Monday, 9 May 2022

ফের বাড়ছে করোনা, দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান

ফের বাড়ছে করোনা, দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান


বিভিন্ন দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় সবাইকে দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খুরশীদ আলম বলেন, ইউরোপসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই ফের করোনা বাড়তে শুরু করেছে। তাই সচেতনতার পাশাপাশি এখনও যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। টার্গেট করা প্রায় সবাইকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য বুস্টার ডোজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকেই অন্তত দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। এ ছাড়া যাদের বুস্টার ডোজের সময় হবে, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ টিকা নিয়ে নেবে।
গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল কলেজের ক্লাসরুমে টিকটিক ভিডিও : উপজেলাজুড়ে সমালোচনা

গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল কলেজের ক্লাসরুমে টিকটিক ভিডিও : উপজেলাজুড়ে সমালোচনা


বর্তমানে টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ-তরুণীরা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও বানাচ্ছে তারা। সম্প্রতি গোলাপগঞ্জ উপজেলার নব নির্মিত গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভবন ও ক্লাসরুমে টিকটক ভিডিও বানিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন তরুণ। আর এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোলাপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে এসব নোংরামি কাজ মেনে নিতে পারছেন না উপজেলার সচেতন মহল।

ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিওতে দেখা যায়, বিনোদনের নামে কলেজটির ক্লাসরুম সহ ভবনের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অশ্লিল ভাষা-সহ হিন্দি ভাষায় ভিডিও বানাচ্ছেন কয়েকজন লাইকি ও টিকটক আসক্ত তরুণ।

ফখরুল ইসলাম শাকিল নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, টিকটক ও লাইকি আসক্তি আজ তরুণদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ গোলাপগঞ্জবাসীর স্বপ্নের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমের ভিতর এ ধরনের নোংরামি উপজেলাবাসী মেনে নিবেনা। বিষয়টি দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

আমুড়া ইউপি সদস্য, উপজেলা যুবলীগ নেতা তারেক আহমদ বলেন, বিষয়টি আসলেই লজ্জাজনক। আমাদের জানা ছিলনা উপজেলার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এ ধরনের নোংরামি চলছে। এ বিষয়ে আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবো। কলেজটিতে প্রহরী নেই এখনো। প্রহরী নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যক্তিগতভাবে হলেও প্রহরী রাখার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি 

বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের ভিতরে কিভাবে ভিডিও বানাচ্ছে এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বজিৎ দাশ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, কলেজটি চালু হলেও এখন পর্যন্ত কলেজের ক্লাসরুম গুলোতে দরজা লাগানো হয়নি। এছাড়াও এখন পর্যন্ত কলেজে কোন গার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঈদের ছুটিতে কলেজ বন্ধ ছিল এ সুযোগে হয়তো তারা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ভিডিও বানাচ্ছিল। এসব কিভাবে রোধ করা যায় বিষয়টি আমি দেখছি। 

টিকটক ও লাইকির মত এপসকে কেন্দ্র করে অল্প বয়সের সুন্দর চেহারার মেয়েদের বলা হয় তাদেরকে টিকটক ‘স্টার’ বানিয়ে দেওয়া হবে, ফলোয়ার বাড়বে, টাকা আয় করা যাবে। পরে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে নেওয়া, পাচার করে দেওয়া, ধর্ষণ, আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা, এমনকি ভিডিও বানাতে গিয়ে নিহতের মতো ঘটনাও প্রতিনিয়ত দেশে ঘটছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য আহবান জানান উপেজলার সচেতন মহল। 
আলোকিত মানুষ ও সমৃদ্ধশালী জৈন্তাপুর  বির্নিমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী খসরু‘র ভূমিকা প্রশংসতি

আলোকিত মানুষ ও সমৃদ্ধশালী জৈন্তাপুর বির্নিমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী খসরু‘র ভূমিকা প্রশংসতি



মো: শাহজাহান কবির খান: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী খসরু অবহেলিত পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নে তিনি আলোকিত মানুষ ও সমৃদ্ধশালী জৈন্তাপুর বির্নিমানে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ মাদ্রাসায় তারঁ ব্যাপক অবদান রয়েছে। সমাজের অসহায় হতদারিদ্র মানুষের কল্যাণে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করছেন। একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে পুরো উপজেলা জুড়ে রয়েছে তারঁ সুনাম। সম্প্রতি জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপের মাধ্যামে এই উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। জনগনের প্রয়োজনে ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু জৈন্তাপুরে আগামী উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে তিনি অংশ গ্রহন করবেন জানাগেছে।

জন্ম: আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু-১৯৬২ সালের ২ জানুয়ারী জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্তে জন্ম গ্রহন করেন। তারঁ পিতা ডা: আব্দুর রশিদ চৌধুরী, মাতা রাবেয়া খাতুন। ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তিনি ৩য় । 

