকাশ করেন।

আয়েবার অন্যতম সহসভাপতি ফিরোজ আহমেদ ইতোমধ্যে সরেজমিন মাল্টা গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসে এ বিষয়ে কথা বলেন মাল্টার নেতৃস্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুরক্ষায় তাদের পাশে আগেও ছিল অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এ ব্যাপারে আয়েবার মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আইনি সহায়তায় অসহায় বাংলাদেশিদের এখানে রাখার জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন আয়েবা বরাবর অসহায় বাংলাদেশিদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

তিনি বলেন, এর আগেও আয়েবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অসহায় অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মাল্টার জেলে থাকা ১৫৬ বাংলাদেশির জন্য যতটুকু সহযোগিতা করার আয়েবা তা-ই করবে।

ইতোমধ্যে আমাদের সংগঠন মাল্টার একটি বড় আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনিব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত আটক বাংলাদেশিরা সেখানে থাকার জন্য মাল্টা সরকারের কাছে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ধরনের আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তারা বিভিন্ন দেশ হয়ে অবৈধ পথে মাল্টাতে আসেন।

২০১৭ সালে ইউরোপ ইউনিয়নের অবৈধদের ফেরত পাঠানোর চুক্তি অনুযায়ী যে কোনো সময় তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারে মাল্টা সরকার।





উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় ভোট দিনঃ শাহ মোঃ দিলওয়ার

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় ভোট দিনঃ শাহ মোঃ দিলওয়ার

সিলেট জেলা সিএনজি মালিক সমিতি ও মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি শাহ মোঃ দিলওয়ার বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। 

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। শুধু উন্নয়ন অগ্রগতিতে নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদেশের নাম বহিবিশ্বে সমাদৃত। কৃষি, যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ এদেশের প্রতিটি অঙ্গনে উন্নয়নের যে রূপরেখা পরিলক্ষিত হয়েছে, তা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই সিলেট-৩ আসনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তরুণ সমাজের অহংকার জননেতা হাবিবুর রহমান হাবিব’র বিকল্প নেই। তিনি নান্দনিক সিলেট-৩ আসন গড়তে ২৮ জুলাই’র উপনির্বাচনে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান।

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য-এর সভা অনুষ্ঠিত

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য-এর সভা অনুষ্ঠিত



আগামি ২৫ জুলাই সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে কার্যকরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৫ জুলাই) ইস্টলন্ডনের একটি হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সদস্যপদ নবায়ন-সহ নির্বাচনকে সফল করতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়। সভায় অনেক সদস্য নবায়ন ফি দিয়ে সদস্যপদ নবায়ন করেন। এখনও যারা সদস্যপদ নবায়ন করেননি তাদের সদস্যপদ নবায়ন করার জন্য আহবান করেন উপস্থিত সদস্যবৃন্দ। 

এছাড়া ২০১৯/২০২০ ও ২০২০/২০২১ ফাইন্যান্স রিপোর্ট সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। 

এসময় আলোচনায় অংশ নেন ফারুক আহমদ, ময়নুর রহমান বাবুল, আবুল কালাম আজাদ ছুটন, মুকিদ চৌধুরী,এ কে এম আব্দুল্লাহ,আনোয়ার শাহাজান,মস্তফা জামান নিপুন,হেনা বেগম, মোহাম্মদ ইকবাল,মোহাম্মদ শামীম, মুহাম্মদ মুহিদ প্রমুখ।

পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিল

পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিল



কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসরের ফাইনালে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে পেরুকে পরাজিত করে দলটি। ব্যবধান গড়ে দেওয়া একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা।

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের জয়ের নায়ক এই মিডফিল্ডার। শেষ আটে তার গোলেই ব্রাজিল পেরিয়েছিল চিলি বাধা।

আক্রমণাত্মক শুরু করা স্বাগতিকরা অষ্টম মিনিটে পায় প্রথম ভালো সুযোগ। ডি-বক্সে পাকুয়েতার চমৎকার পাস ধরে রিশার্লিসন খুঁজে নেন নেইমারকে। পিএসজি ফরোয়ার্ডের শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। 

পাঁচ মিনিট পর বুলেট গতির ফ্রি-কিকে চেষ্টা করেন কাসেমিরো। সোজা আসা বল ঠিক মতো গ্লাভসে জমাতে পারেননি গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সুযোগ নিতে পারেননি এভেরতন।

১৯তম মিনিটে আবার দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন কাসেমিরো। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। পরমুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডারের দারুণ ফ্লিকে বল ধরে পাকুয়েতা বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে; ওখানে নেইমারের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর রিশার্লিসনের ফিরতি শটও রুখে দেন গোলরক্ষক।

৩৫তম মিনিটে আর ব্রাজিলকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি পেরু। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান নেইমার। পায়ের কারিকুরিতে সঙ্গে লেগে থাকা তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে খুঁজে নেন অরক্ষিত পাকুয়েতাকে। বাকি অনায়াসে সারেন তিনি।

কোয়ার্টার-ফাইনালেও দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন অলিম্পিক লিওঁর এই মিডফিল্ডার।

পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে নেইমারের ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অরক্ষিত এভেরতন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে মনোযোগ দেয় পেরু। প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নেয় ব্রাজিল। ৫০তম মিনিটে সমতা ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পায় পেরু। কিন্তু এদেরসন ছিলেন পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে।

নিজেদের অর্ধ থেকে ইয়োশিমার ইয়োতুনের বাড়ানো বল ধরে ডি বক্স থেকে শট নেন জানলুকা লাপাদুলা। ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান এদেরসন। ফিরতি বল ক্লিয়ার করেন ব্রাজিলের এক খেলোয়াড়।

৬১তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে এদেরসনের পরীক্ষা নেন রাসিয়েল গার্সিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়ে এবারও জাল অক্ষত রাখেন ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক।

প্রতি আক্রমণ থেকে ভীতি ছড়াচ্ছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেভাবে পেরু গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারছিল না।

৮১তম মিনিটে সমতা ফেরানোর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করে পেরু। ইয়োতুনের ফ্রি কিকে সবার উঁচুতে লাফিয়ে হেড করেন আলেকসান্দার কায়েন্স। কিন্তু বল ছিল না লক্ষ্যে। বেঁচে যায় ব্রাজিল।

বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পেরু। জাল অক্ষত রেখে শিরোপা ধরে রাখার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ফাইনালে তারা খেলবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যে বিজয়ীর সঙ্গে।

ভূমধ্যসাগর থেকে ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার

ভূমধ্যসাগর থেকে ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভূমধ্যসাগর থেকে ২১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। এসময় আরও ৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা হয় বলে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন।

তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী সাফাক্সের উপকূলে রোববার ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকা ডুবে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র হৌসেম এদেইন জেবাবলি জানিয়েছেন।

এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আফ্রিকার সাব–সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দা। 

গত ২৬ জুনের পর থেকে সাফাক্সের উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী চারটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এসব নৌকাডুবির ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া ৭৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হৌসেম এদেইন জেবাবলি।

তিউনিসিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় গত শনিবার নৌকাডুবে অন্তত ৪৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৮৪ জনকে। ওই নৌকায় বাংলাদেশ, মিসর, চাদ, সুদান ও ইরিত্রিয়া থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছিলেন বলে তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

দেশে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ ফোনঃ রেজিস্ট্রেশনের নিয়মসহ জানুন বিস্তারিত

দেশে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ ফোনঃ রেজিস্ট্রেশনের নিয়মসহ জানুন বিস্তারিত


বাংলাদেশে অবৈধ ফোনগুলো (স্মার্টফোন/ বাটনযুক্ত ফিচার ফোন) বন্ধ করে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। এরজন্য সংস্থাটি নীতিমালাও তৈরি করেছে। জানুন-এর বিস্তারিতঃ

এখান থেকে যা জানা যাবেঃ

১। নীতিমালায় কি আছে?
২। নিবন্ধন করবেন কিভাবে?
৩। সেটটি নিবন্ধিত কিনা যাচাই করার সহজ পদ্ধতি।
৪। নিবন্ধন করতে কতদিন সময় পাবেন?
৫। সচল কিন্তু অব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন হবে কিনা?
৬। একই মোবাইলে একাধিক সিম ব্যবহার করা যাবে?
৭। একটি হ্যান্ডসেটে ভিন্ন ভিন্ন সিম ব্যবহার করা যাবে?
৮। ফোন বিক্রি বা কাউকে দিতে চাইলে/ সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনলে করণীয় কী?
৯। বিদেশ থেকে ফোন কিনে আনলে বা বিদেশ থেকে ফোন উপহার আসলে করণীয়?

