Sunday, 26 September 2021

নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন সম্পাদকের পিতৃবিয়োগঃ বিভিন্ন মহলের শোক

নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন সম্পাদকের পিতৃবিয়োগঃ বিভিন্ন মহলের শোক




নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট লেখক ও আলোচক মাওলানা মাজহারুল ইসলাম জয়নালের পিতা, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি মোঃ মাহবুবুর রহমান ডালই মিয়া(৯১) ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৫ঃ১৫ মিনিটের সময় তার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন -ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন। 

মরহুমের জানাযার নামাজ আগামীকাল (২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার) সকাল সাড়ে দশটায় ইছামতি হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রবীন মুরব্বি মাহবুবুর রহমান এর  মৃত্যুতে সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সিলেট  জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, সিলেটের ডাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, ইছামতি কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল বাসিত,নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রিন্সিপাল শাহীনুর রহমান চৌধুরী, ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ,সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সভাপতি আবু মালিহা, সাধারন সম্পাদক শফিক আহমদ শফি গভীর শোক ও দূঃখ প্রকাশ করেছেন। 

নেতৃবৃন্দ এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
কবিতাঃ শৈশব কাল, এম.জেড.সায়েম

কবিতাঃ শৈশব কাল, এম.জেড.সায়েম



শৈশব কাল
এম,জেড,সায়েম

আমার ছোট্ট বেলা!
কত না দুষ্টুমিতে ভরা
কত না স্কুল কামাই করা, 
সবকিছু ফাঁকি দিয়ে মাঠে খেলা
নয়তোবা, ছোট্ট খালে মাছ ধরা,
আমার ছোট্টবেলা দুষ্টুমিতে ভরা।

কতনা ছিল কথার ফুলঝুরি,
খেলতাম তখন লুকোচুরি
আম কুড়াতে সকাল পার,
সকলে মিলে করতাম ফালাহার।

বর্ষায় নদীর অথৈই জলে
সাঁতার কাটতাম খেলাচ্ছলে,
লাই,কানামাছি আর গোল্লারছুট 
আরও কত্ত যে স্মৃতিরপট

চলে যেত দিন, ফিরতাম ঘর গোধুলি বেলায়
দুষ্টমিষ্ট দিন আজ হারিয়েছে হেলায়,
আক্ষেপ আর স্বাদ নিয়ে ভাবি
আহ! আমার সেই ছোট্ট বেলা..!
অবিবাহিত মাসুমের ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’

অবিবাহিত মাসুমের ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’



চুয়াডাঙ্গায় ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’ বেশ সাড়া ফেলেছে। এই নামে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সেবা এনেছেন বিদেশফেরত মাসুম মিয়া (৩০)। তাঁর মালিকাধীন ১১টি ইজিবাইক বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা শহরে চলাচল করছে।

ব্যক্তিগত জীবনে মাসুম অবিবাহিত। অবিবাহিত হয়েও ইজিবাইক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’ কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১২ বছর বিদেশে ছিলাম। সেখানকার অভিজ্ঞতায় জেনেছি, প্রতিটি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে নাম রাখতে গিয়েছি, সেই নামেই পরিবহন পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ করে বউয়ের দোয়া পরিবহন নাম রেখেছি। কারণ, বাবা-মায়ের পর বউ সবচেয়ে আপনজন। জেলা শহরে বউয়ের দোয়া পরিবহন নামটি ইতিমধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আমারও পরিচিতি। বিষয়টি বেশ উপভোগ্য।’

মাসুম মিয়া চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১২ বছর তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি দেশে ফেরেন। বিদেশে থেকে যে অর্থ উপার্জন করেছেন, তা দিয়ে ১১টি ইজিবাইক কেনেন। এর মধ্যে একটি নিজের জন্য রেখেছেন। বাকি ১০টি ভাড়ায় দিয়েছেন।

মাসুম মিয়ার দাবি, এই ইজিবাইকগুলো থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে বেশ ভালোভাবেই বাবা-মাসহ তাঁর তিন সদস্যের পরিবারের চলে যায়। আর বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। এবার তিনি বিয়ে করে সংসারী হতে চান। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের পছন্দে শিগগিরই একটা বিয়ে করতে চাই। বিয়ের পর বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়েই দেশেই জীবনের বাকি দিনগুলো কাটাতে চাই।’
সিলেটে কুশিয়ারা জোনের বৃক্ষের চারা বিতরণ

সিলেটে কুশিয়ারা জোনের বৃক্ষের চারা বিতরণ

সবুজায়ন পৃথিবী গড়তে বৃক্ষরোপনের বিকল্প নেইঃ আবু ফয়েজ খান চৌধুরী এমপিএইচএফ




রোটারী ডিষ্ট্রিক্ট ৩২৮২ গর্ভনর আবু ফয়েজ খান চৌধুরী এমপিএইচএফ বলেছেন, সুন্দর ও সবুজায়ন পৃথিবী গড়তে বৃক্ষরোপনের বিকল্প নেই। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখেনি, প্রাণী জগতের অক্সিজেন প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শুধু নিজের স্বার্থে নয়, বরং দেশ ও জাতির স্বার্থে বেশি করে বৃক্ষরোপন ও এর পরিচর্যা করতে হবে। তিনি সুন্দর দেশ গড়ার স্বার্থে সকলকে বেশি করে বৃক্ষরোপনের আহবান জানান। 


২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রোটারী ক্লাব অব সিলেট প্রিমিয়ারের আয়োজনে কুশিয়ারা জোনের বৃক্ষের চারা ও সবজি বিক্রির ভ্যান বিতরন কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে তিনি প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।


রোটারী ক্লাব অব সিলেট প্রিমিয়ারের প্রেসিডেন্ট রোটাঃ সৈয়দ কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও জোনাল কো-অর্ডিনেটর রোটাঃ ফয়ছল করিম মুন্না’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিডিজি লেঃ কঃ (অবঃ) এম আতাউর রহমান পীর, ডিজিএন ইঞ্জিনিয়ার রোটাঃ মতিউর রহমান, জোনাল কো-অর্ডিনেটর রোটাঃ হানিফ মোহাম্মদ, এডিশনাল জোনাল কো-অর্ডিনেটর রোটাঃ বদরুল আলম চৌধুরী,  জোনাল সেক্রেটারী রোটাঃ মামুনুর রশীদ, রোটাঃ শামছুল আমীন রাখি, ডেপুটি ডিষ্ট্রিক্ট গর্ভনর রোটাঃ অংশুমান ভট্টাচার্য রাখু, এসিস্ট্যান্ট গর্ভনর এডভোকেট রোটাঃ মুহিতুর রহমান রনি, রোটাঃ মিজানুর রহমান, রোটাঃ আবু সুফিয়ান, রোটাঃ আব্দুল্লাহ আল জাকির, গর্ভনর স্পেশালএইড রোটাঃ মাহবুব ইকবাল মুন্না, এসিস্ট্যান্ট গর্ভনর রোটাঃ মাসুদ আহমদ চৌধুরী, রোটাঃ আব্দুস সালাম, রোটাঃ আব্দুল কাইয়ুম, রোটাঃ মিজানুর রহমান (বিয়ানীবাজার), গর্ভনর টিম সদস্য রোটাঃ ইকবাল হোসেন । 


উপস্থিত ছিলেন রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটি’র আইপিপি রোটাঃ আমিনুল ইসলাম, সেক্রেটারী রোটাঃ এস এ শফি, রোটারী ক্লাব অব সিলেট এলিগ্যান্স এর প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেন, রোটারী ক্লাব অব সিলেট কসমোপলিটনের প্রেসিডেন্ট রোটাঃ বুরহান উদ্দিন, সিলেট রয়েলস্ এর প্রেসিডেন্ট রোটাঃ অর্ণব ভট্টাচার্য, সিলেট সুপ্রীম এর প্রেসিডেন্ট রোটাঃ এনামুল কবীর, সিলেট প্রিমিয়ারের আইপিপি রোটাঃ লিপু সিংহ, সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার রোটাঃ জয়দেব বিশ্বাস, ক্লাব সদস্য আব্দুল কাইয়ুম, আলাল আহমদ, জিয়াউর রহমান চৌধুরী, রাহাত আহমদ, আহমদুর রব চৌধুরী, নাসির আহমদ চৌধুরী, শুভ দাস প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে পাচঁ শতাধিক বৃক্ষের চারা ও একজন অসহায়কে সবজি বিক্রির জন্য ভ্যান গাড়ী বিতরণ করেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে জিংক ধান বাজারজাতকরণ শীর্ষক আলোচনা সভা

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে জিংক ধান বাজারজাতকরণ শীর্ষক আলোচনা সভা



