Sunday, 8 May 2022

গোলাপগঞ্জের আলোচিত ডাবল মার্ডারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মতবিনিময়

গোলাপগঞ্জের আলোচিত ডাবল মার্ডারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মতবিনিময়


গোলাপগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আলোচিত ডাবল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। শনিবার স্থানীয় এলাকার একটি হলরুমে বৃহত্তর রণকেলী এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদের সভাপতিত্বে ও গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আব্দুল জলিল এবং রাহি আহমদের যৌথ পরিচালনায় 
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শীলা, ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, প্যানেল মেয়র হেলালুজ্জামান হেলাল, সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু। 

আরো বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু, আকবর আলী ফখর, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম ফজলুল আলম, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খাঁন, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান আজম, গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেক, সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমীক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত, পরিবেশবাদী আব্দুল লতিফ সরকার।

এলাকারবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুল মুহিত, নিহত তারিফ রহমানের পিতা তখলিছ আলী, আবু সুফিয়ানের পিতা তছন আলী, তারিফ রহমানের চাচাতো ভাই গোলজার আহমদ।

এসময় বক্তারা বলেন, এতদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত আবু সুফিয়ান ও তারিফ রহমান হত্যার মূল আসামীদের কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি তা কারো জানা নেই। বক্তারা আলোচিত ডাবল মার্ডারে জড়িত মূল আসামীদের গ্রেপ্তার ও  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। 
গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ প্রার্থী

গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ প্রার্থী


গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী বাঁছাই উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, কেন্দ্র থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে সকলকে কাজ করতে হবে৷ কোন নেতাকর্মী নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ঘাটি। বিগত দিনেও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই জয়ের ধারা উপ-নির্বাচনেও অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, কবির উদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জিত সরকার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন, আইন সম্পাদক আজমল আলী, সদস্য সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম, বদরুল ইসলাম, জাকির আহমদ, মনসুর রশিদ, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ।

সভায় সভায় ১০জন প্রার্থী নৌকার মনোনয়ন পেতে আশাবাদ ব্যক্ত করলে জেলা নেতাকর্মীরা তাদের ঐক্যমত হওয়ার জন্য আহবান জানান। এরপর কোন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে এই ১০জনের নাম জেলা আওয়ামীলীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন ইসলাম কামাল, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শীলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী ফখর, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ আহমদ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব জোয়ারদার মছুফ।
লিবিয়া থেকে ইতালী যাওয়ার পথে বিয়ানীবাজারের দুইজন সাগরে সলিল সমাধি

লিবিয়া থেকে ইতালী যাওয়ার পথে বিয়ানীবাজারের দুইজন সাগরে সলিল সমাধি


তরুণদের প্রবাস যাত্রা এক স্বপ্নের নাম, প্রতিনিয়ত তরুণরা এ যাত্রা করে এক স্বপ্ন নিয়ে সেই স্বপ্ন সব সময় সফলতা বয়ে আনে না, কিছু সময় সেই স্বপ্ন বিষাদে পরিনয় হয়। আকাশচুম্বী স্বপ্ন বিভোরে থাকা তরুণরা ভূমধ্যসাগরে সলিল সামাধি হচ্ছেন। এই স্বপ্নকে বাস্তবিকরূপ দিতে তারা কখনো মৃত্যুর ভয় করে না। ইউরোপ যাওয়ার পথে বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজার এলাকার দুইজন সলিল সমাধি হয়েছে। একি নৌকায় ৭ জন মারা যান।

জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল লিবিয়ার বেনগাজী থেকে সাগর পথে ইতালীর উদ্দ্যেশ্যে নৌকা দিয়ে রওয়ানা হন ২৬ জন। নৌকা পথ ভুল করে সাগরে তারা কয়েকদিন অবস্থান করছিলেন। নৌকায় থাকা তৈল ও খাদ্য ফুরিয়ে গেলে ঠান্ডায় নৌকার মধ্যে ৭ জন মারা যান। অবশিষ্ট ১৯ জনকে তুরস্কের সাগর সীমানা দেখতে পান কোস্টগার্ড, কোস্টগার্ডরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সবাই সুস্থ আছেন। মৃত ৭ জনের মধ্যে বৈরাগীবাজার এলাকার দুইজন রয়েছেন তারা হচ্ছেন। খশিরবন্দ হাতিটিল্লাহ গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ৩য় ছেলে নুরুল আমীন (৪০) ও খশির চাতল গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের এক মাত্র ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান (সাইদী) (২৪) বাকী ৫ জনের পরিচয় পাওয়া যায় নি। নুরুল আমীন বিবাহিত তার দুই টি সন্তান রয়েছে। সাইদুর রহমান অবিবাহিত।

