Saturday, 4 September 2021

সিলেট ৩ উপনির্বাচনের ভোট প্রয়োগে ভোটারদের উপস্থিতি কম

সিলেট ৩ উপনির্বাচনের ভোট প্রয়োগে ভোটারদের উপস্থিতি কম




বহূল প্রতীক্ষিত সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে প্রথমবারের মতো এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন ঝটলা নেই।

সকাল থেকে ভোটগ্রহণের শুরুতে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের মোটামুটি উপস্থিতি থাকলেও বেশিরভাগ কেন্দ্র প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। তবে যেসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি আছে সেগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি ছিল। এছাড়া কেন্দ্রে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য।

সকাল সাড়ে ৮টায় ও পৌনে ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পূর্বভাগ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজী মোহাম্মদ রাজা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের দেখা মেলেনি। তবে বেলা বাড়ার পর হাতেগোনা কিছু ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

সকাল সোয়া ৮টায় ভোট দেন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি তার নিজ কেন্দ্র দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারের ধরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।

সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।


সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ থেকে ১৯ জন করে সদস্য। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ২১টি মোবাইল ফোর্স, ১২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ১২টি টহল টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় বিজিবির সঙ্গে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মনিটরিং করছেন তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনটিতে মোট ভোটার তিন লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।

গত ১১ মার্চ করোনায় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুইদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন আদালত। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে।
রাত পোহালেই সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

রাত পোহালেই সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন



রাত পোহালেই অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সিলেট-৩ শূন্য আসনের উপনির্বাচন। নানা বাধা-বিপত্তির পর অবশেষে এ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।

ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।

করোনাকালীন এ নির্বাচনে দু’বার তারিখ দিয়েও পেছাতে হয়েছে ইসিকে। প্রথমবার জাতীয় পার্টির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, দ্বিতীয়বার উচ্চ আদালতের নির্দেশে। এছাড়া এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অন্তত ছয় ভোট কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গেছেন প্রথমবার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন। যিনি জীবনে প্রথম কোনো নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসককে।

উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ওঠে যাওয়ার পর নতুর তারিখ দিয়ে ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে ভোটের সামগ্রী। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত আছেন ভোটের এলাকায়।

ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ শূন্য আসনের নির্বাচন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনী জিনিসপত্র ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাছে বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সাধারণ কেন্দ্রে ১৮ জন ও ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে ১৯ জনের ফোর্স। রয়েছে র‌্যাব, বিজিবি, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।

নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করছেন তিনজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচনী তদন্ত কমিটি ও ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।


ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেট-৩ আসনটি ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা নিয়ে গঠিত। এতে ৩ লাখ ৫০ হাজারের মতো ভোটার রয়েছে।

এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী গত ১১ মার্চ মারা যান। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করলে ১৪ জুলাই ভোটের তারিখ দেয় ইসি। ওইদিন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় দলটি ভোট পেছানোর দাবি করে। সেই দাবি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ২৮ জুলাই ভোটের পুনর্তারিখ দেয় কমিশন। কিন্তু একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভোটের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার নির্দেশনাও দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে কমিশন ২৩ আগস্ট ভোটের নতুন তারিখ দেন আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।
নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে পড়লো বিশাল ব্রিজ

নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে পড়লো বিশাল ব্রিজ



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বনগজ-কৃষ্ণনগর সংযোগ খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল একটি সেতু। কিন্তু দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি দিয়ে পার হতে পারেনি কোনো যানবাহন। সেতু ব্যবহার করে যাতায়াত করেননি কোনো মানুষও। শুক্রবার সকালে ইটবাহী একটি নৌকা ধাক্কা দিলে ভেঙে যায় দুই যুগ ধরে কাজে না লাগা সেতুটি।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও চরনারায়নপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে খালের ওপরে থাকা সেতুটি ভেঙে যায়। এতে নৌকায় থাকা দুই শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন নৌকার মালিক আব্দুল খালেক এবং হাবিব। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাজবাড়িয়া গ্রামে।

