Tuesday, 21 September 2021

সিলেট নগরীতে আপন দুই বোনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সিলেট নগরীতে আপন দুই বোনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার



সিলেট নগরীর বিমানবন্দর থানার আম্বরখানা মজুমদারী এলাকার ৩১ নং বাসার ছাদ থেকে রাণী জমিদার (৩৮) ও ফাতেমা বেগম (২৭) নামে আপন দুই বোনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা দুইজন ওই বাসার কলিমউল্লাহর মেয়ে।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।

এদিকে দুই বোনের লাশ উদ্ধারের ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬ টার দিকে আশপাশের লোকজন জানালা দিয়ে তাদের দুই বোনের লাশ বাসার ছাদের রডে ঝুলে থাকতে দেখে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। তখন আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা গিয়ে তাদের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় লাশগুলো উদ্ধার করি।


প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবেই মনে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গোলাপগঞ্জে আটক ২ যুবক ডাকাত নয়

গোলাপগঞ্জে আটক ২ যুবক ডাকাত নয়



গোলাপগঞ্জে মধ্যরাতে উপজেলা জুড়ে হঠাৎ ডাকাত আতঙ্ক দেখা দেয়। এসময় ডাকাত সন্দেহে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়ন থেকে দুই যুবককে আটক করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। তবে তারা দুজন ডাকাত নয়।


জানা যায়, পাশ্ববর্তী উপজেলা বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ নোহা গাড়ি ভর্তি একটি ডাকাত দলকে তাড়া করলে তারা গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুরের দিকে প্রবেশ করে।

এখবর বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার সবত্র মানুষ পাহাড়ায় নেমে পড়েন। 

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশও ডাকাত দলকে ধরতে অভিযানে নামে। এসময় আমুড়া থেকে সন্দেহজনকভাবে দুইজনকে আটক করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। তবে তারা দুইজন ডাকাত নয় বলে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী।


তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়েছি যাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় তারা ডাকাত নয়।
চন্দরপুরে ডাকাত, মসজিদে মাইকিং

চন্দরপুরে ডাকাত, মসজিদে মাইকিং




গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে একটি নোহা গাড়ী ভর্তি ডাকাতদলকে খুঁজছে পুলিশ। ডাকাত দল নিখোঁজ হওয়ায় এলাকার মসজিদে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


জানা গেছে, পুলিশের তাড়া খেয়ে একদল ডাকাত গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরের দিকে আসে। পরে তাদের আর খুঁজে পাচ্ছে না গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার থানা পুলিশে টিম। তাদের খুজতে অব্যাহত অভিযান চালাচ্ছে দুই থানার পুলিশ টিম।

গোলাপগঞ্জ থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের তাড়া খেয়ে নোহা গাড়ি ভর্তি কুখ্যাত একদল ডাকাত চন্দরপুরের দিকে আসে। তাদের পেছন পেছন বিয়ানীবাজার পুলিশ দল আসলেও চন্দরপুর এসে ডাকাতদলের আর হদিস মিলে নি। 


এছাড়াও ডাকাতদের ধরতে চন্দরপুরে ছুটে আসে গোলাপগঞ্জের পুলিশ দলও। উভয় থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ ডাকাতদলের সন্ধানে কাজ করছেন। বর্তমানে তারা চন্দরপুর, আছিরগঞ্জ, বহরগ্রাম-সহ আশপাশ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন।




ডাকাত দলের মাইকিং শুনে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে রাস্তায় টহল দিতেও দেখা গেছে।



এদিকে ডাকাতদলের খবর ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপজেলায়। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিক সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

এছাড়া গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশীদ সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।

Monday, 20 September 2021

'মানবহিতৈষী' সম্মাননা পেলেন সিলেটের মানবিক পুলিশ সফি

'মানবহিতৈষী' সম্মাননা পেলেন সিলেটের মানবিক পুলিশ সফি






কোভিড-১৯ মহামারীতে মানবিক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য  'মানবহিতৈষী' সম্মাননা পেলেন সিলেটের সেই মানবিক পুলিশ সদস্য সফি।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট-এর ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় নগরীর কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।


সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট-এর ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তা'র সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু'র সভাপতিত্বে এতে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমান। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাদি সিং, সিলেটস্থ ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জেসোহাজি, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ৷


উল্লেখ্য, মহামারী করোনা ভাইরাসের কঠিন পরিস্থিতিতে অসহায়দের বিনামূল্যে অক্সিজেনসেবা দিয়ে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন মানবিক পুলিশ সদস্য সফি আহমদ। পিঠে অক্সিজেন, হাতে রক্ত-প্লাজমা, কাঁধে খাদ্য সামগ্রী, করোনাকালে মানবিক সেবায় এমনই চিত্রে দেখা গেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এ সদস্যকে। মহামারির ক্রান্তিকালে মানুষের সেবায় নিজেকে এভাবে বিলিয়ে দেয়ায় গণমানুষের মুখে মুখে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সফি আহমদ। মানবিকতার এমন নজির স্থাপন করায় এর আগেও সফি আহমদ পেয়েছিলেন সম্মাননা।



গত ১১ মার্চ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় নায়েক সফি আহমেদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন এসএমপি কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ। এবার সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট-এর পক্ষ থেকে অর্জন করলেন 'মানবহিতৈষী সম্মাননা'।

তাকে এ সম্মাননা দেয়ায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট-এর প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সদস্য সেলিম উদ্দিনের বাড়িতে নেতৃবৃন্দদের মিলন মেলা

গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সদস্য সেলিম উদ্দিনের বাড়িতে নেতৃবৃন্দদের মিলন মেলা




গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সেলিম উদ্দিনের নিমন্ত্রণে তার নিজ বাড়িতে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দদের এক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের লামা-চন্দরপুর গ্রামে অবস্থিত
 সেলিমের উদ্দিনের বাড়ি মুখরিত হয়ে উঠে নেতৃবৃন্দের পদচারণায়।

এসময় নেতাকর্মীরা একে অন্যের সাথে কুশল বিনিময় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা শেষে মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বুধবারীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিত হিরা, আল এমদাদ ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আলীম উদ্দিন বাবলু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান আজম, সদস্য রুহেল আহমদ রিপন, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পাভেল মাহমুদ,বুধবারীবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মস্তাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফতার হোসেন ,সহ সভাপতি আমান উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গফুর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আলী হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সাইফুর রহমান।


x

আরোও উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চুনু মিয়া মেম্বার, বুধবারীবাজার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈবন আহমদ ,৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন শাহিন, আব্দুর রাজ্জাক, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলাল আহমদ জয়,সাধারন সম্পাদক জুনেদ আহমদ লিটন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হালিমুর রশিদ রাপু, সাধারণ সম্পাদক তুলন আহমদ,বাদেপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুয়াইবুর রহমান স্বপন, বাদেপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আরিয়ান,  ছাত্রলীগ নেতা আলী হোসেন রাদিস, সালেহ আহমদ সুজন, সালমান কাদের দিপু-সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
৪০০০ বছরের রহস্যময় পাথর

৪০০০ বছরের রহস্যময় পাথর



বিশালাকার এক পাথর। যার বয়স ৪০০০ হাজার বছর। যুগ যুগ ধরে মরুভূমির মাঝে পড়ে আছে পাথরটি। সৌদি আরবের তাইমা মরুদ্যানে গেলে দেখা মিলবে পাথরটির।
 
অবাক করা বিষয় হলো, বিশালাকার পাথরটি মাঝখান থেকে সমান করে কাটা। দেখে মনে হবে, একটি শক্তিশালী লেজার রশ্মি দিয়ে পাথরটি মাঝ বরাবর কাটা হয়েছে। তবে ৪০০০ বছর আগে তো আর উন্নত প্রযুক্তি ছিল না।

তখন তো লেজার রশ্মিও ব্যবহার হতো না। তাহলে এতোটা নিখুঁতভাবে রহস্যময় পাথরটি কাটল কে? এই পাথর খণ্ডের নাম হলো আল নাসলা। বিশ্ব বিখ্যাত এই পাথর দু’টি বড় বেলেপাথরের সমন্বয়ে গঠিত।

 
যদিও দূর থেকে দেখলে পাথরের মাঝখানের ফাঁকাটি দেখা যায় না। তবে কাছ থেকে পাথর খণ্ডটি দেখলেই রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন আপনি। এখনও পর্যন্ত পাথরটি কাটার বিষয়ে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

তবে অনেকেই বলছেন, আল নাসলা পাথর প্রমাণ করে প্রাচীন সভ্যতা অনেক বেশি উন্নত ছিল। তাইমা মরুদ্যানের অনেকগুলো পাথরের মধ্যে আল নাসলা একটি। এর স্থায়ী শিলা গঠন গবেষকদের অবাক করে দেয়।
 
পাথরটি আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে অনেকবার গবেষণা হয়েছে। ঐতিহাসিকদের মধ্যে পাথরটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলেও এটি কোন স্থান থেকে এসেছে বা কীভাবে কাটা হয়েছে তার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেননি।


কাছ থেকে পাথরটি দেখলে মনে হবে, কোনো শক্তিশালী মানুষ পা.থরটি ধা.রালো অ.স্ত্র দিয়ে কেটেছেন। তবে তা প্রমাণ করা বেশ কঠিন! বিজ্ঞানীরা এমন কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।
 
বেশিরভাগ ভূতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করেন, এই মসৃণ বিভক্তি হওয়ার পেছনে থাকতে পারে প্রাকৃতিক কারণ। এটি হয়তো টেকটোনিক আন্দোলনে ঘটেছে। যা একটি শিলাকে দু’ভাগে ফাটানোর জন্য যথেষ্ট।

বিজ্ঞানীরা এমনটি বিশ্বাস করলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু এসব ব্যাখ্যা মানেন না। তাদের মতে, আল নাসলা একটি উন্নত প্রাচীন সভ্যতার ইঙ্গিত দেয়।

 
অথবা এলিয়েনরা হয়তো পাথরটি দু’খণ্ড করেছে। যদিও এ দু’টি তত্ত্বই অসম্ভব বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। তাহলে এই পাথরটি কাটলো কে? এই প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্যে ঘেরা!

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

Sunday, 19 September 2021

গোলাপগঞ্জে শিক্ষা ও সমাজসেবায় একজন ফজলুল হক ফজলু

গোলাপগঞ্জে শিক্ষা ও সমাজসেবায় একজন ফজলুল হক ফজলু



প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা ও সমাজসেবায় অনবদ্য ভূমিকা রাখা একজন ফজলুল হক ফজলু। যিনি সুদূর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেও নিজ উপজেলার শিক্ষা উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। 

১৯৯৮ সালে তিনি-সহ উপজেলার যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিক্ষানুরাগীরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা (১৯৯৮) সেক্রেটারী করা হয় ফজলুল হককে। এছাড়া শিক্ষাখাতে অনস্বীকার্য অবদান রাখায় ২০০২ইং সালে আবারও টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে পুরো উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় এ ট্রাস্টের ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত করা হয় তাকে।


একনজরে ফজলুল হক ফজলুঃ

ফজলুল হক ফজলু বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও তাঁর পৈতৃক নিবাস সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের কুশিয়ারা তীরবর্তী চন্দরপুর গ্রামে। চন্দরপুর গ্রামের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। তাঁর পিতার নাম আব্দুস সাত্তার, মাতা জয়তুরা বেগম। পরিবারের ১৩জন ভাই-বোনের মধ্যে ফজলুল হক ৪র্থ। ব্যক্তিগত জীবনে ফজলুল হক ৩ মেয়ে ও ৩ পুত্রের জনক।

পরিবারের বর্তমান ঠিকানাঃ
ফজলুল হকের পৈতৃক নিবাস চন্দরপুরে হলেও সিলেট নগরীতে রয়েছে তাদের নিজস্ব আবাস। নগরীর আম্বরখানাস্থ জালাবাদ ১০/৭ আর.এ গোলাপকুঞ্জ ঠিকানায় বর্তমানে তাদের পরিবারের লোকজন বসবাস করছেন। তবে গ্রামের সাথে রয়েছে তাদের নিবিড় সম্পর্ক।