হারভেষ্ট প্লাস বাংলাদেশ এর সহায়তায় এফআইভিডিবির উদ্যোগে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগন্জস্হ এফআইভিডিবির সেন্ট্রাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গত বৃহস্পতিবার দূপুরে জিংক ধানের বীজ বিক্রেতাদের সাথে জিংক ধান বাজারজাতকরন শীর্ষক আলোচনা সভার  আয়োজন করা হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি (বীজ বিপনন) সিলেট এর উপপরিচালক সুপ্রিয় পাল। 

এফআইভিডিবির কোর্ডিনেটর মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসেনেরর সভাপতিত্বে ও প্রজেক্ট অফিসার সৈয়দ রাকিব এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  হারভেষ্ট প্লাস বাংলাদেশ এর সিভিসি প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর আবু হানিফা, সিভিসি প্রজেক্ট অফিসার রুহুল কুদ্দুস।

ভার্চুয়ালে অংশ গ্রহণ করেন হারভেষ্ট প্লাস বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার ডক্টর খায়রুল বাশার। 

সভায় উপজেলার বীজ ডিলার, কৃষক,বীজ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় জিংক ধান বাজারজাত করনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন ও বাস্তবায়নে  সকলের সহযোগীতা কামনা করা হয়।

Saturday, 25 September 2021

শৈশবে টিভিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন বোলিংয়ে আগুন ঝরানো গোলাপগঞ্জের আকসার (ভিডিও)

শৈশবে টিভিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন বোলিংয়ে আগুন ঝরানো গোলাপগঞ্জের আকসার (ভিডিও)



কথা শুনতে ও বলতে পারেন না, তবুও প্রতিপক্ষের ধরাশায়ী পেসার আকসার এখন দেশজুড়ে আলোচনায়। তার আলোচনায় আসার প্রধান কারণ ১৩৮ প্লাস গতিতে বল করতে পারার ক্ষমতা, সঙ্গে আছে স্ট্রেট আর্মে বোলিং দক্ষতা। সব কিছু মিলে একজন আদর্শ পেসারের প্যাকেজ বলা যেতে পারে তাকে।

যমুনা টিভি, বিবিসি নিউজ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আকসারের ধরাশায়ী বর্ণনা। আর কুশিয়ারা নিউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কে সেই আকসার?


আকসার আহমদ, বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী বাদেপাশা ইউনিয়নের মোল্লারচক গ্রামে। তার পিতার নাম মরহুম আব্দুর রহিম, মাতা দিলারা বেগম। আকসারের বয়স যখন মাত্র ২বছর তখনই পিতৃহারা হন তিনি। পরিবারে ১ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে আকসার সবার ছোট। সে ও তার ভাই দু'জনেই জন্ম থেকে বাক-প্রতিবন্ধী। অথচ নিজের অসাধারণ পারফর্ম্যান্সে আকসার তার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশ-বিদেশে অর্জন করেছেন সুনাম।

আকসারের ক্রিকেট খেলা শুরু হয় তার গ্রাম মোল্লারচক থেকেই। শৈশবে মোল্লারচক টিমের একজন সদস্য হিসেবেই খেলতেন আকসার। খেলার প্রতি অসম্ভব আগ্রহ থাকায় শৈশব থেকেই আকসারের স্বপ্ন ছিলো টিভিতে খেলার। তার সকল স্বপ্ন পূরণে সর্বদা সহযোগিতা করে এসেছেন মা দিলারা বেগম। একই সাথে বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন আকসারের এক চাচা আজিজ আহমদও।

আজিজ আহমদ কুশিয়ারা নিউজকে জানান, আকসার যখন সবে ৯ম শ্রেণীর ছাত্র তখন সে জয়েন করে সিলেটের রাগীব-রাবেয়া স্পোর্টস একাডেমিতে। এখান থেকেই স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে চলার পথ শুরু হয় তার। আকসার তার অসাধারণ পারফর্ম্যান্সে একে একে খেলতে থাকেন সিলেট ডিভিশন টিমে,  ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (ডি.ই.এ.এফ) সাইনরাইজ-হায়দ্রাবাদ টিমের হয়ে এবং বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী জাতীয় টিমের খেলোয়াড় হয়ে। প্রত্যেকটিতেই তার অসাধারণ পারফর্ম্যান্স যুক্ত হতে থাকে নিজের ক্যারিয়ারে।

