الخميس، 22 يوليو 2021

করোনা সন্দেহে লাশ নেয় নি পরিবার, দাফন করলো ছাত্রলীগ


করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় পঞ্চান্ন বছর বয়সী বৃদ্ধ আনছার উদ্দিন হাওলাদারের লাশ নিতে অনীহা প্রকাশ করে তার পরিবার ও এলাকাবাসী। শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এ মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন সম্পন্ন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা।

ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরানের নেতৃত্বে মৃত ওই ব্যক্তির লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।

বুধবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিন উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আলতাকুরি গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আনছার উদ্দিন হাওলাদার করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মৃত আনসার উদ্দিন হাওলাদারের এক আত্মীয় জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। বুধবার দুপুরে তিনি মারা যান। করোনায় মৃত্যু হয়েছে এমন খবর শুনে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরিবারের সদস্য তার লাশ দাফন করতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়ে এসে তাকে গোসল করিয়ে এবং জানাজা পড়িয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে যান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরান বলেন, মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এমন সন্দেহে, লাশ গোসল করাতে কেউ রাজি হয়নি, দাফন করাতেও কেউ আসেনি। আমি এমন সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করি। পরে আমি ছাত্রলীগের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মৃত আনসার উদ্দিন হাওলাদারের লাশ তার পারিবারিক অবস্থানে দাফন করে আসি।

তিনি আরও বলেন, মৃত ওই ব্যক্তির গোসলের কাজ সম্পন্ন করেন ডামুড্যা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. লোকমান হোসেন এবং জানাজা পড়ান ধানহাটা জামে মসজিদের (সাবেক) পেশ ইমাম মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা, সবুজ, মিঠু, জীবন, সাইফুল ইসলাম, সুলাইমান, সোহেল, মান্নান ও শিপন।

ইমরান জানান, ডামুড্যা উপজেলায় আমাদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে নাম ‘জয়ন্তী’। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে ফ্রি অক্সিজেন সরবরাহ, অন্যান্য মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর


শেয়ার করুন