Thursday, 21 October 2021

বৈধ-অবৈধ কোনো মোবাইল সেট বন্ধ না করার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

বৈধ-অবৈধ কোনো মোবাইল সেট বন্ধ না করার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের


দেশে অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধে গত ১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা চালু করা হয়।তিন মাস পর ১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

৭ অক্টোবর বিটিআরসি গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানায়, গত ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত- এই পাঁচদিনে দেশে ২ লাখ ৮ হাজার ৪টি অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ফোনগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।তবে সেসব মোবাইল সেট প্রমাণ দিয়ে নিবন্ধনের কথাও বলা হচ্ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষেরা বিদেশ থেকে নিয়ে আসা ও উপহার হিসেবে পাওয়া ফোনসেট নিবন্ধনে ভোগান্তির তথ্যও পাওয়া যাচ্ছিল।

এ অবস্থায় মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন আনছে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যে কোনো মোবাইল সেট নেটওয়ার্কে চালু হলে- তা বন্ধ না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ মোবাইল সেট বৈধভাবে আমদানি হোক কিংবা অন্য কোনোভাবে আসুক- তা গ্রাহক ব্যবহার শুরু করলে আর বন্ধ করা হবে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবস্থাটি চালুর পর মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।এখনো বাজারে বিক্রি হওয়া মোট ফোনের ৭০ শতাংশ হয় ফিচার ফোন। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তাদের জন্য নিবন্ধন একটি ভোগান্তির কাজ। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ জানে না মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর দিয়ে কীভাবে বৈধ-অবৈধ যাচাই করতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার জানান, এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন।তিনি (সজীব ওয়াজেদ জয়) মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে- সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবার প্রকাশ হলো মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে ইকবালের বের হওয়ার ভিডিও

এবার প্রকাশ হলো মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে ইকবালের বের হওয়ার ভিডিও



কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার আরও একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের দাবি করা ইকবাল নামের ওই ব্যক্তি কীভাবে মসজিদ থেকে কোরআন সংগ্রহ করেন এবং এরপর কীভাবে মন্দিরের দিকে বের হয়ে যান।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার আগের দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মসজিদে প্রবেশ করেন হাফেজ হুমায়ুন ও খেদমতকারী ফয়সাল এবং রাত ১১ দিকে প্রবেশ করেন ইকবাল। এরপর তাদেরকে পরামর্শ করতে দেখা যায়। রাত সোয়া ২টার দিকে কোরআন হাতে নিয়ে মসজিদের মেঝেতে রেখে বের হন ইকবাল। এর কিছুক্ষণ পর মেঝে থেকে কোরআন হাতে তুলে নিয়ে বের হন তিনি। এরপর পূজামণ্ডপের যাওয়ার পথের সিসিটিভি ফুটেজে তাকে কোরআন হাতে দেখতে পাওয়া যায়।

আগে প্রকাশ পাওয়া অপর ফুটেজে দেখে গেছে, কোরআন সদৃশ গ্রন্থটি নিয়ে পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করে হনুমানের হাতে থাকা গদাটি নিয়ে অন্যদিকে চলে যান। পুলিশের দাবি, ইকবাল নামের ওই ব্যক্তিই মণ্ডপে কোরআন রেখে আসেন।

এর আগে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ওই যুবকের নাম ইকবাল হোসেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের বিবৃতি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের বিবৃতি


দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই অমানবিক ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। 

‘কোরআন অবমাননার’ ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে অনেকের মতো আমাদেরও সন্দেহ। কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের জন্য এই ঘটনা সাজিয়েছে বলে আমরা মনে করি। এরকম ঘটনা সাজিয়ে তারা সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রীদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছেন। জনগন সচেতন হলে ষড়যন্ত্রীরা কোনোভাবেই তাদের ষড়যন্ত্র সফল করতে পারত না। জনগণকে সচেতন করা, তাদের মননকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তোলার দায় রাষ্ট্রের। 

কুমিল্লার ঘটনায় আমরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। 

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। 

তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৭২ রানের বিশাল ব্যাবধানে জয় পায় শ্রীলংকা। 


বৃহস্পতিবার বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের নবম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি। 

এদিন আমিরাতে আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ। 

দলের হয়ে ২৮ বলে ৩ চার ও তিন ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া ৩৭ বলে তিন ছক্কায় ৪৬ রান করেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। 

২৩ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান করে ২৯ রান করেন ওপেনার লিটন দাস। ১৪ বলে ২১ রান করেন আফিফ হোসেন। 
ইনিংসের শেষ ওভারে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ ওভারেই ২০ রান আদায় করে নেয় বাংলাদেশ।

সাইফউদ্দিন মাত্র ৬ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৯ রান। তার কারণেই পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ১৮১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

১৮২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়া নিউগিনি।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ব্রেক থ্রু উপহার দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাপুয়া নিউগিনির ওপেনার লিগা সিকা।


চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান তাসকিন আহমেদ। তার দ্বিতীয় বলে শিকার হয়ে ফেরেন পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা।

পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে পাপুয়া নিউগিনি শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। তার শিকার হয়ে ফেরেন চার্লস আমিনি ও সাইমন আতাই। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসে সাকিব ফেরান সিস বাউকে। 

৯.২ ওভারে দলীয় ২৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে নরম্যান ভানুয়াকে ফেরান অফ স্পিনার মেহেদি হাসান। 
ইনিংসের ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে হিরি হিরিকে সাজঘরে ফেরান সাকিব।  এদিন ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এই অলরাউন্ডার। চলতি বিশ্বকাপে এটাই সেরা বোলিং ফিগার। 

এদিন ৪ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড ৩৯ উইকেট শিকার করা পাকিস্তানের কিংবদন্তিকে ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব।

দলীয় ৫৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে চাদ সোপারকে আউট করে সাইফউদ্দিন। 

১৭.৪ ওভারে দলীয় ৮০ রানে রান আউট হয়ে নবম ব্যাটসম্যাস হিসেবে ফেরেন কবুয়া মোরিয়া। পাপুয়া নিউগিনি শিবিরে শেষ পেরেকটি মারেন তাসকিন আহমেদ। ড্যামিয়েন রাভুর বিদায়ের মধ্য দিয়ে  ১৯.৩ ওভারে ৯৭ রানে আলআউট হয় পাপুয়া নিউগিনি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮১/৭ রান (মাহমুদউল্লাহ ৫০, সাকিব ৪৬, লিটন ২৯, আফিফ ২১, সাইফউদ্দিন ১৯)।

পাপুয়া নিউগিনি: ১৯.৩ ওভারে ৯৭/ (কিপলিন ডোরিগা ৪৬*, চাদ সোপার ১১; সাকিব ৪/৮, তাসকিন ২/১২, সাইফউদ্দিন ২/২১)। 

ফল: বাংলাদেশ ৮৪ রানে জয়ী
আফ্রিদিকে ছুঁয়ে বিশ্বকাপে সাকিবের ইতিহাস

আফ্রিদিকে ছুঁয়ে বিশ্বকাপে সাকিবের ইতিহাস



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।

বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৪৬ রান করার পর বল হাতেও দুর্বার সাকিব। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। 

এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। 

বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটসম্যান চার্লস আমিনি, সেস বাউ, সাইমন আতাই ও হিরি হিরিকে আউট করার মধ্য দিয়ে আফ্রিদিকে ছুঁয়ে ফেললেন সাকিব আল হাসান।

সাকিবই বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৬শতাধিক উইকেট শিকার করেন।
জ্বর কোনো রোগ নয়, জানুন এর ইতিকথা

