الجمعة، 26 مارس 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ মিছিল

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ মিছিল

মিছিল
আতাউর রহমান আফতাব


জাগো জাগো বাঙ্গালী জাগো!
জেগেছেরে জেগেছে বাঙ্গালী জেগেছ !!
শৈশবের মিছিল,
যখন তখন চলে মিছিল মাঠে অার ময়দানে
পেছকুন্দা মিছিল করে কাকতাড়ুয়ার গানে। 


যুদ্ধ চলে দিকে দিকে যুদ্ধ চলে বন্দরে
প্রিয়জনের দেখা নেই
কাদেঁ কেবল অন্তরে।

বাংলাদেশ  স্বাধীন হবে
বঙ্গবন্ধুর ডাক,
ফিরে এলো ২৬ শে মার্চ
কোথাও নেই ফাঁক। 


শৈশবের স্মৃতি গুলি উঠা-নামা করে,
মিছিল করে দামাল ছেলে
কে আর থাকে ঘরে !

এ কে এম আব্দুল্লাহ'র কবিতাঃ বিশ্বাসি মুখগুলো

এ কে এম আব্দুল্লাহ'র কবিতাঃ বিশ্বাসি মুখগুলো


বিশ্বাসি মুখগুলো
এ কে এম আব্দুল্লাহ


একদিন,জীবন থেমেছিল— আমার কোমল হাসির ভাঁজে।তোমরা আগুনের মাঠ চষে,এনে  দিলে বিজয়ের স্বাদ।যেখানে আজও রাতের আঁধার ভেঁঙে,পিতার স্বপ্নেরা করে ভিড়।আমি ক্লান্তিহীন মায়ের চোখে,গৌরবের মখমল পর্দার ফাঁকে কান পাতি। শুনি ভোরের আওয়াজ। এরপর স্বপ্নের সিঁড়ি ভেঙে, রাতের বাকস খুলে গেলে— বের হয়ে আসে পিতার রক্তাক্ত শার্ট।দৃষ্টির কেনভাস ভেঙে কলারে চমকায় পিতার বিজয় হাসি।আমি সাহসী যুবক হয়ে ওঠি। আর সেই হাসি মেখে স্পর্শ করি রক্তের দানা। 

এভাবে,আমি প্রতি রোজ লিখে রাখি,পৃথিবীর মলাটে মোড়ানো ইতিহাসের পাতায়,বিজয়ের দলিল। আমার কানে ভেসে আসে উল্লাসিত চরণধ্বনি,পিতার নির্মিত পথে। রাতের শেষে সুর্যের ছোঁয়ায় দুলে ওঠে আকাশ। সময়ের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বিশ্বাসী মুখগুলো।  

আর আমি হৃদয়ের ড্রয়ার খুলে তুলে রাখি যতনে— তাদের চরণধ্বনি। 

কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহ’র জন্মদিন আজ

কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহ’র জন্মদিন আজ



গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পাড়ের কৃতি সন্তান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী, কবি ও সাহিত্যিক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ’র জন্মদিন আজ। ১৯৭০ সালের এই দিনে গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহ। তাঁর পিতা মরহুম ক্বারী মোহাম্মদ ছুরাব আলী, মাতা মরহুমা ফাতিরা খাতুন। তিনভাই ও তিন বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান তিনি।


কবি ও কথা সাহিত্যিক এ কে এম আব্দুল্লাহ ১৯৯২সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। প্রবাসী এ কবি, গদ্যকার  দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও নিজেকে বাংলা সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত রেখেছেন নিয়মিত। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা কবিতা,উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ। রয়েছে বেশ কিছু যৌথ প্রকাশনা। ইংরেজিতে অনুবাদ কবিতা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংকলনে।  এছাড়াও তিনি সফলভাবে সম্পাদনা করছেন অণুগল্প সংকলন ‘শব্দবিন্দু’ ও ড্যাশ-অনলাইন ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন লিটলম্যাগ। এ কে এম আব্দুল্লাহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকা, অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা , সাহিত্য ব্লগ, লিটলম্যাগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে লিখে চলেছেন নিয়মিত।


কবির শিক্ষা জীবনঃ
কবি এ কে এম আব্দুল্লাহর লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় বাড়ির পাশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন শেষে তিনি স্থানীয় আল-এমদাদ হাইস্কুল এন্ড কলেজে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর সিলেট এম সি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। 

সাহিত্য চর্চায় কবিঃ
কবি এ কে এম আব্দুল্লাহ কিশোর বয়সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়াকালীন থেকেই লেখা-লেখি শুরু করেন। তবে মধ্যে কিছুটা বিরতি শেষে প্রবাসে পাড়ি জমানোর পর শত ব্যস্ততায়ও নিজেকে সাহিত্য চর্চায় আবার নিয়োজিত করেন। তাঁর অসাধারণ লেখনীতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হয়েছেন ব্যাপক সমাদৃত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা পুরষ্কারও।

