الخميس، 30 سبتمبر 2021

শুক্রবার থেকে অবৈধ হ্যান্ডসেটে নেটওয়ার্ক পাবে না

শুক্রবার থেকে অবৈধ হ্যান্ডসেটে নেটওয়ার্ক পাবে না



শুক্রবার থেকে অবৈধ বা চোরাই পথে আসা হ্যান্ডসেটে আর চলবে না মোবাইল সিম কার্ড। এখন থেকে নতুন হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে সচল করতে হলে অবশ্যই তার আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসি'র ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় নিবন্ধিত থাকতে হবে। শুধুমাত্র বৈধভাবে দেশে উৎপাদিত এবং বৈধ পথে আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো এনআইআর ব্যবস্থায় নিবন্ধিত থাকবে। ফলে চোরই পথে আসা এবং নকল হ্যান্ডসেট আর বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না।


অবৈধ হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে সচল থাকলে তা একটি এসএমএস এর মাধ্যমে গ্রাহককে জানানো হবে এবং কিছু সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেটওয়ার্কে সচল হওয়া হ্যান্ডসেটগুলো আগের মতই সচল থাকবে, এ ক্ষেত্রে নতুন নিয়মের প্রভাব পড়বে না। এ তথ্য জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।

তিনি জানান, অবৈধ পথে আসা এবং নকল হ্যান্ডসেট নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এ কারনে সাধারন মানুষের জন্য নিরাপদ টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতেই বিটিআরসি এনইআইআর ব্যবস্থা চালু করেছে। এর আগে গত পহেলা জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হয়। তিন মাস পরীক্ষামূলক থাকার পর পহেলা অক্টোবর থেকে চূড়ান্তভাবে চালু হচ্ছে।


তিনি আরও জানান, পহেলা অক্টোবর থেকে নতুন হ্যান্ডসেটে সিমকার্ড সচল করতে বৈধভাবে উৎপাদিত এবং আমদানি করা হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। কিন্তু গেলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ হয় তাহলে নেটওয়ার্কে চালু করার সময় মেসেজ আসবে। মেসেজের মাধ্যমে ক্রেতাকে জানানো হবে যে 'তার ফোন সেটটি বৈধ নয়' এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে। এই মেসেজ ফোন বিক্রেতাকে দেখিয়ে ক্রেতা তার ফোন সেটটি বদলে নিতে পারবেন বা টাকা ফেরত নিতে পারবেন। বিক্রেতা ফোন বদলে দিতে না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈধ নিশ্চিত হতে হ্যান্ডসেট কেনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে KYD টাইপ করে করে স্পেস দিয়ে মোবাইলের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে সেটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে কিনা তা জানানো হবে।

বিটিআরসি'র সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, পহেলা অক্টোবর থেকে বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট কিনে দেশে আনা হলে তা বিটিআরসি'র অনলাইনে গিয়ে প্রযোজ্য তথ্য ও দলিল জমা দিয়ে এনইআইআর ব্যবস্থায় নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সিমকার্ড চালু করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে। বিদেশ থেকে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ আটটি হ্যান্ডসেট নিয়ে আসতে পারবেন। এর মধ্যে দু'টি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে আনা যাবে। বাকি ছয়টির জন্য শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে, যে সাজা হতে পারে ক্রিকেটার নাসিরের

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে, যে সাজা হতে পারে ক্রিকেটার নাসিরের



অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যাভিচার ও মানহানির অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই।প্রতিবেদনে তাদের বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে প্রতিবেদনটি দেন মামলার পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করে, নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি।  তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।  রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেন।  তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে। তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি।  আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি।


অন্যের স্ত্রীকে বিয়ের বিষয়ে আইন কী বলে?

অন্যের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও কোনো বিবাহিত নারীকে কোনো পুরুষ যদি ফুসলিয়ে বা প্ররোচনার মাধ্যমে যৌনসঙ্গম করার উদ্দেশে কোথাও নিয়ে যায় বা একই উদ্দেশে কোথাও আটকে রাখে তাহলে সেটি একটি অপরাধ যা দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডনীয়, অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। 


দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচারের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড। তবে ব্যভিচারের ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটির কোনো শাস্তির বিধান আইনে নেই।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে নাসিরের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড হতে পারে।

জানা গেছে, নাসিরের সহধর্মিণী তামিমা হোসেন তাম্মির এটাই প্রথম বিয়ে নয়।  তার আরও এক স্বামী রয়েছে এবং সেই সংসারে ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। আর সেই স্বামী-সন্তানকে ফেলে এসে নাসিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তামিমা।

তামিমার সেই স্বামীর নাম রাকিব হাসান। তার দাবি, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি।  তাদের ঘরে ৮ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।  তামিমা তাকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

রাকিব হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তামিমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর অনেক বছর তামিমার পক্ষের কোনো আত্মীয়স্বজনের দেখা পাইনি। বছরচারেক আগে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তামিমাকে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরি পাইয়ে দিই। এই চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সে (তামিমা) বদলে যেতে থাকে।  


নাসিরকে তামিমার বিয়ের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর আপ্লুতকণ্ঠে রাকিব হাসান বলেছিলেন, নাসিরের ফেসবুকে পোস্ট করা সেই বিয়ের ভিডিও আমার মেয়ে দেখে অঝোরে কাঁদছে। আমাকে কোনো নোটিশ না দিয়ে, কোনো কাগজপত্র না পাঠিয়ে কেন এভাবে অন্যের স্ত্রী হতে চলে গেল তামিমা? আমি বুঝতে পারছি না। এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি। আমার অবুঝ মেয়ে কী দোষ করেছে? যে এখন মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ভিডিও দেখে কাঁদছে?- এমন প্রশ্নও রাখেন তামিমার প্রথম স্বামী।

নাসির হোসেনের সঙ্গে কবে কীভাবে তামিমার যোগাযোগ হলো, সে বিষয়ে কিছু জানতেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, বছরখানেক আগে আমি তামিমার ইনস্টাগ্রামে নাসির হোসেনের সঙ্গে তার ছবি দেখেছিলাম। এমন একটি ছবি নাসিরও ফেসবুকে দিয়েছিল। তখন তামিমা বলেছিল, নাসির হোসেন তার বন্ধু।
রায়হানের মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন আকবর

রায়হানের মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন আকবর



সিলেটের আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদকে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে নির্মম নির্যাতনে মেরে ফেলেন বন্দরবাজার ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা। আলোচিত সেই হত্যা মামলায় এক বছরের মাথায় অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গৃহীত হয়েছে।


এর আগে কারাফটকে রায়হানের মা সালমা বেগম ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহ’র পা ধরে ক্ষমা চান ‘হত্যাকারী’ এসআই আকবরসহ বরখাস্তকৃত ৫ পুলিশ সদস্য।

বৃহস্পতিবার চার্জশিট গ্রহণের পর আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় সালমা বেগম ও হাবিবুল্লাহ’র। এসময় তারা জানান, কিছুদিন আগে রায়হান হত্যা মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তের স্বার্থে রায়হানের মা সালমা, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহকে পুলিশ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে নিয়ে সাক্ষী গ্রহণ করে। ওইসময় কারান্তরীণ আসামি বরখাস্তকৃত এস.আই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে রায়হানের পরিবারের সদস্যদের সামনে নিয়ে আসা হলে তারা রায়হানের মা ও সৎ বাবার পা ধরে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চান। তবে সালমা ও হাবিবুল্লাহ এস.আই আকবরদের কখনো ক্ষমা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এসময় তারা সালমা বেগমকে বলেন, ‘আমরা ভুল ইনফরমেশন পেয়ে রায়হানের মতো ভালো একটি ছেলেকে নির্যাতন করেছি। আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন।’

তবে তাদের এমন অনুনয়-বিনয়ে মন গলেনি সালমা বেগমের। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেও তো তোমাদের কাছে সেদিন প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলো। কিন্তু তোমরা সেদিন পাষণ্ড ছিলে। আমার ছেলের প্রাণ ভিক্ষা দাওনি। তাই আজ আমরাও তোমাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করবো না।’

উল্লেখ্য, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অবশেষে আদালতে গৃহিত হয়েছে। বাদীপক্ষ নারাজি না দেওয়ায় চার্জশিট দাখিলের প্রায় সাড়ে চার মাসের মাথায় এসে সেটি আদালতে গৃহিত হলো। এদিকে, চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসাথে তিনি নোমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট গৃহিত হওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত সকল আসামি হাজির ছিলেন।


 বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ ফজল চৌধুরী জানান, চার্জশিটে নারাজি দেওয়ার মতো তেমন কিছু ছিল না। তাই নারাজি দেওয়া হয়নি। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। আজ আদালতে রায়হানের মা, স্ত্রী, চাচাসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

গেল বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ ছিল। পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। গত ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
 
যে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।

অভিযুক্ত অপরজন আব্দুল্লাহ আল নোমান, যার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভারতে পালিয়ে গেছে।

এদিকে, পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, রায়হান হত্যা ঘটনার পর পালিয়ে যান এসআই আকবর। পরে গেল বছরের ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন, ১০ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তা; আদালত সাত দিনের আবেদনই মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৭ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আকবরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
দাঁড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিকারী গোলাপগঞ্জের সেই শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার

দাঁড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিকারী গোলাপগঞ্জের সেই শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার


নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি এমসি একাডেমিতে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে সরগরম ছিলো গোলাপগঞ্জ উপজেলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ঝড় বয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভাইরাল ইস্যুর সমাধান নিয়ে এক জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে জরুরি সভায় তাদেরকে সন্তুষ্টমূলক সমাধান দেয়া হয়। 

জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক উজ্জ্বল কুমারকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ড থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।উজ্জ্বল কুমারের পক্ষ থেকে লিখিত ও মৌখিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। ছাত্রদের যে জোর দাবি ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি সেটা আইনগত জটিলতার কারণে তৎক্ষনাৎ সম্ভব না হওয়ায় সময় চাওয়া হয়েছে ও প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের সমস্ত পদক্ষেপ শেষ হওয়ার পর সেটার কাজ শুরু হবে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটবেনা এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

এমসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিসবাহ, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ সরকারি এমসি একাডেমির শিক্ষকবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন

নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন



ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী মো. রাকিব হাসান এ আবেদন করেন।


তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।  রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা নাসির হোসেনকে বিয়ে করেন। 

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের দাখিল করা এমন প্রতিবেদনের পরই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী মো. রাকিব হাসান।

সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তালাক বৈধ না হওয়ায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী।  

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে।  তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি।  আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে ডাকবিভাগের তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


এর আগে ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।  গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।  ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এর পর শুনানি শেষে বিকালে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়।  তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।  চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।


‘তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সি শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ও ৩৪ ধারায় অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দানে আদালতের মর্জি হয়।’
জকিগঞ্জে রাতভর ডাকাত আতঙ্ক!

