Sunday, 27 March 2022

কুলাউড়ায় পাখির বাসা খুঁজতে গিয়ে টিলা ধ্বসে প্রাণ গেল ৩ শিশুর

কুলাউড়ায় পাখির বাসা খুঁজতে গিয়ে টিলা ধ্বসে প্রাণ গেল ৩ শিশুর


মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে মাটিচাপায় তিন পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভাটেরার রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিশুর মধ্যে ভাটেরার পশ্চিম ইসলামনগরের তছিবুর রহমানের ছেলে সুমন মিয়া, আব্দুস ছালামের ছেলে নাহিদ আহমদ ও আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল কবির।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাবার বাগানের ভেতর ঘাগরাছড়া টিলায় তিন শিশু পাখির বাসা দেখতে পেয়ে টিলার গর্তে ঢুকে যায়। সেখানে ঢোকামাত্রই মাটি ধসে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে মাটিচাপায় তিন শিশু মারা গেছে। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। 

Saturday, 26 March 2022

কবি ও সাহিত্যিক এ.কে.এম আব্দুল্লাহর জন্মদিন আজ

কবি ও সাহিত্যিক এ.কে.এম আব্দুল্লাহর জন্মদিন আজ


গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পাড়ের কৃতি সন্তান, কুশিয়ারা নিউজের উপদেষ্টা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী, কবি ও সাহিত্যিক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ’র জন্মদিন আজ। ১৯৭০ সালের এই দিনে গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহ। তাঁর পিতা মরহুম ক্বারী মোহাম্মদ ছুরাব আলী, মাতা মরহুমা ফাতিরা খাতুন। তিনভাই ও তিন বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান তিনি।

কবি ও কথা সাহিত্যিক এ কে এম আব্দুল্লাহ ১৯৯২সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। প্রবাসী এ কবি, গদ্যকার  দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও নিজেকে বাংলা সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত রেখেছেন নিয়মিত। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা কবিতা,উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ। রয়েছে বেশ কিছু যৌথ প্রকাশনা। ইংরেজিতে অনুবাদ কবিতা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংকলনে।  এছাড়াও তিনি সফলভাবে সম্পাদনা করছেন অণুগল্প সংকলন ‘শব্দবিন্দু’ ও ড্যাশ-অনলাইন ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন লিটলম্যাগ। এ কে এম আব্দুল্লাহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকা, অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা , সাহিত্য ব্লগ, লিটলম্যাগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে লিখে চলেছেন নিয়মিত।


কবির শিক্ষা জীবনঃ
কবি এ কে এম আব্দুল্লাহর লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় বাড়ির পাশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন শেষে তিনি স্থানীয় আল-এমদাদ হাইস্কুল এন্ড কলেজে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর সিলেট এম সি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। 

সাহিত্য চর্চায় কবিঃ
কবি এ কে এম আব্দুল্লাহ কিশোর বয়সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়াকালীন থেকেই লেখা-লেখি শুরু করেন। তবে মধ্যে কিছুটা বিরতি শেষে প্রবাসে পাড়ি জমানোর পর শত ব্যস্ততায়ও নিজেকে সাহিত্য চর্চায় আবার নিয়োজিত করেন। তাঁর অসাধারণ লেখনীতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হয়েছেন ব্যাপক সমাদৃত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা পুরষ্কারও।

তাঁর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ — যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি, ইমেল বডিতে সময়ের অনুবাদ, উপন্যাস ক্ষুধা ও সৌন্দর্য এবং টি ব্রেকের গল্প গল্পগ্রন্থ পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। একইসাথে পাঠকের কাছে হয়েছে ব্যাপক প্রশংসিত। তাঁর লেখায় সমাজে ঘটেযাওয়া নানা ঘটনা তার উপলব্দিতে বাস্তবতাবোধের এক শৈল্পিক রুপ যেনো প্রকাশিত হয়। এ কে এম আব্দুল্লাহ’র লেখা পাঠকমনের খোরাক মিটিয়ে আনন্দ, চেতনাবোধ ও অনুপ্রাণিত করে তুলেছে পাঠকের মন। 

