Sunday, 11 July 2021

অবশেষে মেসির হাতে কোপা আমেরিকা

অবশেষে মেসির হাতে কোপা আমেরিকা



স্পোর্টস ডেস্কঃ ২০১৪ এই মারাকানাতেই মেসির চোখের পানি মিশে গিয়েছিল ঘাসের সঙ্গে। বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফিটার পাশ দিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে গিয়েছিলেন, কিন্তু ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এরপর আরও দু’বার ফাইনালে উঠে হতাশায় মোড়াতে হয়েছিল মেসিকে।

ক্ষোভে, দুঃখে একবার তো অবসরই ঘোষণা করে ফেলেছিলেন। অনেক আন্দোলন, অনুরোধ-উপরোধের পর ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু কোপা আমেরিকার দুটি ফাইনালে হারের পর আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন মেসি। অনেকেই ধরে নিয়েছিল, হয়তো আর ফিরবেন না।

কিন্তু দীর্ঘ সময় যে আর্জেন্টিনা কোনো শিরোপার নাগাল পাচ্ছিল না, নিজের ক্যারিয়ার এত কিছুতে রাঙানো, তবুও কোথায় যেন ফ্যাকাশে, কোথায় যেন রঙহীন। একটি আন্তর্জাতিক শিরোপাও নেই। অবশেষে মেসি ফিরে আসলেন। খেললেন এবারের কোপা আমেরিকা।

শুধু খেলাই নয়, পুরো টুর্নামেন্টটাই নিজের করে নিলেন। অসাধারণ খেললেন প্রথম ম্যাচ থেকে। পুরো মেসিময় একটি টুর্নামেন্ট দেখলো ফুটবল বিশ্ব। অবশেষে এবারের কোপা আর হতাশ করেনি বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলারকে। মারাকানাও খালি হাতে ফিরিয়ে দিলো না ফুটবলের বরপুত্রকে। দু’হাত ভরে দিলেন।

গোল্ডেন বল জিতলেন, গোল্ডেন বুট জিতলেন। অবশেষে প্রথমবারের মত কোপা আমেরিকার শিরোপাটাও হাতে তুলে নেয়ার সুযোগ পেলেন লিওনেল মেসি। ২১তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত এক গোলে নিশ্চিত হলো জয়। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম কোনো শিরোপা হাতে তুলে নিতে পারলেন মেসি।

সেলেকাওদের ১-০ তে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলল আলবিসেলেস্তেরা। দেশের হয়ে শিরোপা না পাওয়ার খরা মিটল লিওনেল মেসির।

আগের কয়েক ম্যাচে বদলি নেমে দুর্দান্ত খেলা আনহেল ডি মারিয়াকে আজ প্রথম একাদশে সুযোগ দেন কোচ স্কালোনি। আর সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দেন ডি মারিয়া। তার গোলেই ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। যে গোল আর শোধ করতে পারেনি নেইমাররা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আর্জেন্টিনার জালের ঠিকানা খুঁজে নেয় সেলেকাওরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। ফলে ম্যাচের ৫৩ মিনিট শেষেও ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা।

স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে যায় আর্জেন্টাইন শিবিরে।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। ৫২ মিনিটে সফলও হয়। ডি-বক্সের মধ্য থেকে আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়িয়ে দেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করে দেন রেফারি উরুগুয়ান রেফারি এস্তেবান ওস্তোজিচ।

ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ফ্রেড। ৩ মিনিটের মাথায় মন্তিয়েলকে ফাউল করায় রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে।

১০ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটা কড়া ট্যাকল চোখে পড়ে। উভয় দলই একে অপরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ।

১৩ মিনিটের মাথায় বক্সে নেইমারের দিকে বল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রিচার্লিসন। তবে বাধা দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি।

পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি নেইমার। ওতামেন্দির পায়ে তা প্রতিহত হয়। এই ১৩ মিনিটে বারবার খেই হারাতে দেখা গেছে নেইমারকে।

২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলে আর্জেন্টিনাকে ১-০ এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ফাইনালের প্রথম একাদশে ডি মারিয়াকে ফিরিয়ে তার উপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন তিনি।

মাঝমাঠ থেকে দি পলের উড়িয়ে মারা বল ধরে ব্রাজিল গোলরক্ষক এদারসনের মাথার উপর তা জালে জড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।

এক্ষেত্রে ব্রাজিল ডিফেন্ডার রেনান লোদির সামনে সুযোগ ছিল ডি মারিয়াকে প্রতিহত করার। কিন্তু দৌড়ে ডি মারিয়ার নাগালই সেভাবে পাননি তিনি। ব্যর্থ হন।