জ্বর কোনো রোগ নয়, জানুন এর ইতিকথা


জ্বর। এটি কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র। এখন তো জ্বর শব্দটি প্রতিটি মানুষের কাছে আতঙ্ক। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে বিভিন্ন জ্বরের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাতে আতঙ্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। কলকাতাসহ অন্যান্য জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে অনেকের প্রাণ গেছে। যে কোনো মৃত্যুই বেদনার। তবে অনেক সময় দেখা যায় রোগীর পরিবার মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রথমে ডাক্তারকেই দায়ী করে। এটা মোটেই কাম্য নয়। কেননা ডাক্তাররা রোগীকে বাঁচাতেই চান। রোগীরা প্রথমে নিজেরা কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে যান। তুকতাক করে বিফল হন, কেউ বা নিজের ডাক্তারি নিজে করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হন, আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও হয়।
প্রথমেই উল্লেখ করেছি জ্বর কোনো রোগ নয়। বিভিন্ন ধরনের জ্বর হতে পারে। তবে সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গি, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, নিউমোনিয়া, হাম, ফুসফুস এবং প্রস্রাবের সংক্রমণ ইত্যাদি নানা কারণে জ্বর হতে পারে। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ডেঙ্গি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা খুবই কঠিন। যেহেতু বর্তমানে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি তাই এ রোগ নিয়ে প্রাথমিক ধারণা জানিয়ে রাখি।
ডেঙ্গি
ডেঙ্গি একটি ভাইরাস। ভাইরাসজনিত রোগের সাধারণত কোনো প্রতিষেধক নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। ডেঙ্গি অভিধান অনুযায়ী ইংরেজি শব্দটির প্রকৃত উচ্চারণ ডেঙ্গি, তবে ডেঙ্গি শব্দটি বহুল প্রচলিত। অন্যান্য ভাইরাল রোগের মতো এরও কোনো প্রতিষেধক নেই, টিকাও নেই। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়। অন্য ভাইরাল ফিভারের মতো এটিও আপনা-আপনি সেরে যায় সাত দিনের মধ্যে। তবে মূল ভয়টা হচ্ছে এর পরবর্তী জটিলতা নিয়ে। যদি সময়মতো ডেঙ্গির যথাযথ চিকিৎসা করা না যায়, তবে রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। দেখা দেয় ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভার বা রক্তক্ষরণকারী ডেঙ্গিজ্বর।
সাধারণত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গি ভাইরাস এডিস মশার দেহে ঢোকে। সেই ভাইরাসবাহী এডিস মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ডেঙ্গি ভাইরাস তার দেহে ঢুকে পড়ে এবং আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। কাজেই যেহেতু এডিস মশা এ রোগের বাহক, তাই আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের এলাকাজুড়ে মশা মারার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রও ধ্বংস করতে হবে।
লক্ষণ: হঠাৎ করে জ্বর। কপালে, গায়ে, চোখে ব্যথা। চোখ নাড়ালে, এদিক ওদিক তাকালেও ব্যথা। দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া। পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া। কালো কিংবা লালচে কালো রঙের পায়খানা, এমনকি প্রস্রাবের সঙ্গেও অনেক সময় রক্ত বের হতে পারে। ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভার খুবই মারাত্মক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
কীভাবে বোঝা যাবে: অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অস্থিরতা, অবসন্নভাব, পেটে তীব্র ব্যথা, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, বেশি বেশি প্রস্রাব হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্র রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ফের রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। প্রচুর তরল খাবার খাওয়াতে হবে। পরিশুদ্ধ পানি যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সময়মতো সঠিক ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গি হেমারেজিক জ্বরও সারিয়ে তোলা যায়। বেশি রক্তক্ষরণ হলে ফ্রেশফ্রোজেন প্লাজমা কিংবা কনসেনট্রেটেড প্লেটলেট, অথবা প্রয়োজনে হোল ব্লাড প্রয়োজন হতে পারে।

