Monday, 5 July 2021

ঈদে বিনামূল্যে চাল পাবে এক কোটিরও বেশি দুস্থ পরিবার

ঈদে বিনামূল্যে চাল পাবে এক কোটিরও বেশি দুস্থ পরিবার



পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় এক কোটির বেশি অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি হারে চাল দেবে সরকার। 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৮টিসহ মোট এক কোটি ১৭ হাজার ৫৫১টি কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি হারে এক লাখ ১৭৬ দশমিক ৫১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন । 

বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদমশুমারি ২০১১ এর জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দুস্থ ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে।তবে সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের অগ্রাধিকার দিতে হবে ।

১২টি শর্ত দিয়ে এর চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ বলে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে।শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো সম্পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষু্দ্র ঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।

ইউনিয়ন/পৌরসভা ভিজিএফ কমিটির প্রকাশ্য সভায় এই তালিকা প্রণীত এবং প্রত্যায়িত হতে হবে। তালিকা এমনভাবে করতে হবে যেন একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। বরাদ্দ করা চাল শর্ত মেনে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়।

ছাতকে দফায় দফায় সংঘর্ষ : গুলিবর্ষণ, আহত ৩০

ছাতকে দফায় দফায় সংঘর্ষ : গুলিবর্ষণ, আহত ৩০



সুনামগঞ্জের ছাতকে দু'পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে রোববার (৪ জুলাই) উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১২জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৪ জুলাই) উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামে আজিজুর রহমান ও মাসুক মেম্বার এবং সাবাজ মেম্বার ও হাসনাতের পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, রোববার দুপুরে পূর্ববিরোধ ও গ্রাম্য আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আজিজুর রহমান ও মাসুক মেম্বার এবং সাবাজ মেম্বার ও হাসনাতের পক্ষদ্বয় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের উপর বন্দুক দিয়েও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে। দফায় দফায় প্রায় ঘন্টাখানেক সংঘর্ষে চলে।

খবর পেয়ে জাহিদপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ততক্ষণে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আবদুর রহিম (৬০), তালেব মিয়া (৫২), তুহেল মিয় (৩৮), তাহের আহমদ (২২), ইমন আহমদ (১৯), আবদুস সামাদ (২৬), নয়ন আহমদ (২৩), মিলন (২০), সায়মন (২৬), আবদুল্লা আল মামুন (১৭),আজিজ (৪০), জামাল (৩৫)কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সূত্রে জানা গেছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় ভাবে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপরে জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দাশের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। তবে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, বর্তমানে সেখানের পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। কোন পক্ষ এখনও লিখিত অভিযোগ দেয় নাই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ৪-৫ জন গুলিবিদ্ধ আছে।

Sunday, 4 July 2021

করোনায় মৃত হিন্দু ব্যক্তির লাশ ফেলে রাখেন স্বজনরা, শেষকৃত্য করলেন ৪ মুসলিম যুবক

করোনায় মৃত হিন্দু ব্যক্তির লাশ ফেলে রাখেন স্বজনরা, শেষকৃত্য করলেন ৪ মুসলিম যুবক



মহামারী করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হওয়া হিন্দু এক ব্যক্তির শেষকৃত্য করে মানবতার নজির গড়েছেন কুষ্টিয়ার ৪ মুসলিম যুবক।

রোববার (৪ জুলাই) মিরপুর পৌর মহা শ্মশানে তাকে সমাহিত করেন এ যুবকরা। তারা হলেন- মিরপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা রাজিব, সুমন খান, সলেমান, রুবেল।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় গত ৩ জুলাই হিন্দু ধর্মের প্রফুল্ল কর্মকার (৭০) কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জুলাই মারা যান তিনি। পরে স্বজনরা তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সুলতানপুর গ্রামের পৌর মহাশ্মশানে নিয়ে যান। কিন্তু শ্মশান কর্তৃপক্ষ মরদেহের শেষকৃত্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গেটের চাবি রেখে চলে যান।

পরে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় গাড়ি চালক মরদেহটি গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফেলে রেখে চলে যান। গভীর রাতে সবাই ফেরত গেলেও ফেরত যাননি একজন। তিনি মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির স্ত্রী।


শ্মশানের পাশে গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় স্বামীর লাশ সৎকার করতে একাই পার করেন সারারাত। মধ্যরাত থেকে সকাল অবধি অপেক্ষা করেও লাশ সৎকারে শ্মশান কমিটি বা নিজ আত্মীয়-স্বজনের সাহায্য না পেয়ে স্থানীয় ৪ মুসলিম যুবক তাকে মিরপুর পৌর মহা শ্মশানে সমাহিত করেন।

কঠোর লকডাউন বাড়তে পারে আরও ৭ দিন

কঠোর লকডাউন বাড়তে পারে আরও ৭ দিন


দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা এক দিনের রেকর্ড আরেক দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সারাদেশে চলমান সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (০৪ জুলাই) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে প্রথম থেকেই আমাদের বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শ ছিল যে, দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেওয়া যায় কিনা? কিন্তু সরকার কোনো এক টেকনিক্যাল কারণে একসপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দিয়েছে। আমরা এখনও মনে করছি, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আরও একসপ্তাহ কঠোর লকডাউন বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। মৃত্যুর সংখ্যা এখনো একশ’র বেশি। তাই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’

কতদিন বাড়তে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ৭ দিন বাড়তে পারে।’ শিগগিরই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনায় যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে, বিধিনিষেধ বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।’

এ বিষয়ে বুধবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা যায়।

এর আগে বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে গত ২৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, সাতদিনের পর এই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনায় রয়েছে।

গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। যা ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে তা শেষ হওয়ার কথা।

কঠোরভাবে চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রেখে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করছে সরকার। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

সবশেষ রোববার (৪ জুলাই) ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে রেকর্ড। একই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৮ হাজার ৬৬১ জনের শরীরে।

বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন দিলেন স্বামী

বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন দিলেন স্বামী



বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করেছেন পাষণ্ড এক স্বামী। এ ঘটনায় ওই স্ত্রীর হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  


রোববার (০৪ জুলাই) ভোররাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ পাষণ্ড স্বামী অভিযুক্ত শিপন আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে।

জানা যায়, স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন গৃহবধূ রহিমা বেগম (২০)। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। অভিযোগ উঠেছে, বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রহিমার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন তার স্বামী। এতে রহিমার হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রোল ঢেলে রহিমাকে তার স্বামী পুড়িয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযুক্ত শিপনকে গ্রেপ্তার করেছে। রহিমার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।’

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে রহিমা বেগমকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-মুখসহ শরীরের ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ 

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে একই ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে শিপন আহমদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রহিমার সঙ্গে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের ঝগড়া হতো। এতে স্বামী ও তার স্বজনরা রহিমাকে নির্যাতন করতো। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েকবার সমাধান করে দিলেও কোনো লাভ হয়নি। এরপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো।

এদিকে স্বামী ও তার স্বজনদের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাতমাস আগে এক সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি হরিপুর গ্রামে চলে আসেন রহিমা। সন্তানকে দেখার সুযোগে প্রায় শ্বশুর বাড়িতে আসতেন রহিমার স্বামী শিপন আহমদ। গতকাল শনিবার (০৩ জুলাই) শিপন সন্তানকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। রাতে সেখানে ঘুমান তিনি। কিন্তু ভোররাত পাঁচটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রহিমা বেগমের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন শিপন। ঘটনার পরই তিনি পালিয়ে যান। রহিমার চিৎকার শুনে স্বজনরা তাকে দ্রæত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিপনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার পশ্চিম হাতলিয়া এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহেদুল ইসলাম সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রহিমা বেগমকে তার স্বামী শিপন আহমদ পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছেন। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সিলেট একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রহিমার স্বামী শিপন ও তার পরিবারের লোকজন প্রায়ই রহিমাকে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি কয়েকবার বসে আমরা সমাধান করে দিয়েছি। এরপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাত মাস আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন রহিমান। তাদের পরিবারে এক সন্তান রয়েছে। এই সুযোগে রহিমার স্বামী শিপন তাকে দেখতে আসতো। ঘটনার রাতেও শিপন শ্বশুর বাড়িতে এসে থেকেছে। ভোরবেলা সে স্ত্রী রহিমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।’

শফি চৌধুরী তৃণমূল গণমানুষের কাছে সব সময়ই জনপ্রিয়

শফি চৌধুরী তৃণমূল গণমানুষের কাছে সব সময়ই জনপ্রিয়


আসন্ন সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক সফল সাংসদ আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী শুধু সিলেট নয় সারা বাংলাদেশে একজন সফল ব্যক্তিত্বের নাম। তিনি তাঁর কর্মময় জীবন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে এই জনপদের তৃণমূল গণমানুষের কাছে আজও অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই আগামী ২৮ জুলাই তারিখের উপনির্বাচনে তাঁর জীবনের শেষ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে মোটর গাড়ি (কার) মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

গত (৩ জুলাই) শনিবার দক্ষিণ সুরমার সিলাম চরমোহাম্মদপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গণসংযোগ শেষে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত  জনতার উদ্দ্যেশে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।

শফি চৌ. ও মোটর গাড়ি (কার) মার্কার সমর্থনে সিলাম চরমোহাম্মদপুর এলাকায় একটি আভ্যন্তরীণ সমন্বয় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে স্থানীয় আব্দুল করিমের সাহেবের বাড়িতে আয়োজিত গণসংযোগ পরবর্তী এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরীর প্রধান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সিলাম ইউনিয়ন সমন্বয়ক মাস্টার আবুল হোসেন, দলিল লেখক আজিজুর রহমান মনোয়ার।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ বদরুল ইসলাম ফুল মিয়া, ফারুক মিয়া, জমির মিয়া, জামাল মিয়া, আব্দুল হান্নান, মন্টর মিয়া,বাবুল মিয়া, গিয়াস মিয়া,ইউসুফ আলী, আব্দুল করিম, ফয়ছল আহমদ,সায়েব আহমদ,চাঁন মিয়া,আহমদ আলী, মাসুম আহমদ,গুলজার খান, সাহিয়া খান,জমসেদ মিয়া, আনহার আলী,আনছার আলী,তফুর মিয়া প্রমূখ।

সুরমা নদী থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

সুরমা নদী থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার


সুরমা নদী থেকে আব্দুল মালেক (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ জুলাই) সকালে সিলেটের বিশ্বনাথের লামাকাজী এলাকা থেকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে।

মৃত আব্দুল মালেক বিশ্বনাথ থানাধীন লামাকাজী রাজপুর গ্রামের জয়দুল্লার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে এলাকাবাসী নদীতে লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে লামাকাজী এলাকাস্থ সুরমা নদীতে নৌকার উপর আব্দুল মালেকসহ কয়েকজন জুয়া খেলছিলেন। এ সময় গ্রামের লোকজন গরু চোর সন্দেহে চিৎকার করলে গ্রামবাসী বেরিয়ে আসলে অন্যরা নদী সাতার কেটে পালিয়ে গেলেও মালেক পানি তলিয়ে মারা যায়।

এদিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো বলেও জানান ওসি।