Monday, 20 September 2021

৪০০০ বছরের রহস্যময় পাথর

৪০০০ বছরের রহস্যময় পাথর



বিশালাকার এক পাথর। যার বয়স ৪০০০ হাজার বছর। যুগ যুগ ধরে মরুভূমির মাঝে পড়ে আছে পাথরটি। সৌদি আরবের তাইমা মরুদ্যানে গেলে দেখা মিলবে পাথরটির।
 
অবাক করা বিষয় হলো, বিশালাকার পাথরটি মাঝখান থেকে সমান করে কাটা। দেখে মনে হবে, একটি শক্তিশালী লেজার রশ্মি দিয়ে পাথরটি মাঝ বরাবর কাটা হয়েছে। তবে ৪০০০ বছর আগে তো আর উন্নত প্রযুক্তি ছিল না।

তখন তো লেজার রশ্মিও ব্যবহার হতো না। তাহলে এতোটা নিখুঁতভাবে রহস্যময় পাথরটি কাটল কে? এই পাথর খণ্ডের নাম হলো আল নাসলা। বিশ্ব বিখ্যাত এই পাথর দু’টি বড় বেলেপাথরের সমন্বয়ে গঠিত।

 
যদিও দূর থেকে দেখলে পাথরের মাঝখানের ফাঁকাটি দেখা যায় না। তবে কাছ থেকে পাথর খণ্ডটি দেখলেই রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন আপনি। এখনও পর্যন্ত পাথরটি কাটার বিষয়ে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

তবে অনেকেই বলছেন, আল নাসলা পাথর প্রমাণ করে প্রাচীন সভ্যতা অনেক বেশি উন্নত ছিল। তাইমা মরুদ্যানের অনেকগুলো পাথরের মধ্যে আল নাসলা একটি। এর স্থায়ী শিলা গঠন গবেষকদের অবাক করে দেয়।
 
পাথরটি আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে অনেকবার গবেষণা হয়েছে। ঐতিহাসিকদের মধ্যে পাথরটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলেও এটি কোন স্থান থেকে এসেছে বা কীভাবে কাটা হয়েছে তার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেননি।


কাছ থেকে পাথরটি দেখলে মনে হবে, কোনো শক্তিশালী মানুষ পা.থরটি ধা.রালো অ.স্ত্র দিয়ে কেটেছেন। তবে তা প্রমাণ করা বেশ কঠিন! বিজ্ঞানীরা এমন কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।
 
বেশিরভাগ ভূতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করেন, এই মসৃণ বিভক্তি হওয়ার পেছনে থাকতে পারে প্রাকৃতিক কারণ। এটি হয়তো টেকটোনিক আন্দোলনে ঘটেছে। যা একটি শিলাকে দু’ভাগে ফাটানোর জন্য যথেষ্ট।

বিজ্ঞানীরা এমনটি বিশ্বাস করলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু এসব ব্যাখ্যা মানেন না। তাদের মতে, আল নাসলা একটি উন্নত প্রাচীন সভ্যতার ইঙ্গিত দেয়।

 
অথবা এলিয়েনরা হয়তো পাথরটি দু’খণ্ড করেছে। যদিও এ দু’টি তত্ত্বই অসম্ভব বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। তাহলে এই পাথরটি কাটলো কে? এই প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্যে ঘেরা!

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

Sunday, 19 September 2021

গোলাপগঞ্জে শিক্ষা ও সমাজসেবায় একজন ফজলুল হক ফজলু

গোলাপগঞ্জে শিক্ষা ও সমাজসেবায় একজন ফজলুল হক ফজলু



প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা ও সমাজসেবায় অনবদ্য ভূমিকা রাখা একজন ফজলুল হক ফজলু। যিনি সুদূর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেও নিজ উপজেলার শিক্ষা উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। 

১৯৯৮ সালে তিনি-সহ উপজেলার যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিক্ষানুরাগীরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা (১৯৯৮) সেক্রেটারী করা হয় ফজলুল হককে। এছাড়া শিক্ষাখাতে অনস্বীকার্য অবদান রাখায় ২০০২ইং সালে আবারও টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে পুরো উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় এ ট্রাস্টের ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত করা হয় তাকে।


