Sunday, 8 January 2023

বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র


বাংলাদেশে প্রকৃত, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন দেখতে চায় তারা। 

ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে শুক্রবার এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এসব কথা বলেন। 

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকার অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমরা এই চাওয়াকে স্বাগত জানাই। তবে এসব কথা ও কাজের মধ্যে মিল আছে কিনা- তা পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

নেড প্রাইস আরও বলেন, একটি নির্বাচন যেভাবে হওয়া প্রয়োজন, ঠিক সেভাবেই আয়োজন করতে বাংলাদেশ সরকার কিভাবে কাজ করবে তা বুঝতে আমাদের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। এই নির্বাচন হতে হবে প্রকৃত, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ। যদিও নির্বাচনের এখনো আরও অনেক দিন বাকি। কিন্তু একটি প্রকৃত নির্বাচনি কার্যক্রম সফল করতে বাংলাদেশের গঠনমূলক উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করছি। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও মুক্তমত প্রকাশকারীদের ওপর সহিংসতা হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের বিষয়গুলো লক্ষ্য করছে ও সরকারের কাছে নিজের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে।

পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন নেড প্রাইস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূত অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি কেবল যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন না বরং আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে নিরলস ভূমিকা রাখছেন। ভবিষ্যতেও তার এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। 
আন্দোলনে বাধা দেব না, নাশকতা করলে উপযুক্ত শিক্ষা দেব: প্রধানমন্ত্রী

আন্দোলনে বাধা দেব না, নাশকতা করলে উপযুক্ত শিক্ষা দেব: প্রধানমন্ত্রী




প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কাউকে দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। তারা আন্দোলন করতে চাইলে আমরা বাধা দেব না। কিন্তু আন্দোলনের নামে আবারও নাশকতা করলে, দেশের ক্ষতি করতে চাইলে তাদের উপযুক্ত জবাব বাংলাদেশের জনগণ দেবে। আগামী দিনে একটা মানুষকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করলে যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, ওই আগুনে সেই হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে। যে হাতে মানুষ খুন করবে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। এ কথাটা যেন সবার মনে থাকে। 

শনিবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

সভার কার্যক্রম শুরুর আগে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর আগে তিনি গোপালগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ চলবে। এ মাটিতে বসে প্রতিজ্ঞা করছি, বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে, দৃঢ় থাকতে হবে। যে কোনো অপকর্ম প্রতিরোধ করতে হবে। 

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। তাদের ঘৃণা জানাতে হবে। তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। হত্যা, খুন ও গুম জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল। খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র মিলে ২১ আগস্ট থেকে শুরু করে অনেক মানুষ হত্যা করেছে এবং অত্যাচার নির্যাতন করেছে। 

দলকে সুসংগঠিত ও তৃণমূলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে যাতে অতীতের মতো আগুনসন্ত্রাস ও নাশকতা করে কেউ যেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যা যা করা দরকার, আওয়ামী লীগ সব করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি এবং জনগণের সেবা করাই আমাদের মূলমন্ত্র। শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, এর নেতাকর্মীরাও জনগণের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাস এবং যে কোনো দুর্যোগে জনগণের পাশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের দাঁড়ানো প্রমাণিত হয়- আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের প্রতিটি দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকে। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে নবগঠিত কমিটির সব সদস্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের (আওয়ামী লীগের) নীতি হলো জনগণের দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীকে একটি সুন্দর জীবন দিতে চেয়েছিলেন এবং আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি জানান, তার সময়ে দেশের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীও স্মার্ট হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে নতুন কমিটি হয়েছে, আমাদের কমিটির সদস্য প্রত্যেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের যা যা করণীয়, তা আমরা করে যাব; তাদের পাশে আমরা চিরদিন থাকব; চিরদিন আছি এবং মানুষের সেবা করাটাই আমাদের সব থেকে বড় লক্ষ্য। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছে, তা ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়াই তার সরকারের লক্ষ্য উলে­খ করে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে কী কী করণীয়, সে বিষয়েও সরকার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। 

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আরও ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে। আজ উন্নত দেশও হিমসিম খাচ্ছে এবং নিজেদের তারা অর্থনৈতিক মন্দার দেশ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ এখনো সে পর্যায়ে যায়নি এবং তার সরকার এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচির কলেবর বৃদ্ধি করেছে। অতি উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে ক্রয় করতে হলেও ভর্তুকি প্রদান করে নিত্যপণ্য মানুষের মাঝে সরবরাহ করছে। এর মধ্যে মাত্র ১৫ টাকায় চাল ক্রয়, মধ্যবিত্তের জন্য টিসিবির বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে চাল ক্রয়ের সুবিধা, ভিজিডি-ভিজিএফ-এর মাধ্যমে একেবারে হতদরিদ্রদের খাদ্য সাহায্য প্রদান, বয়স্কভাতা, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা ও প্রতিবন্ধি ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা বর্ধিত হারে প্রদান করছে, যাতে মানুষের কোনো কষ্ট না হয়। 

