Thursday, 17 February 2022

অনলাইনেই চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইনেই চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনলাইনে চলবে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরও ১০ থেকে ১৪ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ব্রিফিংয়ে সব প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাদের দুই ডোজ টিকা দেওয়া আছে, শুধু তারাই সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ম ডোজ টিকা পেয়েছেন এক কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন। আর দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন।

এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালু করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকে পাঠদান শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরও দুই সপ্তাহ পর নেওয়া হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পাঠদানের সময়সূচি ঠিক করে নেবে। তবে ২২ তারিখ থেকেই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চালু করতে পারবে।

করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেন দীপু মনি। বলেন, সব ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিধিবিধান থাকবে।  

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তাদের টিকা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

প্রাথমিকে ক্লাস শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে ২২ তারিখের পর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করবে। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিকেও ক্লাস শুরুর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এখনও যে অবস্থা আছে তাতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে নিয়ে আসছি না। আমরা আরেকটু অপেক্ষা করছি। কারণ তাদের তো টিকা দেওয়া হয়নি।  আমরা সপ্তাহ দুয়েক সর্বোচ্চ দেখব। আমরা আশা করছি সপ্তাহ দুয়েক পর সংক্রমণ কমে আসবে এবং আমরা তাদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে অর্থাৎ ১২ বছরের নিচে যারা তাদের টিকাদানের ব্যাপারেও একটা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়গুলো দেখছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পর ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।  

দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। যুগান্তরকে বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

জাতীয় কমিটির পরামর্শ ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে শিশুদের নয়। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুরা যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, তাদের এখন স্কুলে যেতে কোনো বাধা নেই। 

বুধবার রাত ১০টায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

বৈঠক শেষে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেছিলেন, যেহেতু সংক্রমণ হার অনেকটা কমেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলেছি। কখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে সেটি শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেবেন।

তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেওয়া হয়নি জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে।    

Wednesday, 16 February 2022

মুনিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে মিম

মুনিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে মিম


কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফা রহমান মিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিমকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ জানান, মিমকে রিমান্ডে চাওয়া হয়নি, কিন্তু তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা পর্যন্ত জেলে আটক রাখার আবেদন করা হয়। প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় রিমান্ড চাওয়া হবে।

সাইফা রহমান মিম জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের সাবেক স্ত্রী। মিম এ হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি।

আরো পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলায় হুইপপুত্রের সাবেক স্ত্রী মিম গ্রেপ্তার

গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন মোসারাতের বড় বোন নুসরাত জাহান। এ মামলায় গত জুলাই মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গত ১৮ আগস্ট পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। ফলে মামলা থেকে অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।

এরপর মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করা হয়। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

পরে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আনভীর হাইকোর্টে আবেদন জানান। 
২৬ ফেব্রুয়ারি পর সিলেটে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া বন্ধ

২৬ ফেব্রুয়ারি পর সিলেটে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া বন্ধ


নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নানা আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই দেশে এখন পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার মিলিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৮ ডোজ। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সিলেট সহ সারাদেশে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শেষ হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। যারা এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ পাননি তাদের বিশেষ টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় এনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এরপর আর কোনো স্থানেই প্রথম ডোজ না দিয়ে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সময়ের মধ্যেই প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শেষ করতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সরকারিভাবে দেশের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা।
 
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৯৫৩ জনকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। এর মাঝে ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজার ২১ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও এক কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার ৯৩২ জনকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ সংখ্যক জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ প্রয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা সারাদেশে একটি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি। এদিন আমাদের সর্বোচ্চসংখ্যক ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। আমরা এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানাই। এর মাধ্যমে আমাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে।

সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে আমরা দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকব। তাই আর দেরি না করে সবাই এসে কোভিডের ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন ও দেশকে সুরক্ষিত রাখুন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে— যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ও যারা মৃত্যুবরণ করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই ভ্যাকসিন নেননি। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুহার কম। এমন অবস্থায় আমরা সবাইকে আহ্বান করছি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য।

যারা এখন পর্যন্ত এক ডোজও পাননি তাদের ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাও। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১০ কোটির অধিক প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছি। ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে আমরা আরও কিছুদিন সময় পাচ্ছি। আশা করছি এর মাঝেও সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েই আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারব। রাজধানীতে ইতোমধ্যেই ভাসমান নাগরিকদের মাঝে ও দোকান কর্মচারীদের আমরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছি। অন্যান্য পেশারও যদি কেউ এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন না পেয়ে থাকে তবে তাদের আমরা তা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই।
 
