Thursday, 19 August 2021

আল-এমদাদ স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক আব্দুল মছব্বিরের মৃত্যুতে ব্যাংকার মাহবুবুল হকের শোক ও স্মৃতিচারণ



১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চন্দরপুর আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক আব্দুল মছব্বিরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবী মোঃ মাহবুবুল হক।



তিনি এক শোক বার্তায় আব্দুল মছব্বিরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আব্দুল মছব্বির স্যারের গ্রামের বাড়ি দেবারাই গ্রামে। তিনি ১৯৫৫ সালে আল-এমদাদ জুনিয়র স্কুলের একজন শিক্ষক ছিলেন। আমি তখন চতুর্থ শ্রেণীতে তাঁর ছাত্র ছিলাম। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ ও অত্যন্ত জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন।  সেদিন তাঁর মত শিক্ষকগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আল-এমদাদ স্কুল হাটি হাটি পা পা  করে এগিয়ে গিয়েছিল। আমি আমার প্রাণ প্রিয় শিক্ষকের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। 

তিনি আরোও বলেন, আব্দুল মছব্বির স্যারকে হারিয়ে আমরা সুন্দর ও মহৎ  হৃদয়ের  অধিকারী একজন মানুষকে হারালাম। প্রার্থনা করছি মহান আল্লাহ সুবহান তায়ালা তাঁকে মাফ করে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন, আমীন। 


স্মৃতিচারণে মাহবুবুল হক তৎকালীন (১৯৫৫) সময়ের অন্যান্য শিক্ষকগণের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন ১৯৫৫ সালে আল এমদাদ জুনিয়র স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছিলেন চন্দরপুর গ্রামের কোবাদ আলী বি.এ. বি.টি, এরপরে একই দায়িত্বে যোগ দিয়েছিলেন খাটকাই গ্রামের আব্বাস আলী। এছাড়া শিক্ষক হিসেবে আরোও ছিলেন, পুরুষপাল গ্রামের হারুনুর রশিদ, তাঁর ভাই মামুনুর রশিদ, একই গ্রামের ছমির উদ্দিন, বর্তমান প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জ্যোৎস্নাময় আচার্যের পিতা রায়গড় গ্রামের গণেন্দ্র আচার্য এবং বাগিরঘাট গ্রামের মৌলভী আব্দুল ওয়াহিদ।

এসময় তিনি প্রত্যেক গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মরহুম সকলের মাগফেরাত কামনা করেন এবং জীবিত হারুনুর রশিদ স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন

উল্লেখ্য, আব্দুল মছব্বির গত ১৫ আগস্ট( রবিবার)  সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটের সময় সিলেট নুরজাহান ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের দেবারাই গ্রামে।

মরহুম আব্দুল মছব্বির ৩ মেয়ে ও ৫ পুত্রের জনক ছিলেন। 

তিনি বিয়ানীবাজারের তাবলীগের বিশিষ্ট দাঈ এবং শত শত উস্তাদের উস্তাদ হিসেবেই পরিচিত রয়েছেন।


তিনি ডাঃ একেএম জাকারিয়া ও আমেরিকা প্রবাসী এটিএম তালহার পিতা  ও সিলেটের ডাঃ ফাইজা আক্তারের দাদা ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি  সন্তান-সন্ততি, নাতি- নাতনী ও আত্মীয়স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা যান।

তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী-সহ সর্বস্থরের লোকজন শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ব্যক্ত করেন।

আমরা সকলেই তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা  করি।


শেয়ার করুন