জানা গেছে, বনগজ-কৃষ্ণনগর সংযোগ খালের ওপর প্রায় দুই যুগ আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে সেতুর দুই পাশে সড়ক না থাকায় সেতুটি দিয়ে যানবাহন এবং মানুষ চলাচল করতে পারত না। এর ফলে বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মানুষ বর্ষার সময় নৌকায় এবং অন্য সময়ে পানি ভেঙে খালটি পার হন। এতে তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর তিনটি পিলারের উপরের অংশ ভেঙে কাত হয়ে নৌকার ওপর পড়ে আছে। কিছু অংশ ইটবোঝাই নৌকার ওপর পড়ে আছে।

নৌকার শ্রমিক সফর আলী বলেন, সকাল ৭টার দিকে জেলার শাহবাজপুর ডিজিটাল ব্রিকফিল্ড থেকে ৭ হাজার ইট নিয়ে একটি নৌকা আখাউড়ার ঘোলখার এলাকায় যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেতুটির কাছে পৌঁছার পর প্রবল স্রোতের কারণে মাঝি নৌকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে নৌকাটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে সেতুটির একটি অংশ নৌকার ওপর ভেঙে পড়ে।


বনগজ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি নৌকা নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি নৌকাটি ঘুরতে ঘুরতে সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়।

নৌকার মালিক সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাজবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, নৌকায় ১১জন লোক ছিল। তাদের মধ্যে দুইজন আহত হয়েছেন।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট

Friday, 3 September 2021

গোলাপগঞ্জে সিনোফার্মকে হারালো মডার্না (ভিডিও)

গোলাপগঞ্জে সিনোফার্মকে হারালো মডার্না (ভিডিও)



গোলাপগঞ্জে সিনোফার্ম ফুটবল দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মডার্না ফুটবল দল। উপজেলার চন্দরপুর আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত আদিয়ান ২য় ফুটবল প্রিমিয়ার লীগ ২০২১ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এ গৌরব অর্জন করে মডার্না ফুটবল দল।



শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদিয়ান আহমদ ফুটবল একাডেমি আয়োজিত এ লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। উত্তেজনাপূর্ণ এ ম্যাচে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা উপভোগ করেন দর্শকবৃন্দ। শক্তিশালী দু'দলের অসাধারণ পারফর্ম্যান্সে গোল শূন্য(০) ড্র হয় ম্যাচটি। পরে ট্রাইবেকারের মাধ্যমে সিনোফার্ম দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয় মডার্না ফুটবল দল।

উল্লেখ্য, আদিয়ান ২য় ফুটবল প্রিমিয়ার লীগ-২০২১ আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে আদিয়ান আহমদ ফুটবল একাডেমি। ফুটবল দলগুলোর নামই ছিলো এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ। মোট ৫টি ফুটবল দলের মধ্যে এ প্রিমিয়ার লীগ অনুষ্ঠিত হয়। এ ৫টি ফুটবল দলের নাম বাচাই করা হয় বর্তমান সময়ের মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক ৫টি ভ্যাকসিনের নামে। এগুলোর নাম ছিলো- মডার্না, সিনোফার্ম, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও জনসন।


ব্যতিক্রমী এসব ফুটবল টিমের নাম দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো আদিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ২য় আসর। আগত সহস্রাধিক দর্শকগণ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে এ লীগের খেলাগুলো উপভোগ করেন।

ফাইনাল ম্যাচে কানায়-কানায় পূর্ণ ছিলো ফুটবল মাটের চারপাশ। সকলেই উল্লাসের সহিত ম্যাচটি উপভোগ করেন।




লীগের ফাইনাল ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্বে তরুণ সমাজকর্মী শিপু ইসলামের পরিচালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী ডাঃ আব্দুল মতলিব, আব্দুল ওয়াহিদ কটই, হেলাল উদ্দিন, বাহার উদ্দিন প্রমুখ। এসময় বিজয়ীদের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রপি তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।


এছাড়া আগত দর্শকদেরকে এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, অংশগ্রহণ করা ফুটবল দল ও খেলোয়াড়বৃন্দকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান আদিয়ান আহমদ ফুটবল একাডেমি'র কর্ণধার সুলতান মাহমুদ।