আশা করছি আমাদের যে সক্ষমতা তাতে ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে আরও অন্তত ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো। তিনি বলেন, এই কয়েকদিনের নিয়মিত ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষে আমরা ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেবো। এদিন আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির মাঝেই আমরা প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষ করব। এরপরে আমরা দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে জোর দিতে চাই। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক বলেন, আমাদের ভ্যাকসিনের কোনো সঙ্কট নেই। প্রতিটা কেন্দ্রেই নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি যারা এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেননি তারা খুব দ্রুতই সেটা গ্রহণ করে নিজেদের সুরক্ষিত করবেন।

এ দিকে বিভিন্ন জেলা পর্যায়েও ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য নেওয়া হচ্ছে নানা রকমের পরিকল্পনা। দেশে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭০৯ জন। কিন্তু এই সময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগে পিছিয়ে ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিবাসীরা। তবে এই জেলাতেও বেড়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগের হার। এর আগে, দেশে ২৭ জানুয়ারি প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

একই দিন ভ্যাকসিনের নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (www.surokkha.gov.bd) সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অফিসিয়ালি এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে নিবন্ধন শুরু করা হয়। কর্মসূচি উদ্বোধনের একদিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রাথমিকভাবে ৫৪১ জনকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। এদিন জানানো হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ে।

২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা হয়। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সারা দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এর পরপরই বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়। ২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে দেশে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ২৩ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের জন্য এসএমএস পাঠানো হচ্ছে না।

২৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে। তবে এটি চালু কবে হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার ওপরে নির্ভর করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশে ১৯ জুন থেকে শুরু হতে হয় চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া সিনোফার্মের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। রাজধানীর চারটি মেডিকেল কলেজসহ দেশের অন্যান্য ৬৩ জেলায় এক যোগে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করে সরকার। চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া এই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ১০টি ক্যাটাগরিতে পাঁচ লাখ মানুষকে টার্গেট করা হয়। 
জকিগঞ্জ থানায় নতুন ওসি মোশাররফ হোসেন

জকিগঞ্জ থানায় নতুন ওসি মোশাররফ হোসেন




সিলেট জেলা পুলিশের জকিগঞ্জ থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মোঃ মোশাররফ হোসেনকে পদায়ন করা হয়েছে।

বুধবার তাকে জকিগঞ্জ থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ পদে পদায়ন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র লুৎফুর রহমান।

এর আগে তিনি সিলেট মেট্রপলিটন পুলিশের কতোয়ালি এবং এয়ারপোর্ট থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জকিগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি আবুল কাশেমকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। 
যে রোগে মারা গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী

যে রোগে মারা গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী


উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী আর নেই। মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
 
বাপ্পী লাহিড়ী একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ড. দীপক নামজোসি জানিয়েছেন, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মারা গেছেন বাপ্পী লাহিড়ী।
 
এই রোগে ঘুমানোর সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায়। অর্থাৎ শ্বাস কখনো শুরু হয়, কখনো আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তবে সবচেয়ে বেশি যা দেখা যায়, তা হলো অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া।

এই রোগে আক্রান্তের গলার পেশি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শিথিল হয়ে যায়। এই পেশি মুখগহ্বরের টাকরা, আল জিভ, জিহ্বা ও টনসিলের মতো অংশগুলোকে ধরে রাখে। ফলে এই পেশির শিথিলতায় শ্বাস নেওয়ার পথটি রুদ্ধ হয়ে আসে ও ঘুমের সময় আচমকা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।

এই রোগের একটি লক্ষণীয় উপসর্গ হলো সশব্দে নাক ডাকা। এছাড়াও ঘুমের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে আসা, আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়া ও মুখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায় এই রোগে।
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ সেকেন্ডের বেশি এমন অবস্থা থাকলে দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশ কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত ওজন, বার্ধক্য উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসনালীর সমস্যা এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।
একটি গবেষণা বলছে, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এই রোগের ফলে ঘুমের মধ্যে হ্রদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

এই ফেব্রুয়ারি মাসেই এ নিয়ে সঙ্গীতের তিন মহাতারকা হারাল ভারত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান লতা মঙ্গেশকর।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১১ জানুয়ারি লতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গত ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালেই থাকতে হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি।

আর গতকাল রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা গানের স্বর্ণালী যুগের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জানা যায়, শৌচাগারে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরপর শুরু হয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা। দুটি ফুসফুসেই সংক্রমণ ধরা পড়েছিল নন্দিত গায়িকার। চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