জকিগঞ্জে রাতভর ডাকাত আতঙ্ক!



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় গতকাল রাতভর ডাকাত আতঙ্কে ছিলো। গভীর রাতে হঠাৎ করেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে পৌর এলাকায় ২ গাড়ি ডাকাত ঢুকে পড়েছে। এমন খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সবদিকে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সাধারণ লোকজন ছিলেন সর্তক অবস্থানে। থানা পুলিশও বৃদ্ধি করেছিলো টহল। বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ টিম।


থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ফেসবুকে হঠাৎ করে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারণে জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের নির্দেশনায় পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওসি আবুল কাসেমের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতদলের সন্ধানে অভিযান চালিয়েছে। তবে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত কোথাও ডাকাতদলের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি।
 
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ  থানার ওসি আবুল কাসেম বলেন, ফেসবুকে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তিনি পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে সর্তক অবস্থানে ছিলেন। কোথাও ডাকাতদলের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়নি।


ফেসবুকের খবর কতটুকু নির্ভরযোগ্য হতে পারে এমন প্রশ্নে বলেন, এটা রিউমার (গুজব) হতে পারে। পুরো উপজেলায় পুলিশ খুবই সর্তক ছিলো।
নাসির-তামিমার বিয়ে বৈধ নয়: পিবিআইর প্রতিবেদন

নাসির-তামিমার বিয়ে বৈধ নয়: পিবিআইর প্রতিবেদন




ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি। তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।  রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা নাসির হোসেনকে বিয়ে করেন। 


পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রতিবেদনে (পিবিআই) এসব তথ্য উঠে এসেছে।  
 
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তালাক বৈধ না হওয়ায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী।  

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে।  তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি।  আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে ডাকবিভাগের তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


এর আগে ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।  গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।  ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এর পর শুনানি শেষে বিকালে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়।  তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।  চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

‘তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সি শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ও ৩৪ ধারায় অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দানে আদালতের মর্জি হয়।’

الأربعاء، 29 سبتمبر 2021

এবার ‘মানিকে মাগে হিতে’ গাইলেন রানু মণ্ডল, (ভিডিও)

এবার ‘মানিকে মাগে হিতে’ গাইলেন রানু মণ্ডল, (ভিডিও)



‘মানিকে মাগে হিতে’ গানটি গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন শ্রীলংকান গায়িকা ইওহানি। এরপর অনেক শিল্পীই গানটি গেয়েছেন। অনেকদিন গান থেকে দূরে থাকা রানু মণ্ডলও এবার গাইলেন শ্রোতাপ্রিয় গানটি। এর দুই বছর আগে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক পেয়ার কা নগমা হ্যায়’ গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন রানু। লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়েছিলেন মাটিতে বসে। এ বার তিনি লাল টি-শার্ট পরে গান গাইলেন। 

ইতিমধ্যে রাণুর সেই নতুন ভিডিও ৬২ হাজার মানুষ দেখেছেন। ‘পছন্দ’ জানিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার জন। রানাঘাটের রানু, সিংহলী ইওহানির উচ্চারণকে নকল করে মনের আনন্দে হাসতে হাসতে গান গাইলেন। ভিডিওর শেষে প্রশংসা করেছেন ইউটিউবার। বললেন, ‘অসাধারণ, অসাধারণ!’ প্রশংসায় আপ্লুত রানুও এক গাল হেসে দিলেন।

ভিডিওঃ
দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের যে সকল ইউনিয়নে নির্বাচন

দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের যে সকল ইউনিয়নে নির্বাচন



নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১১ নভেম্বর দেশের ৮৪৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ২০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইসি সচিব।

সিলেট বিভাগের যে সকল ইউনিয়নে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেসব ইউনিয়নের তালিকা নিচে দেওয়া হলো :



প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে  বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার কেক কাটা ও খাদ্য বিতরন

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার কেক কাটা ও খাদ্য বিতরন




সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক বলেছেন, স্বাধীনতার অর্জনকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসার স্বাক্ষর স্বরূপ জাতিসংঘ তাঁকে ইতিমধ্যে এসডিজি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রক্ষায় মুজিব আদর্শকে লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি গণমেহনতি মানুষের অগ্রদূত, সুখী বাংলাদেশের কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতায়ূ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। 