একনজরে ফজলুল হক ফজলুঃ

ফজলুল হক ফজলু বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও তাঁর পৈতৃক নিবাস সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের কুশিয়ারা তীরবর্তী চন্দরপুর গ্রামে। চন্দরপুর গ্রামের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। তাঁর পিতার নাম আব্দুস সাত্তার, মাতা জয়তুরা বেগম। পরিবারের ১৩জন ভাই-বোনের মধ্যে ফজলুল হক ৪র্থ। ব্যক্তিগত জীবনে ফজলুল হক ৩ মেয়ে ও ৩ পুত্রের জনক।

পরিবারের বর্তমান ঠিকানাঃ
ফজলুল হকের পৈতৃক নিবাস চন্দরপুরে হলেও সিলেট নগরীতে রয়েছে তাদের নিজস্ব আবাস। নগরীর আম্বরখানাস্থ জালাবাদ ১০/৭ আর.এ গোলাপকুঞ্জ ঠিকানায় বর্তমানে তাদের পরিবারের লোকজন বসবাস করছেন। তবে গ্রামের সাথে রয়েছে তাদের নিবিড় সম্পর্ক।



শিক্ষাজীবনঃ

ফজলুল হক বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও তাঁর জন্ম, বেড়ে উঠা ও শিক্ষাজীবন পার হয়েছে দেশের মাটিতেই। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয় পৈতৃক ভূমি চন্দরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর ১৯৭৮ইং সালে চন্দরপুর আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত এস,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখার জন্য তিনি ভর্তি হন সিলেট এমসি কলেজে। তবে এখানে কিছুদিন অবস্থান করে নিজেদের বাসা ও ব্যবসার সুবাদে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। সেখানে গিয়ে তিনি মালিবাগের আবু জহুর জিফারী কলেজ থেকে ১৯৮০ইং সালে এইচ এস সি পাস করেন। পরবর্তীতে প্রবাসে পাড়ি জমানোয় তাঁর আর লেখাপড়া করা হয়ে উঠেনি।



প্রবাস জীবনঃ

ফজলুল হক উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮২ইং সালে লিবিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে প্রায় ৩বছর ৬মাস মিনিস্ট্রি অব কমিউনিকেশনে চাকুরিরত অবস্থায় দেশে ফিরে আসেন। এরপর আবার ১৯৮৪ইং সালে কুয়েত পাড়ি জমান। সেখান থেকে ১৯৮৬ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। সেই থেকে আজ অবধি তিনি যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছেন। বর্তমানে সেখানে তাঁর প্রপার্টি বিজনেস রয়েছে। যা গত ১৮বছর ধরে তিনি একটানা পরিচালনা করে আসছেন।


সংগঠক ফজলুল হকঃ




শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী ফজলুল হক একজন সফল সংগঠক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। একজন সংগঠক হিসেবে তিনি ১৯৯৬ সালে ব্রিটিশ-বেঙ্গলী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে'র প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন,  বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ১৯৯৮ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় ছিলেন ফজলুল হক। এছাড়া বুধবারীবাজার ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে, চন্দরপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে, চন্দরপুর উন্নয়ন সমিতি ইউকে-সহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য।





রাজনীতি অঙ্গনে ফজলুল হকঃ




সামাজিক অঙ্গনের পাশাপাশি ফজলুল হকের বিচরণ রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। তিনি ঢাকায় পড়ালেখাকালীন সময়ে সক্রিয় ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের (কভেন্ট্রি কনভেনশন হলে) জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়া বৃটিশ রাজনীতিতে লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির সক্রিয় সদস্য হিসেবে ২০০৬ সালে কাউন্সিলর পদে পার্টির মনোনয়ন পেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।





শিক্ষানুরাগী ফজলুল হকঃ

শিক্ষার উন্নয়নে ফজলুল হকের অবদান অনবদ্য। তিনি গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি এ ট্রাস্টের একজন সফল সংগঠক ও সম্মানীত ট্রাস্টি। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে গোলাপগঞ্জ উপজেলাব্যাপী শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। এর বাইরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় সর্বদাই সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রী কলেজ ট্রাস্ট ইউকে'র প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি। এছাড়া বিভিন্ন সময় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা করে আসছেন প্রতিনিয়ত।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে'র পক্ষ থেকে শাহজালাল একাডেমির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করছেন গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে'র সভাপতি ফজলুল হক ফজলু ও সাধারণ সম্পাদক মখন মিয়া (২০১৬)।


