Wednesday, 11 August 2021

পুলিশকে রড দিয়ে পেটাল আসামির স্ত্রী

পুলিশকে রড দিয়ে পেটাল আসামির স্ত্রী



ডেস্কঃ
নওগাঁর মান্দায় আসামি ধরতে গিয়ে আসামির স্ত্রীর হামলার শিকার হয়েছেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্য। হামলা চালিয়ে আটককৃত মাদক কারবারি খলিলুর রহমানকে (৪৮) ছিনিয়ে গেছে তার লোকজন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। 

হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন (৩০) আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়বেলালদহ (নাপিতপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 


মাদক কারবারি খলিলুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আবদুল মণ্ডলের ছেলে। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদক কারবারি খলিলুর রহমানের স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫) ও প্রতিবেশী মৃত মসলেম উদ্দিন মোল্লার ছেলে লাদু মোল্লাকে (৫০) আটক করা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মহসীন আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক কারবারি খলিলুর রহমানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২০ গ্রাম হেরোইনসহ খলিলকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেন কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন। এ সময় খলিলুর রহমানের স্ত্রী পারুল বেগম লোহার একটি রড দিয়ে কনস্টেবল আনোয়ার হোসেনকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে খলিলুর রহমানের প্রতিবেশী লাদু মোল্লা একটি হাতুড়ি নিয়ে বাড়ির ভেতরে এসে কনস্টেবল আনোয়ার হোসেনকে মারপিট করে মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নেন। পরে আহত কনস্টেবলকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি এসএস পাইপ, একটি হাতুড়ি ও একটি লাঠি। 

মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কেএম শামসুদ্দিন জানান, হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক খলিলুর রহমানকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জলবায়ূর ভয়াবহ রূপ, জলের তলায় যাবে ভারতের ১২ শহর: নাসা

জলবায়ূর ভয়াবহ রূপ, জলের তলায় যাবে ভারতের ১২ শহর: নাসা



জলবায়ূ পরিবর্তন মারাত্মক পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে, এমনটা রিপোর্ট দিয়েছে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। আর নাসা তার বিশ্লেষণ করেছে। তারপর নাসা যে সিদ্ধান্তে এসেছে, তা ভারতের পক্ষে রীতিমতো চিন্তার কারণ। দেশের ১২টি উপকূলীয় শহর ও বন্দর এক থেকে তিন ফুট জলের তলায় চলে যাবে। এই শহরগুলির মধ্যে আছে বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই, দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রধান শহর চেন্নাই।  কেরাতাছাড়ালার কোচি, অন্ধ্রের বিশাখপত্তনম এবং পশ্চিমবঙ্গের খিদিরপুর এই তালিকায় আছে।

বিশ্বে পরিবেশ দূষণ, উষ্ণায়ন সহ বিভিন্ন কারণে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। এশিয়ায় জলস্তর বৃদ্ধির পরিমাণ অন্য জায়গার তুলনায় বেশি। আইপিসিসি-র মতে, আগে  একশ বছরে যে পরিবর্তন হতো, ২০৫০-এর মধ্যে প্রতি ছয় থেকে নয় বছরে তা হবে। এই শতাব্দী জুড়ে উপকূলে জলস্তর বাড়বে, ভাঙন দেখা দেবে, অনেক শহর জলের তলায় চলে যাবে। এককথায় পরিস্থিতি বড় সুখের নয়।

কী করে ঠেকানো যাবে এই ভয়ংকর ভবিষ্যৎকে? পুনর্বসু চৌধুরী পরিবেশবিজ্ঞানী। তিনি অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের মিশন থেকে সম্প্রতি ফিরেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টা সেখান থেকেই সব চেয়ে ভাল বোঝা যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড ১৮ ডিগ্রি। তখনো তিনি সেখানে ছিলেন।

ডয়চে ভেলেকে পুনর্বসু জানিয়েছেন, ''জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নানারকম আলোচনা হয়। প্যারিস কনভেনশন থেকে শুরু করে নানা জায়গায় বহু সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পরিবেশকে তখনই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, যখন ব্যক্তিপর্যায়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে। আমাদের বর্তমান জীবনযাত্রায় কার্বন নিঃসরণের হার কমানো অসম্ভব।'' তার মতে, ''গাড়ি, এসি সহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবহার বা অভ্যাস বদল না করলে শুধু জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না।''

পরিস্থিতি কতটা খারাপ তা বোঝাতে একটা উদাহরণ যথেষ্ট। শিল্পবিপ্লবের সময় কার্বন নিঃসরণের যে পরিমাণ ছিল, এখন তা দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে মানুষকে বাঁচতে গেলে, বিশ্বকে বাঁচাতে হলে প্রতিটি ব্যক্তিকে উদ্যোগী হতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন পুনর্বসু।

