Thursday, 30 September 2021

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে, যে সাজা হতে পারে ক্রিকেটার নাসিরের

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে, যে সাজা হতে পারে ক্রিকেটার নাসিরের



অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যাভিচার ও মানহানির অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই।প্রতিবেদনে তাদের বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে প্রতিবেদনটি দেন মামলার পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করে, নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি।  তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।  রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেন।  তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে। তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি।  আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি।


অন্যের স্ত্রীকে বিয়ের বিষয়ে আইন কী বলে?

অন্যের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও কোনো বিবাহিত নারীকে কোনো পুরুষ যদি ফুসলিয়ে বা প্ররোচনার মাধ্যমে যৌনসঙ্গম করার উদ্দেশে কোথাও নিয়ে যায় বা একই উদ্দেশে কোথাও আটকে রাখে তাহলে সেটি একটি অপরাধ যা দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডনীয়, অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। 


দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচারের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড। তবে ব্যভিচারের ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটির কোনো শাস্তির বিধান আইনে নেই।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে নাসিরের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড হতে পারে।

জানা গেছে, নাসিরের সহধর্মিণী তামিমা হোসেন তাম্মির এটাই প্রথম বিয়ে নয়।  তার আরও এক স্বামী রয়েছে এবং সেই সংসারে ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। আর সেই স্বামী-সন্তানকে ফেলে এসে নাসিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তামিমা।

তামিমার সেই স্বামীর নাম রাকিব হাসান। তার দাবি, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি।  তাদের ঘরে ৮ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।  তামিমা তাকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

রাকিব হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তামিমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর অনেক বছর তামিমার পক্ষের কোনো আত্মীয়স্বজনের দেখা পাইনি। বছরচারেক আগে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তামিমাকে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরি পাইয়ে দিই। এই চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সে (তামিমা) বদলে যেতে থাকে।  


নাসিরকে তামিমার বিয়ের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর আপ্লুতকণ্ঠে রাকিব হাসান বলেছিলেন, নাসিরের ফেসবুকে পোস্ট করা সেই বিয়ের ভিডিও আমার মেয়ে দেখে অঝোরে কাঁদছে। আমাকে কোনো নোটিশ না দিয়ে, কোনো কাগজপত্র না পাঠিয়ে কেন এভাবে অন্যের স্ত্রী হতে চলে গেল তামিমা? আমি বুঝতে পারছি না। এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি। আমার অবুঝ মেয়ে কী দোষ করেছে? যে এখন মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ভিডিও দেখে কাঁদছে?- এমন প্রশ্নও রাখেন তামিমার প্রথম স্বামী।

নাসির হোসেনের সঙ্গে কবে কীভাবে তামিমার যোগাযোগ হলো, সে বিষয়ে কিছু জানতেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, বছরখানেক আগে আমি তামিমার ইনস্টাগ্রামে নাসির হোসেনের সঙ্গে তার ছবি দেখেছিলাম। এমন একটি ছবি নাসিরও ফেসবুকে দিয়েছিল। তখন তামিমা বলেছিল, নাসির হোসেন তার বন্ধু।
রায়হানের মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন আকবর

রায়হানের মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন আকবর



সিলেটের আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদকে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে নির্মম নির্যাতনে মেরে ফেলেন বন্দরবাজার ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা। আলোচিত সেই হত্যা মামলায় এক বছরের মাথায় অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গৃহীত হয়েছে।


এর আগে কারাফটকে রায়হানের মা সালমা বেগম ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহ’র পা ধরে ক্ষমা চান ‘হত্যাকারী’ এসআই আকবরসহ বরখাস্তকৃত ৫ পুলিশ সদস্য।

বৃহস্পতিবার চার্জশিট গ্রহণের পর আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় সালমা বেগম ও হাবিবুল্লাহ’র। এসময় তারা জানান, কিছুদিন আগে রায়হান হত্যা মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তের স্বার্থে রায়হানের মা সালমা, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহকে পুলিশ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে নিয়ে সাক্ষী গ্রহণ করে। ওইসময় কারান্তরীণ আসামি বরখাস্তকৃত এস.আই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে রায়হানের পরিবারের সদস্যদের সামনে নিয়ে আসা হলে তারা রায়হানের মা ও সৎ বাবার পা ধরে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চান। তবে সালমা ও হাবিবুল্লাহ এস.আই আকবরদের কখনো ক্ষমা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এসময় তারা সালমা বেগমকে বলেন, ‘আমরা ভুল ইনফরমেশন পেয়ে রায়হানের মতো ভালো একটি ছেলেকে নির্যাতন করেছি। আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন।’

তবে তাদের এমন অনুনয়-বিনয়ে মন গলেনি সালমা বেগমের। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেও তো তোমাদের কাছে সেদিন প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলো। কিন্তু তোমরা সেদিন পাষণ্ড ছিলে। আমার ছেলের প্রাণ ভিক্ষা দাওনি। তাই আজ আমরাও তোমাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করবো না।’

উল্লেখ্য, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অবশেষে আদালতে গৃহিত হয়েছে। বাদীপক্ষ নারাজি না দেওয়ায় চার্জশিট দাখিলের প্রায় সাড়ে চার মাসের মাথায় এসে সেটি আদালতে গৃহিত হলো। এদিকে, চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসাথে তিনি নোমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট গৃহিত হওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত সকল আসামি হাজির ছিলেন।


 বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ ফজল চৌধুরী জানান, চার্জশিটে নারাজি দেওয়ার মতো তেমন কিছু ছিল না। তাই নারাজি দেওয়া হয়নি। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। আজ আদালতে রায়হানের মা, স্ত্রী, চাচাসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