তিনি ২৮ সেপেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত কেক কাটা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দেব এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী শাহ মোহাম্মদ সাদেক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিলেট জেলার শাখার কার্যকরী কমিটির সভাপতি এডভোকেট মুহিদ হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জমির উদ্দিন, নিখিল দাশ। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সত্তার, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মুকিত, আতিক মিয়া, আব্দুল আহাদ, যুবলীগ নেতা লিমন আহমদ, এনাম আহমদ, জেবু মিয়া, কনর মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সুয়েব আহমদ জয়, ফয়সল আহমদ প্রমুখ। 

শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মুজিবুর রহমান মিন্টু। 

আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন করেন এবং খাবার বিতরণ করেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে নির্বাচন ১১ নভেম্বর

দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে নির্বাচন ১১ নভেম্বর



আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে দেশের ৮৪৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।


বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানান।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর।

এছাড়া বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর। ভোটগ্রহণ ১১ নভেম্বর।

এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।


ইসি সচিব জানান, আগামী সপ্তাহের তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সভায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ

টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ



টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার   রিট আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে এ আদেশ দেন।


আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আ্যডভোকেট শিশির মনির এ তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১০ আগস্ট ফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ফোনালাপ ফাঁসের ২০টি ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন—অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাভিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এই ১০ আইনজীবী। এতে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এসব আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।


নোটিশে বলা হয়, সার্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয়ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।

এ ছাড়া ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০ (চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট করা হয় বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির।

الثلاثاء، 28 سبتمبر 2021

শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌস

শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌস



শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন কক্সবাজার মহেশখালীর গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস (২৭)। অসহ্য যন্ত্রণায় প্রতিটি দিন পার হচ্ছে তার।

গত ২০ সেপ্টেম্বরের ইউপি ভোট চলাকালে নির্বাচনী সহিংসতায় দুর্বৃত্তদের ছররা গুলির শিকার হন এই গৃহবধূ।  তবে তার দাবি, প্রতিপক্ষকে গুলি করার দৃশ্য দেখে ফেলায় তাকেও প্রাণে মারার জন্য গুলি করা হয়েছে।


এ ব্যাপারে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি দিলোয়ারা বেগম বাদি হয়ে বাদশা মিয়ার পুত্র আবদুর রহিম, মো. তারেক, জহির মিয়া ও আবুল বশরের ছেলে আজিজুল বশরসহ আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার একটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা গোলাগুলি করে। এসময় এক ব্যক্তিকে আমার সামনে গুলি করা হয়। আমি এই দৃশ্য দেখে ফেলায় আমাকেও গুলি করে তারা। এমনকি আমার বাড়িতে এসে দরজা, জানালায় গুলি করে। বাড়ির আসবাবপত্রও ভেঙে ফেলে।

তিনি বলেন, আমার শরীরে ৩৫টা গুলি। চিকিৎসক বলেছেন, গুলিগুলো বেরও করা যাবে না। হাতটাও অবশ হয়ে যাবে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এই নিষ্ঠুরতার বিচার দাবি করছি।


মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই বলেন, কুতুবজোম ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গোলাপগঞ্জে এমসি একাডেমির শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ

গোলাপগঞ্জে এমসি একাডেমির শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ



নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোলাপগঞ্জে ‘এমসি (মোহাম্মদ চৌধুরী) একাডেমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’র উজ্জ্বল কুমার দেব নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অনেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানান। 

তবে ঘটনাটার পর ওই ছাত্র বিদ্যালয়ে কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। এছাড়াও ছাত্রের কোন বক্তব্য বা পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

ফেইসবুকের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ১০ম শ্রেণির মানবিক শাখার ৫জনের কাছে মোবাইল পান একজন শিক্ষক। এই ৫ জনের মধ্যে একজনের মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি ছিলো। তখন ওই স্যার এ ছাত্রকে জামাত-শিবির তকমা দিয়ে গালিগালাজ করা শুরু করেন বলে তারা পোস্টে অভিযোগ করে। ওই ছাত্রটি তখন স্যারকে জানায় সে তবলীগে ছিলো তাই বাড়িতে মোবাইল রেখে আসার সুযোগ পায়নি। প্রমাণস্বরূপ তার সঙ্গে থাকা কিছু কাপড়ও সে স্যারকে দেখায়। কিন্তু ওই স্যার এতে কর্ণপাত না করে তাকে চরম অপমান করেন ও গালিগালাজ করেন। 

সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ফেইসবুকে আরো অভিযোগ করে লেখেন, ওই স্যারের মূল উদ্দেশ্য ছিল দাড়ি-টুপির বিরুদ্ধে কথা বলা। আর শিবির নাম নেয়া ছিলো একটি কৌশলমাত্র। তিনি ৫জনের কাছে মোবাইল পেয়েছেন, তাই ৫ জনকেই সমানভাবে শাস্তি দিবেন। তা না করে শুধু দাড়ি-টুপিওয়ালা ছাত্রকেই কেন টার্গেট করলেন? এর আগেও ওই স্যার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ছাত্রদের। 

