Friday, 13 August 2021

বার্সেলোনার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার মেসি!

বার্সেলোনার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার মেসি!




লিওনেল মেসি মনে করেন তিনি বার্সেলোনার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। 

বার্সেলোনার বর্তমান সভাপতি জুয়ান লাপোর্তা নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে বলে আসছিলেন, তিনি লিওনেল মেসিকে ক্লাবে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। তিনি বলেছিলেন, আমিই একমাত্র লোক যে এই কাজ সফলভাবে করতে পারব।


তবে সভাপতি হওয়ার পর লাপোর্তা ক্লাবের ঋণের পরিমাণ জেনে অবাক হয়েছিলেন। তার ধারণা ছিল ২০০ মিলিয়ন ইউরোর মতো ঋণ হতে পারে, কিন্তু আসলে ঋণ ছিল ৫০০ মিলিয়ন ইউরো।

দেড় মাস আগে মেসি ও লাপোর্তা একসঙ্গে ডিনারে গিয়েছিলেন। সেই ডিনারে লাপোর্তা একটা ধারণা পান কীভাবে মেসিকে বার্সেলোনায় রাখা যায়।

মেসিকে বার্সেলোনায় রাখতে দুটি ভিন্ন চুক্তিপত্র তৈরি করান লাপোর্তা। একটি দুই বছরের, আরেকটি পাঁচ বছরের। দুই পক্ষই পাঁচ বছরের চুক্তির বিষয়ে একমত হয়। বার্সার ধারণা ছিল লা লিগা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিতভাবে এ চুক্তি অনুমোদন দেবে। 

ওই ডিনারের দুই-তিন দিন পরই লা লিগার প্রধান হাভিয়ের তেবাসের সঙ্গে দেখা করেন লাপোর্তা। তেবাস লাপোর্তাকে বলেন- মেসির সঙ্গে তাদের চুক্তিকে তারা অনুমোদন দিতে পারেন, কিন্তু এক্ষেত্রে সিভিসি নামের একটা প্রাইভেট ইক্যুইটি গ্রুপের সাহায্য লাগতে পারে।

এই সিভিসি সম্প্রতি একটা চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যার আওতায় তারা লা লিগায় ২৭০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করবে। বিনিময়ে তারা পাবে এর ১০ শতাংশ আর বিনিয়োগ করা অর্থের ৯০ শতাংশ পাবে ক্লাবগুলো।

কিন্তু সমস্যা হয়ে যখন রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা এই সম্ভাব্য চুক্তির বিরুদ্ধে মত দেয়। এই চুক্তিতে একমত হলে ক্লাবে অনেক অর্থ আসতো এবং ১৫ শতাংশ বা প্রায় ৪০ মিলিয়ন ইউরো খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ পরিশোধ করা যেত।


লাপোর্তা জানতেন এই চুক্তিতে সই করলেই লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনায় রাখা সম্ভব। এজন্য তিনি তেবাসের কাছে তার আগ্রহের কথাও প্রকাশ করেন। লাপোর্তা বার্সেলোনার নতুন নির্বাহী প্রধান ফেরান রেভারটারের সঙ্গে একমত হন যে, এটা ক্লাবের স্বার্থের জন্য খুব ভালো কিছু হবে না।

এরপর রেভারটার লাপোর্তাকে কিছু সংখ্যা দিয়ে চমকে দেন, যা শুনে নতুন সভাপতির মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মেসির বেতনসহ খেলোয়াড়দের বেতন দাঁড়ায় ক্লাবের মোট আয়ের ১১০ শতাংশ, আর মেসির বেতন ছাড়া সেটা হয় ৯৫ শতাংশ। তখন মেসিকে বার্সেলোনায় রাখার বিষয়টি পুরো অসম্ভব হয়ে যায়। 

লাপোর্তা স্বীকার করেছেন যে, মঙ্গলবারই তিনি মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। দুই দিন পর বিষয়টি মেসিকে জানিয়ে দেন।

মেসির সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার জন্য লাপোর্তা অবশ্য লা লিগার আইনকানুনের কঠোরতাকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সিভিসির প্রস্তাবিত বিনিয়োগ পরিকল্পনাটি বার্সেলোনার স্বার্থের অনুকূলে ছিল না বলে জানান।

তবে একটি সূত্রে জানা যায়, বার্সেলোনা আসলে লিওনেল মেসিকে ক্লাবে রাখার জন্য তেমন কোনো চেষ্টাই করেনি। 

