Sunday, 4 July 2021

গোলাপগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আব্দুর রহমান'র মৃত্যুঃ জানাজা দুপুর ২টায়

গোলাপগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আব্দুর রহমান'র মৃত্যুঃ জানাজা দুপুর ২টায়



গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতাঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী ডা. আব্দুর রহমান আর নেই। তিনি শনিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড়স্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি....... ওইন্না ইলাহী রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ৮০ বৎসর হয়েছিল। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়স্বজন রেখে গিয়েছেন। 


মরহুমের নামাজের জানাজার নামাজ আজ রবিবার (৪ জুলাই) বেলা ২টায় ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।


রাজনৈতিক জীবনের তিনি দীর্ঘদিন ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পরে দীর্ঘদিন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। 


রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঢাকাদক্ষিণ বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ এবং ঢাকাদক্ষিণ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ পরিবার সহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

যেভাবে মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়লেন বিল গেটসের মেয়ে

যেভাবে মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়লেন বিল গেটসের মেয়ে

একদিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী বিল গেটসের বড় মেয়ে জেনিফার অন্যদিকে সাধারণ এক মুসলিম যুবক নায়েল নাসের, জেনিফার-নাসেরের প্রেমের গল্পটা ঠিক যেন রূপকথার মতো। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো তাদের প্রেমের শুরুটাও হয়েছিল ভীষণ সাধারণভাবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেনিফার গেটসের সঙ্গে পরিচয় হয় নায়েল নাসেরের। দুজনেরই ছিল ঘোড়দৌড়ের প্রতি ভীষণ আগ্রহ। এর এই আগ্রহের কারণেই দু’জনে আরও কাছাকাছি আসেন। একসঙ্গে বিভিন্ন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশও নেন। এভাবেই ধীরে ধীরে জেনিফারের মনে জায়গা করে নেন নাসের।

২০১৩ সালে স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন নাসের। ২০১৮ সালে জেনিফারকে হিউম্যান বায়োলজিতে সাহায্য করার জন্য ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুতে আংটি বদল করেছেন জেনিফার আর নাসের। খুব শিগগিরিই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে জন্ম হলেও নাসেরের শৈশব কেটেছে কুয়েতে। প্রায় ৬০ বছর পর ২০২০ সালের অলিম্পিকের (টোকিও) চূড়ান্ত পর্বে মিসরের জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে নাসেরের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। 

২০১৭ সালে প্রথমবার ইনস্টাগ্রামে জেনিফারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন নাসের। ফ্লোরিডাতে ভ্যালেন্টাইনস ডে উপযাপনের সেই ছবিতে একটি সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে দেখা গেছে তাদের।

শুধু ঘোড়দৌড়বিদই নন, নায়েল নাসেরের ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে একটি ব্যবসাও রয়েছে। বিয়ের পর সেখানেই সংসার শুরু করবেন জেনিফার-নাসের।

Saturday, 3 July 2021

দেশে বন্ধ হচ্ছে বিদেশি সিরিয়ালঃ তথ্যমন্ত্রী

দেশে বন্ধ হচ্ছে বিদেশি সিরিয়ালঃ তথ্যমন্ত্রী


এবার বাংলাদেশে বন্ধ হতে যাচ্ছে বিদেশি সিরিয়াল সম্প্রচার। এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান। 

বিদেশি সিরিয়াল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশি সিরিয়াল আমাদের দেশের মানুষজন দেখছেন। এটা সঠিক। এজন্য যেসব বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো একটি কমিটির মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর এ ধরনের সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন ওই কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে প্রদর্শন করতে হয়।

বাংলাদেশের টেলিভিশন পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয় কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরো ভারতবর্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর আপনি যদি, ত্রিপুরায় যান- দেখতে পারবেন সেখানের বাংলাদেশের সব চ্যানেলগুলো চলছে। আপনি যদি গুয়াহাটিতে যান সেখানে দেখতে পারবেন যে, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। কলকাতায়ও বেশ কয়েকটি চ্যানেল প্রদর্শিত হয়। এখানে দু’দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ভারত সরকারের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা উচ্চ ফি দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, আগের সিনেমা হলগুলোতে মানুষ যেতে চায় না। সিনেমা হলের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এই আধুনিকায়নের জন্য আমি সিনেমা হলের মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে বসেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন। আর সিনেমা হল যাতে বৃদ্ধি পায়, তিনি ১ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিলও গঠন করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, একথা সত্য যে, হল কমে গেছে। আকাশ সংস্কৃতির কারণে এবং আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবা, টেলিভিশন এবং একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ নানান কিছুর কারণে মানুষ আগের মতো এখন আর হলে যায় না। এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নয়, সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষাপট। বোম্বে শহর, যেটাকে চলচ্চিত্রের রাজধানী বলা হয়, গত ১০ বছরে অনেকগুলো হল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশেও কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে।

রাস্তায় কাঁপতে কাঁপতে যুবকের মৃত্যু, করোনার ভয়ে কাছে আসেনি কেউ

রাস্তায় কাঁপতে কাঁপতে যুবকের মৃত্যু, করোনার ভয়ে কাছে আসেনি কেউ


রাস্তার মাঝে কাঁপতে কাঁপতে নিমিষেই এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শরীরের কাঁপুনি দেখে করোনা ভয়ে কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়নি। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নাটোর স্টেশন বাজারে। ওই যুবক নাটোরের গুরুদাসপুরের বৃ-পাথুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৃ-পাথুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মনিরুল ইসলাম।

জানা যায়, ক্যানুলা হাতে নিয়ে একটি দোকানে সিগারেট নিয়ে টানছিলেন যুবক মনিরুল। একসময় সিগারেট ফেলে দিয়ে একটি ইজিবাইকে উঠতে গিয়ে কাঁপতে কাঁপতে পড়ে যান তিনি। হাতে ক্যানুলা আর শরীরের কাঁপুনি দেখে করোনা ভয়ে এগিয়ে আসেনি। এমনকি করোনা ভয়ে কোনো ইজিবাইক চালকও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। কাঁপতে কাঁপতে নিমিষেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০১৩ সালে বৃ-পাথুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি নেন। ৭ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। শুক্রবার শেষ বিকালে মনিরুলের পেটে গ্যাসের সমস্যার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেসরকারি নাটোর মডেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সারারাত হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সকাল ৬টার দিকে চা খেতে নাটোর স্টেশন বাজারে যান। সেখানে গিয়েই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। 

বৃ-পাথুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে পেটে গ্যাসের সমস্যা নিয়ে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে সঙ্গে করে নাটোর মডেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি হন। তার অন্য কোনো সমস্যা ছিল না।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ভুট্টো বলেন, মনিরুল ইসলামের গ্যাসের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তার অন্য কোনো সমস্যা ছিল না।

২য় বিয়ে ও সম্পত্তির জন্য নিজের ছেলে-শ্যালকদের হাতে খুন হন তোতা মিয়া

২য় বিয়ে ও সম্পত্তির জন্য নিজের ছেলে-শ্যালকদের হাতে খুন হন তোতা মিয়া



গোলাপগঞ্জে নিজের ছেলেদের হাতে নিহত হওয়া তোতা মিয়া কি কারণে খুন হলেন তা সামনে এসেছে। জানা যায় নিহতের ২য় বিয়ে এবং সম্পত্তির জেরেই নিজের ৩ ছেলে, ২ শ্যালক এবং অপর আরেকজন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

গতকাল শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের পরগণা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তোতা মিয়া (৫৫) পরগণা বাজার এলাকার মৃত আখমল আলীর ছেলে।

ঘটনার সময় নিহতের তিন ছেলে মাছুম আহমদ (২৮), রাজিম (২৫), তামিম (২০) এবং নিহতের প্রথম স্ত্রীর দুই ভাই জামাল (৪৫), সেবুল (৪০)সহ আলাল (৩০) নামের আরেকজন পরগণা বাজারে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ভাগনে নেওয়াজ উদ্দিন খা জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমার মামার সাথে তার সন্তানদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বার বার সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য তারা চাপ দেয়। আগেও সম্পত্তির কারণে তারা তাদের পিতার উপর আক্রমণ করে। গত ৩ মাস আগে মামার এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার ছেলেরা তাদের মাকে নিয়ে নানা বাড়ি চলে যায়। এসময় তিনি একা হয়ে যান। বার বার তিনি তাদেরকে বাড়িতে আসার কথা বললেও তারা বাড়িতে আসেনি। এরপর গত ১৮ দিন পূর্বে তিনি একা হয়ে যাওয়ায় আরও একটি বিয়ে করেন। এতে সন্তানদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পরগণা বাজারে তোতা ম্যানশন নামে একটি মার্কেটও রয়েছে ওনার। তারা সম্পত্তি এবং দ্বিতীয় বিয়ের কারণেই মামাকে হত্যা করেছে। এঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পরগণা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তোতা মিয়া। কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছন দিক থেকে ওনাকে দাঁ দিয়ে পিঠের মধ্যে কোপ দেয়া হয়। এরপর শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এসময় স্থানীয়রা চিৎকার শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, মা-বাবার মধ্যে পারিবারিক টানাপোড়ন, সম্পত্তির জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

মহামারিকালের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশন শেষ

মহামারিকালের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশন শেষ



ডেস্ক রিপোর্টঃ একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন শেষ হয়েছে, যা ছিল এ বছরের বাজেট অধিবেশন। মহামারিকালের দ্বিতীয় এ বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছিল গত ২ জুন, যা শনিবার শেষ হলো। 

এই অধিবেশনে গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। আলোচনার পর গত ৩০ জুন তা পাস হয়। উপস্থাপনের পর দুই দিন আলোচনা করে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হয়। সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে টানা চার দিন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা চলে। এরপর আরও ১০ দিন বিরতি দিয়ে দুই দিন বাজেটের ওপর আলোচনা হয়। সব মিলিয়ে ৮৫ জন সংসদ সদস্য এবার বাজেটের ওপর আলোচনা করেন। 

সম্পূরক বাজেটসহ বাজেটের ওপর ছয় দিনে ১৫ ঘণ্টা ৩২ মিনিট আলোচনা হয়েছে। এর আগে গত বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত বাজেট অধিবেশন হয়েছিল। নয় দিনের ওই বাজেট অধিবেশনে ১৮ জন সংসদ সদস্য ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট আলোচনা করেছিলেন। অধিবেশন জুড়েই সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা করেন। বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারি দলের বেশ কয়েকজন সদস্য স্বাস্থ্যসেবা, সরকারের আমলা নির্ভরতার সমালোচনা করেন। 

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অনুষ্ঠিত অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ চলে। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা সংসদ সদস্যরাই অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। প্রতিদিন ১০০-১২০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে বসে সংসদ। মহামারিকালের অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও সংসদ ভবনে প্রবেশাধিকার ছিল না গণমাধ্যমকর্মীদের।

শনিবার অধিবেশন সমাপনী সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনানোর মধ্যদিয়ে অধিবেশনের সমাপ্তি টানেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে সংসদ কক্ষে দেখানো হয় ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় দেওয়া ভাষণ।

‘সবাই তখন আমার কথা শুনলে আজ করোনা ছড়িয়ে পড়ত না’

‘সবাই তখন আমার কথা শুনলে আজ করোনা ছড়িয়ে পড়ত না’


শনিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘সবাই তখন আমার কথা শুনলে আজ করোনা ছড়িয়ে পড়ত না’। স্বাস্থ্যবিধি পালনে মানুষের উদাসীনতা দেখে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি বলেন, ‘একটা সমস্যা হচ্ছে যে জনগণকে গত ঈদুল ফিতরে বারবার অনুরোধ করলাম যে আপনারা আপনাদের জায়গা ছেড়ে যাবেন না। কিন্তু অনেকেই তো সেই কথা শোনেননি। সকলেই ছুটে চলে গেছে। আর তার ফলাফলটা কী হল? যারা বাইরে ছিল, পুরো বর্ডার এলাকায়, বিভিন্ন জেলায় এই করোনাটা ছড়িয়ে পড়ল। সবাই তখন যদি আমার কথাটা শুনত, তাহলে আজকে এমনভাবে করোনাটা ছড়িয়ে পড়ত না।’

মানুষের বাড়ি যেতে চাওয়ার প্রবণতাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সংক্রমণ এড়াতে মহামারীকালে সবাইকে এক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগম এড়িয়ে চলা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পরার উপর জোর দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারী প্রতিরোধে সরকার যেসব নির্দেশনাগুলো দিয়েছে, সেগুলো মেনে চললে মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আমরা এখন লকডাউন ঘোষণা করেছি। আমি দেশবাসীকে বলব, আপনারা অন্ততপক্ষে নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন, অন্যকে সুরক্ষিত রাখেন। অন্তত এটা ছাড়াতে দিয়েন না। মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার করা আর যেন কোনোমতেই যেন সংক্রমিত না হয়, তার জন্য দূরত্ব বজায় রাখা। এটা করতে পারলেই কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

সবাইকে কোভিড টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, টিকা নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। দেশের মানুষ যেন সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা সরকার করবে।