দীর্ঘদিন সরকারি পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন অমিতাভ রায়। পরিকল্পনা কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত এই কর্তার মতে, ''আমরা প্রায়ই শপথ নিই যে, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ফেলব, বাস্তবে তা হয় না। খাতায়-কলমে অনেক পরিকল্পনা নেয়া হয়, আমরা অনেক প্রতিজ্ঞা করি, অনেক চুক্তিতে সই করি, বাস্তবে তার প্রয়োগ করা হয় না বলেই আইপিসিসি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা সত্যি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।''

অমিতাভ জানিয়েছেন, ''এর আগে জাতিসংঘ সব দেশের জন্য মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বেঁধে দিয়েছিল। ২০০০ থেকে ২০১৫-র মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হতো। তাতে ১৫ দফা বিষয় ঠিক করা হয়ছিল। ২০১৫ সালে মূল্যায়নের সময় দেখা গেল, তার রূপায়ণ হয়নি।'' অমিতাভ বলেছেন, ''এরপর ২০১৫ থেকে ২০৩০-এর মধ্যে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ঠিক করলো জাতিসংঘ। সেটাও পূরণ হবে এমন আশা কম। তখন হয়তো আবার ১৫ বছরর জন্য অন্য নামে কোনো লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা হবে। জলবায়ু পরিবর্ত রোধ করার কাজটাও এভাবেই হচ্ছে।''

ফলে পরিস্থিতি খুব সুখের নয়। আইপিসিসি রিপোর্ট বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক স্তরেও নানা পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টি বেশি হবে, আবার কোথাও বৃষ্টি হবে না। খরা দেখা দেবে। কোথাও প্রচুর বরফ পড়তে পারে। ২০০৬-১৮ সালের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর নিয়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে প্রতি বছর জলস্তরের গড় বৃদ্ধি হয়েছে ৩.৭ মিলিমিটার। ফলে এখন থেকেই সতর্ক হয়ে পরিবর্তন রোধ করার চেষ্টা না করলে ভবিষ্যৎ ভয়ংকর হতে বাধ্য। কারণ, পরিবর্তন রোধ করার কাজ রাতারাতি হয় না। তাতে অনেক সময় লাগে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই অনেক দেরি হয়ে গেছে। অবিলম্বে ব্যক্তি থেকে সরকার প্রতিটি পর্যায়ে উদ্যোগ দরকার।
পিঠে অক্সিজেন, হাতে প্লাজমা, কাঁধে খাদ্য নিয়ে সিলেটে পুলিশ সদস্য সফি'র ছুটে চলা

পিঠে অক্সিজেন, হাতে প্লাজমা, কাঁধে খাদ্য নিয়ে সিলেটে পুলিশ সদস্য সফি'র ছুটে চলা



পিঠে অক্সিজেন, হাতে রক্ত-প্লাজমা, কাঁধে খাদ্য সামগ্রী, করোনাকালে মানবিক সেবায় এমনই চিত্রে দেখা গেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য সফি আহমেদকে। করোনা মহামারির ক্রান্তিকালে মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া সফি আহমদের প্রশংসা এখন গণমানুষের মুখে মুখে।



সিলেটে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ, বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদাও। এমন পরিস্থিতিতে অসহায়দের বিনামূল্যে অক্সিজেনসেবা দিয়ে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর পিঠে করে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।


সোমবার (০৯ আগস্ট) এক রোগীর স্বজনের জরুরি ফোন পেয়ে মোটরসাইকেলযোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে বেঁধে হাসপাতালের দিকে ছুটছেন সফি। মঙ্গলবার দিনভর এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে। মানবিকতার এমন নজির স্থাপন করায় সর্বমহলে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

শুধু অক্সিজেন সিলিন্ডারই নয়, করোনাকালে নিজের বেতনের টাকা দিয়ে অসহায় মানুষদের সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। কাঁধে করে অসহায় মানুষের দরজায় খাদ্য সামগ্রীও পৌঁছে দিতে দেখা গেছে তাকে। এমন মানবিক কাজে পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। মানবিক নানা কাজে অবদানের জন্য গত ১১ মার্চ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় নায়েক সফি আহমেদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন এসএমপি কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।



করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সিলেটে আগের সকল রেকর্ড ভেঙে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। খালি নেই আইসিইউ শয্যা। অক্সিজেনের চরম সংকট সিলেটজুড়ে। এমন অবস্থায় অসহায় মানুষের ফোন পেলেই ঘরে বসে থাকতে পারেন না তিনি। নিজের সামর্থ্যের বাইরে হলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে অসহায় রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে তার এ মানবিক কাজ।