এমনকি নিজের পারফর্ম্যান্সে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকেও আকসার অর্জন করেছেন সংবর্ধনা।

আকসারের মা দিলারা বেগম কুশিয়ারা নিউজকে বলেন, আকসার তার নিজ স্বপ্ন পূরণে নিজের অধ্যবসায় রেখে সামনের পানে এগিয়ে চলেছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব তাকে সাপোর্ট দিয়ে আসছি। আকসার যেনো আরোও অনেকদূর এগিয়ে গিয়ে নিজ এলাকা এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে সেই প্রত্যাশা রেখে তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।

আকসারের পারফর্ম্যান্সঃ
(যমুনা টিভির সৌজন্যে)

কথা বলতে ও শুনতে না পারা আকসার খেলার মাঠে সতীর্থদের অনেক কিছু বোঝাতে না পাড়লেও কোচের ইশারায় ইনসুইং আর আউট সুইংয়ে ব্যাটসম্যানকে পরাস্থ করতে কোনো সমস্যা হয় না তার। 

ইনসুইং, আউটসুইং, বাউন্স, গতি, ভ্যারিয়েশন- সবকিছু মিলিয়েই দারুণ দক্ষতা রয়েছে তার। একজন ভালো ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করতে যা প্রয়োজন সবই বিদ্যমান তার মাঝে।

আকসারের প্রতি দশ বলের তথ্য নিলে দেখা যায়, ৫টি বল ব্যাটারের ব্যাটেই লাগছে না। ৩ টি বল খেলতে ব্যাটার নিচ্ছেন রক্ষণাত্মক কৌশল, না হলে পড়তে হচ্ছে মুশকিলে। আর বাকি দুই বলে আকসার উপড়ে ফেলছেন স্ট্যাম্প কিংবা ফেলছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে।

১৩৮ এর বেশি গতিতে বল করতে পারেন ৬ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার আকসার। এতসব থাকা এই পিতৃহীন আকসারের মুখে নেই ভাষা, অন্য শব্দে আকসার একজন বাকপ্রতিবন্ধী।

কোচের ইশারায় ঠিক জায়গা মতই বলগুলো করছেন। ইশারাতেই বুঝছেন ইনসুইং কিংবা আউট সুইংয়ের নির্দেশনা।

একাত্তর একাডেমির কোচ হাফিজ মোহাম্মদ সোহেল বলেন, সব ধরনের বলই করতে পারে আকসার। অফ কাটার, লেগ কাটার, ইয়র্কার সবই তার দখলে। তার মূল শক্তি আউট সুইং। ইনসুইংয়ে এখনও কিছুটা দুর্বলতা আছে।

সিলেট থেকে উঠে আসা আকসারের ধ্যানজ্ঞানজুড়ে শুধুই বোলিং, বোলিং আর বোলিং। সবকিছু মিলিয়ে তার খাবারের নাম বোলিং, তার ঘুমের উপাদানও বোলিং। সারাক্ষণই চলে ক্রিকেট বিশ্লেষণ আর পর্যবেক্ষণ। তার সময় কাটে বিশ্বসেরা নামীদামি সব পেসারের বোলিং দেখে।

একজন পেস বোলারের যে যে গুণ থাকা প্রয়োজন তার সবই আছে। স্রষ্টা প্রদত্ত গুণগুলো আছে একটু বেশিই। তবু এখন পর্যন্ত ডাক পাননি বিসিবি বা কোনো ক্লাব থেকে। যার অন্যতম কারণ মুখের ভাষা। কিন্তু যার কাছে ক্রিকেটের সব ব্যাকরণ ও সব ভাষাই জানা, তার কাছে মুখের ভাষা কি আদৌ কোনো সমস্যা?

ভিডিওঃ

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’, সতর্কতা জারি

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’, সতর্কতা জারি





বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া দফতর।

এর প্রভাবে ভারতের উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জেলেদের আগামী সোমবার পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। এবারের ঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘গুলাব’ নামে।  

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই অতি গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। রোববার উড়িষ্যা দক্ষিণে এবং অন্ধ্র প্রদেশের উত্তরে কলিঙ্গপত্তনমের কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রম করবে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। 

দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান, যাদের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP।

এর সময় ঝড়গুলোকে নানা নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হত। কিন্তু সেসব নাম্বার সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো।

এ কারণে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়।

এবারের ‘গুলাব’ নামটি পাকিস্তানের প্রস্তাব করা। নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।