Thursday, 8 July 2021

গোলাপগঞ্জে মসজিদের গ্রীলে ফাঁসঃ শিশুর লাশ উদ্ধার

গোলাপগঞ্জে মসজিদের গ্রীলে ফাঁসঃ শিশুর লাশ উদ্ধার


গোলাপগঞ্জে মসজিদের গ্রীলে ফাঁস দেয়া অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। বুধবার বিকালে উপজেলার বাঘা কালাকোনা হেউরাউলি মসজিদের ভেতর থেকে মোহাম্মদ আলী (৮) নামের ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের আটগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, কিছুদিন থেকে শিশু মোহাম্মদ আলীর ভাই কালাকোনা হেউরাউলি মসজিদের ইমাম রমিজ আলীর সাথে মসজিদে বসবাস করছে। সে কোরআন শিক্ষায় অমনযোগী থাকায় বুধবার বিকালে রমিজ আলী বকাঝকা করেন। এর কিছুক্ষন পরই মসজিদের বারান্দার গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান তিনি। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। 

এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

বিতর্কিত ও অসম্পূর্ণ প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশের প্রতিবাদে প্রজন্ম’৭১ যুক্তরাজ্য’র বিবৃতি

বিতর্কিত ও অসম্পূর্ণ প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশের প্রতিবাদে প্রজন্ম’৭১ যুক্তরাজ্য’র বিবৃতি


লন্ডন: মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্রিটেনে বাংলাদেশের পক্ষে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ সংগঠকদের বাদ দিয়ে সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিতর্কিত ও অসম্পূর্ণ প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশের প্রতিবাদ এবং সবার নিকট গ্রহণযোগ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধার একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশের দাবি জানিয়েছে প্রজন্ম’৭১ যুক্তরাজ্য। 

সংগঠনের আহবায়ক মো: বাবুল হোসেন ও সদস্যসচিব এ কে এম আব্দুল্লাহ এক বিববৃতিতে বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমন গঠনে এবং পাকিস্তানী সৈন্যদের গনহত্যা-নির্যাতনের বিপক্ষে বিশ্বে জনমত তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ব্রিটেনে পূর্ব বাংলার প্রবাসী বাঙালিরা।ব্রিটিশ এবং ভারতীয় মিডিয়ার মাধ্যমে ২৫শে মার্চের কালো রাতের নৃশংসতার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন, যে ক্ষোভ প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, তা দীর্ঘ নয় মাস ধরে সংগঠিত এক সফল আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল।মুক্তি সংগ্রামে প্রবাসীদের আবদান বাঙ্গালী জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে। 

মহান মু‌ক্তিযু‌দ্ধে বি‌লে‌তের এই প্রবাসী বাংলা‌দেশীরা নিজের জন্মভুমির জন্য তা‌দের পুরো বেতন তু‌লে দি‌য়ে‌ছি‌লেন মু‌ক্তিযু‌দ্ধ সহায়তার ফা‌ন্ডে।বার্মিংহাম, ম্যানচেষ্টার, ওল্ডহামসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থে‌কে প্রতিদিন বাসে ক‌রে ক্ষুদ্ধ প্রবাসীরা অংশ নিতেন লন্ড‌নের ট্রাফেলগার স্কোয়ারের বি‌ক্ষো‌ভসহ নানা কর্মসূচীতে।

যুক্তরাজ্যে প্রবাসী নারীরাও তখন অনন্য ভুমিকা রেখে ছিলেন।লন্ডনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে নারীরাও ব্যাপক মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজন করেছিলেন। সেন্ট জেমস পার্ক থেকে মিছিল করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে গিয়ে সেদিন বাংলাদেশে গণহত্যার অবসান এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি সংম্বলিত  পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড হাতে শাড়ি পরা নারীদের মিছিল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।যা আজও ইতিহাস হয়ে আছে। এমনকি পরণের স্বর্নালংকার,সংসার এবং সন্তা‌নের দু‌ধের পয়সা বাঁচিয়ে সেই টাকা মুক্তিযুদ্ধের ফান্ডে তু‌লে দি‌য়ে‌ছিলেন এখানকার শত শত গৃহবধূ।অথচ প্রকাশিত তালিকায় একজন সংগঠকেরও নাম উল্লেখ নেই। 