নিহত নুরুল আমীনের বড় ভাই বৈরাগীবাজার সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক জয়নাল আবেদীন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন আমরা খবর পেয়েছি খশির আব্দুল্লাহপুর গ্রামের শাহআলমের ছেলে সাজু আহমদ তুরস্ক থেকে জানিয়েছেন আমার ছোট ভাই নুরুল আমীন ও সাইদুর রহমান নৌকায় খাদ্য শেষে হওয়ায় এবং ঠান্ডায় মারা গেছে। একি কথা জানান নিহত মোঃ সাইদুর রহমানের চাচাতো ভাই মোঃ মানিক মিয়া।

এদিগে নিহত নরুল আমীন ও সাইদুর রহমান মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। 
কোম্পানীগঞ্জে ৮শ টাকার জন্য ব্যবসায়ী খুন!

কোম্পানীগঞ্জে ৮শ টাকার জন্য ব্যবসায়ী খুন!

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কোম্পানীগঞ্জে পাওনা ৮শ টাকার জন্য হাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক মোরগ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামে শনিবার রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশীর লাঠির আঘাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজ ওই গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে। ঘাতক ফয়জুল বারী (৩০) একই গ্রামের মিরাছ আলীর ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত হাফিজ ও ফয়জুল বারী ভোলাগঞ্জ বাজারের মোরগ ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তাদের দোকান রয়েছে। ব্যবসার প্রয়োজনে ফয়জুল বারী প্রতিবেশী হাফিজের কাছ থেকে ৮০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন। শনিবার রাতে তিনি হাফিজের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চান। কিন্তু হাফিজ ওই মুহূর্তে টাকা দিতে না পারায় বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাগ হয়ে ফয়জুল বারী একটি লাঠি দিয়ে হাফিজের মাথায় আঘাত করেন। হাফিজ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত হাফিজকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাত্র ৮০০ টাকার জন্য হাফিজকে খুন করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামি ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। 
ইমামকে রাজকীয় বিদায় দিলেন গ্রামবাসী

ইমামকে রাজকীয় বিদায় দিলেন গ্রামবাসী


হাফেজ মাওলানা আবু মুসার ২৪-২৫ বছর বয়স থেকে ইমামতি ও গ্রামের মক্তবে পড়ানো শুরু। ৮০ বছর বয়সে অবসর নিলেন। তার বিদায়কে জাকজমকপূর্ণ করে স্মরণীয় করে রাখলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার যশমন্তদুলিয়ার গ্রামবাসী।

বুধবার (৪ মে) বিদায়ের প্রাক্কালে গ্রামবাসী তার রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার অয়োজন করেন। তার হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ এক লাখ টাকা ও নানা উপহার সামগ্রী। পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা যশমন্তদুলিয়া গ্রামে ঈদের পরদিন ইমামের সম্মানে এ বিরল বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের হাফেজ আবু মুসা যশমন্তদুলিয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দীর্ঘ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি গ্রামবাসীদের আত্মার সঙ্গে মিশে গেছেন। এখন তিনি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। এ অবস্থায় তার বিদায় নেওয়ার পালা। কিন্তু বিদায় বেদনার হলেও এলাকাবাসী তা কষ্টে মেনে নেন। তার সম্মানে স্থানীয় যশমন্তদুলিয়া যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজন করেন এ বিদায় সংবর্ধনার।

সংবর্ধনায় ইমামকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। পরে তাকে ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে রাজকীয় ও চোখের জলে বিদায় দেওয়া হয়। এ সময় এলাকার মুরুব্বিসহ সর্বস্তরের মানুষ শতাধিক মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ ঘোড়ার গাড়িতে করে ইমামকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন।

মসজিদের ইমাম কাম-খতিবের এমন রাজকীয় বিদায়ের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এতে নেটিজেনসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসায় ভাসেন এলাকাবাসী।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মইনউদ্দিন মাস্টার বলেন, আবু মুসা দীর্ঘ বছর মসজিদে ইমামতি ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এখন বার্ধক্যে পৌঁছেন। তিনি আমাদের সবার সঙ্গে মিশে ছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের অভিভাবকের মতো। গ্রামবাসী তার পরামর্শ নিয়ে কাজকর্ম করতেন। তাই তার বিদায় বেলায় সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি। 
ভোজ্যতেলের পরিবর্তে বাদাম তেল খাওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

