বিশ্বাসি মুখগুলো
এ কে এম আব্দুল্লাহ
একদিন,জীবন থেমেছিল— আমার কোমল হাসির ভাঁজে।তোমরা আগুনের মাঠ চষে,এনে দিলে বিজয়ের স্বাদ।যেখানে আজও রাতের আঁধার ভেঁঙে,পিতার স্বপ্নেরা করে ভিড়।আমি ক্লান্তিহীন মায়ের চোখে,গৌরবের মখমল পর্দার ফাঁকে কান পাতি। শুনি ভোরের আওয়াজ। এরপর স্বপ্নের সিঁড়ি ভেঙে, রাতের বাকস খুলে গেলে— বের হয়ে আসে পিতার রক্তাক্ত শার্ট।দৃষ্টির কেনভাস ভেঙে কলারে চমকায় পিতার বিজয় হাসি।আমি সাহসী যুবক হয়ে ওঠি। আর সেই হাসি মেখে স্পর্শ করি রক্তের দানা।
এভাবে,আমি প্রতি রোজ লিখে রাখি,পৃথিবীর মলাটে মোড়ানো ইতিহাসের পাতায়,বিজয়ের দলিল। আমার কানে ভেসে আসে উল্লাসিত চরণধ্বনি,পিতার নির্মিত পথে। রাতের শেষে সুর্যের ছোঁয়ায় দুলে ওঠে আকাশ। সময়ের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বিশ্বাসী মুখগুলো।
আর আমি হৃদয়ের ড্রয়ার খুলে তুলে রাখি যতনে— তাদের চরণধ্বনি।