ব্রিটেনে ঈদ
হাসনাত মুহ: আনোয়ার
ঈদ উপলক্ষে বৃটেনে বাংলাদেশের মত সাজ সাজ রব হয়না। স্বদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশে যদিও আমরা সংখ্যাগুরু কিন্তু এখানে সংখ্যালঘু অর্থাৎ মাইনরিটি। জনসংখ্যার হিসেবে মাত্র শতকরা দশজন মুসলিম এদেশে বাস করেন। দোকানপাটে কেনাবেচা প্রচুর হলেও দোকান গুলোর সাজসজ্জা বা ডেকোরেশন ও বিজ্ঞাপনে ঈদের উপস্থিতি এতদিন তেমন ছিলনা বললেই চলে। ঈদ উপলক্ষে মূল্যহ্রাস, বিরাট ছাড় .. ইত্যাদি খুব একটা চোখে পড়তো না। হ্যাঁ, মুসলীম বা এশীয় দোকানগুলোতে এর প্রভাব পড়ে বৈকি, কিন্তু মূলধারা বা মেইনস্ট্রীম শপিংমল গুলোতে খুব একটা সাড়া পাওয়া যেতোনা।
আনন্দের কথা, গত ক’বছর ধরে আস্তে আস্তে লন্ডন ও এর বাইরের শহর গুলোতেও ঈদ উপলক্ষে এর ছাপ পড়তে শুরু করেছে। স্ট্রীট লাইটিং এ 'ঈদ মোবারক' লেখা আলোকসজ্জা, মসজিদের গম্ভুজের আদলে নিয়ন সাইন বা লাইটিং, বড় কার পার্কিং ও খোলা ময়দানে ঈদ জামাত, শপিংমল গুলোতে ঈদ মোবারক সাইন, গৃহসজ্জার ডেকোরেশন যেমন: বেলুনে ঈদ মোবারক লেখা, ওয়াল হেঙ্গিং স্টিকার,প্লাস্টিকের ব্যানারে লেখা ঈদ মোবারক সাইন, ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে এখন। মুসলীম/ এশীয় দোকান গুলোতে ঈদকার্ড বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগের রাত বারোটা পর্যন্ত মূলত: মহিলাদের জন্য ও মহিলা ব্যবস্থাপনায় 'চাঁদ রাত' নাম দিয়ে শপিং এর ব্যবস্থা, মুসলীম পোশাক ও মেয়েদের সাজ সজ্জার দ্রব্যাদি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। হিজাব, জিলবাব, আতর, টুপীর বাজারও বেশ রমরমা। এ অবস্থা দৃষ্টে বেনিয়া ইংরেজ বসে থাকে কী করে। তারাও মেইনস্ট্রীম দোকান গুলোতে ধীরে ধীরে মুসলীম খদ্দের আকর্ষণের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে নেই। ব্যবসাটাই মূলকথা। আজদা (Asda),টেসকো ও তাদের দোকানে ঝুলিয়ে দিচ্ছে বিরাট ও দৃষ্টি আকর্ষণীয় সাইন। এরই মাধ্যমে আমাদের জানাচ্ছে— ঈদ মোবারক।
আপনাদের সবাইকে -ঈদ মোবারক।
হাসনাত মুহাম্মদ আনোয়ার (কাকন ফকির)
সাহিত্যিক, গীতিকবি ও সুরকার।