এদিকে বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসা মাত্র সোমবার রাতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার প্রতিষ্ঠানের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ক্ষুদেবার্তা প্রদান করেন। এতে তিনি লেখেন, ‘স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, আমি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ঢাকায় ছিলাম। আজ দুপুরে বাসায় এসেছি। কিছুক্ষণ আগে এমসি একাডেমির একটি বিষয় আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমসি একাডেমি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। আগামীকাল আমি প্রতিষ্ঠানে এসে তোমাদের সাথে নিয়ে আমরা দেখবো। এখন পরীক্ষার্থীসহ কলেজ সেকশনের আমার যে সকল ছাত্র ফেইসবুকে এ কমেন্ট করছো তা প্রতিষ্ঠানের কথা বিবেচনা করে ডিলিট করে দাও। এটা তোমাদের প্রতি আমার বিশেষভাব অনুরোধ। তা না হলে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হবে। বিষয়টি আমরা সবাই বসে গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। আশা করি তোমরা আমার কথাটি দায়িত্ব নিয়ে বিবেচনা করবে। সবাই ভালো থেকো।’

এমসি (মোহাম্মদ চৌধুরী) একাডেমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসবে। 

এ ব্যাপারে শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার দেবের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

এদিকে এই খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনাটাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। 

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, বিষয়টি সমাধানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেছে। আর যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
গোলাপগঞ্জে 'ষড়যন্ত্রমূলক' মিথ্যা মামলায় আসামি ৪ জন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

গোলাপগঞ্জে 'ষড়যন্ত্রমূলক' মিথ্যা মামলায় আসামি ৪ জন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ৪ জনকে আসামি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে এলাকাবাসী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 


তারা বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সুন্দিশাইল গ্রামের আব্দুছ ছত্তার ও তার স্ত্রী নুরুন্নেছার মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এসময় স্বামী চিৎকার করলে স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় শুরু করেন। আব্দুছ ছত্তারের চিৎকার শুনে তার ভাতিজা সুমন, আহাদ, এমন এগিয়ে এসে দেখতে পান কেউ একজন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসময় তারা দৌড়ে পালানো ব্যক্তির পিছু নেন। পরে পাশের আরেকটি বাড়ির উঠানে গিয়ে ধরে ফেললে তারা ঐ মহিলাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মহিলার চিৎকার শুনে ঐ ঘরের মালিক প্রত্যক্ষদর্শী মামলার স্বাক্ষী সাহেল আহমদ বের হয়ে দেখেন সুমন, আহাদ, এমন তারা ৩ জন মিলে দা দিয়ে কোপাচ্ছেন মহিলাকে। পরে এলাকাবাসীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে মহিলা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এদিকে ঘটনার ৩ দিন পর থানায় উপস্থিত হয়ে আহত মহিলার ভাইপো মো.দেলোয়ার হোসেন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ এমরান আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। 

এজাহারে উল্লেখিত ১নং আসামি ব্যতিত বাকি ৪ জন নির্দোশ বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীসহ এলাকাবাসী। 

এবিষয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইমরান আহমদের মামা অলিম উদ্দিন বলেন, 'ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার ভাগনাসহ ৪ জনকে আসামি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় তারা কেউ ছিলেন না। মামলায় মূল আসামিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা মহিলাকে কুপিয়ে আহত করেছে তাদের ১ জন ব্যাতিত বাকি ২ জনের নাম মামলায় দেওয়া হয়নি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্ন করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে যারা জড়িত নয় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'


স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.কামরান আহমদ বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি মহিলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। পরে আমি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এজাহারে ১নং আসামি পরে বাকি যারা মামলায় রয়েছেন তার ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। আমি আসার পর তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। আমিও জানি তারা নির্দোশ। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।' 

এসময় উপস্থিত আসামি এমরানের মামাতো ভাই আলি আহমদ, এলাকার মুরব্বি আওলাদ হোসেন, লোকমান আহমদ, মুনশি নজমুল হক, আলাল আহমদ, জামাল আহমদ, রিয়াজ উদ্দিন, খালেদ আহমদ, মঈন উদ্দিন সাকন, জলাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনসহ উপস্থিত সবাই মূল আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্দোশদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার বলেন, 'তদন্ত করে পাওয়া যাবে কারা ঘটনার সাথে জড়িত। তিনি বলেন, ১নং আসামি পরে বাকিরা যে ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তারা কোথায় ছিলেন, আপনি আমাকে বলেন?'
অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা


আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি মধুমতী নদীবিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছার প্রথম সন্তান। বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর জীবন শেখ হাসিনার।

সাফল্যগাথা এই কর্মময় জীবন কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্টকাকীর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তিনি গৃহবন্দি থেকেছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারানির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ২০ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে অবিচল।

টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। তার দূরদর্শী ভূমিকায় করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে। করোনাভাইরাসসহ সব দুর্যোগ মোকাবিলা করেও দেশের অগ্রযাত্রাকে টিকিয়ে রেখেছেন। আর তার সময়োপযোগী নেতৃত্ব দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্বদরবারেও।

বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসাবে পরিচিত। এমন দক্ষ নেতৃত্বে তিনি আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। কারণ সব প্রতিবন্ধকতা, সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কন্যা শেখ হাসিনা অকুতোভয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই গণমানুষের নেতা।

রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, গতিশীল নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও তিনি অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে তার নেতৃত্বে আজ বাঙালি জাতি এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব, সঠিক সিদ্ধান্ত ও অদম্য সাহসিকতায় বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও অব্যাহত কল্যাণ কামনা করেন তিনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শেখ হাসিনা চার দশক দলের এবং প্রায় ১৭-১৮ বছর সরকারের নেতৃত্বে আছেন। কাজেই তাকে পর্যবেক্ষণ করার যথেষ্ট সুযোগ আমরা পেয়েছি। এই পর্যবেক্ষণ থেকে আমার মন্তব্য হচ্ছে-১৭ মে ১৯৮১ সালে তিনি যখন ফিরে এসেছিলেন, তখন আমার মনে হয়েছিল, নির্বাসন থেকে বাংলাদেশ অস্তিত্বে ফিরেছে। কারণ পঁচাত্তরের পরে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই পথে আছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের মধ্যে সম্মোহন আছে। এর দুটি উপদান। একটি হলো তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় সম্মোহন ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে শেখ হাসিনা সেটা ধারণ করেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিজস্ব কর্মকাণ্ডভিত্তিক সম্মোহন। পাশাপাশি তার আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ করছি। সেটা হলো-তিনি সহসী। সাহস না থাকলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতাবিরোধীদের বিচার হতো না। তার সাহসী সিদ্ধান্ত না হলে পদ্মা সেতুও হতো না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উদ্ভাবনী, সৃজনশীলতা আছে। তার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট অর্জন করেছি বলেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটানোর সুযোগ পেয়েছি। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়া শেখ হাসিনার সামনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এক ফিনিক্স পাখি। ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এই বাংলার আপামর মানুষের কল্যাণে। পুরো জীবন কণ্টকাকীর্ণ এক দীর্ঘপথ হেঁটে, সহস বাধা মাড়িয়ে তিনি আজকের শেখ হাসিনা। এই পথের বাঁকে বাঁকে ছিল জীবনের ঝুঁকি। শত্রুর শ্যেনদৃষ্টি তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখে-এটি এই দেশের প্রতিটি মানুষই উপলব্ধি করে। দিনে দিনে শেখ হাসিনার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য।

টুঙ্গিপাড়া থেকে বিশ্বমঞ্চে : শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালির চিরায়িত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদির কোলে-পিঠে। গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। গ্রামের সঙ্গে তাই তার নিবিড় সম্পর্ক। তার ডাকনাম হাসু। বঙ্গবন্ধু আদর করে এই নামেই ডাকতেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউ জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে মা-বাবাসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবার নিয়ে পুরান ঢাকার রজনী বোস লেনের ভাড়া বাসায় ওঠেন। বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে টিকাটুলীর নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজ) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্রলীগের নেত্রী হিসাবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় তার প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম দেন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা পুতুলের জন্ম হয়।

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ১৯৮১ সালে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরেরই ১৭ মে ছয় বছর প্রবাস-জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম সরকার গঠন করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিরোধী দলের নেতা হন। পরে ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার সাফল্য ও অর্জন : শেখ হাসিনা সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছে। দেশবাসী আজ এর সুফল পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় দুই হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত, মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন থেকে রিজার্ভ ৪৮.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত, ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত ও প্রায় শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারীনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোরজি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

মহামারি করোনার সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তিনি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং করোনা মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে কৃষি, শিল্পসহ অর্থনৈতিক খাতগুলোয় সময়োপযোগী ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ এবং তা বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি রোল মডেল হিসাবে পরিগণিত হয়। যার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানে ছিল বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

সবার জন্য বিনা মূল্যে টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চার কোটির বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে তিনি বিশ্বের সব মানুষের জন্য টিকাপ্রাপ্তির সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়েছে।

الاثنين، 27 سبتمبر 2021

ইকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষরোপন

ইকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষরোপন



মুজিববর্ষ উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ইকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 

২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটি আয়োজিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ, রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির সেক্রেটারি রোটাঃ এস এ শফি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপাংকর দেব নাথ, সহকারী শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস, শিহাব মোহাম্মদ তোফায়েল, ফজলুর রহমান, রুবিয়া আক্তার, আফরোজা আক্তার ফাতেমা,সুমন কুমার সিং। 

এসময় রোটাঃ এস এ শফি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির হাতে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার তুলে দেন এবং পরে সকলের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষের চারা রোপন করেন।
সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নৈতিকতা কমিটির সভা

সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নৈতিকতা কমিটির সভা



সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের(টিটিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন যুক্তি(APA) বাস্তবায়ন উপলক্ষে নৈতিকতা কমিটির সভা ২৭ সেপ্টেেম্বর সোমবার দুপুরে আলমপুরস্হ টিটিসি হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ওয়ালিউল্লা মোল্লার সভাপতিত্বে ধারাবাহিক নৈতিকতা কমিটির সভায় টিটিসি কর্মকর্তা শাহীন উদ্দিনকে শুদ্ধাচারে সেরা কর্মচারী হিসেবে ক্রেষ্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি ট্রেড ভিত্তিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
 
সভায় উপস্থিত ছিলেন চীফ ইন্সট্রাক্টর শাহ আলম পাটোয়ারী, শামীমা আক্তার, সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মনিরুজ্জামান মনির,মাজেদুর রহমান, মিতা রানী সিনহা,রেজাউল করিম, ইন্সট্রাক্টর মো দেলোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক, জাকির হোসেন, শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
পুলিশের দোষ নেই, রাগ করে বাইকে আগুন দিয়েছি