১০। মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে?
১১। কর্পোরেট সেট ও সিমের ক্ষেত্রে কী হবে?

Monday, 5 July 2021

এই সময়ে জ্বর-সর্দি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়

এই সময়ে জ্বর-সর্দি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়


স্বাস্থ্য টিপসঃ সাধারণ সর্দি-জ্বর এক প্রকার ভাইরাসজনিত রোগ যা মূলত শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে হয়ে থাকে বা Upper respiratory tract কে আক্রান্ত করে। সাধারণত রিনো ভাইরাস নামক এক প্রকার ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে।

সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস  করোনাভাইরাসের মত।  মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে এটা একটু দুর্বল প্রকৃতির ভাইরাস। কারণ এটা upper respiratory tract কে আক্রান্ত করলেও lower respiratory tract তথা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না। তাই ক্ষতির পরিমাণ তেমন একটা নেই বললেই চলে।


উপসর্গ-

১। নাক দিয়ে পানি পড়া,

২। নাক বন্ধ হয়ে আসা,

৩।  হালকা গলা ব্যাথা,

৪। কাশি,

৫। গায়ে গায়ে জ্বর।

৬।  জ্বর মোটামুটি ৯৯ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট  পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে,

৭। মাথা ব্যাথা,

৮। হাঁচি আসা,

৯। শারীরিক দূর্বলতা, ইত্যাদি।


টাইফয়েডের সাথে এই জ্বরের পার্থক্যঃ

♦ টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত সর্দি-কাশি থাকে না।

♦ রিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে সর্দি কাশি দিয়েই শুরু হয়।

♦ টাইফয়েড সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি উচ্চতাপমাত্রা সহ হয়ে থাকে।  Rhinovirus তুলনামূলক কম তাপমাত্রা।  টাইফয়েডের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া হতে পারে। এখানে ডায়েরিয়া থাকবে না।  টাইফয়েডের ক্ষেত্রে শরীরে র‍্যাশ দেখা দিবে,এখানে র‍্যাশ দেখা দিবে না।


করোনার সঙ্গে রিনো ভাইরাসের পার্থক্য :

করোনা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে।  তবে রিনো ভাইরাস ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না।  কিংবা ফুসফুসে মারাত্মক জটিলতা করতে সক্ষম নয়।

সর্দি কাশি দিয়ে জ্বর শুরু হলে বুঝতে হবে ভাইরাল ফিভার এবং আতংকিত হবার কারণ নাই। করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিলে ভালো।


জটিলতা

সর্দি-জ্বর থেকে অনেক সময় সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে থাকে। টনসিলাইটিস,  মিডেল ইয়ার ইনফেকশন বা অটাইটিস মিডিয়া হতে পারে।কানে ব্যাথা করতে পারে।

নিউমোনিয়া হতে পারে, একিউট সাইনুসাইটিস হতে পারে।এজমা রোগীদের এজমা এটাক হতে পারে।


জ্বর হলে কি করবেনঃ

অধিকাংশ সময়েই এ ধরণের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর কমানোর জন্য তাই প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়।তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।


যদি আপনার শিশুর জ্বর হয়

বড়দের হয়তো জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই স্বস্তি মেলে। কিন্তু শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সেবন করানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ৫/৭ দিনের মধ্যে শিশুর কাশি বা জ্বর না কমলে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি আপনার শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই কোন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো।


জ্বর হলে স্পঞ্জিং

জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী। এ কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠাণ্ডা পানি আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক, তাই বড় কোন গামলা ভর্তি করে পানি নেয়া উচি। স্পঞ্জিং আলো-বাতাসযুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভালো কাজ দেয়।


বিশ্রাম ও খাবার

জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই পরিহার করতে হবে।


জ্বরের সময় সচেতনতা

জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে হলে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলোবাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে জ্বরের সময়।