সেটা আরও স্পষ্ট হয় বার্সেলোনার সাবেক পরিচালক জমি লোপিসের কথায়। তিনি পদত্যাগের পর জানিয়েছেন, আমি স্বাধীনভাবে কথা বলতে না পারায় পদত্যাগ করেছি। মেসি বলেছে তারা যা যা করতে পারত তার সবকিছু তারা করেনি।


মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণার দিনে লাপোর্তাকে বার্সেলোনা শহরের সেরা এক রেস্তোরাঁয় রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ আর জুভেন্টাসের আন্দ্রেয়া অ্যাগনেলির সঙ্গে দেখা যায়। 

লোপিস বলেছেন, লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে যখন পিএসজিতে চলে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন তখন লাপোর্তা কেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতির সঙ্গে খাবারে ব্যস্ত। 

বার্সেলোনার আর্থিক অবস্থা খারাপ তা ঠিক আছে। কিন্তু মেসি ছুটি থেকে ফিরে জানতে পারেন ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে তার শুধু সইটাই করা বাকি আছে। আর এ কারণেই বেশি কষ্ট পান মেসি। তিনি অনুভব করেন, যে ক্লাবকে এত কিছু দিলেন, সেই ক্লাবই তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বার্সেলোনা তাকে আগের বেতনের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম দেওয়ার যে প্রস্তাব করেছিল, মেসি তাও গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি কোন ধরনের দর কষাকষিও করেননি। 

সূত্র:বিবিসি
আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজ রোডের টেন্ডার সম্পন্ন, শীঘ্রই হচ্ছে পিচঢালাই

আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজ রোডের টেন্ডার সম্পন্ন, শীঘ্রই হচ্ছে পিচঢালাই

ছবিঃ হোসাইন সারোয়ার

শীঘ্রই পিচ ঢালাই হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজ রোড। ইতোমধ্যে এ রোডটির টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। টেন্ডার পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাওলানা ট্রেডিং।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুরে অবস্থিত আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজ রোডটির ৯২০মিটার কাজের টেন্ডার হয়েছে। এল.জি.ই.ডি'র আওয়াতাধীন এ রোডটিতে ব্যয় হবে প্রায় ৮০ লাখ টাকা। যা বি,কে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে কটলীপাড়া-বসন্তপুর সড়কে সংযুক্ত হবে। 


রাস্তাটির উন্নয়নকাজের টেন্ডার হওয়ায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি'র প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল।

এ রাস্তাটি পিচ ঢালাই হলে আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হবে। পাশাপাশি উপকৃত হবেন ৩/৪ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে বনগ্রাম, কালিডহর এবং বানিগাজী গ্রামের জনসাধারণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হতে চলেছে।

স্বপ্নচারী যুবকদের উদ্যোগে ছাতক উপজেলার অসহায় বৃদ্ধকে টিউবওয়েল দান

স্বপ্নচারী যুবকদের উদ্যোগে ছাতক উপজেলার অসহায় বৃদ্ধকে টিউবওয়েল দান



ছাতক উপজেলাধীন ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের বড় পলির গাঁওয়ের বাসিন্দা বৃদ্ধ মকরম আলী। স্বহায়-সম্বলহীন মকরম আলী হাওরের মাঝখানে ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। নেই রাস্তা,বিদ্যুৎ কিংবা খাবার পানির ব্যবস্থা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে বার বার আকুতি করেও পাননি একটি টিউবওয়েল। তাই বাধ্য হয়েই নোংরা ডোবার পানিই হয়ে ওঠে একমাত্র অবলম্বন। 


এমন অসহায়ত্বের ভিডিও ফেসবুকে আসার পর দয়ামীর ইউনিয়নের তরুণ উদীয়মান সোস্যাল একটিভিস্ট আহমেদ কবির আদনান ও এসএসসি ২০১০/ এইচএসসি ২০১২ সিলেট ডিভিশন প্লাটিনাম গ্রুপের এডমিন সামছুল আলম, গোলাম মুস্তফা রনি, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা তাহের চৌধুরীর উদ্যোগে এগিয়ে আসে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অদম্য মনোবলে বৃদ্ধ মকরম আলীর বাড়িতে এখন স্থাপন হচ্ছে টিউবওয়েল। 


