الأحد، 25 يوليو 2021

সিলেট-৩ উপনির্বাচনঃ শেষ মুহুর্তে কে রয়েছেন এগিয়ে?


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী সোমবার সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের প্রচারনার শেষ হচ্ছে। তাই নির্বাচনের  সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে ওঠেছে নির্বাচনী মাঠ। সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনকে ঘিরে গোটা নির্বাচনি এলাকায় দেখা দিয়েছে শেষ মুহুর্তের উত্তেজনা। 



সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান এর চেয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী অনেটাই এগিয়ে রয়েছেন। আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা ফেসবুক বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যেমনটা সরব ভোটের হিসাবে কিন্তু তারা খুবই পিছিয়ে। তাছাড়া দলীয় বিভিন্ন কোন্দল এবং মনোনয়ন বঞ্চিতদের নিরব ভূমিকা আসন্ন নির্বাচনে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। 


সিলেট-৩ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী। তিনি সিলেটের পরিচিত রাজনীতিবিদ। ১৯৮৬ সাল থেকে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে শফি আহমদ চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক গণসংযোগ করে ইতি মধ্যে ভোটারদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটযুদ্ধে নামার কারণে ইতিমধ্যে শফি আহমদ চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই এ  নির্বাচনে শফি আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কোন বিএনপি নেতাকর্মীরা না থাকলেও পরোক্ষভাবে দলের সাবেক এই নেতাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। 



শফি আহমদ চৌধুরী জানান- নির্বাচনী এলাকার জনগন যেহেতু তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার ব্যাপারে উৎসাহ জাগিয়েছে, তেমনি ভোটের দিনপর্যন্ত তার পাশে থাকবে। পাশাপাশি তার বিগত দিনের উন্নয়ন কার্যক্রম আগামী নির্বাচনে কিছুটা হলেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরা তার সঙ্গে রয়েছে। যেদিকে যাচ্ছেন বিএনপি তণমূল নেতাসহ সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছেন। তিনি সিলেট-৩ আসনের ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেয়া ও একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের মাঠে নামছেন।   



দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার সুধিজন মনে করছেন, ১৯৮৬সাল থেকে ২০২১ সাল দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় একমাত্র শফি চৌধুরী ব্যতিক্রম। প্রায় তিনযুগেরও অধিক সময় নির্বাচনী এলাকার জনসাধারনের কল্যাণে ব্যয় করে নিজেকে একজন নিখাদ জনকল্যাণমূখী জননেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করছেন শফি চৌধুরী। একটি অভিজাত পরিবারের সন্তান হিসেবে তার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। তার সবচিন্তা ভাবনা এলাকার জনসাধারনকে ঘিরে। 

জাপা প্রার্থী আতিকের বিশাল আকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করা হচ্ছে। শেষ সময়ে আতিকের নির্বাচনী কার্যক্রমে এলাকার বিশেষ করে মোগলাবাজারের মানুষ দলমতের উর্ধ্বে উঠে নিজের লোক হিসাবে আতিকের লাঙ্গল মার্কায় একত্রিত হয়ে পড়েছেন। আওয়ামীলীগের একাংশ,বিএনপির একাংশ এবং জাপার নিজস্ব ভোট ব্যাংক সব মিলিয়ে আতিকের লাঙ্গল এখন আগামীর মঙ্গলের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এমনটাই পুরো আসন জুড়ে বিরাজ করছে।



উল্লেখ্য,  সিলেট-৩ আসনের ২৪ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২৮ জুলাই হবে ভোটগ্রহণ। গত ১১ মার্চ আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সিলেট-৩ আসনটি শূন্য হয়।


শেয়ার করুন