ভোজ্যতেলের পরিবর্তে বাদাম তেল খাওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর


ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বাদাম তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে এক সময় বাদামের তেল হতো। একেবারে ছোট ছোট আকারে এলাকাভিত্তিক বাদাম দিয়ে তেল হতো। সেই তেল দিয়েই ভাজা-পোড়া হতো। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে।

শনিবার (৭ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার পর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের উদাহরণ টেনে বলেন, লন্ডনে রেশন করে তেল দেয়া হচ্ছে। সেখানে ১ লিটারের বেশি কেউ তেল কিনতে পারবে না। প্রত্যেকটা জিনিস সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছে। এরকম একটা অবস্থা সারা বিশ্বেই। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জাহাজ ভাড়া এতো বেড়ে গেছে

যেগুলো আমদানি করি সেই আমদানির উপর যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে। সারা বিশ্বে দাম বেড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তেল উৎপাদনের আরও কি পদ্ধতি আছে সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তা ছাড়া আমাদের দেশে ভালো সরিষা হচ্ছে, তিল হচ্ছে অন্যান্য যেগুলো তেল হয়, যেমন ধানের কুড়া থেকে তুষ থেকে তেল হচ্ছে এভাবে তেল উৎপাদনে কোন কোন পদ্ধতি নেয়া যেতে পারে সেটা নিয়ে আমাদেরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে বিশ্বব্যাপী যে মন্দা দেখা দিচ্ছে এটা খুব ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে, তার প্রভাব আমাদের উপরও আসতে পারে। আমরা এখন থেকে সতর্ক হই।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানির উপর বিরুপ প্রভাব পড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপের অর্থনৈতিক অবস্থা, আমেরিকাতেও প্রভাব পড়ছে, ইংল্যান্ডেও প্রভাব পড়ছে। সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়ছে, আমরা এর থেকে বাইরে না। আমাদের কিছু জিনিস তো উৎপাদন হয় না, বাইরে থেকে আনতে হয়। পেঁয়াজের সমস্যা হল। পেঁয়াজ আমরা উৎপাদন করতে পারি..। সেটা নিয়ে যখন ব্যবস্থা নিলাম পেঁয়াজের কান্না আর কানতে হবে না। এ রকম একটা অবস্থা আমরা আনতে পারছি। এখন আসছে ভোজ্য তেল, সেটাও আমি মনে করি আমরা যদি উদ্যোগ নিই সমাধান করতে পারব। 

Saturday, 7 May 2022

আত্মহত্যার জন্য বিষ কিনতে গিয়ে দোকানির সঙ্গে প্রেম, বিয়ের দাবিতে অনশন

আত্মহত্যার জন্য বিষ কিনতে গিয়ে দোকানির সঙ্গে প্রেম, বিয়ের দাবিতে অনশন


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ছয় দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক সন্তানের জননী।

সোমবার থেকে সীমা আক্তার (২০) নামে ওই নারী বিয়ের দাবিতে সুবিদখালী বাজারের আলী বাংলা চাইনিজ সংলগ্ন মো. রায়হানের বাসায় অনশনে বসেছেন।

মো. রায়হান সুবিদখালী বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা। উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মতি মৃধার ছেলে। সীমা আক্তার উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মানসুরাবাদ গ্রামের জব্বার জোমাদ্দারের মেয়ে।

সীমা আক্তার জানান, সাড়ে চার বছর আগে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের মধু চাপরাসীর ছেলে শহীদুল্লাহর সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারণে আত্মহত্যা করার জন্য রায়হানের কীটনাশকের দোকান থেকে তিনি বিষ কিনতে যান। এ সময় রায়হান তাকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে এটি প্রেমের সম্পর্কের রুপ নেয়। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এমনকি রায়হান কৌশলে আগের স্বামীকে তালাক দিতেও বাধ্য করেন।

সীমা আক্তার আরও বলেন, পরবর্তীতে বিয়ের কথা জানালে রায়হান তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাই তিনি বিয়ের দাবিতে রায়হানের বাড়িতে ছয় দিন ধরে অনশন করছেন।

রায়হান পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয় মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনের আওতায় আনা হবে।