বৃদ্ধ মকরম আলী এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে যান। তিনি আদনান, সামছুল,তাহের ও রনি সহ এসএসসি ২০১০/এইচএসসি ২০১২ সিলেট ডিভিশন প্লাটিনাম গ্রুপের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এক ঝাঁক স্বপ্নচারী তরুণদের জন্য মহান রাব্বুল আল-আমীনের দরবারে দোয়া করেন।

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানালেন ইসমাইল, উড়াতে গিয়ে মৃত্যু (ভিডিও)

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানালেন ইসমাইল, উড়াতে গিয়ে মৃত্যু (ভিডিও)

নিউজের নিচে ভিডিও দেখুন


প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছাড়াই ইউটিউব দেখে নিজে নিজে হেলিকপ্টার বানিয়েছিলেন মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরেনো শেখ ইসমাইল নামের ২৪ বছর বয়সী এক তরুণ। সেই হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে উড়াতে গিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই তার।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ভারতের মহারাষ্ট্রের ফুলসাওয়াঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইসমাইল ইউটিউব দেখে এক আসন বিশিষ্ট প্রোটোটাইপ একটি হেলিকপ্টার নির্মাণ করেন।


অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে স্কুল ছেড়ে দেওয়া ইসমাইলের স্বপ্ন ছিল বিস্ময়কর কিছু করে তার গ্রামের সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। তাই তিনি নিজের ডাক নামের সাথে মিলিয়ে ‘মুন্না হেলিকপ্টার’ নির্মাণ করেন।

ইসমাইলের বন্ধু শচীন গণমাধ্যমকে জানান, থ্রি ইডিয়ট সিমেনার র্যা ঞ্চো চরিত্র ভীষণ প্রভাবিত করে ইসমাইলকে। তাই তিনি অসাধারণ কিছু করার জন্য গ্রামে বসেই হেলিকপ্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।

পরে ইউটিউবে হেলিকপ্টার বানানোর বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিজেই হেলিকপ্টার বানানো শুরু করেন ইসমাইল।  হেলিকপ্টারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে ইসমাইলের প্রায় দু’বছর লেগেছিল। স্টিলের পাইপ দিয়ে তিনি হেলিকপ্টারের পাখা বানান। মারুতি ৮০০ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টার চালানোর জন্য।


ইসমাইল চেয়েছিলেন ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে পুরো গ্রামের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে চক্কর দিতে।  এজন্য গত ১০ আগস্ট তিনি বন্ধুদের সামনে হেলিকপ্টারটি পরীক্ষামূলক উড্য়ন করেন।

ইসমাইল হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন চালু করার প্রায় সাথে সাথেই হেলিকপ্টারের পেছনের লেজের অংশ মূল শরীর থেকে খুলে হেলিকপ্টারের উপরের পাখায় আঘাত করে। স্টিলের পাখা ইসমাইলের গলায় আঘাত করলে সাথে সাথেই হেলিকপ্টার থেকে অচেতন হয়ে পড়ে যান ইসমাইল। এসময় বন্ধুরা তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে খরচ হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা

জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে খরচ হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা




জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। যেখানে খরচ ধরা হয়েছিলো ৮৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অথচ, বিদেশী কোম্পানিকে নিয়োগ দিলে সম্ভাব্য ব্যয় হতো প্রায় ১৮০কোটি টাকা। এর বিপরীতে খরচ বাঁচিয়ে এতো কম ব্যয়ে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করায় প্রশংসিত হচ্ছে বাপেক্স।


জকিগঞ্জ পৌরসভার আনন্দপুর গ্রামের ফায়ার স্টেশন লাগোয়া একটি কৃষি জমিতে দেশের ২৮তম এ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।


এ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের আগে সম্ভাব্যতা বিবেচনায় সেখানে অনুসন্ধান চালায় বাপেক্স। এরপর আসে সুখবর। অনুসন্ধান চালিয়ে সেখানে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে ফেলে বাপেক্স।

গত সোমবার (৯ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশের ২৮তম এ গ্যাসক্ষেত্রে জকিগঞ্জের ঘোষণা করেন। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে এ ঘোষণা দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নতুন গ্যাসক্ষেত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার, অনুসন্ধানের জন্য বাপেক্সকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করা হয়েছে।

বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জ এলাকায় ১০৩ লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো হয় ২০১৬-১৭ সালে। তখন বাপেক্সের খরচ হয় ৩ কোটি টাকা। ওই জরিপে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তাব তৈরি করা হয়। প্রস্তাবে ৮৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সে প্রস্তাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সায় দেয়।


তবে এতো টাকা লাগেনি, বাপেক্স আরো কম ৭৫ কোটি টাকা খরচ করেই অনুসন্ধান গ্যাস কূপ খনন করে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। সবমিলিয়ে এটা আবিষ্কারে খরচ হয়েছে মাত্র ৭৮ কোটি টাকা।

জকিগঞ্জে গেল ১ মার্চ বাপেক্স খননকাজ শুরু করেছিল। কাজ শেষ হয় ৭ মে। চারটি স্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে একটিতে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের গ্যাস পাওয়া যায়। ৬ হাজার ৮০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আছে এই ক্ষেত্রে। ৭০ শতাংশ গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় উত্তোলন করা যাবে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। প্রতিদিন ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করার বিবেচনায় আগামী এক যুগ এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জকিগঞ্জে পাওয়া গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।


জানা গেছে, জকিগঞ্জ ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে পাইপলাইন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণের জন্য জ্বালানি বিভাগ নির্দেশনা দিয়েছে। ৩৫ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা শ্রমিকলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা শ্রমিকলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন



সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী  হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে চিন্তা করা যায় না। বাংলাদেশের আজকের এই অবস্থান জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানেরই অবদান। সোনার বাংলা গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। কিন্তু তার সে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দেয়নি এদেশীয় দূসররা। তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে শেষ করতে পারলেই এদেশকে তারা কবজা করতে পারবে। কিন্তু জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। 

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।  

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিকলীগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

জাতীয় শ্রমিকলীগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সভাপতি মাস্টার আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও  সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাস আলী’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ,জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট জেলা শাখার সেক্রেটারী শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা সাংগঠনিক রফিকুল ইসলাম,দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ,যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তপন চন্দ্র পাল।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিকলীগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিনিয়র সহ সভাপতি ইছহাক আহমদ,জাতীয় শ্রমিকলীগ লালাবাজার ইউনিয়ন  আহবায়ক আব্দুল হোসেন, জালালপুর ইউনিয়ন আহবায়ক এপ্রিল আলী, যুগ্ম আহবায়ক আজাদ মিয়া, মোল্লারগাঁও আহবায়ক দারা মিয়া, কামালবাজার ইউনিয়ন আহবায়ক হাসান আলী, বরইকান্দি ইউনিয়নের আহবায়ক সোহেল আহমদ, সিলাম ইউনিয়নের আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম, যুগ্ম আহবায়ক খলিল মিয়া, তেতলী ইউনিয়নের আহবায়ক জানু মিয়া, কুচাই ইউনিয়নের আহবায়ক ফুকন মিয়া, দাউদপুর ইউনিয়নের আহবায়ক জামাল মিয়া, মোগলাবাজার আহবায়ক আনা মিয়া প্রমুখ। 

আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ফারুক আহমদ।
নাজিরবাজার লতিফিয়া পাঠাগার সভাপতি মাও একরামুল হকের ইন্তেকাল

নাজিরবাজার লতিফিয়া পাঠাগার সভাপতি মাও একরামুল হকের ইন্তেকাল



দক্ষিন সুরমার নাজির বাজার লতিফিয়া ইসলামী পাঠাগারের সভাপতি ও বিবিদইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা একরামুল হক ১১ অগাস্ট দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটের সময় সিলেট নগরীর  মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! 

মরহুমের জানাযার নামাজ  বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায়  ফরিদপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করেন। পরে মরহুমের লাশ ফরিদপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নাজিরবাজার লতিফিয়া ইসলামী পাঠাগারের সভাপতি মাওলানা একরামুল হকের মৃত্যুতে লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জুয়েল আহমদ, দক্ষিণ সুরমা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ শফি, আবু দৌলত আদর্শ স্মৃতি পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি জহির উদ্দীন জালাল শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। 

তারা এক শোক বার্তায় বলেন,একরামুল হক  অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার ইন্তেকালে সমাজ একজন উত্তম গুনী ব্যক্তিকে হারালো। আল্লাহ যেন মাওলানা একরামুল হককে জান্নাতের মেহমান হিসেবে ক্ববুল করেন।