Saturday 4 September 2021

মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান হাবিব


সিলেট-৩ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ৯০ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।  শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়া সিলেট-৩ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।

অধরা স্বপ্নটি হাতের মুঠোয় চলে আসায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে তাকে। বিজয়ের বার্তা শুনার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। প্রতিশ্রুতি দেন- সিলেট-৩ আসনের মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দেবেন তিনি।

ফলাফল ঘোষণার পর সিলেট-৩ আসনের নবনির্বাচিত এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এলাকার মানুষ যে সম্মান ও ভালোবাসা দেখিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছেন, আমি নিশ্চয়ই এর প্রতিদান দেবো। যেসব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছি, তা আমার মেয়াদকালেই সম্পন্ন করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী (নৌকা) পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট। আতিকের চেয়ে হাবিব ৬৫ হাজার ৩১২ ভোট বেশি পেয়েছেন।


রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে শফি আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৫ হাজার ১৩৫ ভোট, আর বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া পেয়েছেন ৬৪০ ভোট।

জেলার দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এ আসনে। এরপর সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত পৌনে নয়টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বিজয়ী হিসেবে হাবিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, উপনির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, ভোটার ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সম্প্রীতির অঞ্চল হিসেবে সারা দেশে সুপরিচিত। এই উপনির্বাচনে এটা পুনরায় প্রমাণ হলো। নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১১ মার্চ এ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে দুই দফা তারিখ পিছিয়ে আজ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটকেন্দ্র ছিল ১৪৯টি। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়েছে। তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুব কম। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩ জন। মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯১টি, অর্থাৎ ৩৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

শেয়ার করুন