الاثنين، 28 يونيو 2021

সুরমা-কুশিয়ারা'সহ সিলেটের ৭৮টি নদী-খাল খননের উদ্যোগ



সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেট জেলার ৭৮টি ছোট-বড় নদ-নদী ও খাল খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সুপারিশের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেয় হয়েছে।

সিলেট জেলার প্রধান নদী সুরমা-কুশিয়ারাসহ ছোট-বড় নদী ও খালগুলো নাব্যতা হারিয়ে বিপন্নের পথে। নদী ভরাটের কারণে বোরো চাষীরা হাহাকার করেন ওই মৌসুমে। সুরমা-কুশিয়ারা এখন যৌবনহারা। এমনকি ভাঙনের কবলে বদলে গেছে সিলেটের কয়েকটি অঞ্চলের মানচিত্র।

সিলেটের নদ-নদী ও খালসমূহ অতীতে একাধিবার খননের উদ্যোগ নিয়েও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কিছুদিন আগে সিলেটের নদ-নদী ও খালসমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুত খনন করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার প্রেরণ করেন।

প্রেরিত ডিও লেটার প্রাপ্তির পর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি টিম নদী ও খালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং পরবর্তীতে কানাইঘাট উপজেলার নকলা ও জৈনকা খাল খনন করা হয়। এছাড়াও বাকি ৭৬টি নদী ও খাল দ্রুত খননের উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি গত ২৪ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে জানান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি।

উল্লেখ্য, সিলেটে পানির বড় উৎস সুরমা ও কুশিয়ারা নদী। এই দুই নদীর নাব্য হারিয়ে যাচ্ছে বলে অন্যান্য নদী এবং খালের মাছ ও জলজ উদ্ভিদও মরে যাচ্ছে। ২১৭ মাইল দীর্ঘ সুরমা নদী বিভিন্নস্থান এখন ভরাট। এক সময় এসব নদী দিয়ে চলাচল করত পণ্যবাহী জাহাজ। যা এখন কল্পনাও করা যায় না। নৌকা চালালেও আটকে যায় বিভিন্ন স্থানে। সুরমা-কুশিয়ার ছাড়াও সিলেটের অন্যান্য নদী এবং খালও নাব্যতা হারিয়ে আজ বিপন্ন প্রায়।

সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্রবাহমান নদীগুলো হচ্ছে- সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, সারী, পুরকচি, কাপনা, ডাকসা, বাসিয়া, বড়রাখা, বেটুয়া, জুরী, সোনাই, বড়গাং, ধামাই, ক্ষেপা, কাটা, মরাকাপনা, বড়ডারগা, ধলাই, বাজাসিং, মাকুন্দ, কাপনা, ব্রাক্ষণা, হাটখোলা ও কুড়া নদী।


শেয়ার করুন