আমরা মনে করি যেহেতু বাংলা‌দে‌শের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অনেকদিন যুক্তরাজ্যে ছিলেন এবং  বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ট কন্যা শেখ রেহানা দীর্ঘদিন থেকে এদেশে বসবাস করছেন,তাঁদের নিশ্চয়ই জানা আছে যুক্তরাজ্য প্রবাসী কারা মু‌ক্তিযুদ্ধে কীভাবে সহযোগিতা করেছেন।মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্রিটেন প্রবাসীদের  কার কি অবদান রয়েছে। 

তাই তালিকাটি প্রনয়নে সরকার লন্ডনস্হ  বাংলাদেশ হাইকমিশন, মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকা রয়েছে এমন জীবিত ব্যক্তিবর্গ,  কমিউনিটির মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশিষ্ট  সবাইকে নিয়ে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য পুর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরীর জন্য জোর দাবী জানান। এছাড়া তালিকাভুক্তির জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ না করারও আহবান জানান তারা।

নাজিরবাজারে দীপ্ত সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের কমিটি গঠন

নাজিরবাজারে দীপ্ত সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের কমিটি গঠন

দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে দীপ্ত সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে  এলাকার যুব সমাজের উপস্থিতিতে গত ১৯  জুন সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় এবং আহবায়ক কমিটি তাদের মতামতের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই শেষে ২ বছর মেয়াদকালীন একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষণা করে।

দীপ্ত সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের ২ বছর মেয়াদকালীন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেনঃ

সভাপতি মোঃ জাকিরুল ইসলাম কামরান,
সহ-সভাপতি ডাক্তার ইমরান,
সহ-সভাপতি সুয়েব আহমদ,

সাধারণ সম্পাদক অজি আহমদ,
সহ-সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান,
সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উজ্জ্বল,

সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন দেব নাথ,
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদী্‌ন,

কোষাধক্ষ্ তোফায়েল আহমদ,
সহ-কোষাধক্ষ্য শাহ কামরান,

প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পাবেল আহমেদ,
সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুমিন,

দপ্তর সম্পাদক মিঠুন খাঁন, 

ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম টিপু,

শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জামিল আহমদ

সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান রুমন,

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ ফাহেদুর রহমান রাহেল।

সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বঃ বাবার লাশ দাফনে ৪ সন্তানের বাধা

সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বঃ বাবার লাশ দাফনে ৪ সন্তানের বাধা



বাড়ির উঠানে বাবার লাশ রেখেই সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছেন পাঁচ সন্তান। এমনকি সম্পত্তির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত লাশ দাফনেও বাধা দেন চার সন্তান। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মৃত্যু হলেও বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বাড়ির উঠানেই পড়ে থাকে লাশ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দফায় দফায় সালিশের মাধ্যমে দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর সন্তানরা লাশ দাফনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন। কিন্তু ততক্ষণে খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি থানায় নিয়ে যায়।

মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ চর পাঁচুরিয়ার অম্বলপুর গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম ইয়াছিন মোল্লা (৮৫)। তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। কিন্তু ইয়াসিন মোল্লা ইতোপূর্বে তার বসতবাড়ি ও মাঠের জমিজমাসহ মোট ৬০ শতাংশ জমি তার ছোট ছেলের নামে লিখে দেন।

স্থানীয়রা জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ইয়াছিন মোল্লার পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে বাবলু মোল্লা, ফুলবড়ু বেগম, রাবেয়া বেগম ও মমতাজ বেগমের সাথে ছোট ছেলে রহমান মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের কারণে রহমান বাড়িতেও টিকতে পারেননি। তিনি গোয়ালন্দ পৌর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

এ বিরোধের জেরেই মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন না করে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বৃদ্ধের সন্তানদের এমন কীর্তিতে হতবাক হয়ে গেছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো: হাফিজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হলেও স্থানীয়দের খবরে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে জিডি মূলে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠায়।

মৃত ইয়াছিন মোল্লার বড় ছেলে বাবলু মোল্লা, মেয়ে ফুলবড়ু বেগম, রাবেয়া বেগম ও মমতাজ বেগম অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাবা ছোট ভাই রহমান মোল্লার কাছে থাকেন। সেই সুযোগে সে বাবাকে ফুঁসলিয়ে তার সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়েছে।

