Saturday, 28 August 2021

কাবুল বিমানবন্দ‌রের মা‌র্কিন ঘাঁটি‌তে ১২ বাংলা‌দেশি ও ১৬০ আফগান ছাত্রী

কাবুল বিমানবন্দ‌রের মা‌র্কিন ঘাঁটি‌তে ১২ বাংলা‌দেশি ও ১৬০ আফগান ছাত্রী



আন্তর্জাতিকঃ আফগা‌নিস্তা‌নে আটকে পড়া ১২ বাংলা‌দে‌শি ও ১৬০ জন আফগান ছাত্রী কাবুল বিমানবন্দ‌রের মা‌র্কিন ঘাঁ‌টি‌তে পৌঁ‌ছে‌ছেন।  শিগ‌গিরই তারা ভাড়া করা বিমা‌নে বাংলা‌দে‌শে পৌঁছ‌বেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মো‌মেন শ‌নিবার রাত সা‌ড়ে নয়টায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

তা‌লেবা‌নের অনুম‌তি না পাওয়ায় চট্টগ্রা‌মে অব‌স্থিত এ‌শিয়ান ইউ‌নিভা‌র্সি‌টি ফর উই‌মে‌ন্সের আফগান ছাত্রীরা কাবুল এয়ার‌পো‌র্টের ভেতরে ঢুক‌তে পার‌ছি‌লেন না।  অভাবনীয় দু‌র্ভোগ ও উৎকণ্ঠায় বিমানবন্দ‌রের বাই‌রে সময় কা‌টি‌য়ে তারা এখন বাংলা‌দে‌শে রওনা হওয়ার অ‌পেক্ষায় আছেন।  অ‌নিশ্চয়তার ম‌ধ্যে বারবার চেষ্টা ক‌রে ব্যর্থ হ‌চ্ছেন।


দেড় বছর আগে কো‌ভিড-১৯ মহামা‌রির কার‌ণে বিশ্ব‌বিদ্যালয় বন্ধ হ‌লে ১৬০ জন আফগান ছাত্রী নিজ দে‌শে যান। এখন বাংলা‌দে‌শে বিশ্ব‌বিদ্যালয়‌টি খোলার প্রস্তু‌তি শুরু হওয়ায় তারা চট্টগ্রা‌মে ফির‌তে গি‌য়ে বিপা‌কে প‌ড়ে‌ছেন। 

এ‌দি‌কে আফগা‌নিস্তা‌নে আটকে পড়া বাংলা‌দেশিদের জন্য তাদের প‌রিবা‌রে বেশ উ‌দ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দি‌য়ে‌ছে। 

আফগা‌নিস্তা‌নের সর্ববৃহৎ টে‌লিকম কোম্পা‌নি আফগান ওয়্যার‌লে‌সে কাজ কর‌তেন বাংলা‌দেশি ই‌ঞ্জি‌নিয়ার রা‌জিব বিন ইসলাম।  তি‌নি শুক্রবার কাবুল থে‌কে টে‌লি‌ফো‌নে যুগান্তর‌কে ব‌লেছি‌লেন, কাবুল বিমানবন্দ‌রের ভেত‌রে ঢুক‌তে গতকাল (শুক্রবার) আমরা ৬/৭ বার চেষ্টা চা‌লি‌য়ে‌ছি।  কিন্তু সফল হই‌নি।  মা‌র্কিন বা‌হিনী ও তা‌লেবা‌নের উভ‌য়ের অনুম‌তি ছাড়া ‌কেউ সেইফ প্যা‌সেস পা‌চ্ছেন না। আমরা সেইফ প্যা‌সে‌সের অ‌পেক্ষায় আছি।

আফগা‌নিস্তান তা‌লেবা‌নের নিয়ন্ত্র‌ণে যাওয়ার পর বি‌ভিন্ন দেশ নিজ নিজ নাগ‌রিক‌দের ফি‌রি‌য়ে নি‌চ্ছেন। বি‌শেষ ক‌রে মা‌র্কিন সৈন্য, দূতাবাস ক‌র্মী, মা‌র্কিন বা‌হিনী‌তে কর্মরত অনুবাদকসহ অপরাপর ক‌র্মী ও তা‌দের প‌রিবারকে আফগা‌নিস্তা‌নের বাই‌রে নি‌য়ে আসার জন্য কাবুল বিমানবন্দ‌রে নিরাপত্তা দি‌তে ৬ হাজার মা‌র্কিন সৈন্য, ১ হাজার ব্রি‌টিশ সৈন্য এবং ন্যা‌টো সৈন্যরা মোতা‌য়েন আছেন।


