Tuesday, 7 September 2021

গোলাপগঞ্জের একজন গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু

গোলাপগঞ্জের একজন গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু




সিলেট অঞ্চল- সংগীত এবং মরমী কবিদের অঞ্চল নামেই ব্যাপক সমাদৃত। রাধারমণ, শাহ আবদুল করিম, শীতলংশাহ, দ্বীন ভবানন্দ, হাসন রাজা, আরকুম শাহ, দূর্বিন শাহ প্রমুখ বাউল সাধকগণ এ অঞ্চলেরই কৃতি সন্তান। যারা বাংলা সংগীত, বাউল সংগীত রচনা করে সিলেটকে বিশ্বব্যাপী নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। এ অঞ্চলে পুঁতি রচনা, গীতিকবিতা, বাউল সংগীত কিংবা মরমী সংগীত রচনার ইতিহাস বেশ পুরোনো। কালের বিবর্তনে একের পর এক গীতিকবি, বাউল-মরমী কবিগণ রচনা করেছেন তাদের নিজস্ব সংগীতের সুর।


তেমনি নতুন প্রজন্মের একজন গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু। যিনি প্রবাসে ব্যবসায়িক কাজে শত ব্যস্ততার মাঝেও বাংলা সঙ্গীত রচনায় অর্জন করেছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। দেশ ও বাংলা ভাষার টানে তিনি সুদূর যুক্তরাজ্যে বসবাস করেও বাংলা সংস্কৃতিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সর্বদা। প্রতিনিয়ত রচনা করে চলেছেন অসংখ্য সঙ্গীত। তিনি বাংলাদেশ বেতার সিলেটের নিয়মিত তালিকাভুক্ত একজন গীতিকার। 


গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু পরিচিতিঃ

গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু'র পৈতৃক নিবাস সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী লামা-চন্দরপুর গ্রামে। লামা-চন্দরপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। তাঁর পিতার নাম মরহুম হাজী চুনু মিয়া, মাতা খায়রুন্নেছা খানম। সিলেটের মুরাদপুর সেনানীবাস সংলগ্ন হাজী চুনু মিয়া ভিলেজ তাঁর পিতার নামেই প্রতিষ্ঠিত এবং কাচা লংকা রেস্টুরেন্টের পরিচালক সমাজসেবী সাইস্তা মিয়ার বড় ভাই তিনি। ৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ফজলুর রহমান ৪র্থ। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফজলুর রহমান-সহ ৪ ভাই ও ১ বোন যুক্তরাজ্যে, ১ ভাই আমেরিকায় এবং ১ভাই ও ১ বোন দেশে অবস্থান করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর স্ত্রী ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে।


শিক্ষাজীবনঃ

ফজলুর রহমান ফলু বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও তাঁর জন্ম, বেড়ে উঠা ও শিক্ষাজীবন হয়েছে দেশের মাটিতেই। তিনি ১৯৮৮ইং সালে স্থানীয় আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত এস,এস,সি পরীক্ষায় কৃতকার্য হোন। এরপর ১৯৯০ সালে ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। কলেজে পড়ালেখাকালীন তিনি ছাত্র রাজনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। তিনি ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এইচ,এস,সি শেষ করে ১৯৯৪ সালে তিনি সিলেট এমসি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হোন। তবে ওইসময়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি যুক্তরাজ্য পাড়ি জমান।


লেখক ফজলুর রহমানঃ

গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু ছাত্রছীবন থেকেই লেখালেখিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের মাসিক সংকলনে তাঁর বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছিলো। এছাড়া ওই সময়েই তাঁর বিভিন্ন ধরণের লেখা লোকাল পত্র-পত্রিকায়ও প্রকাশিত হতো।


প্রবাস জীবন ও গীতিকার হয়ে উঠাঃ

গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু এমসি কলেজে অধ্যানরত অবস্থায় যুক্তরাজ্য পাড়ি জমান। যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর তিনি বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক কাজে জড়িয়ে পড়েন। এসময় প্রবাসের ব্যস্ততায় লেখালখিতে অনেকটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায় তাঁর। সর্বশেষ ২০১৫ সাল থেকে তিনি গীতি রচনা শুরু করেন। এরপরের বছর ২০১৬ সালে তাঁর লেখা ৩২টি গান একসাথে 'চ্যানেল এস' প্রকাশ করে। এরপর থেকেই ফজলুর রহমান ফলু ব্যাপক আলোচনায় চলে আসেন। ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত হতে থাকে তাঁর এলবাম ও জনপ্রিয় সংগীত। এখন পর্যন্ত তাঁর রচনায় ১৩২টি গান ইউটিউব-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সংগীত রচনার প্রতিভায় ২০১৮ সালে তাকে একজন নিয়মিত গীতিকারের তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ বেতার সিলেট।


