Saturday, 4 September 2021

বিশাল ব্যবধানের জয়ে সিলেট-৩ আসনের এমপি হলেন হাবিব

বিশাল ব্যবধানের জয়ে সিলেট-৩ আসনের এমপি হলেন হাবিব


সিলেট-৩ আসনে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী- আসনের ৪টি থানার (দক্ষিণ সুরমা, মোগলাবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) সবগুলো কেন্দ্রে বিজয় লাভ করেছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।

নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী- দক্ষিণ সুরমায় নৌকা পেয়েছে ২২ হাজার ৪৬৪ ও লাঙ্গল ৩ হাজার ১২৩, ফেঞ্চুগঞ্জে নৌকা ২২ হাজার ২২৪ ও লাঙ্গল ৪ হাজার ৫৫৬, বালাগঞ্জে নৌকা ২৪ হাজার ২৭৩ ও লাঙ্গল ৩ হাজার ৩৩৭ এবং মোগলাবাজারে নৌকা ২০ হাজার ৭৭৪ ও লাঙ্গল ১৩ হাজার ৫৮৮টি ভোট পেয়েছে।

৪টি থানার সকল ভোটকেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩০৯টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৮৯ হাজার ৭০৫টি ও লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছে ২৪ হাজার ৬০৪ টি ভোট। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবহার ৬৫ হাজার ১০১টি।


প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বেসরকরিভাবে ৬৫ হাজার বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।

সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
চন্দরপুরে যুবকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মানিব্যাগ হারিয়েছেঃ খোঁজ পেতে সহযোগিতা কামনা

চন্দরপুরে যুবকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মানিব্যাগ হারিয়েছেঃ খোঁজ পেতে সহযোগিতা কামনা



চন্দরপুর চৌমুহনীতে প্রবাস ফেরত যুবকের ন্যাশনাল আইডি কার্ড এবং প্রবাসের অতি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র-সহ একটি মানিব্যাগ হারিয়েছে। আজ (শনিবার) দুপুরে চৌমুহনীর একটি দোকানে ফ্লেক্সিলোড করে ফেরার পথে মানিব্যাগটি হারিয়ে যায়।

প্রবাস ফেরত ওই যুবকের বাড়িও চন্দরপুর গ্রামে। সে আতাউল হক লনি মিয়ার পুত্র শাহরিয়ার আহমদ কামরান।


কামরান জানান, যোহরের নামাজের সময়ে আমি ফ্লেক্সিলোড করে চন্দরপুর পূর্ব মহল্লা জামে মসজিদে নামাজ পড়তে চলে যাই। মসজিদে নামাজ শেষেই খেয়াল করি পকেটে মানিব্যাগটি নেই। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মানিব্যাগটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি।

তিনি বলেন, মানিব্যাগটিতে আমার সৌদি আরবের অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র-সহ প্রায় ৫ হাজার টাকাও ছিলো। কোনো হৃদয়বান ব্যাক্তি যদি মানিব্যাগটি খোঁজে পান তবে নিম্নের নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

যোগাযোগঃ
শাহরিয়ার আহমদ কামরান
মোবাইলঃ ০১৭৯১-৪৫৭৬০১
সিলেট-৩ : ৩৫ কেন্দ্রে হাবিবের বিজয়

সিলেট-৩ : ৩৫ কেন্দ্রে হাবিবের বিজয়



সিলেট-৩ আসনে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কিছু অভিযোগ ছাড়া কোথাও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।


এদিকে, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বালাগঞ্জ উপজেলার সবগুলোসহ মোট ৩৫টি ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বালাগঞ্জের ৬ ইউনিয়নের ৩৪টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের হাবিব পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫৪টি ও ৩ হাজার ১৬০টি ভোট। এছাড়া ৩৫টি কেন্দ্রের পাওয়া ফলাফলে সবগুলোতেই এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের হাবিব।


সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
১৪ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে হাবিব পাস

১৪ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে হাবিব পাস



সিলেট-৩ আসনে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কিছু অভিযোগ ছাড়া কোথাও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।


এদিকে, শনিবার বিকাল সোয়া ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪টি ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন হাবিবুর রহমান।