এ সময় দেশের সব অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোয় তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশে আজ খাদ্যের জন্য হাহাকার। কিন্তু আমরা এ মাটিকে যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যকেও সাহায্য করতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা যেমন এনে দিয়েছে, তেমনই আর্থসামাজিক উন্নতিও এনে দিয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। এ জাতিকে একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসাবে আমরা গড়ে তুলতে চাচ্ছি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। সেই সঙ্গে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছি। সারা দেশে আমরা যেমন হাইটেক পার্ক করছি, স্কুলগুলোয় কম্পিউটার ল্যাব করছি, প্রযুক্তি শিক্ষা এবং বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জমানতে ঋণ দেওয়া, বর্গাচাষিদের বিনা জমানতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ভতুর্কির টাকা সরাসরি পাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২ কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ ক্রয় করার জন্য কার্ড দেওয়া হয়েছে, ২ কোটি ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি দিয়ে সহযোগিতা করছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, শীতে কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণ করার মাধ্যমে তার সরকারের যতটুকু সাধ্য, তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং বিত্তবানদেরও জনগণের দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনা খুবই কর্মব্যস্ত দিন কাটান। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলে নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সমাধিসৌধ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি কামনা করে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন। 
সিলেটে গৃহবধূর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু

সিলেটে গৃহবধূর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু


সিলেট মহানগরের তেলিহাওর এলাকার সিল ভ্যালি ক্যাসল নামক ভবনে ফারহানা হক মিলি (২৪) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শয়নকক্ষ থেকে তার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত মিলি সুনামগঞ্জের জগ্ননাথপুরের সদর ইউনিয়নের মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে ও দিরাই উপজেলার কালিয়ারখাপন গ্রামের আসকর আলীর ছেলে নুর আলমের (৩২) স্ত্রী।

পুলিশ ও মিলির পারিবারিক সূত্র জানায়, তেলিহাওর এলাকার সিল ভ্যালি ক্যাসলের তৃতীয় তলার এ-২ ইউনিটে মিলি ও মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি তাদের স্বামী নিয়ে ভাড়া থাকেন। শুক্রবার রাতে মিলি না খেয়েই তার শয়নকক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে তার স্বামী একই বাসায় থাকলেও ঘুমান ভিন্ন কক্ষে। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্তও মিলির কক্ষের দরজা লাগানো দেখে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেও তার সাড়াশব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে একটি থাই গ্লাসের দরজা এবং কক্ষের মূল দরজা ভেঙে মিলির মরদেহ খাটের উপরে হাটু গাড়া অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এসময় পুলিশ মিলির স্বামী নুর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে, মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি জানান, সাড়ে ৪ বছর আগে নুর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে রেহানা ও মিলি তাদের স্বামী নিয়ে সিল ভ্যালি ক্যাসলের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। কিন্তু মিলির স্বামী দৃশ্যমান কোনো চাকরি বা পেশায় জড়িত ছিলেন না। উল্টো অনলাইন জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা উড়িয়েছেন। এমনকি নিজের একটি ঘর বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা এক দিনেই জুয়া খেলায় খুইয়েছেন আলম। এসব বিষয় নিয়ে মিলি ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেক সময় স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতেন মিলি। এর আগেও স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয়ে একসঙ্গে অনকেগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন তিনি।

মিলি আত্মহত্যা করলে তো তার পা এভাবে বিছানায় থাকার কথা নয় মন্তব্য করে রেহানা বলেন- পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তে আসল বিষয় বেরিয়ে আসবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস- আমার বোন এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদ্বীপ দাস বলেন- ওই গৃহবধূর স্বামীকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নিহতের বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
কুলাউড়া ট্রাজেডি : ‘অন্তিম শয়নে তারা’

কুলাউড়া ট্রাজেডি : ‘অন্তিম শয়নে তারা’



দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু মিয়া। তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে আনতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন বোন-ভাই-ভাগ্নিসহ পরিবা রের বেশ কয়েকজন। হাস্যজ্জ্বল চেহারা নিয়ে উৎফুল্ল মনে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

কিন্তু পথিমধ্যে থমকে যায় সকল স্বপ্ন। হাসিমুখ মলিন হয়ে নিমিষেই ঘটে যায় এক ট্রাজেডি। ট্রাক,মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সেখানে প্রাণ হারান শিশুসহ ৫ ব্যক্তি। বলছিলাম ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর নামক স্থানে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা।

হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক দূর্ঘটনার পর সিলেটজুড়ে নেমেছে বিষাদ। উপজেলাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। স্বজনদের আর্তনাদে নিঃস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা।