GSC-এর সৌজন্যে খেলার পুরো ভিডিওঃ


প্রেম সংক্রান্ত জেরে গোলাপগঞ্জে দু'পক্ষের সংঘর্ষঃ বৃদ্ধ নিহত, আহত ১৫

প্রেম সংক্রান্ত জেরে গোলাপগঞ্জে দু'পক্ষের সংঘর্ষঃ বৃদ্ধ নিহত, আহত ১৫



গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নে প্রেম সংক্রান্ত জের ধরে দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষে ছলমান আলী (৭১) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরোও অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দু'পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামে এলাকার মরহুম তফই আলীর ছেলে আসাদ আলীর (২৩) সাথে একই এলাকার তছির আলীর মেয়ে (১৮) এর সাথে প্রেম সংক্রান্ত জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে উভয় পক্ষ বসলে এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় মরহুম আওলাদ আলীর ছেলে ছলমান আলী (৭১) নামের এক বৃদ্ধ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন লোক আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।


গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আর যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আটককৃতদের শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে র‍্যাংকিংয়ের ৬নং পজিশনে উঠে গেলো বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে র‍্যাংকিংয়ের ৬নং পজিশনে উঠে গেলো বাংলাদেশ



নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ছয় নম্বর পজিশনে উঠে গেলে বাংলাদেশ। এর আগে কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় জিতে দশ নম্বর পজিশন থেকে সাতে উঠে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি।


শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে ইনিংস গুটায় নিউজিল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২.৩ ওভারে দলীয় ১৬ রানে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। সাকিবের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। তার শিকার হন টম বান্ডেল। ৩.১ ওভারে দলীয় ১৮ রানে ফেরেন এ ওপেনার।  

১৮ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে উইলি ইয়াংকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম।

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান সাকিব। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৮ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইয়াং। ১০.৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬১ রান।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো সেই নাসুম আহমেদের স্পিনে বিভ্রান্ত হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রান করে নাসুমের বলে আউট হওয়া নিউজিল্যান্ডের এ তারকা ব্যাটসম্যান এদিনও সেই একই বোলারের স্পিনে শিকার হন। দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরেন ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে। তার বিদায়ে ১৪.২ ওভারে ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারায় কিউইরা।

নাসুমের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন হেনরি নিকোলাস। ১৫.৩ ওভারে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন নিকোলাস।

এরপর কলিন ম্যাককলিনচকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ২৮ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এই জুটিই দলকে জয়ের পথে নিয়েছিল। 

শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম চার বলে দেন ৭ রান। পরের দুই বলে কিউইদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। পঞ্চম বলটি ‘নো’ করেন ফিজ। শেষ দুই বলে নিউজিল্যান্ডকে ৮ রান করতে হতো। পঞ্চম বলে দুই রান নেয় নিউজিল্যান্ড। 


জয়ের জন্য শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে হতো নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথামকে। কিন্তু তিনি এক রানের বেশি নিতে পারেননি। ৪ রানের জয় পায় টাইগাররা। 


এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া ৩৩ রান করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। 

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে ৯.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৫৯ রান যোগ করেন নাঈম। 

২৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করে রাচিন রবিন্দ্রর স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন লিটন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। 

লিটন আউট হওয়ার পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পড়েন মুশফিকুর রহিম। রাচিন রবিন্দ্রর বলে গোল্ডেন ডাক পান জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।  


চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার বিদায়ে ৭২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। 

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। রাচিন রবিন্দ্রর করা বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। ৩৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করে ফেরেন তিনি। 

নাঈম আউট হওয়ার পর ৩ বলে ৩ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেন। তার বিদায়ে ১৬.২ ওভারে ১০৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।

এরপর নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২২ বলে ৩২ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন সোহান। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১৩ রান করে। ৩২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৬

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৩৭/৫

ফলাফল: বাংলাদেশ ৪ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ)।
হাজী সোনাহর আলীর'র দাফন সম্পন্ন (ভিডিও)

হাজী সোনাহর আলীর'র দাফন সম্পন্ন (ভিডিও)


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর গ্রামের বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব, আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য, চন্দরপুর মাদ্রাসার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য প্রবীণ মুরব্বী হাজী সোনাহর আলী'র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

আজ বাদ জুম্মা (দুপুর ২টায়) চন্দরপুর শাহী ঈদগাহ মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় চন্দরপুর ও আশপাশ এলাকার বিশিষ্টজন-সহ সর্বস্তরের সহস্রাধিক মুসল্লিয়ান উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।


হাজী সোনাহর আলী গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাঁর নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।

তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র, ৩ কন্যা ও নাতিনাতনি-সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে চন্দরপুর-সহ আশপাশ এলাকার সালিশ ব্যক্তিবর্গগণ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

নামাজে জানাজার ভিডিওঃ