কেন্দ্রগুলো হলো, বালাগঞ্জের ছিন্নাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নৌকা মার্কা ৬০৭ ও লাঙ্গল ৩৯, দক্ষিণ সুরমার জালালপুরের রায়খাইল কেন্দ্রে নৌকা ৫৬৫ ও লাঙ্গল ২৬১, বালাগঞ্জের জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ৭৫৭ ও লাঙ্গল ১১৮, বালাগঞ্জের ডিএন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ৮৭৮ ও লাঙ্গল ৬৮, টিএন সেন্টারে নৌকা ১৩৩৩, লাঙল ৭১, বাবরকপুর নৌকা ৭৮০ ও লাঙল ৪৭, বোয়ালজুরে নৌকা ৭৩২ ও লাঙল ২৮, শ্রীনাথপুরে নৌকা ৬০৭ ও লাঙল ৩৯, উজ্জ্বলপুরে নৌকা ৭০৭ ও লাঙল ১৮টি ভোট পেয়েছে।


এছাড়া বিকাল সোয়া ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের আরোও ৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৩০২১টি ও লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছে ৮৫৩ টি ভোট।

সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
কাল আদালতে তোলা হচ্ছে মামুনুল হককে

কাল আদালতে তোলা হচ্ছে মামুনুল হককে



দেশের আলোচিত হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় ২৩(২)২০১৩ আগামীকাল রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হবে।

এর আগে শুক্রবার বিকাল ৪টায় মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খুলনা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ সময় খুলনার জেলা কারাগারের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আদালত চত্বর পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে পুলিশ।

খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় ২৩(২)২০১৩ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর)তাকে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হবে।

কারাগারের জেলার তরিকুল ইসলাম বলেন, কারাগারে মামুনুল হক বিশেষ নজরদারিতে থাকবেন। পাশাপাশি কারাগারের বাইরের এলাকায় কেএমপি পুলিশ ও র‌্যাবের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।


কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার দেলোয়ার পারভেজ জানান, সোনাডাঙ্গা থানার ২৩(২)২০১৩ নং মামলায় খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরার জন্য হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সকালে পুলিশ হেফাজতে তাকে খুলনা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, পুলিশি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ ২৭টি মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন মামুনুল হক।

গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে বেলা ১২টার দিকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
রানু মণ্ডলকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে হিন্দি সিনেমা

রানু মণ্ডলকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে হিন্দি সিনেমা



ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে রাতারাতি খ্যাতি পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রানু মারিয়া মণ্ডল। কিন্তু ভাগ্য বিড়ম্বনায় বৃত্ত ঘুরে আগের অবস্থানে ফিরে গিয়েছেন এই ইন্টারনেট সেনসেশন। সেই রানু মণ্ডলকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। ‘মিস রানু মারিয়া’ নামের এ সিনেমা পরিচালনা করছেন ঋষিকেশ মণ্ডল।


রানু মণ্ডল চরিত্রে অভিনয় করবেন ‘স্যাকরেড গেমস’ খ্যাত অভিনেত্রী ঈশিকা দে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের শুটিং শুরু হবে আগামী নভেম্বরে। পুরো টিমটাই বাংলার। কিন্তু এটা হিন্দি সিনেমা। কলকাতা, রানাঘাট, মুম্বাই মিলিয়ে শুটিং হবে। মূলত রানু মণ্ডলের ব্যাক স্টোরির উপর আমরা জোর দিচ্ছি। রানু মণ্ডলের ইয়াং বয়স, স্ট্রাগল। কেমন ছিলেন, কোথা থেকে কোথায় এলেন, কেন ভিক্ষা করতে হলো এসব আরকি।’

রানু মণ্ডলের সঙ্গে এখনো দেখা হয়নি ঈশিকা দের। বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছেন ঈশিকা। তার ভাষায়—‘ফেসবুকে নানারকম ভিডিও দেখে আমার ভালো লাগে। সবাই যে সবকিছু পারে, তা তো নয়। কিন্তু চেষ্টাটাই আসল। যেমন হুইলচেয়ারে বসেই কেউ নাচ করছে। এসব দেখতে আমার ভালো লাগে। সবার মধ্যেই শেড আছে। আমার বন্ধু কমলিকা ভট্টাচার্য পেশায় সাইকোলজিস্ট। মানুষের কোথা থেকে কী হতে পারে, এই জার্নির যে মানসিক দিকটা তা ওর থেকে জানার চেষ্টা করছি। সেটাও প্রস্তুতির অঙ্গ।’


রানু মণ্ডলের চরিত্র কতটা মাত্রা যোগ করবে ঈশিকার ক‌্যারিয়ারে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিয়েল লাইফের চরিত্র তো তেমন হয় না। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই কোনো না কোনো প্রতিভা থাকে। রানুর যেমন গান, কারও হয়তো ছবি আঁকা, ফলে এই ধরনের বাস্তব চরিত্র তো খুবই ভালো।’

পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট স্টেশন চত্বরে ছিল রানু মণ্ডলের বাস। কিংবদন্তি শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ‘প্যায়ার কা নাগমা’ গান গেয়ে রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হন তিনি। সেখান থেকে সুযোগ পান বলিউডে। সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার তত্ত্বাবধানে ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ সিনেমার ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানে কণ্ঠ দেন তিনি।


এরপর ভালোই কাটছিল তার সময়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি দেখলেই বোঝা যেত, গ্ল্যামার জগতের চাকচিক্যের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু তারপর শুধুই সমালোচনা। ভক্তদের সঙ্গে বাজে আচরণের কারণে বিতর্কে জড়ান তিনি। মেকআপ ও ঝলমলে পোশাক পরেও ট্রলের শিকার হয়েছেন রানু মণ্ডল।
সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই করা যাবে সংসদ নির্বাচন

সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই করা যাবে সংসদ নির্বাচন



সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই করা যাবে সংসদীয় নির্বাচন। দৈব-দুর্বিপাকে কোনো এলাকার সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলে বিদ্যমান সীমানায় নির্বাচন হওয়ার বিধান রেখে একটি আইন পাস হয়েছে। ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’ নামে বিলটি আইনমন্ত্রী পাসের প্রস্তাব করলে সংসদে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে আইনটি পাস না করে কয়েকজন এমপি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য পুনরায় পাঠানোর দাবি জানালে তা কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়। এ আইন কার্যকর হলে ১৯৭৬ সালের ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স’ রহিত হবে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বিলটি পাস হয়। এর আগে বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। পাস হওয়া বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করলেই তা কার্যকর হবে।

গত ৩ জুন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। পরে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।


আইনে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিদ্যমান আইনে নেই। এছাড়াও এটি আগে ইংরেজিতে ছিল, এখন আইনটি বাংলায় করা হয়েছে।

নতুন বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং বাংলায় আইন করতেই মূলত বিলটি আনা হয়েছে।

সামরিক সরকারের আমলে জারি হওয়া ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্সের’ সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলো। তবে সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করে বিদ্যমান আইনগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনটি সংস্কারের ঘোষণাও দেয়। কিন্তু সেটা হয়নি। পরে বিদ্যমান আইনেই সীমানা পুনর্বিন্যাস করে ওই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়।

২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠায় ইসি। কমিশন খসড়ায় বিদ্যমান জনসংখ্যা কোটার ভিত্তিতে আসন বণ্টনের সঙ্গে ভোটার সংখ্যা যুক্ত করার প্রস্তাব করেছিল। এছাড়া সিটি করপোরেশন, বড় বড় শহর ও পল্লী এলাকার ভারসাম্য রক্ষার কথাও বলা হয়েছিল ইসির প্রস্তাবে।

সংবিধান ও সীমানা নির্ধারণ আইন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সংবিধানের ১১৯ (গ) অনুচ্ছেদে ইসিকে সংসদীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। ১২৪ অনুচ্ছেদে ইসিকে সংসদ আইনের দ্বারা নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ নির্বাচন এলাকা সীমানা নির্ধারণ বিধান অধ্যাদেশ-১৯৭৬ জারি করা হয়। এরপর থেকেই এ অধ্যাদেশের বলে সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্বিন্যাস হয়ে আসছে। নতুন আইন হলে এর বিধানে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।


বিদ্যমান আইনের ৮টি ধারার স্থলে নতুন আইনে ৯টি ধারার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন ধারাটিতে আইনের অধীনে বিধি প্রণয়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বিধি প্রণয়নের সুযোগ নেই। বিদ্যমান আইনের ধারা-১-এ একটি নতুন উপধারার প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে আইনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পুরো দেশকে সে সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভৌগলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং আদমশুমারির ভিত্তিতে যতদূর সম্ভব বাস্তবভিত্তিক বণ্টনের কথা বলা হয়েছে।

বিলের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইসির সীমানা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন-২০১১ এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স-১৯৭৬ এর কার্যকারিতা লোপ পায়। যার প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে আবশ্যক বিবেচনায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন-২০১৩ দ্বারা অন্যান্য কতিপয় অধ্যাদেশের সাথে এই অর্ডিনেন্সকেও কার্যকর রাখা হয়। পরে সরকার সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলো সকল স্টেকহোল্ডার এবং সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলায় নতুন আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে অর্ডিনেন্সটির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে তা রহিত করে সংশোধনসহ পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত বিলে সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি, ক্ষমতা অর্পণ ও কমিশনকে সহায়তা প্রদান এবং কমিশন কর্তৃক বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান-সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে জাতীয় সংসনের একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করা সম্ভব হবে।’

সূত্রঃ জাগো নিউজ