Sunday, 12 September 2021

মুজিব শতবর্ষে বিবিদইল বালিকা বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপন

মুজিব শতবর্ষে বিবিদইল বালিকা বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপন




মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে  দক্ষিণ সুরমার বিবিদইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

 ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রানা। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আব্দুল মোহিত, রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির সেক্রেটারি রোটাঃ এস এ শফি, সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, সহকারী শিক্ষক মোঃ মাওলানা মাহবুবুল আলম, সায়মা বাহার চৌধুরী, শ্যামল দেব নাথ,গোলাম মোস্তফা,আলী হাসান, শেলিনা বেগম, বজলুর রহমান, কামরুল হাসান, ছবির আহমদ।
শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে বিশালাকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার

শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে বিশালাকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার



নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে বিশালাকৃতির একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন।


শনিবার রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝেরগাঁও নামে এক গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। রাতে সাপটি দেখে গ্রামের লোকজন শ্রীমঙ্গলের বন্য প্রাণী ফাউন্ডেশনে খবর দেয়। এ খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল অজগরটি ওই গ্রাম থেকে ১২ ফুট দৈর্ঘের অজগর সাপটি উদ্ধার করেন।

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের মাঝেরগাঁও গ্রামের ধানক্ষেতে একটি অজগর পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে থানীয় লোকজনের সহায়তায় অজগরটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসেন।


রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সহ অন্যদের নিয়ে অজগরটি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।

বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান অজগরটির ওজন প্রায় ১৬ কেজি এবং লম্বায় ১২ ফুট। বন জঙ্গলে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় এসব বন্যপ্রাণী লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে বলে অনেকে মনে করছেন।
শপথ নিলেন সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিব

শপথ নিলেন সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিব



সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব  শপথ নিয়েছেন। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানকে শপথবাক্য পাঠ করান।


জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি উপস্থিত ছিলেন।

শপথগ্রহণ শেষে হাবিবুর রহমান রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।


উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩ আসনের অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিককে পরাজিত করে বিজয়ী হোন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। হাবিব পান ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট।
সিলেটের নুবায়শা তাক লাগিয়ে দিলো বিশ্ববাসীকে

সিলেটের নুবায়শা তাক লাগিয়ে দিলো বিশ্ববাসীকে



সিলেটের নুবায়শা তাক লাগিয়ে দিলো বিশ্ববাসীকে। বিশ্বপত্র লিখন প্রতিযোগিতায় নগরীর আনন্দ নিকেতনের ছাত্রী নুবায়শা ইসলাম বিশ্বের লক্ষ লক্ষ কিশোর-কিশোরীকে পরাজিত করে বিশ্ব জয় করেছে। বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন-ইউপিইউ) আয়োজিত ৫০ তম পত্র লিখন প্রতিযোগিতায় নুবায়শা প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে।


পত্র লেখার বিষয় ছিলো কোভিড-১৯। নুবায়শা তার অনাগত বোনকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে করোনাকালে মৃত্যুভয়, স্বজন হারানোর ভয়ের কথা উল্লেখ করেও প্রচন্ড আশাবাদ ব্যক্ত করে একটি ভালো সময়ের জন্যে প্রত্যাশা করেছে। সিলেটের আনন্দ নিকেতন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৌদ্দ বছর বয়েসী নুবায়শা ইসলাম সুইজারল্যান্ডে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করবে। তার সাফল্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার নিজের ফেইসবুক আইডিতে সবাইকে চিঠিটি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে লিখেছেন, ‘নুবায়শাকে অভিনন্দন।


পাশাপাশি আমরা তার পিতা-মাতা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও অভিনন্দন জানাই। জয় বাংলা। ভালো থাকো আমাদের স্বর্ণকিশোরী।’ নুবায়শা বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট-এর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং সিলেট গ্রামার স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার দম্পতির একমাত্র কন্যা। নুবায়শার শখ বই পড়া এবং তার পছন্দের রং কালো। এদিকে, মাধবপুর অ্যাসোসিয়েশন সিলেট-এর পক্ষ থেকে নুবায়শাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। নুবায়শার বাবা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাধবপুর অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র

বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র



বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র। আগামী দুই প্রজন্মের মধ্যেই এটি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।


শনিবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমসে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে দুইবার বুকার পুরস্কারজয়ী প্রথম নারী ঔপন্যাসিক, হিলারি ম্যান্টেল এ আশঙ্কার কথা জানান।

তার মতে, খুব বেশি দিন নেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের সূর্য ডুবে যেতে। জনপ্রিয়তায় ধসও এর জন্য দায়ী হতে পারে।


ব্রিটিশ রাজপরিবার, যার ইতিহাস এক হাজার বছরেরও বেশি পুরানো। সব কিছুর যেমন শেষ আছে, তেমনি এটিরও শেষ দেখছেন অনেকেই। বিশ্বে আর সেভাবে নেই রাজপরিবার। যেমনটা সগৌরবে টিকে আছে ব্রিটেনে। কিন্তু এটিও আর সর্বোচ্চ দুই প্রজন্ম টিকতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানালেন ব্রিটিশ লেখিকা হিলারি ম্যান্টেল।

তিনি বলেন, রাজতন্ত্রের অন্তরালে কী চিন্তাভাবনা চলছে তা বোঝা খুবই কঠিন। সেখানকার কার্যক্রম এখনও বেশ জটিল।

বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে জানা যায়, দিন দিন জনপ্রিয়তা কমছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের। মূলত তাদের পেছনে খরচ বৃদ্ধি পাওয়াই এর মূল কারণ। তবে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্রিটিশ নাগরিক রাজতন্ত্রের পক্ষে, কোনো কোনো জরিপে এমন তথ্যও উঠে এসেছে। বিশেষ করে রানির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা এবং তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারা।


ব্রিটেনের বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স হয়েছে। তার মৃত্যুর পর রানির ছেলে প্রিন্স চার্লস, এরপর তার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম, এরপর ইউলিয়ামের প্রথম ছেলে প্রিন্স জর্জের নাম রয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে। উইলিয়ামের আরো দুই সন্তান প্রিন্সেস শার্লট আর প্রিন্স লুইয়েরও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে রানি ও রাজা হওয়ার।
শিক্ষার্থীদের বেতন ও ইউনিফর্ম নিয়ে কড়াকড়ি না করার নির্দেশ

শিক্ষার্থীদের বেতন ও ইউনিফর্ম নিয়ে কড়াকড়ি না করার নির্দেশ



শিক্ষার্থীদের স্কুলের বেতন পরিশোধে অভিভাবকদের যেন চাপ দেওয়া না হয় স্কুল-কলেজগুলোকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের যেন চাপ দেওয়া না হয়। করোনার এই সময়ে অনেকের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।


রোববার সকালে দেড় বছর পর স্কুল খোলার প্রথম দিনে রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিদর্শনে এসে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্যান্য খরচ কমিয়ে আপনার সন্তানদের বেতন আগে পরিশোধ করতে পারেন। বেতনের টাকা কিন্তু খুব বেশি নয়।

এ সময় করোনা পরিস্থিতি ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় কোনো ব্যত্যয় বা অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ কময় আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছি।


এখন শুধু করোনা না ডেঙ্গুরও সিজন চলছে। ডেঙ্গু মশা কামড়ের সময়ই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকে। তাই তাদের ফুলহাতা জামা পরে আসার জন্য বলব। এ সময়টাতে শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফর্ম নিয়ে কড়াকড়ি না করাই ভালো। দীর্ঘ সময়ের বন্ধে অনেক শিক্ষার্থী ইউনিফর্ম থেকে বড় হয়ে গেছে। তিনি অভিভাবকদের সন্তানদের স্কুলে দিতে এসে গেটের সামনে ভিড় না করার অনুরোধ জানান এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে অভিভাবকদের সামাজিক তদারকি করারও আহ্বান জানান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিরেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস!

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিরেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস!



মুখে মাস্ক, চোখে আনন্দের ঝিলিক। মনে উচ্ছ্বাস! অতি সংক্ষেপে এই হচ্ছে আজ সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র। এই আনন্দ নিজের অতি প্রিয় ক্যাম্পাসে ফেরার, আবারও ক্লাস করতে পারার।

শুধু যে শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এই উচ্ছ্বাস বিরাজমান, তা নয়। বরঞ্চ শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ভাসছেন অন্যরকম এক আবেগে।

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর আজ রোববার থেকে সিলেটসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গেল বছরের মার্চে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর গেল প্রায় এক সপ্তাহ ব্যস্ত সময় পার করেছেন সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা, স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা, করোনা বিষয়ক সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানোসহ বিভিন্ন কাজে তারা ব্যস্ত ছিলেন।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নিয়ে গেল শুক্রবার সিলেটে এসে জরুরি বৈঠক করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এছাড়া গতকাল শনিবার সিলেটে আসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসনও একের পর এক বৈঠক করেছে।

আজ রোববার সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ঠের পাওয়া গেছে।

মুখে মাস্ক পরে সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাতে ফুল নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন শিক্ষার্থীদের। তারা আসার পর ফুল দিয়ে বরণ করা হয় তাদেরকে। একইসাথে মাপা হয় তাদের শরীরের তাপমাত্রা। ব্যবস্থা ছিল হাত ধোয়ারও।

লাইন ধরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদেরকে নতুন ড্রেস পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে দেখা গেছে। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একই রঙের নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখা গেছে।

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীমা চৌধুরী বলছিলেন, ‘উন্মুখ হয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। সবার মধ্যে অন্যরকম এক উচ্ছ্বাসের আবহ। সরকারি সব নির্দেশনা মেনে আমরা কলেজ খুলেছি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বায়োজিদ খান জানান, প্রাথমিকে ১৬টি নির্দেশনা মেনে ক্লাস চলবে। এ বিষয়ে সকল স্কুলের প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।


মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান খান বলেন, ‘আজকের দিনটি অন্যরকম। এতো দিন শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করেছে। আজ থেকে সবাই সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন সিলেবাস ও রুটিন করা হয়েছে।’

তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে তদারকি থাকবে তাদের।

প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে থেকে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী, পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিদিন এবং প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়া হবে।

চলতি বছরের শেষভাগে এসএসসি ও এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চমের প্রাথমিক সমাপনী, অষ্টমের জেএসসি-জেডিস এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।