الثلاثاء، 31 أغسطس 2021

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ‘বীর্য সন্ত্রাস’, আতঙ্কে রাস্তায় মেয়েরা


যৌন হেনস্তার এক নতুন উপায়! দুষ্কৃতীদের হাতিয়ার এখন বীর্য সন্ত্রাস বা Semen Terrorism। মহিলাদের জিনিসপত্রে মাখিয়ে দেওয়া হচ্ছে বীর্য। এমনকী, কফি বা খাবারেও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের উপর রাগ মেটাতে এহেন উপায় বেছেছেন পুরুষদের একাংশ। মজার কথা হল, এই কাণ্ড ঘটালেও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার মামলা করা যায় না। আর এই ইস্যুতেই উত্তাল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) রাজপথ। মহিলাদের বিক্ষোভ সামাল দিতে নাজেহাল দশা পুলিশের। ব্যাপারখানা কী?


বছর কয়েক আগেই #MeToo নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা বিশ্ব। সেই সময়ই অর্থাৎ ২০১৯ সালে সামনে আসে এই বীর্য সন্ত্রাসের কাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার মহিলা এই সন্ত্রাসের কোপে পড়েছে বলে অভিযোগ। প্রথমে এক মহিলার জুতোতে বীর্য লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আদালত অভিযুক্তকে ৪৩৫ ডলার জরিমানা করে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ এমন অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও আইনই নেই। সেই শুরু।


এ ধরনের আরও একটি অভিযোগ সামনে আসে। যেখানে দেখা যায়, এক মহিলার পানীয়তে বীর্য মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কারণ, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে একাধিকবার প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তারই বদলা নিতে গিয়েই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল। অভিযুক্তকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৩ বছরের জেল দেওয়া হয় তার। দিন কয়েক আগে তো এক সরকারি আধিকারিকের কফিতেও বীর্য মেশানো হয়েছিল। একবার নয়, ছ’বার তার কফিতে বীর্য মিশিয়েছিল সহকর্মী। যদিও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কেবলমাত্র কফি কাপ নোংরা করার অভিযোগ আনে। 


লাগাতার এ ধরনের অভিযোগ সামনে আসছে। অথচ অভিযুক্তের শাস্তির সংস্থান নেই সে দেশের আইনে। তাই এবার বীর্য সন্ত্রাসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার পক্ষে সওয়াল করছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদরাও। আন্দোলন করছে সে দেশের মহিলারা। এ প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা  Baek Hye Ryun জানান, “ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়নি। কারণ, অভিযোগকারিনীকে সে স্পর্শ করেনি। ফলে এটি আইন অনুযায়ী যৌন হেনস্থার পর্যায়ে পড়ে না। তবে এই আইনের দ্রুত বদল দরকার।”



শেয়ার করুন