তাছাড়া তাঁর লেখা বইগুলোর উপর বেশ কিছু চমৎকার পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ইত্তেফাক,দৈনিক জনকণ্ঠ, সিলেট বেতার, চ্যানেল আই অনলাইন, সাহিত্যবার্তা, কুশিয়ারা নিউজ,জলধি-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়।

গ্রন্থাবলীঃ
এ কে এম আব্দুল্লাহ’র প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “ইমেইল বডিতে সময়ের অনুবাদ, সচেতনা, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, মাটির মাচায় দণ্ডিত প্রজাপতি, যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি” প্রভৃতি।

তাঁর লেখা উপন্যাসসমূহের মধ্যে রয়েছে – ক্ষুধা ও সৌন্দর্য।
গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'টি ব্রেকের গল্প'। 

সম্পাদনাঃ
কবি এ কে এম আব্দুল্লাহর সম্পাদনা ও প্রকাশনায় বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংস্করণে ড্যাশ ওয়েব ম্যাগ ডটকম নামের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন সাহিত্য অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যা মাসিক সংকলন নিয়ে অল্পদিনের মধ্যেই সাহিত্য অঙ্গনে সমাদৃত হতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া কবি এ কে এম আব্দুল্লাহ সম্পাদনা করেন অণুগল্প সংকলন শব্দবিন্দু। 

সংগঠকঃ
এ কে এম আব্দুল্লাহ একজন সফল সংগঠক হিসেবেও বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি প্রতাষ্ঠা করেছেন কবিতাস্বজন, পয়েট্রি ক্লাব ইউকে। সংহতি সাহিত্য পরিষদ,সম্মিলিত সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সাথেও রয়েছেন সম্পৃক্ত। বর্তমানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ ইউকে-এর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

এছাড়া তিনি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য গঠিত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আল এমদাদ হাইস্কুল ও কলেজ এডুকেশন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

পুরস্কারঃ
কবি তাঁর অসাধারণ লেখনীর জন্য ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা পুরস্কার ও স্বর্ণ মেডেল। ২০১৯ইং সালের ০৩ জানুয়ারি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের সৎসংঘ পাঠাগারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশটি বইয়ের লেখককে সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এসময় বাংলাদেশের দুইজন লেখককে মনোনীত করে শান্তিনিকেতন সৎসংঘ পাঠাগার। এরমধ্যে কবি এ কে এম আব্দুল্লাহর লেখা কবিতাগ্রন্থ 'যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি' বইটিকে সেরা মনোনীত করে কবিকে সম্মাননা এওয়ার্ডে ভূষিত করে শান্তিনিকেতন সৎসংঘ পাঠাগার। এছাড়া পেয়েছেন ভারতের রাজস্হানের ড.শ্যাম সুন্দর মেমোরিয়াল ট্রাস্টের (শতবছর পূর্তি পালন উপলক্ষে) পক্ষ থেকে ২৫ হাজার রুপি ও একটি স্বর্ণ মেডেল পুরস্কার। উল্লেখ্য এই সংগঠন প্রতিবছর সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাহিত্যিকদের এ পুরষ্কার দিয়ে থাকে। এছাড়া কবি আব্দুল্লাহ সাহিত্যেও পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা পুরষ্কার। কবির এ প্রাপ্তিতে যোগ হোক নতুন মাত্রা। জন্মদিনে কুশিয়ারা নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে কবির প্রতি অজস্র শুভেচ্ছা। 
মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ


দেশের ৫২তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস আজ ২৬ মার্চ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরা দিবসটি উদ্‌যাপন করবেন। বিশ্বব্যাপী চলা করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করতে হয়েছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনে এবার স্বতঃস্ফূর্ততা বেশি থাকবে।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে থাকা সব বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে, তা অব্যাহত থাকলে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

দেশে এবং প্রবাসে থাকা সব বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশে থাকার জন্য সব বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন, সংস্থা ও ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

Friday, 25 March 2022

মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


গত ২ মার্চ ইউক্রেনে আগ্রাসন সংক্রান্ত জাতিসংঘের একটি রেজল্যুশনে ভোটদানে বিরত থাকলেও গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ইউক্রেন সংক্রান্ত আরেকটি রেজুলেশনে পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। ওই রেজুলেশনে ১৪০টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়, ৩৮টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল এবং পাঁচটি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‌‘রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মানবিকতা। বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মানবিক দেশ হিসেবে সুপরিচিত।’


তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে এবং যুদ্ধের বিপক্ষে।’

মন্ত্রী বলেন, ‌‘যেকোনও যুদ্ধে সাধারণ নাগরিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এটি আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই জানি।’ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের রেজুলেশনে বলা হয়েছে, যারা নির্যাতিত এবং আহত হয়েছে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য। যেহেতু আমরা চাই, যারা নির্যাতিত হয়েছে তারা সব ধরনের সুবিধা পাক, সেই জন্য আমরা এ রেজুলেশনে রাজি হয়েছি।’

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘে পশ্চিমা দেশের পক্ষ থেকে একটি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে আরেকটি রেজুলেশন এসেছিল এবং দুটোই মানুষের মঙ্গলের জন্য আনা হয়েছিল। বাংলাদেশ উভয় রেজুলেশনে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু সাউথ আফ্রিকার রেজুলেশন পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ার কারণে ভোট দেওয়া হয়নি।

আগের রেজুলেশন

গত ২ মার্চের রেজুলেশন একতরফা ছিল এবং সেখানে শুধু রাশিয়াকে দোষারোপ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কিন্তু যুদ্ধতো এক হাতে হয় না, এক হাতে তালি বাজে না। এখানে অন্য পক্ষের নামই আসেনি। সে জন্য আমাদের কাছে মনে হয়েছিল, এটি অত্যন্ত পার্টিজান এবং এটিতে যুদ্ধ থামবে না।’

যুদ্ধ থামাতে হলে উভয় পক্ষকে আন্তরিকতার সঙ্গে সামনে আসতে হবে। কিন্তু আগেরটাতে মনে হয়েছিল এক পক্ষকে দোষারোপ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার একজন প্রতিনিধি সম্প্রতি বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের যুদ্ধতে আমাদের জোর করে অংশীদার করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব তাদের দাবা খেলার রাজনীতিতে আমাদের জোর করে টেনে আনার চেষ্টা করছে, যা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি তিনি ভালো কথা বলেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‌‘আমরা যুদ্ধ চাই না এবং যুদ্ধে অংশীদার হতে চাই না।’

অর্থনৈতিক যুদ্ধ

বর্তমানের যুদ্ধ শুধু সৈন্য দিয়ে হয় না, অর্থনৈতিকভাবেও হয় বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‌‘আমরা বিভিন্ন ধরনের বিষয় চিন্তা করছি। দেখা যাক কী হয়। কারণ, আমাদের মনে হচ্ছে এর একটি সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে এবং এটি গোটা বিশ্বের যে আর্কিটেকচার সেটি পরিবর্তন করতে পারে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটি ভালো হবে না মন্দ হবে সেটি জানি না। তবে যে বিশ্বাসের জায়গার ওপরে অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল, সেটিতে একটি বড় ধরনের আঘাত আসবে।’

যুদ্ধে সব দেশের ক্ষতি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন তেলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসের দাম বাড়বে। বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে যুদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু আমরা যেহেতু আন্তনির্ভরশীল একটি ব্যবস্থার বড় সদস্য, আমাদের উন্নয়ন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এর বড় প্রভাব আসবে।’

বাংলাদেশের ওপর অনেক চাপ

বাংলাদেশের ওপর বিভিন্নমুখী চাপ আছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চাপ আমাদের অনেক দিক থেকেই আছে। কিন্তু চাপ আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনও ভ্রুক্ষেপ করেন না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন এবং কোনও চাপের পরোয়া করেন না।’  
ইউক্রেনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিলো বাংলাদেশ

ইউক্রেনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিলো বাংলাদেশ


ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে উদ্ভূত মানবিক সংকট নিরসনে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে অধিবেশনে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। এতে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রুশ হামলার ফলে দেশটিতে সৃষ্ট 'ভয়াবহ' মানবিক পরিস্থিতির জন্য মস্কোর সমালোচনা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে অংশ নেয় সদস্য দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পাস হয় প্রস্তাবটি। তবে রাশিয়ার জন্য এটি মেনে চলার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