করোনা আক্রান্ত রোগী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জটিল ও মরণব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের সহযোগিতা করে আসছেন সফি। দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। নিজের বেতনের টাকা দিয়ে অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। করোনার ভয় উপেক্ষা করে ছুটে চলেছেন অবিরত।


এব্যাপারে সফি আহমেদ বলেন, সোমবার ডিউটি শেষ করে জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে যাই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে। সেখানে অবস্থানকালে একজন রোগীর স্বজন অক্সিজেন সাপোর্ট চান। জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেনের দরকার থাকায় আমি তাৎক্ষণিক কাউকে না পেয়ে অন্য একটি মোটরসাইকেলযোগে কাঁধে সিলিন্ডার বেঁধে দ্রুত সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, রোগীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেই। অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার পর ওই রোগীর অবস্থা অনেকটা ভালো। আমি আজ (মঙ্গলবার) হাসপাতালে তাকে দেখে এসেছি।


সফি বলেন,  বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজে মানুষকে সহযোগতিা করেছি। কিন্তু করোনার এই সংকটকালীন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি অক্সিজেন সাপোর্টে। আমার ব্যক্তিগত ১১টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আরও আটটি সিলিন্ডার কোভিট-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া রোগীরা আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এই ১৯টি সিলিন্ডার দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফ্রি অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে আসছি। বিনিময়ে কারো কাছ থেকে একটি টাকাও নিচ্ছি না। কেউ জোর করে দিতে চাইলেও না করছি।

তিনি আরও বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা, রিফিল ও ক্যানোলাসহ মানবিক সহযোগিতায় বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কিনতে আমার বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, পরিচিতজন ও প্রবাসীরা সাহায্য করছেন। কিন্তু এগুলো আমি সঠিকভাবে মেইনটেইন করতে পারছি বলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।


এর আগে করোনা সংক্রমণের পর থেকে নিজের বেতনের টাকা থেকে অসহায় ও মধ্যবিত্ত সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে আলোচনায় আসেন পুলিশ সদস্য সফি। তার এই মানবিক কাজের জন্য পুলিশ বিভাগেও প্রশংসিত তিনি।
৫০ ফুট গভীর কুয়া থেকে যেভাবে নারীকে উদ্ধার করা হলো (ভিডিও)

৫০ ফুট গভীর কুয়া থেকে যেভাবে নারীকে উদ্ধার করা হলো (ভিডিও)

 

৫০ ফুট গভীর কুয়ার পড়ে যাওয়া এক নারীকে উদ্ধারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, দমকল বাহিনীর কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় জাল আর দড়ির সাহায্যে ওই নারীকে টেনে উপরে তুলছেন। তিনি জালের ভেতর বসে উপরে উঠে আসেন। 

উপরে ওঠার পর জাল থেকে নিচে নামার সময় তিনি দাঁড়াতে গিয়ে কাঁপছিলেন বলে ওই ভিডিওতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার জেরে তিনি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরে অবশ্য সেখানে উপস্থিত জনতা তাকে সাহায্য করেন। ভিডিওতে তাকে হাঁটতেও দেখা যায়।

গত মঙ্গলবার ভারতের কেরালায় ওই ঘটনা ঘটে। বুধবার ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই ওই ভিডিও প্রকাশ করলে তা ভাইরাল হয়। অনেকেই ওই নারীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য দমকল বাহিনীর কর্মীদের প্রশংসা করেছেন। তবে কিভাবে তিনি কুয়ায় পড়ে গেলেন সে ব্যাপারে ওই প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি।

এ ধরনের উদ্ধার অভিযান দক্ষ আর প্রশিক্ষিত ব্যক্তির তত্ত্বাবধায়নে না হলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতের মধ্য প্রদেশে কুয়ায় পড়ে যাওয়া এক শিশুকে উদ্ধার করতে গিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়।

গাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল ভয়ংকর কোবরা, তার দংশনেই মারা গেলেন চালকসহ ৫ যাত্রী

গাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল ভয়ংকর কোবরা, তার দংশনেই মারা গেলেন চালকসহ ৫ যাত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিনিবাসে কার্টুনে করে একটি অজগর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাসটির সহমালিকের পীড়াপীড়িতে ড্রাইভার গাড়িতে করে এই অজগর বহনে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তো জানতেন না এটাই তার কাল হবে!

মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মিশরে। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, কোবরার কামড়ে মিনিবাসে থাকা একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

মিশরের ইয়ুম সেভেন নামে এক সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, বাসের ড্রাইভার গাড়িটির সহমালিকের অনুরোধে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে মিশরের উত্তর কাফর ইল-শেখ শহরে কার্টুনে করে কোবরা নিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন।

তবে মিনিবাসে থাকা যাত্রীরা গাড়িতে কোবরা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল-এই তথ্য জানতেন কী না, সেটা জানা যায়নি।

ড্রাইভারসহ গাড়িটির সব যাত্রী অজগরটির কামড়ে মারা যান। নিহতরা হলেন- ত্বহা আব্দুল গাফ্ফার খলিফা, তার স্ত্রী সুন্দুস নসর ইসা, নসবি সাইদ শরসের এবং তার বড় খালা জয়নব নববার।

খবরে বলা হয়, গাড়ির পেছনে থাকা কার্টুন থেকে বের হয়ে অজগরটি যাত্রী সিটের নিচ দিয়ে পরপর পাঁচজন দংশন করে।

অজগরের কামড়ে চার যাত্রীসহ বাসটির ড্রাইভার যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন- গাড়িটি তখন একটি কংক্রিটের ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয়। এ সময় অজগরটি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা কোবরাটি দেখতে পান এবং মেরে ফেলেন। 
জোর করে আল-আকসায় ঢুকে পড়েছে ইহুদি চরমপন্থীরা

জোর করে আল-আকসায় ঢুকে পড়েছে ইহুদি চরমপন্থীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে জোর করে ঢুকে পড়েছে কয়েক ডজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে মসজিদের দায়িত্বে থাকে প্রতিষ্ঠান। খবর আল আরাবির।

ওই মসজিদটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে জর্ডানের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ। তারা জানিয়েছে, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থানটিতে ১১৬ জন ইসরায়েলি জোর করে ঢুকে পড়ে।

ওই বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েলি পুলিশের সুরক্ষা নিয়েই আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করেছে বলেও জানায় ওয়াকফ বিভাগ।

চরম ডানপন্থী ইসরায়েলিরা প্রায়ই আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। এজন্য তারা প্রায়ই মুঘরাবি গেট ব্যবহার করে। এই গেটটি পবিত্র এই স্থাপনার দক্ষিণপশ্চিম দিকে অবস্থিত।

২০০৩ সাল থেকেই এভাবে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আল-আকসা মসজিদে ঢুকে পড়ে চরমপন্থী ইসরায়েলিরা। ইসরায়েলি পুলিশের ‍সুরক্ষা নিয়েই তারা এমন কাজ করে। যদিও প্রায়ই এর প্রতিবাদ জানায় ওয়াকফ বিভাগ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পবিত্র এই মসজিদটি পূর্ব জেরুজালেমেই অবস্থিত।
নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার ১৯৮১ সালের বিয়ের এক টুকরো কেক

নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার ১৯৮১ সালের বিয়ের এক টুকরো কেক



প্রিন্সেস ডায়ানা, যার পুরো জীবনকে সিনেমা বললেও কম হবে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদের একজন তিনি। সেই প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের সময়কার এক টুকরো কেক নিলামে তোলা হচ্ছে। প্রায় ৪০ বছর আগে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিয়ের যে কেকগুলো কাটা হয়েছিল, তারই এক টুকরো বুধবার নিলামে উঠছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের।

প্রিন্স চার্লাস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ে হয়েছিল ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই। ওইদিন তাদের বিয়েতে ২৩টি কেক কাটা হয়েছিল। সেই কাটা কেকগুলোর এক টুকরো নিজের কাছে সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন রাণীর কর্মচারী মোয়রা স্মিথ। আর সেই কেকের টুকরোটিই এখন নিলামে উঠছে।


ওই কেকের টুকরোর পাশে একটি লেবেলে লেখা রয়েছে, হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার, প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানাজ ওয়েডিং কেক। ব্রিটিশ নিলাম সংস্থা ডমিনিক উইন্টার এই কেকের টুকরো নিলামে তুলছে। এই কেকের টুকরো ৩০০ থেকে ৫০০ পাউন্ডে বিক্রি হবে বলে আশা করছে তারা।

জানা গেছে, যেভাবে কাটা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই আছে কেকের টুকরোটি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত কেকের টুকরোটি যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন স্মিথ। পরে এক ব্যক্তি সেটি তার থেকে চেয়ে নিজের বাড়িতে রাখেন। পরে ডমিনিক উইন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাদের।

এদিকে কেকের টুকরোটি নিলামে তোলা হলেও সেটি না খাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন ডমিনিক উইন্টারের নিলামকারী ও জ্যেষ্ঠ মূল্য নির্ধারণকারী ক্রিস অ্যালবারি। তিনি বলেন, কেকটি ওইদিনের মতোই আছে বলে মনে হয়। কিন্তু আমরা এটা না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।