الاثنين، 15 مارس 2021

দিরাইয়ে লাঠি হাতে তেড়ে গেলেন মামুনুল হক!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সংগঠনের শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যান হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ সময় হেলিকপ্টারটি দিরাই মজলিসপুর গ্রামে পৌঁছলে এলাকার লোকজন ছবি তোলার জন্য হেলিকপ্টারের সামনে দৌড়ে যান। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে হেলিকপ্টার থেকে নামতে পারছিলেন না হেফাজত আমির আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবুনগরী। 

ঠিক তখনই হেলিকপ্টার থেকে নামেন মামুনুল হক। বাবুনগরীর নিরাপত্তার জন্য নিজেই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এক পর্যায়ে জনতার ভিড় সামলাতে না পেরে লাঠি হাতে তাড়া করতে বাধ্য হন তিনি; যাতে বাবুনগরীকে নিরাপদে সমাবেশস্থলে নিয়ে যাওয়া যায়।

পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে হেফাজত আমিরকে কোলে করে হেলিকপ্টার থেকে নামান স্বেচ্ছাসেবকরা। পরে তাকে হুইলচেয়ারে করে দিরাই হাফেজিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে যান মামুনুল হক। ​

শাহীনুর আলম শাহিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ভিড়ের কারণে বাবুনগনরীকে হেলিকপ্টার থেকে কোনোভাবেই নামানো যাচ্ছিল না। পরে হেফাজত আমিরের নিরাপত্তার জন্য মামুনুল হক নিজেই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেন। অবাধ্য জনতাকে সামলাতে লাঠি হাতে তাড়া করতে বাধ্য হন তিনি।

এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে মামুনুল হক বলেন, ইসলামের কথা বলার জন্য আজ দিরাই এসেছি। সেলফি ওঠাতে আসিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে টিকটক, সেলফি আর ফেসবুক লাইভ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। কেন ভাই? ওইসব ছাড়া কি আপনাদের কোনো কাজ নাই? আপনাদের মাথায় কি সমস্যা আছে যে লাইক পাওয়ার জন্য সব জায়গায় সেলফি তুলতে হবে?

প্রসঙ্গত, শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যান হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবুনগরী। এ সময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনিরসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।


শেয়ার করুন