তাঁর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ — যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি, ইমেল বডিতে সময়ের অনুবাদ, উপন্যাস ক্ষুধা ও সৌন্দর্য এবং টি ব্রেকের গল্প গল্পগ্রন্থ পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। একইসাথে পাঠকের কাছে হয়েছে ব্যাপক প্রশংসিত। তাঁর লেখায় সমাজে ঘটেযাওয়া নানা ঘটনা তার উপলব্দিতে বাস্তবতাবোধের এক শৈল্পিক রুপ যেনো প্রকাশিত হয়। এ কে এম আব্দুল্লাহ’র লেখা পাঠকমনের খোরাক মিটিয়ে আনন্দ, চেতনাবোধ ও অনুপ্রাণিত করে তুলেছে পাঠকের মন। 

তাছাড়া তাঁর লেখা বইগুলোর উপর বেশ কিছু চমৎকার পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ইত্তেফাক,দৈনিক জনকণ্ঠ, সিলেট বেতার, চ্যানেল আই অনলাইন, সাহিত্যবার্তা, কুশিয়ারা নিউজ,জলধি-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়।

গ্রন্থাবলীঃ
এ কে এম আব্দুল্লাহ’র প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “ইমেইল বডিতে সময়ের অনুবাদ, সচেতনা, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, মাটির মাচায় দণ্ডিত প্রজাপতি, যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি” প্রভৃতি।

তাঁর লেখা উপন্যাসসমূহের মধ্যে রয়েছে – ক্ষুধা ও সৌন্দর্য।
গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'টি ব্রেকের গল্প'। 

সম্পাদনাঃ
কবি এ কে এম আব্দুল্লাহর সম্পাদনা ও প্রকাশনায় বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংস্করণে ড্যাশ ওয়েব ম্যাগ ডটকম নামের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন সাহিত্য অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যা মাসিক সংকলন নিয়ে অল্পদিনের মধ্যেই সাহিত্য অঙ্গনে সমাদৃত হতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া কবি এ কে এম আব্দুল্লাহ সম্পাদনা করেন অণুগল্প সংকলন শব্দবিন্দু। 

সংগঠকঃ
এ কে এম আব্দুল্লাহ একজন সফল সংগঠক হিসেবেও বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি প্রতাষ্ঠা করেছেন কবিতাস্বজন, পয়েট্রি ক্লাব ইউকে। সংহতি সাহিত্য পরিষদ,সম্মিলিত সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সাথেও রয়েছেন সম্পৃক্ত। বর্তমানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ ইউকে-এর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

এছাড়া তিনি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য গঠিত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আল এমদাদ হাইস্কুল ও কলেজ এডুকেশন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

পুরস্কারঃ
কবি তাঁর অসাধারণ লেখনীর জন্য ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা পুরস্কার ও স্বর্ণ মেডেল। ২০১৯ইং সালের ০৩ জানুয়ারি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের সৎসংঘ পাঠাগারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশটি বইয়ের লেখককে সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এসময় বাংলাদেশের দুইজন লেখককে মনোনীত করে শান্তিনিকেতন সৎসংঘ পাঠাগার। এরমধ্যে কবি এ কে এম আব্দুল্লাহর লেখা কবিতাগ্রন্থ 'যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি' বইটিকে সেরা মনোনীত করে কবিকে সম্মাননা এওয়ার্ডে ভূষিত করে শান্তিনিকেতন সৎসংঘ পাঠাগার। এছাড়া পেয়েছেন ভারতের রাজস্হানের ড.শ্যাম সুন্দর মেমোরিয়াল ট্রাস্টের (শতবছর পূর্তি পালন উপলক্ষে) পক্ষ থেকে ২৫ হাজার রুপি ও একটি স্বর্ণ মেডেল পুরস্কার। উল্লেখ্য এই সংগঠন প্রতিবছর সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাহিত্যিকদের এ পুরষ্কার দিয়ে থাকে। এছাড়া কবি আব্দুল্লাহ সাহিত্যেও পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা পুরষ্কার। কবির এ প্রাপ্তিতে যোগ হোক নতুন মাত্রা। জন্মদিনে কুশিয়ারা নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে কবির প্রতি অজস্র শুভেচ্ছা।

الأحد، 21 مارس 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ কুশিয়ারার তীর

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ কুশিয়ারার তীর



কুশিয়ারার তীর
আতাউর রহমান আফতাব


বার মাস বয়ে চলে নদি কুশিয়ারা,

বর্ষাকালে স্রুতস্বিনী হয় যে পাগলপারা। 


দুই তীরে তার গাছ-গাছালী 

রবিশস্যের বাহার,

ফসল ফলে মাঠে মাঠে

ঘর-বাড়ি আর

সবুজের ছড়াছড়ি, মৌসুমী বাতাস

খালে বিলে সাঁতার কাঠে 

কত রঙের হাঁস। 


পলিমাটির ভরাট দেশ 

প্রেমের আলিঙ্গনে,

শিশু কিশোর খেলা করে

আনন্দিত মনে।

الخميس، 18 مارس 2021

ইয়াবার চালানসহ ৩ ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার

ইয়াবার চালানসহ ৩ ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে তিন ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী পেশাদার মাদককারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৯৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাবের একটি দল।  