রোগীর মৃত্যু হয় কেন: অত্যধিক তাপমাত্রার জ্বরের জন্য দেহে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। কোষের অভ্যন্তরীণ তরল কমে যায়, আশপাশের রক্তনালিতে চাপ পড়ে, শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ইন্টারনাল ব্লিডিং। বেশি মাত্রায় রক্তক্ষরণ চলতে থাকলে অণুচক্রিক বা প্লেটলেট সংখ্যা কমে যায়। প্লেটলেট কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ফলে ধীরে ধীরে রক্তক্ষরণ আরও বাড়তে থাকে। দেখা দেয় শক সিন্ড্রম। শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অভাবে রোগীর দ্রুত অবনতি ঘটে। রোগীর মৃত্যু হয়।
কোন পরীক্ষা করতে হবে: রোগের লক্ষণ দেখে চিকিৎসকের পরামর্শমতো রক্তে বিশেষ অ্যান্টিবডির উপস্থিতি নির্ণয়ের মাধ্যমে সাধারণত ডেঙ্গি শনাক্ত করা হয়। প্রথমদিন এনএসআই পরীক্ষা, চতুর্থদিনের মাথায় প্লেটলেট কাউন্ট করাতে হবে। এটি ব্যয়বহুল পরীক্ষা হলেও করতে হবে। সাধারণ জ্বর যদি উচ্চ তাপমাত্রায় (১০৩-র বেশি) হয়, তাহলে প্রথমেই রক্তের একটি রুটিন পরীক্ষা করে আণুচক্রিকা বা প্লেটলেট কাউন্ট দেখে নেওয়াটা জরুরি। যদি প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা সংখ্যায় এক লাখের কম হয়, তাহলে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসা: বেশিরভাগ ডেঙ্গিজ্বরই সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়। প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খাওয়া, বিশ্রাম ও তরল খাবার, ওআরএস, নুন-চিনির পানি খেতে হবে। সঙ্গে জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ সাধারণ ডেঙ্গির চিকিৎসা। তবে ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে অ্যাসপিরিন বা ক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ মোটেই নয়। এতে রক্তক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। জ্বরের সঙ্গে রক্তক্ষরণের লক্ষণ দেখামাত্র হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে বিশেষ চিকিৎসার জন্য।
কখন মশা কামড়ায়: ডেঙ্গির মশা, মানে এডিস মশা সকাল-সন্ধ্যায় কামড়ায়। ভোরে সূর্যোদয়ের আধঘণ্টার মধ্যে এবং সন্ধ্যায়। সূর্যাস্তের আধঘণ্টা আগে এডিস মশা কামড়াতে পছন্দ করে। তাই এ দুই সময়ে মশার কামড় থেকে সাবধান থাকতে হবে। আমরা যদি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকি, তাহলে ডেঙ্গিকে অনেকটাই মোকাবেলা করা সম্ভব। কাজেই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে নিজের ঘর ও আঙিনায় মশার উৎস ধ্বংস করুন। ফুলের টব, পুরোনো ক্যান বা পাত্র, এসি মেশিনের জমা পানি, গামলা, গাছের কোটরে জমা পানি পরিষ্কার, ছোট আবদ্ধ জায়গায় যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে। এসব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে।
চিকুনগুনিয়া 
চিকুনগুনিয়া জ্বরের কারণ একটি আলফা ভাইরাস, গোত্র টোগা ভাইরাস। এটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গির বাহক এডিস মশা চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসেরও বাহক। অন্যান্য মশার কামড়েও এ রোগের বিস্তার হতে পারে তবে তা সীমিত আকারে। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং বমি। হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে যাওয়া এ লক্ষণ চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গির মধ্যে প্রধান পার্থক্য। ডেঙ্গিতে অস্থিসন্ধি ফোলে না। চিকুনগুনিয়ায় উলটো। এডিস মশা কামড়ানোর ৩-৭ দিনের ভেতর চিকুনগুনিয়া জ্বরের আক্রমণ হয়। এ জ্বর কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা কয়েক মাস থাকতে পারে। একবার চিকুনগুনিয়া হলে সারা জীবনে আর চিকুনগুনিয়া জ্বর হয় না। চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসায় কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। এ জ্বরের কোনো টিকা নেই। জ্বরের চিকিৎসায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এবং প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ থেকে বিরত থাকতে হবে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া জ্বর শনাক্ত করা যায়, তবে সাধারণত রক্ত পরীক্ষা ছাড়া রোগের লক্ষণ দেখেই চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করা হয়ে থাকে। এ জ্বরে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম বা অতি বিরল।

ভাইরাল ফিভার 
ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাস জ্বর বছরের যে কোনো সময় হতে পারে। তবে সাধারণত গ্রীষ্মকালেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। ভাইরাল ফিভার ভাইরাস জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। জ্বরের শুরুতে এর প্রকৃতি বোঝা না গেলেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাল ফিভার চিহ্নিত করা সম্ভব। সাধারণ লক্ষণ হলো হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ও হাতে-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা করা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, শরীরের চামড়ায় বা ত্বকে র্যা শ দেখা দেওয়া ইত্যাদি। 
একই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত জ্বরের কারণে কখনো কখনো খিঁচুনি হতে পারে। এ সময় দ্রুত জ্বর কমাতে সারা শরীর ভিজে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছতে হবে। মাথায় পানি দিতে হবে। রোগীকে পাখার তলায় রাখুন। জ্বর ও শরীরের ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। জ্বর বেশিমাত্রায় (১০২) হলে, মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করুন। খাবার স্যালাইন, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এবং অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। অন্যান্য উপসর্গের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না। রোগীকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ করান। সব খাবারই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে। তবে তরল খাবার অবশ্যই বেশি বেশি খাওয়া উচিত। টক জাতীয় ফল যেমন- বাতাবি লেবু, আমড়া, কমলালেবু ইত্যাদি খেতে হবে।
সংক্রামক ভাইরাল ফিভার যেমন- ইনফ্লুয়েঞ্জা, পক্স, মাম্পস এসব ক্ষেত্রে রোগ যাতে অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য আক্রান্ত রোগীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা করলে ভালো। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে নিরাপদ দূরে থাকুন। রোগীর কাপড় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ডেঙ্গিজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সব সময় মশারির ভেতরে রেখে পরিচর্যা করুন। শিশু এবং বৃদ্ধদের ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে রাখুন। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেন।
ম্যালেরিয়া 
বিশেষ এক ধরনের মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া রোগ হয়। উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। এ রোগে আক্রান্ত হলে বারবার জ্বর এবং কাঁপুনি দেখা দেয়। এটি এমনকি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। স্ত্রী এনোফিলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়ায়। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে মশা কামড়ালে তখন এটি নিজের মধ্যে এক ধরনের জীবাণু গ্রহণ করে। এ মশা অন্য কাউকে কামড়ালে তখন তার রক্তে ম্যালেরিয়া জীবাণু ছড়ায় এবং তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। গর্ভবতী মহিলা যদি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন তাহলে তার গর্ভে থাকা সন্তানের মধ্যেও জীবাণু ছড়ায়। আবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি কাউকে রক্ত দিলে তারও সংক্রমণ হতে পারে।
ম্যালেরিয়া হলে সামান্য অথবা তীব্র কাঁপুনি, শীত অনুভূত হওয়া, প্রচণ্ড জ্বর, অত্যধিক ঘাম, ক্লান্তি, অবসাদ ছাড়াও মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দুইবার রক্ত পরীক্ষা করতে হতে পারে। প্রথম সতর্কতা হিসেবে মশারি ব্যবহার করতে হবে। ঘরের দেওয়ালে কীটনাশক ওষুধ দিলে ভালো হয়। এ রোগ হলে রক্তশূন্যতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, শরীরে পানিশূন্যতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
টাইফয়েড
টাইফয়েড জ্বরের জন্য স্যালমোমেলা বা ব্যাসিলাস টাইফোসা নামক ব্যাকটেরিয়া দায়ী। সাধারণ দূষিত খাবায় এবং পানির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে টাইফয়েড হতে পারে। এ রোগ হলে তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, পায়খানায় সমস্যা, ডায়রিয়া, চামড়ায় লালচে দানা বা র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। এছাড়া শরীরের ওজন কমতে পারে, পেট ফোলা, পেট ফাপতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী প্রলাপও বকে। এক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস জানা দরকার, রক্ত পরীক্ষা, বোনম্যারো টেস্ট জরুরি। রোগ ধরা পড়লে কালবিলম্ব না করে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। পথ্য বলতে পর্যাপ্ত তরল খাবার। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারই ভালো। এ রোগ প্রতিরোধে রোগীকেই সচেতন হতে হবে। ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার খেতে হবে। বাসি খাবার বিশেষ করে শাকসবজি না খাওয়াই ভালো। সবজি গরম করে খাওয়া উচিত।

Wednesday, 20 October 2021

কুমিল্লার মণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তির পরিচয় জানাল পুলিশ (ভিডিও)

কুমিল্লার মণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তির পরিচয় জানাল পুলিশ (ভিডিও)


সিসি টিভি ফুটেজে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তির নাম পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।


বুধবার (২০ অক্টোবর) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখেছি। এতে এক যুবক মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে রাস্তার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম তার হাতে কোরআন শরিফ নেই। হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে তিনি ঘোরাঘুরি করছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ওই ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই যুবক মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে তাকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না। এখন পর্যন্ত তিনি ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছি। যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি কুমিল্লার পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছে।


উল্লেখ, গত ১৩ অক্টাবর সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তরপাড় পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননার অভিযোগে রঘুরামপুর গ্রামের মো. ফয়জ (৪১) ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনাটি প্রচার করেন। দৃশ্যটি লাইভ প্রচার ও মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সেদিন রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একমাত্র আসামি কর মামলা করে।

কুমিল্লার ঘটনায় এ পর্যন্ত জেলার তিনটি থানায় মোট আটটি মামলা হয়েছে। এই আট মামলায় অজ্ঞাত অন্তত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়েছেন ছয় মামলার।


ভিডিওঃ