২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর ডি মারিয়া প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার, যিনি কোপার ফাইনালে গোল করলেন।

এছাড়া ২০০৫ কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালের পর এই প্রথম কোনো ফাইনালে গোল পেল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

কোপা আমেরিকার সেরা গোলরক্ষক মার্তিনেজ

কোপা আমেরিকার সেরা গোলরক্ষক মার্তিনেজ


স্পোর্টস ডেস্কঃ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্তিনেজ ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার আসর নিজের করে নিলেন ।

সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভস উঠল তার হাতে। পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ের ফল পেলেন তিনি।

আলবিসেলেস্তেদের পক্ষে চীনের মহাপ্রাচীর ছিলেন তিনি। আসরের সাত ম্যাচে মাত্র ৩ গোল হজম করেছেন ২৮ বছর বয়সী এ গোলরক্ষক।

মূলত দলকে সেমি থেকে ফাইনালে তিনিই এনেছেন। শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার ৩টি শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন তিনি। রচনা করেন মহাকাব্যের।

আর ফাইনালে ব্রাজিল একটি গোলও দিতে পারেনি। রিচার্লিসনের কল্যাণে একবার জালের দেখা পেয়েছে সেলেকাওরা, তবে অফসাইড ভাগ্যে তা আর ঝুলিতে জমা করতে পারেনি তারা।

অথচ গোটা টুর্নামেন্টজুড়ে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকদের সামনে ত্রাস ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডরা।

নিজেদের শেষ ২৪ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৬১ বার বল জড়িয়েছে ব্রাজিল। এর মধ্যে কোপা আমেরিকায় ফাইনালের আগপর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১২ গোল তাদের।

অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে দুইয়ের বেশি গোল করেছে তিতের শিষ্যরা।

আর সেই ব্রাজিলই একটি গোলও দিতে পারল না ফাইনালে।

প্রতি ম্যাচে দুই বা ততোধিক গোল করা ব্রাজিল দলের ফাইনালে গোলশূন্য থাকার অন্যতম কারণ এমি. মার্তিনেজ।  পুরো ৯০ মিনিট জাল অক্ষত রেখে নিজ দলের শিরোপা জেতানোয় অবদান রেখেছেন তিনি।

পুরো ম্যাচে গোলপোস্ট বরাবর ১৩টি শট নিয়েছে ব্রাজিল। যার মধ্যে দুইটি ছিল লক্ষ্য বরাবর। দুটি শটই ঠেকিয়ে দিয়েছেন মার্তিনেজ।

বিশেষ করে ম্যাচের ৮৭ মিনিটের সময় ডি-বক্সের ভেতরে বাম পাশ থেকে বুলেট গতির শট নিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। সেই শট ঠেকান মার্তিনেজ।

এমন দুর্দান্ত পারফর্ম করলে আসরের সেরা গোলরক্ষক তিনি না হয়ে আর কে হবেন!

অবশেষে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

অবশেষে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার



স্পোর্টস ডেস্কঃ কোপা আমেরিকার বহুলকাঙ্ক্ষিত ফাইনালে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে ফুটবলের দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। আর প্রথম একাদশে চমক হিসেবে নামা পিএসজি ফরোয়ার্ড আনহোল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত এক গোলে ব্রাজিলকে হারাল আর্জেন্টিনা।

সেলেকাওদের ১-০ তে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলল আলবিসেলেস্তেরা। দেশের হয়ে শিরোপা না পাওয়ার খরা মিটল লিওনেল মেসির।

আগের কয়েক ম্যাচে বদলি নেমে দুর্দান্ত খেলা আনহেল ডি মারিয়াকে আজ প্রথম একাদশে সুযোগ দেন কোচ স্কালোনি। আর সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দেন ডি মারিয়া। তার গোলেই ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। যে গোল আর শোধ করতে পারেনি নেইমাররা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আর্জেন্টিনার জালের ঠিকানা খুঁজে নেয় সেলেকাওরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। ফলে ম্যাচের ৫৩ মিনিট শেষেও ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা।

স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে যায় আর্জেন্টাইন শিবিরে।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। ৫২ মিনিটে সফলও হয়। ডি-বক্সের মধ্য থেকে আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়িয়ে দেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করে দেন রেফারি উরুগুয়ান রেফারি এস্তেবান ওস্তোজিচ।

ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ফ্রেড। ৩ মিনিটের মাথায় মন্তিয়েলকে ফাউল করায় রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে।

১০ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটা কড়া ট্যাকল চোখে পড়ে। উভয় দলই একে অপরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ।

১৩ মিনিটের মাথায় বক্সে নেইমারের দিকে বল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রিচার্লিসন। তবে বাধা দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি।

পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি নেইমার। ওতামেন্দির পায়ে তা প্রতিহত হয়। এই ১৩ মিনিটে বারবার খেই হারাতে দেখা গেছে নেইমারকে।

২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলে আর্জেন্টিনাকে ১-০ এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ফাইনালের প্রথম একাদশে ডি মারিয়াকে ফিরিয়ে তার উপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন তিনি।

মাঝমাঠ থেকে দি পলের উড়িয়ে মারা বল ধরে ব্রাজিল গোলরক্ষক এদারসনের মাথার উপর তা জালে জড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।

এক্ষেত্রে ব্রাজিল ডিফেন্ডার রেনান লোদির সামনে সুযোগ ছিল ডি মারিয়াকে প্রতিহত করার। কিন্তু দৌড়ে ডি মারিয়ার নাগালই সেভাবে পাননি তিনি। ব্যর্থ হন।

২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর ডি মারিয়া প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার, যিনি কোপার ফাইনালে গোল করলেন।

এছাড়া ২০০৫ কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালের পর এই প্রথম কোনো ফাইনালে গোল পেল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল অনলাইনে দেখবেন যেভাবে

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল অনলাইনে দেখবেন যেভাবে


রাত পোহালেই রচিত হবে ইতিহাস। হয়তো তা ৯০ মিনিটের বা তা থেকে কিছু বেশি। হয়তো টাইব্রেকারের রুদ্ধশ্বাস যুক্ত হবে সেই ইতিহাস।

কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতি ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার নামতে আর বেশি দেরি নেই। ১৪ বছর পর দেখ হচ্ছে দুদলের। মেসির দিকে তাকিয়ে আলবিসেলেস্তেরা। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ানদের ভরসা নেইমার।

ম্যাচটি ঘিরে বাংলাদেশে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা। এ ম্যাচ দেখা মিস করবেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শনিবার সকাল থেকেই ম্যাচটি কোথায় কখন অনুষ্ঠিত হবে খোঁজ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ সময়ে কখন কোন চ্যানেলে দেখানো হবে ফুটবলের এই মহারণ তার খবর নিয়েছেন অনেকে।

বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৬টায় এস্তাদিও দে মারাকানা স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই খেলা। সুখবর হচ্ছে টিভিসেটে সামনে বসার সুযোগ নেই যাদের তারাও দেখতে পারবেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ।   

কোপা আমেরিকার এই ফাইনাল কখন, কোথায় হবে, ও যেখানে, যেভাবে দেখবেন-

তারিখ- ১১ জুলাই, রোববার। সময়- সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময়)

ভেন্যু- এস্তাদিও দে মারাকানা

টিভিতে দেখবেন যে চ্যানেলে- সনি সিক্স, সনি টেন ২।

অনলাইনে দেখবেন যেভাবে- টফি ও বঙ্গবিডি অ্যাপ।

(এছাড়াও টোটালস্পোর্টেক, ইয়াল্লাশুট, কুরার মতো অনানুষ্ঠানিক কিছু প্ল্যাটফর্মেও খেলা দেখা যাবে)

Saturday, 10 July 2021

রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির ১ম ক্লাব মিটিং

রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির ১ম ক্লাব মিটিং


রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির ১ম ক্লাব মিটিং ও কলার হ্যান্ডওভার প্রোগাম ১০ জুলাই শনিবার দুপুরে আখালিয়াস্হ সিলেট আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। 

রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি রোটাঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে নবনির্বাচিত সভাপতি রোটাঃ নুরুর রহমানের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ২য় পর্বে সভাপতিত্ব করেন রোটাঃ নুরুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৪২ ডেপুটি গভর্নর রোটাঃ এম এ ওয়াদুদ আল মামুন। ক্লাব মিটিং এ বক্তব্য রাখেন রোটারি ক্লাব অব সিলেট সিটির পিপি রোটাঃ কামারুজ্জামান মাসুম, নবনির্বাচিত সেক্রেটারি রোটাঃ এসএ শফি, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটাঃ তানিয়া সুলতানা,ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটাঃ তাসলিমা বেগম, কোষাধ্যক্ষ রোটাঃ আহসান হাবীব, সাবেক কোষাধ্যক্ষ রোটাঃ আনিসুর রহমান, রোটাঃ আশরাফ হোসেন,রোটাঃ অধ্যাপক মাসুক আহমদ,রোটাঃ আব্দুল্লাহ আল মাহবুব প্রমুখ।

চ্যাম্পিয়ন হলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল কত পাবে?

চ্যাম্পিয়ন হলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল কত পাবে?