আফগান ছাত্রী‌দের বাংলা‌দে‌শে আনার জন্য জা‌তিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচ‌সিআর এক‌টি সুপ‌রিসর এয়ারক্রাফট ভাড়া ক‌রে‌ছে।  মা‌র্কিন বা‌হিনী ও তা‌লেবা‌নের অনুম‌তি পে‌লে তা‌দের‌কে নি‌য়ে বিমান‌টি বাংলা‌দে‌শে আসবে।  বিমান‌টি‌তে কিছু আসন খা‌লি থাকায় আফগা‌নিস্তা‌নের এক‌টি টে‌লিকম কোম্পা‌নি‌তে কর্মরত বাংলা‌দেশি ই‌ঞ্জি‌নিয়ার ও ব্র্যা‌কে কর্মরত বাংলা‌দেশি যারা এখন আটকে প‌ড়ে‌ছেন, তারাও দে‌শে ফির‌বেন।

‌রা‌জিব জানান, মা‌র্কিন বা‌হিনী ও আফগান কর্তৃপক্ষ যৌথভা‌বে ‌আফগান ওয়্যার‌লেস কোম্পা‌নি‌টি চালু ক‌রে‌ছে। 

জানতে চাই‌লে রা‌জিব ব‌লেন, কাবু‌লের প‌রি‌স্থি‌তি অ‌নেকটা স্বাভা‌বিক।  গা‌ড়ি চল‌ছে।  দোকানপাট খু‌লে‌ছে।  রাস্তায় তা‌লেবা‌নের টহল আছে। ভয়ভী‌তি ধী‌রে ধী‌রে কে‌টে যা‌চ্ছে।তিনি আরও ব‌লেন, সেইফ প্যা‌সেস পাওয়া এখন বড় চ্যা‌লেঞ্জ।

গোলাপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু: সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

গোলাপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু: সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: “বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গোলাপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ শুরু হয়েছে। শনিবার মৎস্য সপ্তাহের প্রথম দিনে দিন ব্যাপী মাইকিং, ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণা ও সকাল ১০টায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উপজেলা কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মোঃ হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপ সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী,  গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আব্দুল জলিল, সাংবাদিক সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপন, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যান সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উদ্দিন, আরডিআরএস'র  উপজেলা সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান, জাকির হোসেন। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহামিনুল ইসলাম, উপ সহকারী মৎস্য কর্মকর্তাস্বপন কুমার ধর,  সাংবাদিক হারিছ আলী, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল আজিজ, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যান সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সাকিল, আরডিআরএস'র গভানেন্স কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অফিসার মোঃ সেলিম রেজা, মৎস্যজীবি আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কামিল আহমদ, ফাহিম আহমদ, অলিউর রহমান তামিম, তামিম আহমদ।

সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মোঃ হাসিবুল হাসান জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি মৎস্য সপ্তাহ বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় মৎস্য সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
বিয়ানীবাজারে বসতঘর থেকে সিএনজি চুরি: উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা

বিয়ানীবাজারে বসতঘর থেকে সিএনজি চুরি: উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিয়ানীবাজার  উপজেলার  পাতন গ্রামের মোহাম্মদ ময়নুল ইসলামের বসত বাড়ি হতে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চুরের দল আজ (শনিবার) রাতের কোন এক সময় তার বসতঘরের বারান্দায় রাখা অটোরিক্সাটি চুরি করে নিয়ে যায়। 


এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ময়নুল ইসলাম।

এছাড়াও অটোরিক্সাটি উদ্ধারের জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। কেউ অটোরিক্সাটির সন্ধান পেলে নিন্মে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন মইনুল ইসলাম। 


তাবাসসুম & তানজিম নামের অটোরিক্সাটির নাম্বার প্লেট মৌলভীবাজার ১২-২৪৬৮।

যোগাযোগ: 01782-361989/ 01778-900275
গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান আতাউর রহমানের মৃত্যু

গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান আতাউর রহমানের মৃত্যু



গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান দেশবরেণ্য রম্যলেখক, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক কূটনীতিক আতাউর রহমান আর নেই। আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজেউন)।

তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে  বেশকিছু দিন সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মরহুমের জানাজা তাঁর গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। তিনি ২ পুত্র ও স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।

