الثلاثاء، 7 سبتمبر 2021

পরীমনিকে যৌন নিপীড়নের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ



চিত্রনায়িকা পরীমনির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার তিন মাসের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তবে ধর্ষণচেষ্টা নয়, পরীমনিকে যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। প্রমাণ মিলেছে মারধর ও হুমকির।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ী নাসিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে-আসামিদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন, মারধর ও হুমকি দেয়ার প্রমাণ মিলেছে।


মামলায় পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়। 

তিনি অভিযোগ তোলেন ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে। গত ১৩ জুন নাসির ও তুহিন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। সেদিনই নাসির, তুহিনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এই মামলায় আদালতের অনুমতি নিয়ে নাসির ও অমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।


পরীর করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় এবং পুলিশের মাদক মামলায় বেশ কয়েকদিন রিমান্ডে ছিলেন আসামিরা। দুই মামলাতেই ব্যবসায়ী নাসির ১৫ দিন জেল খেটে এখন জামিনে আছেন। কারাগারে রয়েছেন অমি।

সোমবার সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামি শহিদুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এই মামলায় তাকে মোট তিন দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। ২৭ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর পরীমনি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন। তবে তাকে রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা নিয়ে বিতর্ক চলছে।


যে বিচারক এই আদেশ দিয়েছিলেন, তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে উচ্চ আদালত। আবার তার মামলার তত্ত্বাবধায়ক সিআইডি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসরে। এই আদেশের সঙ্গে পরীমনির মামলার সম্পর্ক আছে কি না, এই বিষয়টি অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন