Friday, 20 August 2021

শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে ‘হামলাকারী’ গ্রেফতার

শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে ‘হামলাকারী’ গ্রেফতার



২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ।


শুক্রবার রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম ও গণসংযোগ শাখা থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তাকে কোথায় থেকে, কখন গ্রেফতার করা হয়েছে কিংবা তার নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।

ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলারোয়ায় পৌঁছতেই সড়কে একটি বাস আড় করে দিয়ে তার পথরোধ করা হয়।

এ সময় জটলার সৃষ্টি হলে সেই সুযোগে শেখ হাসিনার  গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা গুলি ছুড়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনার ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করা হয়। তার গাড়ির পতাকার স্ট্যান্ড ভেঙে ফেলা হয়। হামলাকারীরা ইটপাটকেল ও জুতা স্যান্ডেল ছুড়ে সহিংসতার সৃষ্টি করে।


এতে শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফাতেমা জামান সাথী, আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল এবং শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত  হন। একই সময় সাতক্ষীরার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন।

এ ঘটনায় কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেম উদ্দিন ২৭ জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু থানায় রেকর্ড না হওয়ায় তিনি নালিশি আদালত সাতক্ষীরায় মামলাটি করেন। পরবর্তীতে এ মামলা খারিজ হয়ে গেলে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে ফের মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সফিকুর রহমান সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।

সূত্রঃ যুগান্তর
টিকা নিতে পারবেন ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী শিক্ষার্থীরাও

টিকা নিতে পারবেন ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী শিক্ষার্থীরাও



এখন থেকে করোনার টিকা নিতে পারবেন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুরক্ষা অ্যাপে দেখা যাচ্ছে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা নিবন্ধনের অপশন।

এর আগে টিকা নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার।


দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ডের ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

৮ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। সেদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

ওই সময় টিকা নেয়ার জন্য ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা ছাড়া শুধু চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তিসহ করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত সম্মুখসারির যোদ্ধারা নিবন্ধন করতে ও টিকা নিতে পারছিলেন।


কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর দেশটি থেকে বাংলাদেশে টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রেক্ষাপটে ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ৫ মে টিকার নিবন্ধনও বন্ধ করে দেয়া হয়।

নানা দিকে চেষ্টার পর আবারও টিকা আসা শুরু হলে জুলাই মাসে পুনরায় নিবন্ধন শুরু করে সরকার। নতুন করে শুরুর পরই নিবন্ধনের শর্তে পরিবর্তন আসতে থাকে। প্রথমে ৩৫ বছর, পরে ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হয়। এরপর সম্মুখসারির যোদ্ধাদের পরিবারের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদেরও এর আওতায় আনা হয়।

এছাড়া নীতিমালায় পরিবর্তন এনে বিশেষ বিবেচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীদেরও নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া গত ২৭ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত বয়সসীমার ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেই টিকা নিতে পারবেন।


এরপর ২৯ জুলাই নতুন করে টিকা নেয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করা হয়। আর আজ টিকা নেয়ার বয়সসীমা ১৮ বছর নির্ধারণ করা হলো।
পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধে লিখিত আদেশ প্রকাশ করলো হাইকোর্ট

পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধে লিখিত আদেশ প্রকাশ করলো হাইকোর্ট



পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর সকল গেম বন্ধে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের জন্য এসব গেম অনলাইনে বন্ধ রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন।


বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর সকল গেম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্মে লাইকি, টিকটক, বিগো লাইভসহ ক্ষতিকর অ্যাপ এবং পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।


বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

Thursday, 19 August 2021

হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী



আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পদে ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি প্রয়াত জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা। 

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় এক বিশেষ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী। 
 
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে তার দাফন গ্রামের বাড়িতে নাকি হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় দাফন তার হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।পরে বৈঠক করে গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


যদিও এর আগে দাফনের কথা ছিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। ওই সময়ে হেফাজতের নায়েবে আমির সালাউদ্দিন নানুপুরী জানিয়েছিলেন, হেফাজতের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শফিকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল সেখানেই দাফন করা হবে বাবুনগরীকে। 

প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল লাশ দাফন করা হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে বাবুনগরীর পারিবারিক কবরস্থানে।  পরে সিদ্ধান্ত হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে শায়িত করা হবে।এ নিয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়েছে জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজা সম্পন্ন, লাখো মানুষের ঢল

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজা সম্পন্ন, লাখো মানুষের ঢল



হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন তার মামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। 

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের পর হাটহাজারীতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।  


মাদ্রাসার ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভীড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।

এর আগে তার দাফন গ্রামের বাড়িতে নাকি হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় দাফন তার হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।পরে বৈঠক করে গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও এর আগে দাফনের কথা ছিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। ওই সময়ে হেফাজতের নায়েবে আমির সালাউদ্দিন নানুপুরী জানিয়েছিলেন, হেফাজতের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শফিকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল সেখানেই দাফন করা হবে বাবুনগরীকে। 