১৯৪২ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রম্যলেখক আতাউর রহমান। পিতা কবির আহমদ আবুল খায়রাতের তত্ত্বাবধানে তাঁর শিক্ষা জীবনের শুরু হয়।

ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেএম এ ডিগ্রি নেয়ার পর মদনমোহন কলেজ ও এমসি কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সিএসপি অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি  লন্ডন ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।

২০০২ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসরগ্রহণের পর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। আমলা, লেখক, শিক্ষক, কূটনীতিক, অসাধারণ বক্তা সিলেট আন্তঃপ্রাণ জনপ্রিয় এ লেখকের এ পর্যন্ত ২৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

‘দুই দুগুণে পাঁচ’ শিরনামে বাস্তব অসঙ্গতি তুলে ধরে সংবাদপত্রে তাঁর রম্য লেখা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অসাধারণ বক্তৃতার জন্যেও তিনি বিখ্যাত ছিলেন।


Friday, 27 August 2021

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ১৪ নেতার পদত্যাগ

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ১৪ নেতার পদত্যাগ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ১৪ নেতা পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আকস্মিক এক সাংবাদ সম্মেলনে তারা সংগঠনের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। 


পদত্যাগকারীরা হলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রায়হান বক্স রাকু, ২১নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, ৬নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান, ১৯নং ওয়ার্ডের মাসুক গাজী, ১৭নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক বিলাল আহমদ খান, ১০নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান, ১১নং ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ, ১০নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমদ খান, ২০নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন কয়ছর, ৩নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন আহমদ, ২৩নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন, ২০নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, ২১নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল ফরহাদ ও শাহজান আহমদ। 

দলে মূল্যায়িত না হওয়া, অযোগ্যদের কমিটিতে ঠাঁই দেওয়ার অভিযোগে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তারা।


প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক। কমিটিতে জেলা শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পান আব্দুল আহাদ খান জামাল, সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান জাকির হোসেন খান।

মহানগর শাখার আহ্বায়ক হিসেবে আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল ও সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আজিজুল হোসেন আজিজ।

জানা গেছে, অযোগ্যদের নিয়ে এ কমিটি করায় ক্ষুব্ধ রয়েছেন জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা। কমিটি ঘোষণার পরদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই দিনই দলের মহাসচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।


পদত্যাগপত্রে তিনি অভিযোগ করেন, সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক হওয়ার পরও তার সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা বাদ পড়েছেন। 

জামানের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই নবগঠিত জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ১১ নেতা। এর দুই দিন পর পদত্যাগ করেন বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের তিন নেতা। এরপর গত ২৫ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এড. জামানকে জেলা বিএনপি’র আহবায়কের বিরূপ মন্তব্য, বিয়ানীবাজার বিএনপির প্রতিক্রিয়া-বিবৃতি

এড. জামানকে জেলা বিএনপি’র আহবায়কের বিরূপ মন্তব্য, বিয়ানীবাজার বিএনপির প্রতিক্রিয়া-বিবৃতি



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে অবমূল্যায়ন করে সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের বিরূপ মন্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

কামরুল হুদা জায়গীরদারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুক্রবার উপজেলা বিএনপির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ নজমুল হোসেন পুতুলের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদের পরিচালনায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করে গণ মাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছেন।

 
উপজেলা বিএনপির বিবৃতি-

কয়েকদিন আগে ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে। তাতে সিলেটের বিএনপির ত্যাগী নেতা অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে না রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি দল ত্যাগ করেছেন । সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের কারণ তিনি সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

দেশ মাতৃকার টানে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে তৃণমুলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে রাজনীতি করছেন এডভোকেট জামান। দলের দুর্দিন থেকে শুরু করে আজ-অব্দি তিনি মাঠের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের প্রাণ হয়ে আছেন। তিনি ড্রয়িং রুমের কোন রাজনীতিবীদ নন, এসি রুমের কোন নিস্ক্রিয় নেতা নন। তিনি আন্দোলন সংগ্রামের সম্মুখ সারির যোদ্ধা। বিএনপির শুরু থেকে দলকে শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত ত্যাগ পরিশ্রম করেছেন। দলের দুর্দিনে সামনের কাতার থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখেছেন। তাঁর হাত ধরেই সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তারও আগে ছাত্রদল এবং যুবদলকেও একইভাবে সিলেটে শক্তিশালী করতে কাজ করেন জামান। এডভোকেট জামান এমন একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক সংগঠক, যিনি আন্দোলন-সংগ্রামকেই জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
 
এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের বিষয়ে সিলেটের স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট এবং অনলাইন পত্রিকার সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বিরূপ মন্তব্য করে তার অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপি চরমভাবে ব্যথিত, মর্মাহত হয়েছে।

এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান বর্তমান সরকারের শাসনামলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ৩৫টি মামলার আসামি হয়েছেন। জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের অবসানের লক্ষ্যে ১৯৯০-এর গণ-আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা সর্বজনবিদিত। ওয়ান ইলিভেনের সময় আর পরে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের শত নির্যাতন উপেক্ষা করে জামান খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়ে গেছেন।

 
এডভোকেট জামান দলের ভিতরের বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা, বিভিন্ন হঠকারী সিদ্ধান্তের কারনে রাগে ক্ষোভে দল ত্যাগ করেছেন। জামান ব্যক্তিগত কোন কারণে দল ত্যাগ করেননি। দল ত্যাগ করে অন্য কোন দলে যোগদান করেননি। এডভোকেট জামানের পদত্যাগের পর জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বিভিন্ন মিডিয়ায় এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানকে অবহেলা, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করে বলেন (কয়েকজনের পদত্যাগের কারনে দলে কোন প্রভাব পড়বেনা) অবহেলা মারাত্মক একটি অপরাধ। কাউকে বা কোন কিছুকে অবহেলা, অবজ্ঞা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করলে নিজেকে আরো তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করার জন্য হাজার জন তৈরী হবে। অবহেলা করা মানুষগুলো একসময় বিশাল আকার ধারণ করে ফিরে আসে।

প্রায় ১০ বছর পর এডভোকেট জামান সম্প্রতি সব মামলা থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী গুমের পর থেকে আন্দোলন করতে গিয়ে একের পর এক মামলার আসামি হয়েছেন। এডভোকেট সামসুজ্জামান রাজনীতি করতে গিয়ে সব সময় দলের এবং কর্মীদের স্বার্থ এমনকি সিলেট অঞ্চলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকেছেন। সব ধরনের ভয়-ভীতি ও লোভ-লালসাকে উপেক্ষা করে দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সততা ও সাহসিকতা তাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
 
দলের এ দুঃসময়ে তার নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন। সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে তার বিকল্প হতে পারে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের স্বার্থে এবং সিলেটের রাজনীতিকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে বাঁচাতে জননেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে আমরা বিএনপির রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি। এই ত্যাগী নেতার প্রতি বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা এখনো আছে।আমরা মনে করি এডভোকেট জামান তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। দলে তার অবদান, ত্যাগ পরিশ্রম উল্লেখ্য করার মতো। কোন অবস্থাতেই অবহেলা করার মতো নয়। কাজেই বিএনপি কিংবা অংঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় আরো সর্তক হবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহ সভাপতি মোঃ আলী হাসান, মুজিবুল ইসলাম তাজুল, মোঃ আব্দুল করিম, মাসুক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সাইফুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক মোঃ ছরওয়ার হোসেন, তিলপারা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম শায়েখ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ মোঃ খছরুজ্জামান খছরু, মোঃ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি, মোঃ আলাই উদ্দিন আলাই, সেলিম আহমদ, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ আব্দুস ছালাম, প্রচার সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ তামভির হোসেন, দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খায়রুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক মোঃ জাবেদুল হক, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল জব্বার,, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল বাছিত, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান আহমদ, সদস্য মোঃ আব্দুর রব, ছাদ উদ্দিন সুনা মিয়া প্রমুখ।
ট্রলারের ধাক্কায় নৌকাডুবি, মৃত্যু বেড়ে ১৭

ট্রলারের ধাক্কায় নৌকাডুবি, মৃত্যু বেড়ে ১৭



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অর্ধ শতাধিক।

শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইসকা বিলে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- রুবিনা বেগম (৪০), মোসা. ফরিদা বেগম (৪০) ও তার স্বামী জজ মিয়া, অঞ্জনা (৪২) ও তার স্বামী পরিমল বিশ্বাস। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী আলী আক্তার রিজভী বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইসকা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। 

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্থানীয় মানুষও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।

এছাড়াও নৌকাডুবির ঘটনায় আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে আছেন।


জেলা প্রশাসক জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক উদ্ধারকারী দল ও ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। বালুবোঝাই ট্রলারটি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।