الأربعاء، 1 سبتمبر 2021

পিসিআর মেশিনে আটকে গেল প্রবাসীদের ভাগ্য



ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা নমুনা পরীক্ষায় র‌্যাপিড পিসিআর মেশিন ও ল্যাব না থাকায় প্রায় ২০ হাজার আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশে আটকা পড়েছেন।

বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিন বিমানবন্দরে পিসিআর মেশিন বসানোর দাবি জানান সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগ।


সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারবে। কিন্তু পিসিআর পরীক্ষার শর্তের জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কবে পিসিআর মেশিন বসবে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারছে না সরকার।

তিনি বলেন, আরব আমিরাত সরকারের নিয়মানুযায়ী যেখান থেকে যাত্রীরা বিমানে ফ্লাই করবেন, তার ৬ ঘণ্টা আগে অবশ্যই র্যা পিড পিসিআর টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে সেখানে যেতে হবে। কিন্তু আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ১৭ দিন ধরে চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেটে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি।


ইয়াছিন বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় চিঠি দিলেও উদ্বৃত্ত পিসিআর মেশিন না থাকার বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আবার বেবিচক বলছে, পিসিআর মেশিন বসানোর জন্য বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এভাবে মন্ত্রণালয়গুলো একে অপরের উপর দোষ চাপালে দেশে আটকে পড়া অসহায় প্রবাসীরা যাবে কোথায়?

তিনি আরও বলেন, আমাদের বলা হয় রেমিটেন্স যোদ্ধা। দিনরাত পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাই। আমাদের প্রশ্ন, আমরা কখন কর্মস্থলে ফিরে যাব?

এই অনিশ্চয়তার অবসানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রবাসীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুছা, রেজাউল করিম, মোজাম্মেল হক, মো. হেলাল ও শাহীদা হামজা প্রমুখ।

শেয়ার করুন