র‍্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের র‍্যাব ৯ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবু মুসা মো.শরীফুল ইসলামের নেতৃতে মেজর মো. শওকাতুল মোনায়েম ও এএসপি ওবাইন এর সহযোগীতায় সদর কোম্পানী (সিলেট ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের শ্রীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিক তিন মাদককারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হল- ভারতের মেঘালয় জেলার সাইগ্রাফ থানার কালটেক গ্রামের মৃত প্রেমানন্দ দাসের ছেলে লিটন দাস (২৭), একই এলাকার মৃত কার্তিক দাসের ছেলে সুরঞ্জিত দাস (২৪) ও কৃপেন্দ্র দাসের ছেলে সাদব দাস (২১)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৯৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও এক পিস বিদেশী মদ জব্দ করা হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে তাদের ৩ জনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ লক ডাউন

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ লক ডাউন



লক ডাউন-------
আতাউর রহমান আফতাব

বাংলাদেশে লকডাউন চলছে
করোনার কাল,
পৃথিবী জুড়ে, দেশে দেশে হাহাকার, একটি রোগ কডিভ--১৯
মানবজাতিকে তোলপাড় করে দেয়।
অসহায় আমরা, 
খোদাতালার শ্রেষ্ট সৃষ্টি, আশরাফুল মাখলুকাত
আল্লাহ ই জানেন কখন ফুরায় কার হায়াত। 

সভ্যতা এগিয়ে  যায়, ধনধান্যে শ্যামলিমা উভয় বাংলায়
স্কুল,কলেজ খুলে না, ভয় ভীতিতে আতংকিত পৃথিবীর মানুষ,
পূব', পশ্চিম,উত্তর, দক্ষিণ,ঈশান,বায়ু,অগ্নি,নৈঋিত,আরো কত দিক

একটি রোগ বা রোগ জীবাণু, কত সূক্ষ্ম কীট
কখনো বাড়ে, কখনো কমে, জানে না কেউ ঠিক বা অঠিক

ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আছি সৃষ্টিকর্তার লীলা,
কেউ বুঝে না,কেউ জানে না
করছি কেন হেলা।

الاثنين، 15 مارس 2021

দিরাইয়ে লাঠি হাতে তেড়ে গেলেন মামুনুল হক!

দিরাইয়ে লাঠি হাতে তেড়ে গেলেন মামুনুল হক!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সংগঠনের শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যান হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ সময় হেলিকপ্টারটি দিরাই মজলিসপুর গ্রামে পৌঁছলে এলাকার লোকজন ছবি তোলার জন্য হেলিকপ্টারের সামনে দৌড়ে যান। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে হেলিকপ্টার থেকে নামতে পারছিলেন না হেফাজত আমির আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবুনগরী। 

ঠিক তখনই হেলিকপ্টার থেকে নামেন মামুনুল হক। বাবুনগরীর নিরাপত্তার জন্য নিজেই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এক পর্যায়ে জনতার ভিড় সামলাতে না পেরে লাঠি হাতে তাড়া করতে বাধ্য হন তিনি; যাতে বাবুনগরীকে নিরাপদে সমাবেশস্থলে নিয়ে যাওয়া যায়।

পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে হেফাজত আমিরকে কোলে করে হেলিকপ্টার থেকে নামান স্বেচ্ছাসেবকরা। পরে তাকে হুইলচেয়ারে করে দিরাই হাফেজিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে যান মামুনুল হক। ​

শাহীনুর আলম শাহিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ভিড়ের কারণে বাবুনগনরীকে হেলিকপ্টার থেকে কোনোভাবেই নামানো যাচ্ছিল না। পরে হেফাজত আমিরের নিরাপত্তার জন্য মামুনুল হক নিজেই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেন। অবাধ্য জনতাকে সামলাতে লাঠি হাতে তাড়া করতে বাধ্য হন তিনি।

এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে মামুনুল হক বলেন, ইসলামের কথা বলার জন্য আজ দিরাই এসেছি। সেলফি ওঠাতে আসিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে টিকটক, সেলফি আর ফেসবুক লাইভ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। কেন ভাই? ওইসব ছাড়া কি আপনাদের কোনো কাজ নাই? আপনাদের মাথায় কি সমস্যা আছে যে লাইক পাওয়ার জন্য সব জায়গায় সেলফি তুলতে হবে?

প্রসঙ্গত, শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যান হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবুনগরী। এ সময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনিরসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।