পুলিশের দোষ নেই, রাগ করে বাইকে আগুন দিয়েছি



রাজধানীর বাড্ডায় মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন এক 'পাঠাও' চালক। আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড্ডায় লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাইকারের নাম শওকত আলম। তার বাড়ি কেরাণীগঞ্জে। গত সপ্তাহে ট্রাফিক পুলিশ একটি মামলা দেওয়ার পর আজ আবারও মামলা দিতে চাইলে ক্ষোভ থেকে এ কাজ করেছেন বলে জানান।

পুলিশের দোষ নেই, রাগ করে বাইকে আগুন দিয়েছি'

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় জনতা ইন্স্যুরেন্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল ও শওকত আলমকে বাড্ডা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শওকত আলম সোহেল বলেন, ‌‘আমার নিজের ইচ্ছায়ই গাড়ি (মোটরসাইকেল) জ্বালাইছি। এতে তো আমারই ক্ষতি হলো। রাগ করতে গিয়ে নিজের গাড়িই জ্বালিয়ে দিলাম। পুলিশের কোনো দোষ নেই। আমি কেরানীগঞ্জে ব্যবসা করতাম। দেড় মাস ধরে পাঠাও চালাই। গত সপ্তাহেও আমাকে একটা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আজ ট্রাফিক পুলিশ আবারও মামলা দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছি তা জানতে চেয়েছে। এখন আমি এলাকায় চলে যাচ্ছি। আমি এ ঘটনায় অনুতপ্ত।

পুলিশের দোষ নেই, রাগ করে বাইকে আগুন দিয়েছি'

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকালে বাড্ডা এলাকায় একটি ঘটনা ঘটে। আমরা তার পোড়ানো গাড়ি ও তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসি। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো ভুল ছিল কি না, কী ঘটেছিল এসব বিষয় জনার জন্য ওনাকে এখানে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।

বাড্ডা থানার সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) সুবীন রঞ্জন দাস বলেন, লোকটি খুবই হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে বলে মনে হলো। তার এলাকায় ব্যবসা ছিল। করোনায় লোকসান করে এখন বাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব কারণে হতাশা থেকে হয়তো এ কাজ করেছেন।

পুলিশের দোষ নেই, রাগ করে বাইকে আগুন দিয়েছি'

ঘটনার আগে রাইড শেয়ারিংয়ের জন্য ওই এলাকায় অনেকে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সদস্যরা সেখানে গেলে অনেকে সেখান থেকে সরে যান। তবে শওকত আলম সেখানে থেকে যান। এসময় কাগজপত্র চেক করতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
ট্রাফিক পুলিশের মামলায় অতিষ্ঠ, নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন বাইকার

ট্রাফিক পুলিশের মামলায় অতিষ্ঠ, নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন বাইকার



ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ট্রাফিক পুলিশের মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে নিজের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেন এক বাইকার।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের সামনেই নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বাইকার পুলিশের সামনেই তার নিজের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেন। আশেপাশের মানুষ আগুন নিভাতে আসলে তিনি তাতে বাধা দেন। কারও কথা না শুনে তিনি বাইকে আরো পেট্রোল দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে একটি মামলা দেন। তিনি এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ মোটরবাইকের আগুন নেভায়।

তিনি আরও বলেন, ওই বাইকারের নাম শওকত আলম সোহেল। তিনি একজন পাঠাও চালক। আমরা মোটরবাইক ও তাকে থানায় নিয়ে এসেছি। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো কেন তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন ও এমনটি করেছেন।

তবে কি কারণে বাইকে আগুন ধরিয়ে দিলেন সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি শওকত আলমের কাছ থেকে।
গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে মাছের আঘাতে মৎস্যজীবীর মৃত্যু

গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে মাছের আঘাতে মৎস্যজীবীর মৃত্যু



গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে মাছের আঘাতে আব্দুল হক (৫০) নামের এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে বুধবারীবাজার ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কুশিয়ারা নদীতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আব্দুল হক ইউনিয়নের কালিজুরী ছয়ত্রিশ গ্রামের নুর উদ্দিনের পুত্র।


জানা যায়, সোমবার সকালে মৎস্যজীবী আব্দুল হক প্রতিদিনের মত জাল নিয়ে কুশিয়ারা নদীর বাগিরঘাটে মাছ ধরতে যান। এসময় জালে একটি বাউস মাছ আটকা পড়ে। আব্দুল হক মাছটি তুলতে গেলে মাছের আঘাতে তিনি বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই আব্দুল আহাদ।

الأحد، 26 سبتمبر 2021

গোলাপগঞ্জে জি ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

গোলাপগঞ্জে জি ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রথম মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল জি ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকমের ৩য় বর্ষে পদার্পণ এবং দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

