الأحد، 4 يوليو 2021

কঠোর লকডাউন বাড়তে পারে আরও ৭ দিন


দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা এক দিনের রেকর্ড আরেক দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সারাদেশে চলমান সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (০৪ জুলাই) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে প্রথম থেকেই আমাদের বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শ ছিল যে, দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেওয়া যায় কিনা? কিন্তু সরকার কোনো এক টেকনিক্যাল কারণে একসপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দিয়েছে। আমরা এখনও মনে করছি, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আরও একসপ্তাহ কঠোর লকডাউন বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। মৃত্যুর সংখ্যা এখনো একশ’র বেশি। তাই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’

কতদিন বাড়তে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ৭ দিন বাড়তে পারে।’ শিগগিরই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনায় যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে, বিধিনিষেধ বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।’

এ বিষয়ে বুধবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা যায়।

এর আগে বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে গত ২৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, সাতদিনের পর এই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনায় রয়েছে।

গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। যা ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে তা শেষ হওয়ার কথা।

কঠোরভাবে চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রেখে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করছে সরকার। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

সবশেষ রোববার (৪ জুলাই) ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে রেকর্ড। একই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৮ হাজার ৬৬১ জনের শরীরে।


শেয়ার করুন