স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৬টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। 

লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মেসি বনাম নেইমারের দেশ নামছে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারকানা স্টেডিয়ামে। 

১৯১৬ সালে প্রথমবার টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর রোববার শেষ হতে যাচ্ছে কোপার ৪৭তম আসর।

আরও পড়ুনঃ ১৪ বছরপর ফাইনাল মঞ্চে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাঃ খাতায় কলমে এগিয়ে কারা?

আরও পড়ুনঃ কোপা'য় কে হবে শিরোপা জয়ীঃ দেখুন হাতি ও মাকড়সার ভবিষ্যদ্বাণী

কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হলে জয়ী দল কত টাকা পাবে তা আনুষ্ঠানিক জানায়নি আয়োজক কনমেবল। তবে স্পোর্টসফোল্ডে সম্ভাব্য পুরস্কার অর্থ কত তা জানানো হয়েছে।

আগামীকাল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যে যারা চ্যাম্পিয়ন হবে তারা পাবে ৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর রানার্সআপ দল পাবে ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

তৃতীয় স্থান দখলকারী দল পাবে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চতুর্থ স্থানে থাকা দল পাবে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  

কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা দলগুলোকে দেওয়া হবে ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে। কোপার গ্রুপ পর্বে খেলা দলগুলো পাবে ১ মিলিয়ন ডলার করে।

ভারতে ‘নিলামে’ মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির’ বিজ্ঞাপন!

ভারতে ‘নিলামে’ মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির’ বিজ্ঞাপন!


ভারতে ‘শালি ডিলস’ নামের একটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে সংখ্যালঘু নারীদের ছবিসহ প্রোফাইল তৈরি ও প্রকাশ করে নিলামের বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে!

অ্যাপটিতে যেসব নারীকে নিলামে তোলা হয়েছে, তারা সবাই মুসলিম এবং অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তাদের প্রায় সবাই পেশায় সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, শিল্পী বা গবেষক।

গত কয়েক সপ্তাহে ওই অ্যাপে অন্তত ৮৩ জন মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘বিক্রির আয়োজন’ করা করা হয়। খবর বিবিসি।

জানা গেছে, ‘শালি ডিলস’ নামের একটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছে ‘ডিলস অফ দ্য ডে’ বলে।

বিক্রির তালিকায় রয়েছেন হানা খান নামের এক নারী, যিনি পেশায় বাণিজ্যিক বিমানচালক। গত কয়েক দিন ধরে আত্মীয়-পরিজন-বন্ধুরা একের পর এক মেসেজ করে চলেছেন হানা খানকে। সঙ্গে ট্যাগ করা নেটমাধ্যমের একটি পোস্ট। সেখানে হানার ছবি আপলোড করে তাকে বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়েছে!

হানার মতো সেই তালিকায় ছাত্রী, সমাজকর্মী এমনকি, সাংবাদিকেরও নাম এবং ছবি রয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে টুইটারে দেয়া তাদের ব্যক্তিগত তথ্য।

হানা বলেছেন, ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য অবমাননার উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়।’ 

তিনি জানান, ওই ওয়েবসাইটে প্রায় ২০ দিন ধরে তার ছবি ও টুইটারে দেয়া তথ্য ছিল। তার কথায়, ‘আমি প্রথমে বিষয়টি জানতেও পারিনি। আত্মীয় ও বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।’ 

এরপর পুলিশে অভিযোগ জানান হানা। টুইট করে বিষয়টি সামনেও আনেন।

এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন দিল্লির সাংবাদিক ফাতিমা খানও। ২০২০ সালে দিল্লি সহিংসতার অনেক খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন ফাতিমা। 

পুলিশকে তিনি বলেছেন, তার ধারণা সে কারণেই তাকে নিশানা করা হয়েছে। 

নেটমাধ্যমে সক্রিয় এসব মুসলিম নারী বিভিন্ন সময় নানা সামাজিক ও ধর্মীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাই নিছক ‘যৌন বিনোদন’ নয়, পুরো ঘটনার পেছনে ‘অন্য উদ্দেশ্য’ রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ‘জিটহ্যাব’ নামে একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই অ্যাপটি কার্যকর করা হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তারা দ্রুত সেটি বন্ধ করে দেয়। 

কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর হাসিবা আমিনের দাবি, একটি জাল আইডির সাহায্যে ওই অ্যাপটি বানানো হয়েছিল। এর আগে গত ১৩ মে একই ভাবে নেটমাধ্যমে বেছে বেছে মুসলিম নারীদের ছবি দিয়ে নিলামের ডাক দেয়া হয়েছিল।

সূত্রঃ যুগান্তর