১৯৭০-৮০ দশকে ‘চালতে চালতে,’ ডিস্কো ড্যান্সার এবং শারাবির মতো বেশ কিছু গান দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেন বাপ্পী লাহিড়ী। বাঘি থ্রিয়ের জন্য ভানকাস গানটি ছিল বলিউডে বাপ্পী লাহিড়ীর শেষ গান।

অন্য আর সব শিল্পী ও সুরকার থেকে বাপ্পী লাহিড়ীকে সহজেই আলাদা করা যায় তার শরীরে থাকা সোনার অলংকার ও সানগ্লাসের জন্য।
 
বলিউডে ভালোবেসে বাপ্পী লাহিড়ীকে সকলে ‘বাপ্পী দা’ বলে ডাকতেন।
 
গত বছরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিংবদন্তী এই সঙ্গীত শিল্পী। সে সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে নিজেদের মুখ সেলাই করছেন অভিবাসীরা

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে নিজেদের মুখ সেলাই করছেন অভিবাসীরা



মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছাতে নিজেদের মুখ সেলাই করছেন অভিবাসীরা। মুখ সেলাই করা এসব অভিবাসীর সংখ্যা এক ডজন। নথিপত্রহীন এসব অভিবাসী মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থান করছেন এবং মেক্সিকো হয়ে মার্কিন সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে উত্তর আমেরিকার এই দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অনুমতি আদায়ে ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।

মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থান করে মুখ সেলাই করা অভিবাসীদের অনেকের ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থান করা এসব অভিবাসীর বেশিরভাগই মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের। সুঁচ ও প্লাস্টিকের সুতো ব্যবহার করে তারা একে অপরের মুখ সেলাই করতে সহায়তা করছেন।

রয়টার্সের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঠোঁট সেলাই করা হলেও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য মুখ একটু ফাঁকা রাখা হচ্ছে এবং সেলাইয়ের সময় রক্ত বন্ধ করতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
 
ইরিনিও মুজিকা নামে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক কর্মী বলছেন, ‘প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিজেদের দু’টি ঠোঁট একসঙ্গে সেলাই করছেন অভিবাসীরা। অভিবাসীরাও মানুষ এবং তাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা আশা করি, জাতীয় অভিবাসন ইনস্টিটিউট এই বিষয়টি দেখতে পাবে।’

গুয়েতেমালার সীমান্তবর্তী তাপাচুলা শহরের এই নাটকীয় প্রতিবাদে অংশ নেওয়াদের অনেকে তাদের সন্তানদেরও সঙ্গে রেখেছেন। গুয়েতেমালার এই শহরটি মাসের পর মাস ধরে হাজারও অভিবাসীতে পূর্ণ থাকে এবং বৈধ ভাবে সীমান্ত পার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেতে অভিবাসীরা সেখানে অপেক্ষা করেন।

ইয়োরজেলিস রিভেরা নামে ভেনেজুয়েলার এক নারী বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের জন্য এটি করছি। সে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে কিছুই খায়নি এবং …কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা কোনো সমাধানমূলক উদ্যোগও দেখতে পারছি না।’
 
রিভেরা আরও বলেন, আমরা এখানে বন্দির মতো অবস্থান করছি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মেক্সিকোর অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইএনএম’র কাছ থেকে উত্তরের জন্য আমি এখানে অপেক্ষা করছি।

সীমান্তে আটকে থাকা এসব অভিবাসীদের ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি মেক্সিকোর অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তবে তারা জানিয়েছে, মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে অবস্থিত তাদের দফতরে প্রতিদিন এ বিষয়ক শতাধিক আবেদন জমা পড়ছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর মধ্য আমেরিকা থেকে লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে অনেকে পায়ে হেঁটে আবার অনেকে ‘ক্যারাভ্যান’ নামে পরিচিত বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে মেক্সিকোর ভেতর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছান।

অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে কার্যত সংগ্রাম করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। নিজ নিজ ভূখণ্ড থেকে মেক্সিকো পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছানোই এসব অভিবাসীর লক্ষ্য। অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব মানুষের দাবি, অত্যাচার, সহিংসতা ও দারিদ্র্যতার কারণে তারা মাতৃভূমি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে চান।

রয়টার্স বলছে, সহিংসতা ও দারিদ্র্যতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশে মেক্সিকোতে পৌঁছানো মানুষের সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়েছে। ২০২১ সালে উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে আশ্রয় চাওয়া মানুষের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। আশ্রয়প্রার্থী এসব মানুষের বেশিরভাগই হাইতি ও হন্ডুরাসের বাসিন্দা।