এ নিয়ে রাজবাড়ীর আদালতে আমরা একটা মামলাও করি। সেই মামলায় গত ৫ জুলাই আদালত বাবাকে হাজির হতে নির্দেশ দিলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

অসুস্থতার খবরে আমরা বাবাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইলেও ছোট ভাই আমাদের কথা না শুনে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়। আমাদের ধারণা, ছোট ভাই রহমান ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাবাকে মেরে ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে মৃত ব্যক্তির ছোট ছেলে রহমান মোল্লা বলেন, গত শুক্রবার হঠাৎ করে বাবা অসুস্থ হলে তাকে গোয়ালন্দে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ডাক্তার দেখাই। এ সময় ডাক্তার কিছু টেস্ট ও ওষুধ লিখে দেন এবং বাবাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাতে বলেন। আমি সেই অনুযায়ী বাবাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলাম।

গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বাবা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। অসুস্থতাজনিত কারণে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমার ভাই-বোনেরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমার বাবা সুস্থ অবস্থায়-সজ্ঞানে আমার নামে বাড়ি ও জমি লিখে দিয়ে গেছেন।

এ প্রসঙ্গে দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো: হাফিজুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনা শোনার সাথে সাথেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। লকডাউনের পরে তাদের জমি-জমার বিষয়টির সমাধান করে দেব বলে আশ্বস্ত করি। পরে স্ট্যাম্পে পাঁচ ভাই-বোনের স্বাক্ষর নিয়ে মৃত ইয়াছিন মোল্লার দাফনের সিদ্ধান্ত নেই। এ সময় ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো: মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে জিডি মূলে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গোলাপগঞ্জে পিতা হত্যাকাণ্ডে ছেলে-সহ গ্রেফতার ২

গোলাপগঞ্জে পিতা হত্যাকাণ্ডে ছেলে-সহ গ্রেফতার ২


গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জে পিতাকে (তোতা মিয়া) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার ১ ছেলেসহ ২ জনকে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। 

আটককৃতরা হলো উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের পরগণা বাজার এলাকার নিহত তোতা মিয়ার ছোট ছেলে মামলার ১ নং আসামী তামিম আহমদ (২০) ও বাঘা পরগণা বাজার কান্দিগাও গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মামলার ৪ নং আসামী আলাল আহমদ (৩০)।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ চৌধুরী ২ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আটককৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের পরগণা বাজারে ছেলেদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন তোতা মিয়া। পরে শনিবার (৩জুলাই) রাতে নিহতের বোন তোতার মিয়ার ৩ ছেলেসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামী করে মামলা (৬/০৩.০৭.২০২১) দায়ের করেন।

Wednesday, 7 July 2021

সিলেট-সহ দেশের কয়েকটি জেলায় ভূমিকম্প

সিলেট-সহ দেশের কয়েকটি জেলায় ভূমিকম্প


সিলেটের কিছু অঞ্চল-সহ ঢাকা, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, হিলি, রাজশাহী, লালমনিহাট ও শেরপুরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৯টা ১৬ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় এতে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঢাকা, রংপুর ও সিলেটের কিছু অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামে। তবে ভূমিকম্পটির মাত্রা কত ছিল তা তিনি এই মুহুর্তে জানাতে পারেননি। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসও এর ওয়েবসাইটের তথ্যে জানা গেছে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ভারতের আসামের লখিপুরে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৫.৩।

টাইব্রেকারে জিতে স্বপ্নের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

টাইব্রেকারে জিতে স্বপ্নের ফাইনালে আর্জেন্টিনা


অবশেষে পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ভক্তদের চাওয়া। তাদের অনেক দিনের চাওয়া ছিল কোপা আমেরিকার স্বপ্নের এক ফাইনালে খেলবে দুটি দল। প্রথম সেমিফাইনাল জিতে সেই মঞ্চটা সাজিয়ে রেখেছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। বাকি ছিল শুধু আর্জেন্টিনার প্রত্যাশা পূরণের। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে জিতেই তারা নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণ!