মিউজিক স্টুডিও প্রতিষ্ঠাঃ

গীতিকার ফজলুর রহমান ফলু যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও মন পড়ে থাকে মাতৃভূমির মাটি ও মানুষের প্রতি। সমাজ ও মানুষের সেবায় ফজলুর রহমান ফলু ও তাঁর পরিবারের রয়েছে অবাধ বিচরণ। তেমনি একজন গীতিকার হিসেব সিলেটের সংগীত অঙ্গনের কথা চিন্তা করে নগরীর উপশহরে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'এফ আর মিউজিক স্টুডি'। যেখানে সিলেটের প্রতিভাবান শিল্পীদের পাশাপাশি সংগীত চর্চায় সুযোগ পাবেন উদীয়মান শিল্পীরাও।

এব্যাপারে ফজলুর রহমান ফলু জানিয়েছেন, আমি সঙ্গীতাঙ্গনের অনেককেই দেখেছি যারা ঢাকা শহরে গিয়ে সংগীত চর্চা করে থাকেন। মূলত তাদের কথা চিন্তা করেই সিলেটে এ স্টুডিওটি প্রতিষ্ঠা করেছি। যাতে সিলেটের প্রতিভা সিলেটের মাঠিতেই ফুটে উঠে। 

এছাড়াও সিলেটের গীতিকার ও শিল্পীদের মধ্যে যারা আর্থিক অস্বচ্ছলতায় নিজেদের প্রতিভা ফুটিয়ে তুলতে পারছেন না তাদেরকে FR Music Studio-এর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলেও ঘোষণা দেন ফজলুর রহমান ফলু। যেকোনো প্রয়োজনে এফ আর মিউজিক স্টুডিও-এর নিম্নের নাম্বারে যোগাযোগ করার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
মোবাইলঃ ০১৭২৯-২৬৫৫৮০।


খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়

খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়



বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদনে মতামত দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।


মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক  গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন।

পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আবেদনে মতামত দিয়ে সেটি মঙ্গলবার আবার আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। 

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদনে মতামত দিয়ে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। 


তবে আবেদনে কী মতামত দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আগের বারের মতো এবারের চিঠিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর কথা বলে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।

গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের কয়েক দিন আগে খালেদার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। তিনি দেশে আসার পর খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে জানা যাবে। 
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গোলাপগঞ্জের যুবক নিহত

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গোলাপগঞ্জের যুবক নিহত


দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গোলাপগঞ্জের হাফিজ আব্দুল আহাদ(৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের সজিব আলীর পুত্র।

আজ (৭ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানীয় সময় সকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি কুশিয়ারা নিউজকে নিশ্চিত করেছেন লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ৩ নং (জাংগালাটা-পালপাড়া) ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামিল আহমদ।


তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানীয় সময় সকাল ৫টার দিকে আব্দুল আহাদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে পথিমধ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান।

জামিল আহমেদ জানান, নিহত আব্দুল আহাদ ৪/৫ বছর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছেন। সেখানে তার আরোও ২ ভাই রয়েছেন। বর্তমানে নিহতের মরদেহ দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হসপিটালে রয়েছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে লাশ দেশে আনা হবে কিনা তা পরবর্তীতে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

পরীমনিকে যৌন নিপীড়নের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ

পরীমনিকে যৌন নিপীড়নের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ



চিত্রনায়িকা পরীমনির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার তিন মাসের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তবে ধর্ষণচেষ্টা নয়, পরীমনিকে যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। প্রমাণ মিলেছে মারধর ও হুমকির।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ী নাসিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে-আসামিদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন, মারধর ও হুমকি দেয়ার প্রমাণ মিলেছে।


মামলায় পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়। 

তিনি অভিযোগ তোলেন ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে। গত ১৩ জুন নাসির ও তুহিন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। সেদিনই নাসির, তুহিনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এই মামলায় আদালতের অনুমতি নিয়ে নাসির ও অমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।


পরীর করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় এবং পুলিশের মাদক মামলায় বেশ কয়েকদিন রিমান্ডে ছিলেন আসামিরা। দুই মামলাতেই ব্যবসায়ী নাসির ১৫ দিন জেল খেটে এখন জামিনে আছেন। কারাগারে রয়েছেন অমি।

