Thursday 15 July 2021

ময়না তদন্ত শেষে বাড়ির পথে সেলিম উদ্দিনের লাশঃ জানাজার সময় ঘোষণা



ময়না তদন্ত শেষে সেলিম উদ্দিনের লাশ নিয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা দিয়েছেন তার স্বজনরা। গতকাল গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রাম থেকে রহস্যজনকভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় সেলিম উদ্দিনের (৪৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিয়ে বর্তমানে বাড়ির পথে রওয়ানা দিয়েছেন তার স্বজনরা।

আরও পড়ুনঃ সেলিম উদ্দিনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের

এদিকে বাড়ি নিয়ে আসার পর তার লাশ দাফনকাজের প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে আজ (বৃহস্পতিবার) বাদ মাগরিব তার জানাজার নামাজ আছিরগঞ্জ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার লাশ পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ আছিরগঞ্জের পরিচিত মুখ সেলিম উদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রসঙ্গত, গতকাল (বুধবার) সকালে সেলিম উদ্দিনের বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে থানা পুলিশ ও কুশিয়ারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশদল এসে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সেলিম উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে।

সেলিম উদ্দিন খাগাইল গ্রামের মরহুম আলাউদ্দিন দর্জির বড় ছেলে। তার স্ত্রী, ১ছেলে ও ১মেয়ে রয়েছেন।

তবে এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি। এলাকাবাসী বলছেন বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। এলাকাবাসী এবং সেলিম উদ্দিনের ভাই নাজিম উদ্দিন এ ঘটনার তদন্তপূর্বক সুষ্টু বিচার দাবী করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সেলিম উদ্দিনের বাড়ী থেকে প্রায় ২ শত ফুট দূরে নতুন একটি ভবনের পিছনে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

আরও পড়ুনঃ আছিরগঞ্জের পরিচিত মুখ সেলিম উদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আরও পড়ুনঃ 
সেলিম উদ্দিনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের

নিহতের ভাই নাজিম উদ্দিন জানান, খাগাইল গ্রামের আখলুছ হাজীর বাড়িতে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করতেন সেলিম উদ্দিন। বেশ কিছুদিন থেকে একটি মহল প্রবাসী আখলুছ হাজীর বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে তাকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সম্প্রতি তিনি সেখান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩/৪দিন আগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তিনি সেই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়লেও একটি মহল তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই আতঙ্কে তিনি বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দেন, এমনকি রাস্তাঘাটেও বের হতেন না। আতঙ্কে নিজের সিগারেট পর্যন্ত ছোট ভাইকে দিয়ে বাজার থেকে আনাতেন।

নাজিম উদ্দিনের দাবি হয়তো এর জের ধরে আমার ভাইকে হত্যা করা হতে পারে। তিনি এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী সেলিম উদ্দিনের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেলিম উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। তিনি জানান ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলেই এ ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।

সাধারণত ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। রিপোর্ট আসার পর এ ঘটনার আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে এলাকাবাসীর বিশ্বাস।

শেয়ার করুন