কোপা আমেরিকার ২য় সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠলো মেসির দল। 

প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে কলম্বিয়া। 

ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ড্র থাকে দুই দল। ফলে ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে আর্জেন্টিনার নায়ক গোলরক্ষক মার্টিনেজ। কলম্বিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে দিলেন তিনি। সে সঙ্গে ৩-২ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছে গেলো আর্জেন্টাইনরা।

টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার ১ম শট নেন কুয়াদ্রাদো, গোল। আর্জেন্টিনার প্রথম শট নেন মেসি, গোল। কলম্বিয়ার দ্বিতীয় শট, সানচেজ, ফিরিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক মার্টিনেজ। গোল হলো না। আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় শট, রদ্রিগো। বারের ওপর দিয়ে মেরে দিলেন তিনি। গোল হলো না।

কলম্বিয়ার তৃতীয় শট নিলেন, ইয়েরি মিনা। আবারও ফিরিয়ে দিলেন মার্টিনেজ। গোল হলো না। আর্জেন্টিনা তৃতীয় শট পেরেডেস। গোল। কলম্বিয়ার চর্তুথ শটে গোল। আর্জেন্টিনা চতুর্থ শট লওতারো মার্টিনেজ, গোল হয়ে গেলো। কলম্বিয়ার শেষ শটটিও ঠেকিয়ে দিলেন মার্টিনেজ। ফাইনালে উঠে গেলো আর্জেন্টিনা।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ার মধ্যে খেলার ফল নিষ্পত্তি হলো না। ১-১ গোলে সমতা। যার ফলে ফাইনালের দল নির্ধারণে খেলা গড়াল টাইব্র্রেকারে। কোপা আমেরিকার নিয়ম অনুসারে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা হওয়ার নিয়ম নেই। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হলো সরাসরি টাইব্রেকার।

প্রথমার্ধে স্রেফ সৌভাগ্যের কারণেই পরপর দু’বার বেঁচে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দু’বারই বল সাইডবার কিংবা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এসে আর কলম্বিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ৬১ মিনিটেই গোল হজম করে বসে তারা।

অবিশ্বাস্য একটি গোল করলেন কলম্বিয়ার লুইজ দিয়াজ। এডউইন কারদোনার পাস থেকে বল ধরে গোল পোস্টের বাম পাশে নিয়ে আসেন তিনি। আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার পেজেল্লা সঙ্গে থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। গোলরক্ষক মার্টিনেজের ওপর দিয়ে আলতো টোকায় আর্জেন্টিনার জালে বল জড়িয়ে দেন দিয়াজ।

এর আগে প্রথমার্ধের শুরুতেই মেসির পাস থেকে গোল করে ফেললেন লওতারো মার্টিনেজ। এই ১-০ গোলেই প্রথমার্ধ শেষ করলো লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং।

মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে গোল পেয়ে গেলে প্রতিপক্ষের মনোবলে অনেক বড় চিড় ধরানো সম্ভব। ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সে কাজটাই সেরে নিলেন লিওনেল মেসিরা। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৭ম মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা।

কলম্বিয়ার ডিফেন্সিভ হাফ থেকে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান মেসি। দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি কাট ব্যাক পাস দেন এগিয়ে আসা লওতারো মার্টিনেজের উদ্দেশ্যে। বক্সের মাঝামাঝি বল পেয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শটে কলম্বিয়ার জাল কাঁপিয়ে দেন মার্টিনেজ। ১-০ গোলে এগিয়ে গেলো আর্জেন্টিনা।

তবে আর্জেন্টিনা গোল করে এগিয়ে গেলেও সৌভাগ্য তাদের বলতেই হবে। নিশ্চিতভাবেই দুর্ভাগ্য কলম্বিয়ার জন্য। ৩৬ ও ৩৮ মিনিটে পরপর দু’বার কলম্বিয়ার নেয়া শট এবং হেড সাইডবার এবং ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। একটু এদিক সেদিক হলেই বল প্রবেশ করতো আর্জেন্টিনার জালে।

প্রথমে উইলমার ব্যারিওসের একটি মাটি কামড়ানো শট একেবারে সাইডবার ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। আর্জেন্টিনার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লাগার কারণে কর্ণার কিক পেয়ে যায় কলম্বিয়া। ৩৮তম মিনিটে সেই কর্নার কিক নেন কুয়াদ্রাদো। তার শট থেকে ভেসে আসা বল লাফিয়ে উঠে হেড নেন ইয়েরি মিনা। কিন্তু এবারও সেই বলটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে পেনাল্টি শ্যুট-আউটে হারিয়ে করে চলতি কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় কলম্বিয়া। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনা শেষ আটে ৩-০ গোলে হারায় ইকুয়েডরকে। এবার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লড়াই করে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়া।