الأربعاء، 14 يوليو 2021

অবশেষে কারাগারে ভূয়া সাংবাদিক ফয়ছল কাদির

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামী ফয়ছল কাদিরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার দিনগত (১৪ জুলাই) মধ্যরাতে সিলেট সদর উপজেলার পীরেরবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)-৯।

ফয়ছল কাদির (৪০) কানাইঘাট থানার বড়দেশ গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র। বর্তমানে তিনি শহরতলীর পীরেরবাজার ইসলামী হাউজিংয়ে নোমান মিয়ার বাড়িত বাস করছিলেন।

আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে র‍্যাব-৯ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ফয়ছল কাদিরের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে র‍্যাব। প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বিকেল তিনটার দিকে ফয়ছল কাদিরকে এসএমপির শাহপরাণ থানায় হস্তান্তর করেন তারা।

থানায় হস্তান্তরের পর আসামী ফয়ছল কাদিরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে গত ৯ জুলাই সিলেটের সুরমা গেটে চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন একদল ট্রাফিক পুলিশ। এদিন বিকেলে হেলমেটবিহীন তিন আরোহী নিয়ে কাগজপত্রবিহীন একটি মোটরসাইকেলে চড়ে সুরমা গেট দিয়ে যাচ্ছিলেন ভুয়া সাংবাদিক ফয়ছল কাদির। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট তাকে আটক করলে তিনি মোটরসাইকেলের কাগজপত্র এবং নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সও দেখাতে পারেননি। উপরন্তু উত্তেজিত হয়ে তার একটি ফেসবুক পেজ থেকে লাইভের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীকে হেয় করার উদ্দেশ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা তথ্য প্রচার শুরু করেন।

ফেসবুকে লাইভ করার ঘটনায় রোববার (১১ জুলাই) রাতে সিলেট নগরের শাহপরান থানায় ফয়ছল কাদিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মো. নুরুল আফসার ভূইয়া।

ফয়ছল কাদির 'পৃথিবীর কণ্ঠ (পিকে) টিভি' নামে ফেসবুক ভিত্তিক একটি পেজ পরিচালনা করেন। ফেসবুকে নিজেকে পিকে টিভির সম্পাদক ও মাতৃজগত নামের একটি পত্রিকা সিলেট ব্যুরো প্রধান হিসেবে দাবি করেছেন ফয়ছল।

তবে সিলেটের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাকে সাংবাদিক হিসেবে চিনেন না বলে জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন