Sunday 8 May 2022

ইমামকে রাজকীয় বিদায় দিলেন গ্রামবাসী


হাফেজ মাওলানা আবু মুসার ২৪-২৫ বছর বয়স থেকে ইমামতি ও গ্রামের মক্তবে পড়ানো শুরু। ৮০ বছর বয়সে অবসর নিলেন। তার বিদায়কে জাকজমকপূর্ণ করে স্মরণীয় করে রাখলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার যশমন্তদুলিয়ার গ্রামবাসী।

বুধবার (৪ মে) বিদায়ের প্রাক্কালে গ্রামবাসী তার রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার অয়োজন করেন। তার হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ এক লাখ টাকা ও নানা উপহার সামগ্রী। পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা যশমন্তদুলিয়া গ্রামে ঈদের পরদিন ইমামের সম্মানে এ বিরল বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের হাফেজ আবু মুসা যশমন্তদুলিয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দীর্ঘ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি গ্রামবাসীদের আত্মার সঙ্গে মিশে গেছেন। এখন তিনি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। এ অবস্থায় তার বিদায় নেওয়ার পালা। কিন্তু বিদায় বেদনার হলেও এলাকাবাসী তা কষ্টে মেনে নেন। তার সম্মানে স্থানীয় যশমন্তদুলিয়া যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজন করেন এ বিদায় সংবর্ধনার।

সংবর্ধনায় ইমামকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। পরে তাকে ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে রাজকীয় ও চোখের জলে বিদায় দেওয়া হয়। এ সময় এলাকার মুরুব্বিসহ সর্বস্তরের মানুষ শতাধিক মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ ঘোড়ার গাড়িতে করে ইমামকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন।

মসজিদের ইমাম কাম-খতিবের এমন রাজকীয় বিদায়ের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এতে নেটিজেনসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসায় ভাসেন এলাকাবাসী।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মইনউদ্দিন মাস্টার বলেন, আবু মুসা দীর্ঘ বছর মসজিদে ইমামতি ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এখন বার্ধক্যে পৌঁছেন। তিনি আমাদের সবার সঙ্গে মিশে ছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের অভিভাবকের মতো। গ্রামবাসী তার পরামর্শ নিয়ে কাজকর্ম করতেন। তাই তার বিদায় বেলায় সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি। 

শেয়ার করুন