গেল বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ ছিল। পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। গত ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
 
যে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।

অভিযুক্ত অপরজন আব্দুল্লাহ আল নোমান, যার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভারতে পালিয়ে গেছে।

এদিকে, পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, রায়হান হত্যা ঘটনার পর পালিয়ে যান এসআই আকবর। পরে গেল বছরের ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন, ১০ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তা; আদালত সাত দিনের আবেদনই মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৭ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আকবরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
দাঁড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিকারী গোলাপগঞ্জের সেই শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার

দাঁড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিকারী গোলাপগঞ্জের সেই শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার


নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি এমসি একাডেমিতে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে সরগরম ছিলো গোলাপগঞ্জ উপজেলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ঝড় বয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভাইরাল ইস্যুর সমাধান নিয়ে এক জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে জরুরি সভায় তাদেরকে সন্তুষ্টমূলক সমাধান দেয়া হয়। 

জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক উজ্জ্বল কুমারকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ড থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।উজ্জ্বল কুমারের পক্ষ থেকে লিখিত ও মৌখিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। ছাত্রদের যে জোর দাবি ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি সেটা আইনগত জটিলতার কারণে তৎক্ষনাৎ সম্ভব না হওয়ায় সময় চাওয়া হয়েছে ও প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের সমস্ত পদক্ষেপ শেষ হওয়ার পর সেটার কাজ শুরু হবে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটবেনা এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

এমসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিসবাহ, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ সরকারি এমসি একাডেমির শিক্ষকবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন

নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন



ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী মো. রাকিব হাসান এ আবেদন করেন।


তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।  রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা নাসির হোসেনকে বিয়ে করেন। 

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের দাখিল করা এমন প্রতিবেদনের পরই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী মো. রাকিব হাসান।

সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তালাক বৈধ না হওয়ায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী।  

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে।  তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি।  আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে ডাকবিভাগের তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


এর আগে ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।  গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।  ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এর পর শুনানি শেষে বিকালে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়।  তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।  চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।


‘তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সি শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ও ৩৪ ধারায় অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দানে আদালতের মর্জি হয়।’
জকিগঞ্জে রাতভর ডাকাত আতঙ্ক!

জকিগঞ্জে রাতভর ডাকাত আতঙ্ক!



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় গতকাল রাতভর ডাকাত আতঙ্কে ছিলো। গভীর রাতে হঠাৎ করেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে পৌর এলাকায় ২ গাড়ি ডাকাত ঢুকে পড়েছে। এমন খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সবদিকে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সাধারণ লোকজন ছিলেন সর্তক অবস্থানে। থানা পুলিশও বৃদ্ধি করেছিলো টহল। বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ টিম।


থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ফেসবুকে হঠাৎ করে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারণে জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের নির্দেশনায় পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওসি আবুল কাসেমের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতদলের সন্ধানে অভিযান চালিয়েছে। তবে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত কোথাও ডাকাতদলের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি।
 
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ  থানার ওসি আবুল কাসেম বলেন, ফেসবুকে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তিনি পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে সর্তক অবস্থানে ছিলেন। কোথাও ডাকাতদলের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়নি।


ফেসবুকের খবর কতটুকু নির্ভরযোগ্য হতে পারে এমন প্রশ্নে বলেন, এটা রিউমার (গুজব) হতে পারে। পুরো উপজেলায় পুলিশ খুবই সর্তক ছিলো।
নাসির-তামিমার বিয়ে বৈধ নয়: পিবিআইর প্রতিবেদন

নাসির-তামিমার বিয়ে বৈধ নয়: পিবিআইর প্রতিবেদন




ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি। তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।  রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা নাসির হোসেনকে বিয়ে করেন। 


পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রতিবেদনে (পিবিআই) এসব তথ্য উঠে এসেছে।  
 
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তালাক বৈধ না হওয়ায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী।  

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে।  তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি।  আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে ডাকবিভাগের তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


এর আগে ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।  গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।  ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এর পর শুনানি শেষে বিকালে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়।  তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।  চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

‘তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সি শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ও ৩৪ ধারায় অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দানে আদালতের মর্জি হয়।’

Wednesday, 29 September 2021

এবার ‘মানিকে মাগে হিতে’ গাইলেন রানু মণ্ডল, (ভিডিও)

এবার ‘মানিকে মাগে হিতে’ গাইলেন রানু মণ্ডল, (ভিডিও)



‘মানিকে মাগে হিতে’ গানটি গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন শ্রীলংকান গায়িকা ইওহানি। এরপর অনেক শিল্পীই গানটি গেয়েছেন। অনেকদিন গান থেকে দূরে থাকা রানু মণ্ডলও এবার গাইলেন শ্রোতাপ্রিয় গানটি। এর দুই বছর আগে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক পেয়ার কা নগমা হ্যায়’ গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন রানু। লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়েছিলেন মাটিতে বসে। এ বার তিনি লাল টি-শার্ট পরে গান গাইলেন। 

ইতিমধ্যে রাণুর সেই নতুন ভিডিও ৬২ হাজার মানুষ দেখেছেন। ‘পছন্দ’ জানিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার জন। রানাঘাটের রানু, সিংহলী ইওহানির উচ্চারণকে নকল করে মনের আনন্দে হাসতে হাসতে গান গাইলেন। ভিডিওর শেষে প্রশংসা করেছেন ইউটিউবার। বললেন, ‘অসাধারণ, অসাধারণ!’ প্রশংসায় আপ্লুত রানুও এক গাল হেসে দিলেন।

ভিডিওঃ