এদিনের ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশসহ ১৪০ সদস্য দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় পাঁচটি দেশ। আর ভোটদানে বিরত ছিল চীন, পাকিস্তান ও ভারতসহ ৩৮ দেশ।


মধ্যপ্রাচ্যের আলোচিত দুই মার্কিন মিত্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দেওয়া পাঁচ দেশ হলো রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া।

এর আগে গত ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে একটি প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। ওই সময়ে ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। তবে তখন ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন কিয়েভের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার উৎখাত করা সম্ভব। তবে বুধবার যখন এই আগ্রাসনের এক মাস পূর্ণ হয়েছে তখন রুশ বাহিনী কার্যত থমকে আছে। অসংখ্য রুশ সেনার প্রাণহানির পরও অবিলম্বে এই যুদ্ধ অবসানের কোনও ইঙ্গিত দৃশ্যত নেই। অন্যদিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব টের পেতে শুরু করেছে মস্কো। রাশিয়ার ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহযোগিতা দেওয়া নিয়ে এই সপ্তাহে ব্রাসেলস এবং ওয়ারশোতে বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার গুরুত্বপূর্ণ মিত্ররা।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্য সরবরাহ নিয়ে আশঙ্কা, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আর্থিক এবং ভূরাজনৈতিক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হলো। তবে মস্কোর মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন এদিন সরাসরি রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেওয়ার বদলে ভোট দেওয়া  থেকে বিরত ছিল। 
কানাইঘাটে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কানাইঘাটে যুবককে কুপিয়ে হত্যা


সিলেটের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কানাইঘাটে পূর্ববিরোধের জের ধরে শাহেদ আহমদ নামে (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউপির আগতালুক গ্রামে এঘটনা ঘটে।

পেশায় দিনমজুর নিহত শাহেদ আহমদ ওই গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। এসময় আহত হয়েছেন নিহত শাহেদের তিন সহোদরসহ চারজন। আহতরা হলেন-শাহে দ আহমদের ভাই সুলতান আহমদ (৪৮), মস্তাক আহমদ (৩৫) ও সোহেল আহমদ (২৫) এবং তাদের চাচাতো ভাই আনছার উদ্দিন ((৬৫)।

আহত চারজনকেই ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়েছে। এদের মধ্যে সোহেল আহমদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আগতালুক গ্রামের জসিম মোল্লার পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে খুন হওয়া সাহেদ আহমদের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। দুই বছর আগে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জসিম, লোকমান, কামাল উদ্দিন, আলমসহ ২০-২৫ জন শাহেদের ওপর হামলা করে ।

এসময় তাকে বাঁচাতে এলে তার ভাইদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীদের অস্ত্রের আঘাতে শাহেদ আহমদের মাথার খুলি ফেটে মগজ বেরিয়ে যায়। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগের পর শাহেদকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে রওয়ানা হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত শাহেদ ৪ ছেলে সন্তানের জনক বলেও জানান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। কাউকে আটক করা যায়নি, কেউ অভিযোগও দায়ের করেননি। 

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যা কাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখতে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
গোলাপগঞ্জের বানিগাজী থেকে ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক

গোলাপগঞ্জের বানিগাজী থেকে ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক


গোলাপগঞ্জের বানিগাজী গ্রাম থেকে ইয়াবা-সহ ৩ যুবককে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে বানিগাজী কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশ থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া তাদের নিকট আরোও ইয়াবা ছিলো, যা তারা কৌশলে অন্যত্র ফেলে দেয় বলেও জানানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বানিগাজী গ্রামের হাজী মোঃ ফারুক উদ্দিনের পুত্র আতাউল কবির রুমন (২৩), চন্দরপুর গ্রামের মরহুম জিলাল উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ আলী কাজল, বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের সদরপুর নালগ্রামের মরহুম পংকি মিয়ার পুত্র সাইদুর রহমান (২৭)।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৩ টার দিকে এস.আই পার্থ সারথী দাসের নেতৃত্বে ওই ৩ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন এ.এস.আই শাহী্নুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য মুর্শালিন, শায়হান, আনোয়ার হোসেন বাবলু ও আলী আহসান।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এস.আই পার্থ সারথী দাস।