এদিকে শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাদ আসর অশ্রুসিক্ত নয়নে জানাজা শেষে কুলাউড়া ও কমলগঞ্জে নিহতদের বাড়িতে তাদের দাফন করা হয়। অন্তিম শয়নে শেষ বিদায় জানাতে জানাযায় দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ উপস্থিত হন। এসময় শোকে স্তব্ধ দেখা যায় স্বজনদের।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মাদানগর গ্রামে প্রবাসী রাজুর ছোটভাই সিহাবের (১৩) জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। একই উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গাড়িচালক সাদি রের (৩২) লাশও তার এলাকায় জানা জা শেষে দাফন করা হয়। বাকি তিনটি লা শ কমলগঞ্জের ভেড়ারচর গ্রামে দাফন করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম (৩২), তার স্ত্রী সাদিয়া (২১) ও তাদের শিশুসন্তান হাবিবা (২)। তারা প্রবাসী রাজুর ভগ্নীপতি, বোন ও ভাগ্নি।

এরআগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) গভীর রাত আনুমানিক ২টায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর নামক স্থানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায় কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মাদানগর গ্রামের ক্বারী নুরুল হকের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু মিয়াকে আনতে পরিবারের ৮ সদস্য মাইক্রোবাসে করে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। 

Saturday, 7 January 2023

গোলাপগঞ্জ ফাউন্ডেশন অব টরেন্টো, অন্টারিও, কানাডার মনোমুগ্ধকর অভিষেক সম্পন্ন

গোলাপগঞ্জ ফাউন্ডেশন অব টরেন্টো, অন্টারিও, কানাডার মনোমুগ্ধকর অভিষেক সম্পন্ন



গোলাপগঞ্জ ফাউন্ডেশন অব টরেন্টো, অন্টারিও, কানাডার ২০২২-২০২৫-ইংরেজি বর্ষের মনোমুগ্ধকর অভিষেক সম্পন্নঃ


গোলাপগন্জ ফাউন্ডেশন অব টরেন্টো, ওন্টারিও, কানাডার ত্রিবার্ষিক কার্যকরী কমিটির আনুষ্ঠানিক অভিষেক গত ২রা জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় 9 Dawes এ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই  কনভেনিং কমিটির সদস্য কামরুল হাসান সাহানের চমৎকার উপস্থাপনায় পবিত্র কালামে হাকিম থেকে তেলাওয়াত করেন গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান হাফিজ হুসাম আমীন ।

বাংলাদেশ এবং কানাডার জাতীয় সংগীতের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিষেক কমিটির আহবায়ক রিয়েলেটর সাব্বির চৌধুরী লিটন । 

অতঃপর স্লাইডশোর মাধ্যমে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক তাহার মনোমুগ্ধকর সেক্রেটারীয়াল রিপোর্ট উপস্হাপন করেন ।

পরবর্তী পর্বে সাব্বির চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনার মাধ্যমে GFTO কন্টিবিউশন এ্যাওয়ার্ড প্রধান করা হয়। এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন, সদ্য বিদায়ী কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম জনাব মঈন চৌধুরী ও জনাব আকনুর আলী ।

আউটস্ট্যান্ডিং কমিউনিটি সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড প্রধান করা হয় জনসেবায় এম পি পি ডলি বেগম, স্কুল ট্রাষ্টি মালিহা গউস, কমিউনিটি সার্ভিসে মোস্তাক আহমদ,মিডিয়া সার্ভিসে নজরুল ইসলাম মিন্টু, কোভিড -১৯ কালীন সিবিআই ফিউনারেল সার্ভিসের প্রধান খছরুজ্জামান চৌধুরী দুলু ।

এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিমোহিতকর বক্তব্যে বক্তারা গোলাপগন্জ ফাউন্ডেশন এর বিগত দিনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন - আপনাদের এই চমৎকার অনুষ্ঠান টরেন্টোতে যেনো একটি সুন্দর দিক নির্দেশনা করে দিচ্ছে ।গুনিজনদের সম্মাননা সবসময়ই প্রশংসনীয় এবং সেটা যদি হয় হলভর্তি কমিউনিটির সম্মুখে তাহলে গর্বে বুক ভরে উঠে এবং নতুনভাবে নব উদ্যোমে কাজ করার অনুপ্রেরণাও পাওয়া যায়। 

সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যন ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য  মিছবাহুল কাদির ফাহিম। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছাদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান ও কমিউনিটির সমাজকর্মী সরওয়ার হোসেন।

অতিথি বক্তা টরেন্টো স্কুল ট্রাষ্টি বোর্ডের নব নির্বাচিত সদস্য মালিহা গউস তার বক্তব্যে তরুন সমাজকে তাদের পুর্বসুরীদের অনুস্মরন করে সমাজকর্মে আরো এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করেন । পরবর্তীতে সংগঠনের সভাপতি
২০২২-২০২৫-ইংরেজি সালের জন্য ইয়থ ফোরাম গঠন করেন। 