এ উপলক্ষে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় গোলাপগঞ্জ পৌর অডিটোরিয়ামে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মাওলানা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ও জি ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক ফাহিম আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জি ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক,  গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উদ্দিন এবং সম্পাদক ও প্রকাশক সামিল হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর এম ফজলুল আলম। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরোও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি হারিছ আলী, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ পৌর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রুবেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাকিল, আজকের সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ রাসেল আহমদ, কুশিয়ারা নিউজ ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক সালমান কাদের দিপু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ পৌর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ফাহাদ হোসাইন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক কামিল আহমদ তালুকদার, সদস্য জাবেদ আহমদ, ডেইলি ক্যাম্পাসের জেলা প্রতিনিধি ডি এইচ মান্না, আইওন টিভির গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি অলিউর রহমান তামিম, জিবি বার্তা ডটকমের সহ বার্তা সম্পাদক তামিম আহমদ, শিক্ষক মিসবাহ উদ্দিন।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ত্রুটিগুলো জনসম্মুখে উন্মোচিত হয়। নির্ভীক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল জি ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম ইতোমধ্যে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে গোলাপগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। গোলাপগঞ্জের উন্নয়ন, সমস্যা সম্ভাবনা যে ধারাবাহিকতায় এই নিউজ পোর্টালটি তুলে ধরছে আমি আশাকরি আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন সম্পাদকের পিতৃবিয়োগঃ বিভিন্ন মহলের শোক

নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন সম্পাদকের পিতৃবিয়োগঃ বিভিন্ন মহলের শোক




নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট লেখক ও আলোচক মাওলানা মাজহারুল ইসলাম জয়নালের পিতা, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি মোঃ মাহবুবুর রহমান ডালই মিয়া(৯১) ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৫ঃ১৫ মিনিটের সময় তার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন -ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন। 

মরহুমের জানাযার নামাজ আগামীকাল (২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার) সকাল সাড়ে দশটায় ইছামতি হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রবীন মুরব্বি মাহবুবুর রহমান এর  মৃত্যুতে সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সিলেট  জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, সিলেটের ডাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, ইছামতি কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল বাসিত,নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রিন্সিপাল শাহীনুর রহমান চৌধুরী, ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ,সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সভাপতি আবু মালিহা, সাধারন সম্পাদক শফিক আহমদ শফি গভীর শোক ও দূঃখ প্রকাশ করেছেন। 

নেতৃবৃন্দ এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
কবিতাঃ শৈশব কাল, এম.জেড.সায়েম

কবিতাঃ শৈশব কাল, এম.জেড.সায়েম



শৈশব কাল
এম,জেড,সায়েম

আমার ছোট্ট বেলা!
কত না দুষ্টুমিতে ভরা
কত না স্কুল কামাই করা, 
সবকিছু ফাঁকি দিয়ে মাঠে খেলা
নয়তোবা, ছোট্ট খালে মাছ ধরা,
আমার ছোট্টবেলা দুষ্টুমিতে ভরা।

কতনা ছিল কথার ফুলঝুরি,
খেলতাম তখন লুকোচুরি
আম কুড়াতে সকাল পার,
সকলে মিলে করতাম ফালাহার।

বর্ষায় নদীর অথৈই জলে
সাঁতার কাটতাম খেলাচ্ছলে,
লাই,কানামাছি আর গোল্লারছুট 
আরও কত্ত যে স্মৃতিরপট

চলে যেত দিন, ফিরতাম ঘর গোধুলি বেলায়
দুষ্টমিষ্ট দিন আজ হারিয়েছে হেলায়,
আক্ষেপ আর স্বাদ নিয়ে ভাবি
আহ! আমার সেই ছোট্ট বেলা..!
অবিবাহিত মাসুমের ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’

অবিবাহিত মাসুমের ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’



চুয়াডাঙ্গায় ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’ বেশ সাড়া ফেলেছে। এই নামে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সেবা এনেছেন বিদেশফেরত মাসুম মিয়া (৩০)। তাঁর মালিকাধীন ১১টি ইজিবাইক বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা শহরে চলাচল করছে।

ব্যক্তিগত জীবনে মাসুম অবিবাহিত। অবিবাহিত হয়েও ইজিবাইক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’ কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১২ বছর বিদেশে ছিলাম। সেখানকার অভিজ্ঞতায় জেনেছি, প্রতিটি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে নাম রাখতে গিয়েছি, সেই নামেই পরিবহন পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ করে বউয়ের দোয়া পরিবহন নাম রেখেছি। কারণ, বাবা-মায়ের পর বউ সবচেয়ে আপনজন। জেলা শহরে বউয়ের দোয়া পরিবহন নামটি ইতিমধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আমারও পরিচিতি। বিষয়টি বেশ উপভোগ্য।’

মাসুম মিয়া চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১২ বছর তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি দেশে ফেরেন। বিদেশে থেকে যে অর্থ উপার্জন করেছেন, তা দিয়ে ১১টি ইজিবাইক কেনেন। এর মধ্যে একটি নিজের জন্য রেখেছেন। বাকি ১০টি ভাড়ায় দিয়েছেন।

মাসুম মিয়ার দাবি, এই ইজিবাইকগুলো থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে বেশ ভালোভাবেই বাবা-মাসহ তাঁর তিন সদস্যের পরিবারের চলে যায়। আর বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। এবার তিনি বিয়ে করে সংসারী হতে চান। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের পছন্দে শিগগিরই একটা বিয়ে করতে চাই। বিয়ের পর বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়েই দেশেই জীবনের বাকি দিনগুলো কাটাতে চাই।’