শিক্ষা জীবন: শিক্ষা জীবন শুরু হয় দরবস্ত পাকড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি ১৯৭৮ সালে সেন্ট্রাল জৈন্তা হাইস্কুল থেকে এস,এস,সি পাশ করেন। ১৯৮০ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাশ করেন। একই কলেজ থেকে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করার আগেই তিনি ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ-এ  ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন। 

রাজনৈতিক জীবন: কলেজ জীবনে তিনি সক্রিয় ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৮৩-৮৪ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদ সহ বাংলাদেশে অবস্থান কালে বিভিন্ন সামাজি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান । সেখানে অবস্থন করে তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটির উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে যান। ১৯৯৪ সালে আমেরিকায় জালালাবাদ এনএফ সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ও পরবর্তী সময়ে তিনি সহ-সভাপতি নিবার্চিত হন। 

শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন: আব্দুল গফাফার চৌধুরী খসরু বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য হিসাবে হয়েছেন। তিনি দরবস্ত খাজার মোকাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সেন্ট্রাল জৈন্তা হাইস্কুলের দাতা সদস্য। তিনি নিউইয়র্কে ব্রংকস-অবস্থিত বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সেখানকার রোটারী ক্লাব অব সেন্ট্রাল ব্রংকস নিউইয়র্কে-এর প্রেসিডেন্ট। তিনিই একমাত্র বাঙ্গালি ২০১১ সালে কমিউনিটি বোর্ড-নাইন-সিটি অব নিউইয়র্কে-এর মেম্বার নিবার্চিত হয়েছিলেন। 

পিছিয়ে পড়া জৈন্তাপুর উপজেলায় তার অবদান: জৈন্তাপুর উপজেলার উন্নয়নে তারঁ অনেকটা অবদান রয়েছে। তিনি দেশে আসলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজে জড়িত থাকেন। তিনি ইমরান আহমদ মহিলা কলেজ, জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রী কলেজ, জৈন্তাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রমজান রুপজান একাডেমি, বাগেরখাল, হেমু তিনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হরিপুর বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়, আমীনা হেলালী টেকনিক্যাল স্কুল, চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল, পাকড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিছনাটেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দরবস্ত সিকন্দর আলী  মেমোরিয়াল কিন্ডার গাটেন স্কুল, দারুল হাদিস মদিনাতুল উলুম খরিুলহাট মাদ্রাসা, দারুস সুন্নাহ  ছাত্তারখাই ক্বওমী মাদ্রাসা, দারুল কুরআন খাজার মোকাম মাদ্রাসা, খরিল নেজামুল উলুম চাক্তা ফাযিল মাদ্রাসা, দরবস্ত জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা, মাদরাসতুল উলুম হরিপুর মাদ্রাসা, বাগেরখাল কামরুল ইসলাম মুহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসা, বনপাড়া খেড়িগুল  মাদানিয়া মাদ্রাসা, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম লামনীগ্রাম মাদ্রাসা, আশরাফুল উলুম নিজপাট মাদ্রাসা, নুরে মদিনা বিরাইমারা মাদ্রাসা, মাঈনুল ইসলাম লামা শ্যামপুর মাদ্রাসা, দারুল উলুম হেমু মাদ্রাসা, মাদরাসাতুল উলুম হরিপুর বাজার মাদ্রাসা, রওজাতুল উসলাম চাক্তা ক্বওমী মাদ্রাসায় তারঁ সহযোগিতা রয়েছে। 

তিনি ব্যক্তিগত ও পরিবারের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক মসজিদ নিমার্ণ করে দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য চারিকাটা বনপাড়া যাদুবাড়ি জামে মসজিদ,চারিকাটা বড়গুল জামে মসজিদ, চারিকাটা কুমারপাড়া জামে মসজিদ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার আর অনেক এলাকায় মসজিদ নিমার্ণ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী খসরু বিবাহিত, দুই পুত্র এক কন্যা সন্তানের জনক। তারঁ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সমাজ কল্যাণ মুলক কাজে জড়িত রয়েছেন। 
‘অশনি’ মোকাবিলায় ৬২৯ আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮৪৪০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত

‘অশনি’ মোকাবিলায় ৬২৯ আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮৪৪০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত


বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় ৬২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮ হাজার ৪৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সোমবার (৯ মে) বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সংকেত বাড়লই জরুরি সভা ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতোমধ্যে জেলায় মোট ৬২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বরগুনার টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৮ হাজার ৪৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। ৪ নম্বর সতর্কসংকেত জারি হলেই তারা কার্যক্রম শুরু করবেন।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে বরগুনায়। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বইছে দমকা হাওয়া। অশনির প্রভাবে টানা বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

বরগুনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার (৯ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ধীরে ধীরে এটি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। 
শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’

শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’


দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।

সোমবার (৯ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী যেভাবে ছিল এখনও সেভাবেই আছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। তবে বাংলাদেশের শঙ্কা কাটছে। ঘূর্ণিঝড়টি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান হয়তো আজও তেমন পরিবর্তন হবে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থেকবে। বরং এটি আস্তে আস্তে দুর্বল হতে পারে। আজ পর্যন্ত এটা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই থাকবে। ওই রকম কোনো পরিবর্তন হবে না। আজকের পর অশনি আস্তে আস্তে দুর্বল হবে।

শাহীনুল ইসলাম বলেন, দেশে আজ বৃষ্টি, বাতাস থাকতে পারে। তবে আপাতত বাংলাদেশ শঙ্কামুক্ত থাকবে। এখন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, এটি ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে। তবে উপকূলে ধেয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে যাবে। যার ফলে বাংলাদেশে এর সেভাবে প্রভাব পড়বে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন-৭ অনুযায়ী, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, খুলনা ও যশোর জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
গোলাপগঞ্জ থেকে নতুন করে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে ১ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস

গোলাপগঞ্জ থেকে নতুন করে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে ১ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস


গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭নং কূপ থেকে ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে আরও ১৯ মিলিয়ন ( ১ কোটি ৯০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হল। এখন থেকে এ গ্যাস ফিল্ডে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বেশি উত্তোলন হবে।

শনিবার (৭ মে) রাত ৯টা থেকে কৈলাশটিলার এ কূপ থেকে সফলভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানান, ঈদের আগে গ্যাস নিয়ে সু-সংবাদ দিয়েছিলাম আপনাদের। জাতীয় গ্রিডে নতুন করে গ্যাস যুক্ত হওয়ার কথা ছিল এ মাসের ১০ তারিখে। আমরা সময়ের আগেই দ্রুত কাজ শেষ করেছি। 

শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কৈলাশটিলা-৭নং কূপ বাপেক্সের বিজয়-১১ রিগ দ্বারা সফলভাবে ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে দৈনিক ১৯ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৭ মে) রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কৈলাশটিলা-৭নং কূপ হতে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল)-কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে এখন পর্যন্ত ৭টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে চলমান দু’টি কূপ থেকে দৈনিক ২ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭ নম্বর কূপের খনন কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর। এর আগের বছর ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেট সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কূপটির খননকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।২০১৬ সালের দিকে কৈলাশটিলা ৭ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। 

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষের হয়ে কূপটিতে ওয়ার্ক-ওভার শুরু করে রাষ্ট্রীয় তেল, গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। গত এপ্রিল মাসে ওয়ার্ক-ওভার কাজ শেষ হয়। 

এরপরই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শনিবার রাতে এ কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।বর্তমানে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হয়। তবে বিদেশ থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসসহ (এলএনজি) দেশের মোট সরবরাহ প্রায় তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। 

Sunday, 8 May 2022

চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুতে কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগ হস্তান্তর করলেন হাফিজ আব্দুল কাদির

চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুতে কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগ হস্তান্তর করলেন হাফিজ আব্দুল কাদির


চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুতে কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগটি এর মালিকের হাতে তুলে দিয়েছেন হাফিজ আব্দুল কাদির নামের যুবক। রবিবার (০৮ মে) দুপুরে বাগিরঘাট গ্রামে হাফিজ আব্দুল কাদিরের বাড়ি থেকে মানিব্যাগটি গ্রহণ করেন এর মালিক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন দিদার।

সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন দিদার গোলাপগঞ্জের মার্ভেলাস টাওয়ারের পোলো কোম্পানিতে চাকুরীরত রয়েছেন। ফেসবুকে তার মানিব্যাগটি কুড়িয়ে পাওয়ার সংবাদ দেখে তিনি হাফিজ আব্দুল কাদিরের ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে তার বাড়ি থেকেই মানিব্যাগটি গ্রহণ করেন।

এর আগে শনিবার (০৭ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ মানিব্যাগটি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন হাফিজ আব্দুল কাদির। পরে তিনি প্রকৃত মালিকের সন্ধান কামনায় মানিব্যাগে পাওয়া ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তিনি প্রকৃত মালিকের সন্ধান পেতে পোস্টটি শেয়ার করে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।

কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগটিতে নগদ ৪,৮০০ টাকা, ব্যাংকের পিন এবং আরোও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো। এতদসত্ত্বেও মানিব্যাগটি কুড়িয়ে পেয়ে মালিকের সন্ধান করা এবং সবশেষে প্রকৃত মালিকের হাতে হস্তান্তর করায় প্রশংসায় ভাসছেন বাগিরঘাট গ্রামের তরুণ শিক্ষার্থী হাফিজ আব্দুল কাদির। মানবিকভাবে মহৎ এ কাজ করায় সকলেই তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন।

মানিব্যাগটির মালিক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন দিদারও মানিব্যাগটি ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছেন। তিনি হাফিজ আব্দুল কাদিরকে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।