এরপর  নবনির্বাচিত কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন অভিষেক কনভেনর সাব্বির চৌধুরী লিটন। 

নতুন কমিটিতে (২০২২- ২০২৫) নির্বাচিতরা হলেন, সভাপতি নেওয়াজ চৌধরী সাজু , সহ সভাপতি রিফাত চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক ছাবির আহমদ শাহীন, যুগ্ন সম্পাদক রেহান উদ্দীন , অর্থ সম্পাদক মোক্তার হোসেন বাহার, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহেদ, সমাজ কল্যান সম্পাদক আলী হোসেন, ক্রীড়া ও যুব সম্পাদক সেলিম আহমদ । 

কার্যকরী কমিটির সদস্য মিছবাহুল কাদীর ফাহিম, আনই মিয়া, জমশেদ মিশকাত চৌধুরী,সাব্বির চৌধুরী লিটন, হেলাল উদ্দীন, মাহবুব চৌধুরী রনি, কামরুল হাসান সাহান, মিজানুর রহমান , মন্জুর আহমদ. আবু জাহির সাকিব, জবরুল ইসলাম , সামিল ছাদেক চৌধুরী, ইউনুছুর রহমান ,ছাদ চৌধুরী ।

পরবর্তীতে মঞ্চে  আরোহণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান,মঈন চৌধুরী, লায়েক চৌধুরী । প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান কার্যকরী কমিটিকে শপথ পাঠ করান । 

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছাবির আহমদ শাহীন ২০২২-২০২৫-ইংরেজি সালের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন । যথাক্রমে আব্দুর রহমান, মঈন চৌধুরী, লায়েক চৌধুরী, জানু মিয়া, জালাল চৌধুরী, আব্দুর রহীম,সালেহ আহমদ,আব্দুল মন্নান, নুর ঊদ্দীন,সাইদুন ফয়ছল, শামীম চৌধুরী,নেহাল চৌধুরী,গোলাম মস্তফা বাবুল, মহি উদ্দীন আহমদ,রাহাদ হোসেন চৌধুরী। 

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছাবির আহমদ শাহীন এর সাবলীল সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম পি পি ডলি বেগম বলেন- টরেন্টোতে গোলাপগন্জ ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় । সবসময়ই আমি এই সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পারি বলে আনন্দিত। তিনি নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে অতীতের ন্যায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। 

নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, ঐতিহ্যবাহী গোলাপগঞ্জ সংগঠনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। এবং সংগঠনের প্রথম পদক্ষেপ Create a job & Save a family সম্পর্কে অবহিত করে প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন নব নির্বাচিত  সহ সভাপতি রিফাত চৌধুরী । তার বক্তব্যে উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে নেওয়াজ চৌধুরী সাজু অনুষ্ঠানে উপস্থিত অথিতিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বিগত দিনের বিভিন্ন কার্যক্রম কে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য সংগঠনের সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তাছাড়া সংগঠনের প্রথম উদ্যোগ Create a job & Save a family প্রজেক্টে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন । 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন ইন্জিনিয়ার এ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান, সাবেক আইজি প্রিজন ইফতেখার হোসেন,জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি যথাক্রমে জনাব রেশাদ চৌধুরী, জনাব আহাদ খন্দকার , তমাল দে , ফয়জুল চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি প্রফেসর আতাউর রহমান, প্রফেসর মোহাম্মদ মাসুক মিয়া, কামিল হোসেন, মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব লায়েকুল চৌধুরী ,  সহ সভাপতি শংকর দে,সৈয়দ মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ মুক্তা,হবিগঞ্জ এসোসিয়েশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবাদ চৌধুরী,বিয়ানীবাজার সমিতি ইংক এর সভাপতি আব্দুল মুমিত প্রমুখ।

Friday, 6 January 2023

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী


সরকারের বর্তমান মেয়াদের চতুর্থ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ভাষণ দেবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস এ তথ্য জানিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনে সম্প্রচার করা হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

সূত্র : বাসস 
তারেক-জোবায়দার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

তারেক-জোবায়দার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলার ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন

বিচারক ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি ক্রোক করার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গ্রহণ করে গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন তারেক ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নিয়ে পৃথক তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারেক-জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করা হয়। এই দম্পতি ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

ওই দিন হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের রিট গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী এ মামলা পরিচালনা করতে পারবে না। একই সঙ্গে এ মামলার যাবতীয় নথিপত্র ঢাকার বিচারিক আদালতে পাঠাতে বলেছেন। পাশাপাশি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। সেখানে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরে একই বছর তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন। এরমধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। আসামিরা মামলা বাতিলের আবেদন করলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।