শিক্ষাজীবনঃ

ফজলুল হক বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও তাঁর জন্ম, বেড়ে উঠা ও শিক্ষাজীবন পার হয়েছে দেশের মাটিতেই। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয় পৈতৃক ভূমি চন্দরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর ১৯৭৮ইং সালে চন্দরপুর আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত এস,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখার জন্য তিনি ভর্তি হন সিলেট এমসি কলেজে। তবে এখানে কিছুদিন অবস্থান করে নিজেদের বাসা ও ব্যবসার সুবাদে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। সেখানে গিয়ে তিনি মালিবাগের আবু জহুর জিফারী কলেজ থেকে ১৯৮০ইং সালে এইচ এস সি পাস করেন। পরবর্তীতে প্রবাসে পাড়ি জমানোয় তাঁর আর লেখাপড়া করা হয়ে উঠেনি।



প্রবাস জীবনঃ

ফজলুল হক উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮২ইং সালে লিবিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে প্রায় ৩বছর ৬মাস মিনিস্ট্রি অব কমিউনিকেশনে চাকুরিরত অবস্থায় দেশে ফিরে আসেন। এরপর আবার ১৯৮৪ইং সালে কুয়েত পাড়ি জমান। সেখান থেকে ১৯৮৬ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। সেই থেকে আজ অবধি তিনি যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছেন। বর্তমানে সেখানে তাঁর প্রপার্টি বিজনেস রয়েছে। যা গত ১৮বছর ধরে তিনি একটানা পরিচালনা করে আসছেন।


সংগঠক ফজলুল হকঃ




শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী ফজলুল হক একজন সফল সংগঠক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। একজন সংগঠক হিসেবে তিনি ১৯৯৬ সালে ব্রিটিশ-বেঙ্গলী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে'র প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন,  বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ১৯৯৮ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় ছিলেন ফজলুল হক। এছাড়া বুধবারীবাজার ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে, চন্দরপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে, চন্দরপুর উন্নয়ন সমিতি ইউকে-সহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য।





রাজনীতি অঙ্গনে ফজলুল হকঃ




সামাজিক অঙ্গনের পাশাপাশি ফজলুল হকের বিচরণ রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। তিনি ঢাকায় পড়ালেখাকালীন সময়ে সক্রিয় ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের (কভেন্ট্রি কনভেনশন হলে) জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়া বৃটিশ রাজনীতিতে লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির সক্রিয় সদস্য হিসেবে ২০০৬ সালে কাউন্সিলর পদে পার্টির মনোনয়ন পেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।





শিক্ষানুরাগী ফজলুল হকঃ

শিক্ষার উন্নয়নে ফজলুল হকের অবদান অনবদ্য। তিনি গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি এ ট্রাস্টের একজন সফল সংগঠক ও সম্মানীত ট্রাস্টি। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে গোলাপগঞ্জ উপজেলাব্যাপী শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। এর বাইরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় সর্বদাই সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রী কলেজ ট্রাস্ট ইউকে'র প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি। এছাড়া বিভিন্ন সময় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা করে আসছেন প্রতিনিয়ত।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে'র পক্ষ থেকে শাহজালাল একাডেমির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করছেন গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে'র সভাপতি ফজলুল হক ফজলু ও সাধারণ সম্পাদক মখন মিয়া (২০১৬)।


 

সমাজসেবী ফজলুল হকঃ





ছাত্রজীবন থেকেই সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ফজলুল হক ফজলু। ৮০'র দশকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখাকালীন তিনি ঢাকায় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। এরপর প্রবাসে পাড়ি জমালেও নিজ মাটির মানুষের সেবায় সর্বদাই কাজ করে আসছেন। কখনও ব্যক্তিগতভাবে, কখনোবা সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন সবসময়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেও হয়েছেন আজীবন দাতা সদস্য। নিজের মরহুমা মেয়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ইউকে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শীতার্থ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ-সহ বিভিন্ন সামজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।



এর বাইরেও ফজলুল হক ফজলু অসংখ্য সংগঠনের সাথে রয়েছেন সম্পৃক্ত। তিনি বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (BBCC)-এর কর্পোরেট সদস্য। বিভিন্ন ট্রাস্টের আজীবন ট্রাস্টি-সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও খেলাধুলায় পৃষ্টপোষকতা করার পাশাপাশি তরুণদের মাঝে সমাজসেবার প্রতি উদ্দীপনা জাগাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।