প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল লাশ দাফন করা হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে বাবুনগরীর পারিবারিক কবরস্থানে। পরে সিদ্ধান্ত হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে শায়িত করা হবে।এ নিয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়েছে জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে।


৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী।  

বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন।

তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।  
আল-এমদাদ স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক আব্দুল মছব্বিরের মৃত্যুতে ব্যাংকার মাহবুবুল হকের শোক ও স্মৃতিচারণ

আল-এমদাদ স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক আব্দুল মছব্বিরের মৃত্যুতে ব্যাংকার মাহবুবুল হকের শোক ও স্মৃতিচারণ



১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চন্দরপুর আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক আব্দুল মছব্বিরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবী মোঃ মাহবুবুল হক।



তিনি এক শোক বার্তায় আব্দুল মছব্বিরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আব্দুল মছব্বির স্যারের গ্রামের বাড়ি দেবারাই গ্রামে। তিনি ১৯৫৫ সালে আল-এমদাদ জুনিয়র স্কুলের একজন শিক্ষক ছিলেন। আমি তখন চতুর্থ শ্রেণীতে তাঁর ছাত্র ছিলাম। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ ও অত্যন্ত জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন।  সেদিন তাঁর মত শিক্ষকগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আল-এমদাদ স্কুল হাটি হাটি পা পা  করে এগিয়ে গিয়েছিল। আমি আমার প্রাণ প্রিয় শিক্ষকের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। 

তিনি আরোও বলেন, আব্দুল মছব্বির স্যারকে হারিয়ে আমরা সুন্দর ও মহৎ  হৃদয়ের  অধিকারী একজন মানুষকে হারালাম। প্রার্থনা করছি মহান আল্লাহ সুবহান তায়ালা তাঁকে মাফ করে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন, আমীন। 


স্মৃতিচারণে মাহবুবুল হক তৎকালীন (১৯৫৫) সময়ের অন্যান্য শিক্ষকগণের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন ১৯৫৫ সালে আল এমদাদ জুনিয়র স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছিলেন চন্দরপুর গ্রামের কোবাদ আলী বি.এ. বি.টি, এরপরে একই দায়িত্বে যোগ দিয়েছিলেন খাটকাই গ্রামের আব্বাস আলী। এছাড়া শিক্ষক হিসেবে আরোও ছিলেন, পুরুষপাল গ্রামের হারুনুর রশিদ, তাঁর ভাই মামুনুর রশিদ, একই গ্রামের ছমির উদ্দিন, বর্তমান প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জ্যোৎস্নাময় আচার্যের পিতা রায়গড় গ্রামের গণেন্দ্র আচার্য এবং বাগিরঘাট গ্রামের মৌলভী আব্দুল ওয়াহিদ।

এসময় তিনি প্রত্যেক গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মরহুম সকলের মাগফেরাত কামনা করেন এবং জীবিত হারুনুর রশিদ স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন

উল্লেখ্য, আব্দুল মছব্বির গত ১৫ আগস্ট( রবিবার)  সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটের সময় সিলেট নুরজাহান ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের দেবারাই গ্রামে।

মরহুম আব্দুল মছব্বির ৩ মেয়ে ও ৫ পুত্রের জনক ছিলেন। 

তিনি বিয়ানীবাজারের তাবলীগের বিশিষ্ট দাঈ এবং শত শত উস্তাদের উস্তাদ হিসেবেই পরিচিত রয়েছেন।


তিনি ডাঃ একেএম জাকারিয়া ও আমেরিকা প্রবাসী এটিএম তালহার পিতা  ও সিলেটের ডাঃ ফাইজা আক্তারের দাদা ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি  সন্তান-সন্ততি, নাতি- নাতনী ও আত্মীয়স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা যান।

তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী-সহ সর্বস্থরের লোকজন শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ব্যক্ত করেন।

আমরা সকলেই তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা  করি।

বিএনপি নেতা মাওলানা রশীদ ও লায়েক আহমদের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

বিএনপি নেতা মাওলানা রশীদ ও লায়েক আহমদের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল



সিলেটের গোলাপগঞ্জে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমদ ও  গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য লায়েক আহমেদ-সহ সারাবিশ্বের অসুস্থ মানুষের রোগ মুক্তির কামনায় গোলাপগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বাদ আছর গোলাপগঞ্জ চৌমূহনী জামে মসজিদে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় । দোয়া পরিচালনা করেন গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিন। 


দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন,  উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এডভোকেট মামুন আহদ রিপন,  পৌর আহবায়ক এনাম আহমদ,  গোলাম আজম শাইস্তা,  আতাউল রহমান আতা,  দুলাল আহমদ,  নজরুল ইসলাম,  মছরুর আহমদ,  সুফিয়ান আহমদ খান, শাহনুর আহমদ, এম মামুনুর রশীদ,  আব্দুল আজিজ মুন্না, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফাহিম আহমদ চৌধুরী, আব্দুর রহমান, বেলাল আহমদ,  তমজীদ আলী,  সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,  সেবুল আহমদ,  ফজল আহমদ, আব্দুর রহমান,  শাহজাহান আহমদ-সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।