সোমবার সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামি শহিদুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এই মামলায় তাকে মোট তিন দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। ২৭ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর পরীমনি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন। তবে তাকে রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা নিয়ে বিতর্ক চলছে।


যে বিচারক এই আদেশ দিয়েছিলেন, তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে উচ্চ আদালত। আবার তার মামলার তত্ত্বাবধায়ক সিআইডি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসরে। এই আদেশের সঙ্গে পরীমনির মামলার সম্পর্ক আছে কি না, এই বিষয়টি অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব

প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব



ইন্টারনেট ছাড়া যেন দুনিয়া অচল। যোগাযোগ, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বাজার-সদাই—সবকিছুতেই এখন ইন্টারনেটের ছোঁয়া। তবে এই আবহে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে সৌর ঝড়ে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতির গবেষণা পত্রে এই দাবি করা হয়েছে। তিনি জানান, বিশ্ব বর্তমানে এত বৃহতাকারের সৌর ঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত নয়। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলা দিয়ে যেই অপটিক ফাইবার বিছানো রয়েছে তা অফলাইন হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খবর ডিএনএ


উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই সূর্যের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা। ২০২০ সালে সূর্য ১১ বছরের নতুন সাইকেল শুরু করে। এই সাইকেল ২০২৫ সালে চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। এই অবস্থায় সৌর ঝড়ের চোখ রাঙানি বিশ্বের উপর।

বিশ্বের উপর শেষবার বড় আকারের সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল ১৭ বছর আগে। তখন প্রযুক্তি এতটাও উন্নত ছিল না। আর আমরাও এতটা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ছিলাম না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও বেশি মোবাইল ও প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।


সৌর ঝড়ের জেরে স্যাটেলাইট সিগ্নাল বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে জিপিএস এবং মোবাইল সিগ্নালে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর আগে ১৯৮৯ সালে একটি সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। এর ‌ফলে কানাডাতে প্রায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নতুন সৌর ঝড়ের প্রভাব নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা।

তথ্যসূত্রঃ হিন্দুস্থান টাইমস
১ দিনের সফরে সিলেটে আসছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ

১ দিনের সফরে সিলেটে আসছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ



সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি একদিনের সফরে সিলেটে আসছেন।

আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ৮.৪৫মিনিটের সময় ইউ.এস বাংলার ফ্লাইটে সিলেট পৌঁছবেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।


ঐদিন সকাল ১১টায় তিনি হজরত মানিক (র:) টিলায় সদ্য প্রয়াত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক গণপরিষদ সদস্য এডভোকেট লুৎফুর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। পরে তিনি মরহুম এডভোকেট লুৎফুর রহমানের বাসায় যাবেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

বিকেল ৩টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি লুৎফুর রহমানের উদ্যোগে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ মেনিফল্ড সিস্টেমে অক্সিজেন সরবহরাহের উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।


ঐদিন রাত ৮.২০ মিনিটে ইউ,এস বাংলার ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ত্যাগ করবেন।

Monday, 6 September 2021

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণেও ঘুস!

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণেও ঘুস!



নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা পরিষদে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' ম্যুরাল নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স সরদার ও হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ২ সেপ্টেম্বর ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' ম্যুরাল নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জেনিথ কন্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি পেয়েছে। গত মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ চলাকালে মোট ৫ দিন ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। 

প্রতিটি ঢালায় কাজের দিন ১৫শ টাকা করে সাড়ে ৭ হাজার টাকা, ম্যুরালের স্ল্যাব করার সময় ১৫ হাজার টাকা, সর্বশেষ ঢালাইয়ের সময় ১ হাজার টাকা এবং বিলে স্বাক্ষর করার সময় ১১ হাজার টাকা উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুস আদায় করে বিলে স্বাক্ষর করেন। 

অপরদিকে এলজিইডির হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা প্রকৌশলীর জন্য ৪ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর স্বাক্ষর করানোর ব্যবস্থা করান। 
অভিযোগকারী ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। নির্মাণ কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স দফায় দফায় আমার কাছ থেকে ঘুস আদায় করেছেন। এছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর হিসাবরক্ষক সাখাওয়াতের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করেছেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে এভাবে দফায় দফায় ঘুস নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাণীনগর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স সরদার বলেন, ঠিকাদার বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজে অনিয়ম করেছিল। শতভাগ কাজ করে নেওয়ায় তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে এলজিইডির হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি এমন লোক না। তাদের কাছ থেকে কোনো ঘুস নেইনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক কোনো মন্তব্য না করে এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।


এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কথা বলতে রাজি হননি।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে তদন্তের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অফিসে আসতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।