Monday, 28 June 2021

ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসন প্রত্যাশী উদ্ধার, মৃত ২

ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসন প্রত্যাশী উদ্ধার, মৃত ২


ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় বাংলাদেশিসহ ১৭৮ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। রোববার তিউনিসিয়া উপকূল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ওই সময় উদ্ধার করা হয়েছে দুজনের মরদেহ। উদ্ধারদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। যারা নৌকায় অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করছিলেন। উদ্ধার অন্যরা হলো ইরিত্রিয়া, মিসর, মালি ও আইভরি কোস্টের নাগরিক।

পরে তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ যেকরি জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা নৌকায় ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাচ্ছিল। পথে তাদের নৌকা ভেঙে যায় এবং সেটি ডুবে যেতে থাকে। পরে সংকেত পেয়ে তিউনিসিয়া নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।

এর আগে গত ২৫ জুন ভূমধ্যসাগরে ভাসমান অবস্থা থেকে ২৬৪ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তিউনিসিয়া কোস্টগার্ড জানায়, ২৬৪ বাংলাদেশি ও তিন মিসরীয় নাগরিকসহ ২৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী একটি নৌকায় অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যেতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে নৌকাটি বিকল হয়ে গেলে বিপদে পড়েন তারা।

এরপর এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বেন গুয়েরদেন বন্দরে পৌঁছাতে সাহায্য করে দেশটির নৌবাহিনী। পরে তাদের আইওএম এবং রেড ক্রিসেন্টের হাতে তুলে দেয়া হয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের পথে যাত্রা করে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা ৭০ ভাগ বেশি।

সুরমা-কুশিয়ারা'সহ সিলেটের ৭৮টি নদী-খাল খননের উদ্যোগ

সুরমা-কুশিয়ারা'সহ সিলেটের ৭৮টি নদী-খাল খননের উদ্যোগ



সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেট জেলার ৭৮টি ছোট-বড় নদ-নদী ও খাল খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সুপারিশের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেয় হয়েছে।

সিলেট জেলার প্রধান নদী সুরমা-কুশিয়ারাসহ ছোট-বড় নদী ও খালগুলো নাব্যতা হারিয়ে বিপন্নের পথে। নদী ভরাটের কারণে বোরো চাষীরা হাহাকার করেন ওই মৌসুমে। সুরমা-কুশিয়ারা এখন যৌবনহারা। এমনকি ভাঙনের কবলে বদলে গেছে সিলেটের কয়েকটি অঞ্চলের মানচিত্র।

সিলেটের নদ-নদী ও খালসমূহ অতীতে একাধিবার খননের উদ্যোগ নিয়েও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কিছুদিন আগে সিলেটের নদ-নদী ও খালসমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুত খনন করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার প্রেরণ করেন।

প্রেরিত ডিও লেটার প্রাপ্তির পর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি টিম নদী ও খালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং পরবর্তীতে কানাইঘাট উপজেলার নকলা ও জৈনকা খাল খনন করা হয়। এছাড়াও বাকি ৭৬টি নদী ও খাল দ্রুত খননের উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি গত ২৪ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে জানান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি।

উল্লেখ্য, সিলেটে পানির বড় উৎস সুরমা ও কুশিয়ারা নদী। এই দুই নদীর নাব্য হারিয়ে যাচ্ছে বলে অন্যান্য নদী এবং খালের মাছ ও জলজ উদ্ভিদও মরে যাচ্ছে। ২১৭ মাইল দীর্ঘ সুরমা নদী বিভিন্নস্থান এখন ভরাট। এক সময় এসব নদী দিয়ে চলাচল করত পণ্যবাহী জাহাজ। যা এখন কল্পনাও করা যায় না। নৌকা চালালেও আটকে যায় বিভিন্ন স্থানে। সুরমা-কুশিয়ার ছাড়াও সিলেটের অন্যান্য নদী এবং খালও নাব্যতা হারিয়ে আজ বিপন্ন প্রায়।

সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্রবাহমান নদীগুলো হচ্ছে- সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, সারী, পুরকচি, কাপনা, ডাকসা, বাসিয়া, বড়রাখা, বেটুয়া, জুরী, সোনাই, বড়গাং, ধামাই, ক্ষেপা, কাটা, মরাকাপনা, বড়ডারগা, ধলাই, বাজাসিং, মাকুন্দ, কাপনা, ব্রাক্ষণা, হাটখোলা ও কুড়া নদী।

শ্বশুরবাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল কম দেয়ায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম

শ্বশুরবাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল কম দেয়ায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম



শ্বশুরবাড়ি থেকে মৌসুমি ফল আম-কাঁঠাল কম দেয়ায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে পাষণ্ড এক স্বামী। এ ঘটনায় সোমবার (২৮ জুন) অভিযুক্ত স্বামী এয়াকুবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে রোববার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে ফেনীর পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার এয়াকুব আলী সাতকুচিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, পাঁচ বছর আগে এয়াকুব আলীর সঙ্গে উত্তর চন্দনা এলাকার ফারজানা আক্তার সুমির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলেসন্তান রয়েছে। কিছুদিন ধরে এয়াকুব তার স্ত্রীর পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। এয়াকুব মাদকাসক্ত। রাতে নেশা করে এসে প্রায়ই স্ত্রী ফারজানাকে মারধর করতেন। রোববার বিকেলে ফারজানার বাবার বাড়ি থেকে মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল ও আনারস পাঠানো হয়। পরিমাণে কম দেয়া হয়েছে অভিযোগ এনে স্ত্রীকে রড দিয়ে পেটান এয়াকুব। এতে ফারজানা মারাত্মক আহত হন। তাৎক্ষণিক স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ফারজানা আক্তার জানান, এয়াকুব নিয়মিত মাদক সেবন করেন এবং প্রায়ই তাকে মারধর করেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বসলেও তিনি সংশোধন হননি।

পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রোকসানা সুরাইয়া জানান, ফারজানার মাথা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. খালেদ দাইয়ান জানান, স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় এয়াকুবকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৫২কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৫২কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য প্রায় সাড়ে ৫২ কোটি ২লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) দুপুর ১টায় গোলাপগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি, পৌর কাউন্সিলর ও নাগরিকদের উপস্থিতিতে উন্মুক্ত বাজেট পেশ করেন পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল। 

বাজেটে আগামী ২০২১-২২অর্থবছরে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩২৭ টাকা। এরমধ্যে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪কোটি ৩৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ৪কোটি ৩৬লক্ষ ৫হাজার টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ৫০হাজার টাকা। বাজেটে সার্বিক উদ্ধৃত ধরা হয়েছে ৪৭ লক্ষ ৭৮হাজার ৩২৭ টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, ঘোষিত বাজেট জনবান্ধব এবং পৌরবাসীর কল্যাণকর। ইচ্ছে ছিলো বড় পরিসরে বাজেট অনুষ্ঠান করবো কিন্তু করোনা ভাইরাস সংকটের কারণে স্বল্প পরিসরে করতে হচ্ছে। 

আমি মেয়র হওয়ার পর থেকেই পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করতে এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পৌরসভায় নতুন নতুন রাস্তাঘাট, ড্রেইন নির্মাণ, সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনেও পৌরবাসী আমার উপর আস্থা রেখে আমায় আমারো তাদের মূল্যবান রায় দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি পৌর বাসীর আমানত রক্ষা করে চলছি।

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই পৌর পরিষদ জনগণের পাশে রয়েছে। বিভিন্ন সময় সরকারী বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা অসহায় কাছে পৌছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বাজেট অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলালালুজ্জামান হেলাল, পৌর কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, ছাত্রলীগ নেতা সাকিল হোসেন।  

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সচিব নিকুঞ্জ ব্যানার্জী, পৌর কাউন্সিলর এম ফজলুল আলম, জবান আলী, ফারুক আলী, জাহেদ আহমদ, নজরুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা ফেরদৌস, মেহেরুন বেগম, শেফা বেগম , সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোসাররফ হোসেন, হিসাব রক্ষক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

৭ জুলাইয়ের পর ‘কঠোর লকডাউনের’ মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত

৭ জুলাইয়ের পর ‘কঠোর লকডাউনের’ মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত


করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আবার বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দাকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমাদের যেটা এক্সপিরেয়েন্স সেটা হলো- চাপাইনবাবগঞ্জ স্ট্রিক্টলি ব্লক করে দেওয়ায় সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরায় ইমপ্রুভ করেছে। যেখানে যেখানে আমরা মুভমেন্ট রেসস্ট্রিক্ট করে দিয়েছি সেখানে ইমপ্রুভ করেছ। সরকার যদি মনে করে আরও সাতদিন যেতে হবে, সেটাও বিবেচনায় আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ।   

তিনি বলেন, এই সময়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকবে না।

‘জরুরি সেবা ছাড়া কেউ ঘর বের হতে পারবে না। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস-আদালত সব বন্ধ থাকবে।’

খন্দাকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, লকডাউন, শাটডাউন এসব কিছু না, কড়া বিধিনিষেধ পালন করা হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।

তিনি বলেন, আমরা সারাদেশের স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশনে দেখছি দেশের একটা বড় অংশ রেড, অরেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। কিছু বাস্তব কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত করতে পারছি না। তবে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই স্ট্রিক বিধিনিষেধ আরোপ হবে।

এই সাতদিন সাধারণ ছুটি কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছুটি থাকবে কেন? নিষেধাজ্ঞা। লকডাউন আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য আছে। সব বন্ধ করে দিতে পারবেন না। জরুরি সেবা চালু থাকবে।

পোশাক শিল্প বা রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে আবার বসা হবে, হয় তো কালকেই (মঙ্গলবার) বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন কৌশল সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আগামীকাল বা পরশুদিন আবার বসব। সেখানে বিস্তারিত আলাপ হবে।

প্রসঙ্গত করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তিন দিনের লকডাউনের প্রথম দিন আজ। চলবে আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। দোকানপাট ও শপিংমলও বন্ধ থাকবে।

‘টিকার বড় চালান আসছে, এবার গ্রামের মানুষকে অগ্রাধিকার’

‘টিকার বড় চালান আসছে, এবার গ্রামের মানুষকে অগ্রাধিকার’



স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মেহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন দেশে আগামী সপ্তাহে করোনার টিকার বড় চালান আসছে। 

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটোরিয়ামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।

ডিজি বলেন, আমাদের টিকা দেওয়ার সক্ষমতা আছে।  ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব।  যার ফলে টিকার মাধ্যমে দেশের বড় জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত করতে পারব। 

তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চাই। পাশাপাশি যে শ্রমিকরা বিদেশে যাবেন তাদের টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।  প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবাসীদের ভ্যাকসিন দিতে। 

মহাপরিচালক আরও বলেন, এখন পর্যন্ত করোনায় যত মানুষ এদেশে মারা গেছেন, তার তিন গুণ মানুষ প্রতিবছর মারা যায় যক্ষায়।  এছাড়া যক্ষা রোগীদের এক শতাংশ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি চলছে, আমরাও সেই রাজনীতির শিকার,তবে টিকা আনার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

এ সময় সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

হেফাজতকে নিষিদ্ধ করার দাবি সংসদে

হেফাজতকে নিষিদ্ধ করার দাবি সংসদে


স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে হেফাজতে ইসলামকে আখ্যায়িত করে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে সংসদে।  

সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সরকার পতন।  স্বাধীনতা দিবস ওরা সহ্য করতে পারে না, ওদের বুকে ব্যথা লাগে।  কথা নাই, বার্তা নাই বায়তুল মোকাররমে জমা হয়ে তাণ্ডব চালায়। সেখানে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারেন না।  বায়তুল মোকাররমে এ ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত।

হেফাজতের রাজনীতির সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, তারা বায়তুল মোকাররমকে প্লাটফর্ম বানিয়েছে।  কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে।  এই হেফাজতে ইসলাম এরা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী নেজামে ইসলামী। মানুষ মেরে এরা ইসলামকে হেফাজত করবে কীভাবে? এটা জঙ্গি সংগঠন, এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক। যেভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হয়েছে সেভাবে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে অধিকার আদায়ের কথা বলেই ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে শাসন করা হয়।  স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন।  পরে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।