 

সমাজসেবী ফজলুল হকঃ





ছাত্রজীবন থেকেই সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ফজলুল হক ফজলু। ৮০'র দশকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখাকালীন তিনি ঢাকায় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। এরপর প্রবাসে পাড়ি জমালেও নিজ মাটির মানুষের সেবায় সর্বদাই কাজ করে আসছেন। কখনও ব্যক্তিগতভাবে, কখনোবা সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন সবসময়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেও হয়েছেন আজীবন দাতা সদস্য। নিজের মরহুমা মেয়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ইউকে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শীতার্থ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ-সহ বিভিন্ন সামজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।



এর বাইরেও ফজলুল হক ফজলু অসংখ্য সংগঠনের সাথে রয়েছেন সম্পৃক্ত। তিনি বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (BBCC)-এর কর্পোরেট সদস্য। বিভিন্ন ট্রাস্টের আজীবন ট্রাস্টি-সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও খেলাধুলায় পৃষ্টপোষকতা করার পাশাপাশি তরুণদের মাঝে সমাজসেবার প্রতি উদ্দীপনা জাগাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।




চন্দরপুরে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ আউটলেটের উদ্বোধন

চন্দরপুরে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ আউটলেটের উদ্বোধন


গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরপুরে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আউটলেট শাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চন্দরপুরের আনিসা এন্ড আদিল মার্কেটের ২য় তলায় দেশের ৫৩৮তম আউটলেট হিসেবে এ শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।



এলাকার তরুণ সমাজসেবী শিপু ইসলামের সঞ্চালনায় এবং চন্দরপুর আউটলেট শাখার ব্যবস্থাপক হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।



অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সোলেমান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের বিয়ানীবাজার শাখা ব্যবস্থাপক খালেদ মুহাম্মদ ছয়ফুল আলম, চন্দরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ডাঃ আব্দুল মতলিব, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামছুল হক, সিলেট জেলা জমিয়তে ওলামায়ের সহ-সভাপতি শামছ উদ্দিন, আমকোনা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা খলিলুর রহমান, রায়গড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আসাদ উদ্দিন, বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল করিম, সিটি ব্যাংক চন্দরপুর বাজার আউটলেট শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক, সমাজসেবী আমান উদ্দিন ও ইমাম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ নূরী প্রমুখ।



শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আমান উদ্দিন।



অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের বড়লেখা বাজার আউটলেটের ইনচার্জ শাহেদ আহমদ, দক্ষিণভাগ বাজার আউটলেটের ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন, আব্দুন নুর, এখলাছ উদ্দিন, বাহার উদ্দিন, সাইফুল হক ছুটু, জেবলু মিয়া, এনটিভি ইউরোপের বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি জামান বাবলু, কুশিয়ারা নিউজ ডটকমের সম্পাদক সালমান কাদের দিপু, হোসাইন সারোয়ার প্রমুখ।


অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন আমকোনা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা খলিলুর রহমান।

গোলাপগঞ্জে গৃহবধুর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টায় স্বামী-শাশুড়ি কারাগারে

গোলাপগঞ্জে গৃহবধুর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টায় স্বামী-শাশুড়ি কারাগারে



সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর স্বামী স্বামী ছয়ফুল ইসলাম ছফু (৪৫) ও শাশুড়ি নেওয়া বেগম (৫৮) কে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণ ঘোষগাঁও গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।


এদিকে, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূর অবস্থা এখনো আশংকাজন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

থানায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ ঘোষগাঁও গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে ছয়ফুল ইসলাম ছফুর সাথে উপজেলার খর্দ্দাপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ আলীর মেয়ের বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন করতেন স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্বামী ছয়ফুল ইসলাম ছফু স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মারধর করেন। মারধরের প্রতিবাদ করায় স্বামী ও শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন গৃহবধূকে ধরে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে অসুস্থ বলে গৃহবধুর ভাইকে খবর দেন ছয়ফুল। খবর পেয়ে ভাই সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।


এঘটনায় স্বামী, শাশুড়ী ও দেবর এই তিন জনকে আসামি করে গৃহবধুর ভাই আব্দুস সামাদ গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, নং-১৯ /১৭.০৯.২০২১। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী গৃহবধুর স্বামী ছয়ফুল ইসলাম ছফু ও শাশুড়ি নেওয়া বেগমকে গ্রেফতার করেছে । মামাল অপর আসামী দেবর সমছু মিয়া (৩২) পলাতক রয়েছে।

এদিকে গৃহবধূর ভাই আব্দুস সামাদ বলেন, আমার বোনের অবস্থা খুবই গুরুতর। সে বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তার অবস্থা ভালো না।


এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান,
এঘটানায় মামলা হওয়ার পর ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Saturday, 18 September 2021

মুসলিম নারীর হিজাব জোর করে খোলায় মার্কিন পুলিশের উপর হচ্ছে মামলা

মুসলিম নারীর হিজাব জোর করে খোলায় মার্কিন পুলিশের উপর হচ্ছে মামলা



যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ এক মুসলিম নারীর হিজাব জোর করে খুলে ফেলার ঘটনায় মামলা করছেন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) নেতারা।

 
মিশিগানের ডেট্রয়েটে পুলিশ এক মুসলিম নারীকে সম্প্রতি গ্রেফতারের পর জোর করে তার হিজাব খুলে ফেলেন।  খবর আরব নিউজের।

সিএআইআরের আইনজীবী অ্যামি দৌকুরে জানান, মুসলিম নারীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করছি।


হেলেনা বোয়ে নামে ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি করবেন বলেও আইজীবী জানিয়েছেন।

তিনি জানান, হেলেনা তার গাড়ি চালিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে লাইসেন্সের মেয়াদ পরীক্ষা করার সময় পুলিশ তার সঙ্গে ওই বর্ণবাদী ও ধর্মবিদ্বেষী আচরণ করে।

সূত্রঃ যুগান্তর
স্কটল্যান্ডে সহকর্মীর হাতে বিয়ানীবাজারের সেলিম খুন

স্কটল্যান্ডে সহকর্মীর হাতে বিয়ানীবাজারের সেলিম খুন



স্কটল্যান্ডের একটি রেস্টুরেন্টে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে বিয়ানীবাজারের যুবক সেলিম উদ্দিন খুন হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


নিহত সেলিম উদ্দিন বিয়ানীবাজার উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মরহুম সাদই মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি ইউকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমদ।


সেলিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন সেলিম উদ্দিন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে কয়েকদিন আগে তিনি সেখানে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ পান। স্কটল্যান্ডের একটি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন সেলিম। সেখানে কথাকাটাকাটির জেরে এক সহকর্মী তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে সেলিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচ ঘন্টা পর মারা যান তিনি।

এদিকে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সেখানকার পুলিশ। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
গোলাপগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাঃ দাদা-নাতি নিহত, আহত ৪

গোলাপগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাঃ দাদা-নাতি নিহত, আহত ৪



গোলাপগঞ্জ উপজেলার রাণাপিং এলাকায় সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি প্রোভক্স প্রাইভেটকার ও মালবাহী পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এতে নিহত হয়েছেন ২ জন। নিহতরা সম্পর্কে দাদা ও নাতি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার পাতন গ্রামের শফিক উদ্দিন (৭০) ও তার নাতি আরিয়ান (১)। আরিয়ানের বাবার নাম আবুল হাসনাত।

আহতদের মধ্যে শফিক উদ্দিনের স্ত্রী হোসনা বেগম (৫৫) ছাড়াও রয়েছেন তামান্না বেগম (২৫), ফাতিমা আক্তার (২৩) ও প্রাইভেটকার চালক নাসির উদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বিয়ানীবাজার থেকে প্রাইভেটকারযোগে (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-৯৫৯৫) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিলেট শহরে যাচ্ছিলেন শফিক উদ্দিন। পথিমধ্যে সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রাণাপিং নামক স্থানে একটি মালবাহী পিকআপভ্যানের (ঢাকা মেট্রো-ন-২০-৮২৪৭) সাথে প্রাইভেটকারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।


দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা সবাইকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন আক্তার শফিক উদ্দিন ও আরিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত চারজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

দুর্ঘটনা ও দুইজন নিহত হওয়ার বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান ও গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ।


তবে পিকআপভ্যানের চালক পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।